প্রিয় পাঠক লক্ষ্য করুন

Thursday, December 30, 2010

বুঝে নিলাম by মনিরা চৌধুরী

ঝড়ো এক বৈশাখী, হাওয়ার মত
এসেছিলে কাছে তুমি
দিতে শ্রাবণ ধারার ঐ, পরশ যত।

পড়ি সেই পরশের, স্পর্শে আমি
লুটায়ে তোমার বুকে,
ঝরা ফুলের মত।

তুমি হাত বাড়ায়ে, নিলে আমায় তুলে
বললে থাকো ওগো
জনম যত।

সুবাসিত আমি এক, ফুলের মত
চেয়েছি তোমায় দিতে,
বাগান ভরা সব সুবাস যত।

মোর সেই সুবাসের, আবেশ তুমি
দিলে ছড়িয়ে যখন
কারো অন্য হাতে,
বুঝে নিলাম আমি শুধুই ছিলাম
তোমার বুকের কোন,
আবেশ গত।

জানা অজানা - ০৫

পৃথিবীতে যত লিপস্টিক আছে, তার বেশিররভাগই তৈরি হয় মাছের আঁশ দিয়ে। (তাইতো বলি এত মাছ খাই, তার আঁশগুলো যায় কোথায়!)

একটার ওপর একটা বিশাল বিশাল ব্লক বসিয়ে তৈরা করা হয়েছে মিশরের পিরামিডগুলো। তাতে একটা দুটো নয়, যেমন ধর গিজার পিরামিড বানাতে লেগেছে আড়াই মিলিয়ন ব্লক। আচ্ছা, তা না হয় বানালো কিন' বসে বসে ওগুলো গুনলো কে?

বিজ্ঞানি টমাস আলভা এডিসন অনেক আগে একটি হেলিকপ্টার বানানোর বুদ্ধি করেছিলেন যেটা চলবে বন্দুকের বারূদ দিয়ে। কিন' তার এই বুদ্ধিটা খুব একটা বুদ্ধিমানের মত ছিল না, কারণ এটা বানাতে যেয়ে সে তার পুরো ল্যবরেটরি উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

ভয় পেলে বা কোন কারণে উত্তেজিত হলে একটা টার্কি প্রতি ঘন্টায় ২০ মাইল জোড়ে দৌড়াতে পারে আর দৌড়াতে দৌড়াতে যখন লাফ দেয়, তখন বাতাসে সে প্রতি ঘন্টায় ৫০ থেকে ৫৫ মাইল বেগে উড়ে যেতে পারে।

বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন চেয়েছিলেন আমেরিকার জাতীয় পাখি হোক টার্কি (এক ধরনের বড় মোরগ)। কিন্তু ওনার স্বপ্ন পূরণ হয়নি।

হাতের বুড়ো আঙ্গুলের নখ বড় হয় খুব আস্তে আস্তে, আর সবচেয়ে তাড়াতাড়ি বড় হয় মধ্যমার নখ।

হাসাহাসি করা কিন্তু সোজা না। সে তুমি মুচকি হাসো আর হো হো করে হাসো, প্রতিবার হাসার সময় মুখের কমপক্ষে ৫ জোড়া মাংশপেশী তোমাকে ব্যবহার করতে হয়। আর বেশী হাসি পেলে তো মোট ৫৩টা পেশী লাগবে।

কোন কথা না বলেই মানুষ তার তার মুখ দিয়ে হাজার রকম ভাব প্রকাশ করতে পারে। রাগ, অভিমান, মেজাজ এইসব আরকি। কিন্তু এগুলোর ভেতরে আমরা সবচেয়ে বেশী কি করি জানো? হাসি! হি হি হি!

গাজর

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য শাকসবজি ও ফলমূলের উপর নির্ভর করে। এ দেশে সারাবছরই বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি ও ফলের চাষ করা হয়। গাজর বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় শীতকালীন সবজি। এর ইংরেজি নাম Carrot ও বৈজ্ঞানিক নাম Daucus carota. আমাদের দেশের প্রায় সব জায়গায় গাজর চাষ করা হয়।

একটি বড় আকারের গাজরে আপনি ২২ ক্যালর...ি শক্তি পাবেন।
কী আছে গাজরে
প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে আছে_
প্রোটিন-১.০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন-১৮৯০ মিলিগ্রাম, বি১-.০৪ মিলিগ্রাম, বি২-.০২ মিলিগ্রাম, শক্তি-৮৪ মিলিগ্রাম, থায়ামিন-০.৪ মিলিগ্রাম, ফলিক এসিড-১৪ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি-৯ মিলিগ্রাম। এ ছাড়া সামান্য পরিমাণ লৌহ থাকে।
বলা হয়ে থাকে ক্যান্সার প্রতিরোধে এর জুড়ি মেলা ভার৷ চমত্‍কার রং ও বাহারি স্বাদের জন্য গাজর শুধু সবজি হিসাবেই নয়, সালাদের উপকরণ ও জুস তৈরিতে এর রয়েছে বহুমুখি ব্যবহার৷ ফলে দিন দিন এর কদর বেড়েই চলেছে৷ বসে নেই উত্‍পাদন পর্যায়ের খামারি থেকে পুষ্টি বিজ্ঞানীরাও৷ চলছে মানগত উত্‍কর্ষতা বাড়ানোর নানা গবেষণা৷ তারই মধ্যে আশার বাণী শুনিয়েছেন একদল মার্কিন বিজ্ঞানী৷ তাদের দাবি, তারা সম্প্রতি এমনই এক ধরনের গাজর উদ্ভাবন করেছেন- সাধারণ জাতের গাজরের চেয়ে এতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ৪১ ভাগ বেশি৷ তাদের ভাষায়, উদ্ভাবিত গাজর নিয়মিত ভৰণে হাড় ও অস্থি হবে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ- মজবুত৷ ফলে হাড় ভঙ্গুর ঝুঁকি যাবে কমে৷

টেক্সাসের বেলর কলেজ অব মেডিসিনের একদল গবেষক বেশ কিছুদিন যাবত্‍ গাজর নিয়ে পরীৰা-নিরীৰা চালিয়ে আসছিলেন৷ তাদের মতে, শরীরের জন্য প্রতিদিন দরকার ১ হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম৷ আর এর প্রাথমিক উত্‍স হচ্ছে- দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য৷ অথচ এতে অনেক সময় কারো কারো শরীরে দেখা দেয় এলার্জি, তাই ক্যালসিয়ামের বিকল্প উত্‍স হতে পারে গাজর৷ তারা জিন প্রকৌশলের সাহায্যে যে গাজর উত্‍পাদনে সৰম হয়েছে তা এৰেত্রে জাদুর মতো কাজ দেবে৷ সাধারণ গাজরের তুলনায় এটি বহুলাংশে কার্যকর৷ তাই তারা এর নাম দিয়েছে ‘সুপারক্যারট’ বা সুপার গাজর৷

গবেষক দলের অন্যতম সদস্য প্রফেসর কেনডাল হার্চি বলেন, পরিবেশ নিয়ন্ত্রণাধীন রেখে এবং অতিসতর্ক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সুপারক্যারট বা সুপার গাজর উত্‍পাদন করা হয়েছে৷ তবে তার ভাষায়, এ জাতীয় গাজর ব্যাপকভিত্তিক বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক উত্‍পাদনের আগে আরো নিবিড় গবেষণা হওয়া দরকার৷ উলেস্নখ্য, গাজর নিয়ে গবেষণা এটি প্রথম নয়৷ এমনকি জিন প্রেকৌশলও এর আগে হয়েছে৷ জানা যায়, গাজর উত্‍পাদনে জিন প্রকৌশলগত প্রক্রিয়া সর্বপ্রথম প্রয়োগ করেন ডাচ্ গবেষকরা৷ সময়টা সপ্তদশ শতাব্দী৷ ডাচ্দের জাতীয় পতাকার বেগুনি অংশের প্রতিফলন ঘটানোর উদ্দেশ্যে এতে যোগ করা হয় জিনেটিক উপাদান৷ ফলে তাদের উদ্ভাবিত গাজর ধারণ করে পার্পল বা বেগুনিবর্ণ৷ এরপর কয়েকদফা জিনেটিক গবেষণা ও তা প্রয়োগ হলেও রং বদলানো হয়নি৷ বিজ্ঞানীদের মতে, গাজর ও ব্রকলি নামে এক জাতীয় ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সালফোরাফেন নামক একটি রসায়ন- যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে৷ গবেষকদের ভাষায়, সুপারক্যারট বা সুপার গাজর খেলে রাতারাতি স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে- এমনটি নয়৷ মূলতঃ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে এ জাতীয় গাজর গুরম্নত্বপূর্ণ বিকল্প হিসেবে কাজ করবে৷


বিশেষ করে যাদের হাড় ও অস্থি দুর্বল তাদের জন্য এটি আশীর্বাদ৷ গাজরের ওপর কাজ করে কামিয়াব হওয়ার পর এবার চলছে ব্রকলিতে বাড়তি ক্যালসিয়াম ধারণের উপায় নিয়ে গবেষণা৷ তাতে সফল হলে এৰেত্রে আরো উজ্জ্বল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়ে যাবে৷ সে সুযোগের অপেৰায়ই আছি আমরা৷

গাজর হাঁপানির ঝুঁকি কমায়।
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের নানা দেশে নানা প্রকার দূষনজনিত কারণ এবং খাদ্যদ্রব্যে ঔষধের প্রতিক্রিয়ার কারণে দিন দিন হাঁপানি রোগীর সংখ্যা আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে খবরে প্রকাশ। কিন্তু স্থাস্থ্য বিশেজ্ঞরা গবেষণায় দেখেছে যে, যে সব মহিলারা প্রচুর পরিমানে গাজর খান,তারা অপেক্ষাকৃত কম হাঁপানিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। গবেষণায় জানা গেছে প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্কদের হাঁপানি থেকে গাজর রক্ষাকারীর ভূমিকা সুস্পষ্ট । গবেষণায় দেখা গেছে, শাকসবজির অ্যান্টিএক্সিডেন্ট শ্বাসনালি রক্ষার ভূমিকা রাখে। গাজর, টমেটোর রস ও পাতাকপিতে ক্যারোটিনয়েড নাম একটি উপাদান থাকে যা কি না পরবর্তীতে ভিটামিন-এ’তে পরিবর্তিত হয়। ভিটামিন-এ অন্য অনেক কাজের সঙ্গে সঙ্গে দেহের রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং শ্বাসনালীর আবরণ কলাকে সুসংহত করে। বিশেষজ্ঞের অভিমত, একজন মানুষের সুস্থতার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ ধরনের শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া উচিত এবং সেই সঙ্গে প্রত্যেকের জানা জরুরি যে, তার জন্য কোন শাকসবজি বা ফলমূল বেশি উপকারী বা কোনটি বাদ পড়লে তাকে ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হবে। সর্বোচ্চ তাজা সবুজ শাকসবজি ভক্ষণকারীরাই সর্বনিম্ন হারে হাঁপানিতে ভোগে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, পারিবারিক রোগ, পরিবেশ, শরীরের এলার্জেনের মাত্রা এসব কিছুও হাঁপানি সংক্রমণে ভূমিকা পালন করে বিধায় শুধু ভিটামিন বা শাকসবজির একক ভূমিকা অনেক ক্ষেত্রে হাঁপানি প্রতিরোধে কাজে নাও আসতে পারে।

সূত্র দেখুন

আয় ফিরে আয় by নির্জন আহমেদ অরণ্য


আষাঢ়ও শ্রাবনও ঘন বর্ষায়
তব চরনের মলে এখনও কি
বিজলি এসে চমকায়...?
মোরে কি পরে মনে এই তমসায়..?মনে কি পরে তব সেই দিন গুলি হায়
মোরে তো ডাকিয়া কহে শুধু ,
ওরে আয় ফিরে আয়.........!
মাঠ,ঘাট ধান ক্ষেত মারি
সর্বাঙ্গে কাদা মাটি মাখি
ছুটিয়া আসিতাম তব বাড়ি
মাথায় লইয়া এক রাশ বারি....
মনে কি পরনো তব হায়..?
এমনও শ্রাবনও দিনে দুজনায়
কতনা ভিজেছি শ্রাবন ধারায়......
মোরে তো ডাকিয়া কহে আজও
ওরে আয় তোরা ফিরে আয়.....!
এখনও শ্রাবন করিবে আপন
কদমের সুভাস এখনও আগেরি মতন
শুধু অভিমান ভুলে তুই
আরেকটি বার এই বুকে ফিরে আয়
ওরে আয় ফিরে আয়.......!

ছেলেবেলার গল্প


ছেলে বেলার ছবি গুলি
ভেসে উঠে নয়নে,
মনের মাঝে লুকিয়ে ছিল
কত কি যে গোপনে!

অ আ পড়া আর
দুষ্টুমি রত,
ঝগড়া ফ্যাসদ করে কত
করেছি যে ক্ষত!
কোথা গেল সেসব
সোনালী দিন,
তা তা তৈ থৈ থৈ
তাধিন তাধিন।

কানামাছি ভৌঁ ভৌঁ
আর কত খেলা,
খেলা আর ম্যালার মাঝে
কাটিয়ে দিতাম বেলা।

স্কুল পালানো আর ঘুড়ি উড়ানো
এসব কথা বাজে এখন
বহুত আগের পুরনো।

এমন দিন বুঝি
ফিরিবে না আর,
খেলা শেষে ফিরে যেতাম
বাড়ী বাড়ী যার।

৩০/১২/২০১০

Wednesday, December 29, 2010

একটি ছেলে by মোশাররফ

আম্মুর সাথে হাঁটতে গিয়ে
সাত সকালে দেখি
একটি ছেলে গাছ তলাতে
ধুলায় মলিন একি ? ।।

কাঁথা বালিশ নেই ছেলেটির
সূর্য কিরণ দেয় যে চুম
সারা গায়ে তার কাঁদামাটি
তবুও দু'চোখ ভরা ঘুম ।।

কষ্টে আমার বুক ফেটে যায়
চোখ গড়িয়ে জল এলো
রাতে আমার স্বপ্ন মাঝে
তার সাথে খুব ভাব হলো ।।

ঘুমের ভিড়ে প্রশ্ন তারে
কেমনে তুমি গাছতলায়
বলতে গিয়ে আশ্রু ঝরায়
নিষেধ করি তা না বলায়

একদিন তাকে বন্ধু করে
নিলাম আমার বাসায়
কজের ফাঁকে পড়ে সে রোজ
দারিদ্র জয়ের নেশায় ।।

৩০.১২.১০

গুল্মলতা ও রাখাল





গুল্ম লতা জড়িয়ে আছে
বিশাল তরুর গাঁয়,
শিরশিরিয়ে বাতাস বহে
রাখাল মাঠে যায়।

শিষ দিয়ে যায় রাখাল বালক
সোনা ফলানো মাঠে,
গরুগুলো তার সাথে।

যাওয়ার পথে, খেয়ালীর ফাঁকে
টান দিয়ে লতা ছিঁড়ে,
ফেলে দেয় পথের বাঁকে।

রাখাল বালক নাইবা জানে
লতা কাঁদে, চোখের জলে;
কত দিনের কত চেষ্টার ফলে
লাতটি উঠে তরুর কোলে।

না বুঝে যে কষ্ট দেয়
চল সবে বুঝাই তারে।


২৮/২/২০১০

Monday, December 27, 2010

I am alive!

I am alive!
Have a drink first...
Oh, what a wonderful day!
Keep looking for that Vampire.
I'm sure that's our problem,
and he must be somewhere near.
He's tough, but not immortal.
You can take him!
Excellent! I see that you can be trusted to perform well when called upon.
Don't tell me you're losing your nerve?

Get you gone, and don't come back 'til you've stiffened your spine!
I can't believe my ears!
Why did you do it? Why?
Well, no matter.
Who says being dead is bad?
I AM THAT I AM
I will come again.

জানা অজানা - ০৫

তোমার পুরো শরীরের মাংসপেশী আছে মোট ৬৫০টি। গুনে দেখবে একটু?

আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবী ৫০টি চাঁদের সমান। অর্থাৎ পৃথিবীর সমান আয়তনে কোনো পাত্রে ৫০টি চাঁদ রাখা যাবে।

তোমরাই বলো, জাল ছাড়া আবার মাকড়সা হয় নাকি! কিন্তু বোলা স্পাইডার নামে এক ধরনের মাকড়সা আছে যারা কোন জালই বোনে না।
ঘোড়ার নাকের ফুটো দুটো শুধু আকারেই বড় নয়, কাজেও ঠিক তেমনি। ঘোড়ার রয়েছে অসাধারণ ঘ্রাণশক্তি।

কেঁচোকে সারাজীবনে কখনোই চশমা পরতে হয় না। কেন জানো? কারণ ওর শরীরে কোন চোখই নেই।

মানুষের শরীর থেকে প্রতিদিন গড়ে এক চা কাপের সমান ঘাম ঝরে।

মাত্র ৫ লিটার মধু খেয়ে এক একটি মৌমাছির ঝাঁক ৪০ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিতে পারে।

একটি কলার শতকরা পঁচাত্তর ভাগই পানি। তুমি যদি ছোট্ট এক গ্লাস পানির বদলে এক গ্লাস কলা খাবো বলো, তাহলে কিন্তু খুব একটা ভুল হবে না!

জানোই তো একজন মানুষের আঙুলের ছাপ আরেকজন মানুষের চেয়ে ভিন্নতর। তেমনি ঠোঁটের ছাপ ও একজনের চেয়ে আরেকজনেরটা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।

একটি কলার শতকরা পঁচাত্তর ভাগই পানি। তুমি যদি ছোট্ট এক গ্লাস পানির বদলে এক গ্লাস কলা খাবো বলো, তাহলে কিন্তু খুব একটা ভুল হবে না!

মাশরুমে প্রোটিনের পরিমান আলুর চেয়ে দ্বিগুন, টমেটোর চারগুন এবং কমলা লেবুর ছয় গুন বেশি। তাই বলে মাশরুম কাঁচা খেয়ে ফেলাটা কিন্তু বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

মুরগকে পাখি বলে ধরা হয়। তো এ পর্যন্ত একটি মুরগির শূন্যে ডানা ঝাপ্টে সবচেয়ে বেশি পথ পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড হচ্ছে ৩০২ ফুট। হায়রে মুরগি!

একটি সুন্দর জীবনবৃত্তান্ত (CV) তৈরীর কৌশল

আপনার জীবনবৃত্তান্ত (CV) হচ্ছে একজন সম্ভাব্য চাকুরীদাতার কাছে একজন চাকুরীপ্রার্থী হিসাবে উপস্থাপন করার প্রাথমিক মাধ্যম ৷ কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় চাকুরীপ্রার্থীরা তাদের জীবনবৃত্তান্ত সুন্দর এবং সঠিকভাবে তৈরী করার ব্যপারে গুরুত্ব প্রদান করে না ৷ ফলশ্রুতিতে অনেক যোগ্য প্রার্থীই Job Interview তে ডাক পায় না এবং যোগ্যতা প্রমানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় ৷

আপনার জীবনবৃত্তান্ত (CV) তৈরীর আগে যে সকল বাস্তবতার দিকে নজর রাখবেন---

১ একজন চাকুরীদাতা গড়ে একটি জীবনবৃত্তান্ত (CV)-এর উপর ৩০ সেকেন্ডের বেশী সময় দেয় না ৷ সুতরাং এটি হতে হবে সংক্ষিপ্ত ৷ তথ্যগুলোর উপস্থাপন হতে হবে সুস্পষ্ট ৷ অপ্রয়োজনীয় বা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিহার করতে হবে ৷

২ একজন অনভিজ্ঞ/সদ্য পাস করা চাকুরীপ্রার্থীর জীবনবৃত্তান্ত এক থেকে দুই পাতার বেশী হওয়া কোনভাবেই উচিত্
নয় ৷

৩ আপনার জীবনবৃত্তান্ত হচ্ছে আপনার নিজেকে বিপণন করার মাধ্যম ৷ সুতরাং এটি হতে হবে আকর্ষণীয় ৷ তবে চটকদার কোন কিছু যেমন রঙিন কাগজ বা রঙিন কালি ব্যবহার করবেন না ৷ কোন কিছু Highlight করতে হলে সেটিকে Bold, italic বা underline করতে পারেন ৷

৪ মনে রাখবেন, আপনার জীবনবৃত্তান্তের মধ্যে যদি কোন বানান ভুল বা ভাষাগত/Grammatical ভুল থাকে তবে সম্ভাব্য চাকুরীদাতার আপনার সম্বন্ধে নেতিবাচক ধারণা হবে ৷ এটি প্রকাশ পাবে যে আপনি কোন কাজই নির্ভুল ভাবে করতে সক্ষম নন ৷ সুতরাং একটি CV তৈরীর পর সেটি নিজে ভাল করে পড়ুন এবং শুদ্ধ ইংরেজী জানেন এমন ব্যক্তিকে দেখিয়ে নিন ৷

৫ যখন আপনি কোন নির্দিষ্ট চাকুরী বিজ্ঞপ্তির (job announcement)-এর বিপরীতে আবেদন করার জন্য জীবনবৃত্তান্ত পাঠাবেন, তখন চেষ্টা করুন আপনার CV সেই চাকুরীর চাহিদা অনুযায়ী তৈরী করতে (Customize your CV) ৷ এর জন্য প্রয়োজন চাকুরী বিজ্ঞপ্তি ভাল করে পড়া এবং প্রতিষ্ঠানটি সম্বন্ধেকিছু গবেষণা (Research) করা ৷ উদাহরণ স্বরুপ আপনি যদি জানেন যে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের যে কোন স্থানে নিয়োগ দিতে পারে, তাহলে আপনি আপনার CV-তে উল্লেখ করতে পারেন আপনি বাংলাদেশের কোন কোন স্থানে পূর্বে অবস্থান করেছেন ৷ অথবা কোন নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এমন কোন লোক খুঁজছে যার একজন ‘ সংগঠকের (organizer’) ভূমিকা পালন করতে হবে, সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার ছাত্রজীবনের কোন সাংগঠনকারীর ভূমিকা উল্লেখ করেন তবে আপনা CV নিয়োগকারীর কাছে আলাদা মূল্য পাবে৷

৬ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার CV তে সঠিক তথ্য দিবেন ৷ এমন কোন তথ্য দিবেন না যা আপনার Job interview-তে ভুল প্রমানিত হতে পারে ৷

জীবনবৃত্তান্তের (CV) বিভিন্ন অংশঃ

একটি জীবনবৃত্তান্তে (CV) যে তথ্যগুলো আপনি সুবিন্যস্ত ভাবে উপস্থাপন করবেন সেগুলো হচ্ছে-
* শিরোনাম (Title)
* সার সংক্ষেপ (Career Summary) --> অভিজ্ঞতা সম্পন্নদের জন্য বেশী প্রয়োজন ৷
* ক্যারিয়ার উদ্দেশ্য (Career objective)-->সদ্য পাশ করা চাকুরী প্রার্থীদের জন্য বেশী প্রয়োজন ৷
* চাকুরির অভিজ্ঞতা (Experience)
* শিক্ষাগত যোগ্যতা (Education)
* অতিরিক্ত তথ্য (Additional Information)
* ব্যক্তিগত তথ্য (Personal Information)
* রেফারেন্স (Reference)

শিরোনাম: (Title)

জীবনবৃত্তান্তের শুরুতেই থাকবে আপনার পুরো নাম ৷ এটা বোল্ড (bold) হবে এবং একটু বড় ফন্টে লিখতে হবে(ডাক নাম পরিহার করুন) ৷ তার পর থাকবে আপনার ঠিকানা (বর্তমান ঠিকানা যেখানে আপনাকে চিঠি দিলে আপনি পাবেন), ফোন নম্বর ও ই-মেইল এড্রেস ৷ এই অংশটুকু পৃষ্ঠার উপরে মধ্যখানে থাকবে, যাতে তা প্রথমেই চোখে পরে ৷

Career Summary( সার সংক্ষেপ )

যে সকল ব্যক্তিদের ৪-৫ বছরের বেশী চাকরীর অভিজ্ঞতা আছে তাদের জন্য এটি বেশী প্রযোজ্য ৷ এই অংশে আপনি সর্বোচ্চ ৬-৭ লাইনে উল্লেখ করুন আপনার পূর্ব চাকরীর অভিজ্ঞতার কর্মক্ষেত্রগুলো ৷ আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতার সাফল্যগুলো (Achievement) সংক্ষেপে তুলে ধরুন (যদি থাকে) ৷

Career Objective

এটি বেশী প্রযোজ্য সদ্য পাশ করা চাকুরী প্রার্থী বা অল্প অভিজ্ঞ (১ / ২ বছর) চাকুরী প্রার্থীদের জন্য ৷ এই অংশে আপনি আপনার চাকুরীক্ষেত্রে বর্তমান লক্ষ্য (Immediate goal) উল্লেখ করুন এবং আপনার যোগ্যতা কিভাবে বিজ্ঞপ্তির (Advertised) চাকুরী বা যে প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন, তার প্রয়োজন মেটাতে পারে তার প্রেক্ষিতে উপস্থাপন করুন ৷ চাকুরীর জন্য উপযুক্ত ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষিপ্তভাবে উলেখ করুন ৷ চাকুরী বিজ্ঞপ্তি বা কোম্পানির প্রয়োজনের সাথে খাপ খাইয়ে Career Objective লেখা জরুরী ৷ আপনি কোম্পানিকে কি দিতে পারবেন তার ওপর গুরুত্বারোপ করুন, কোম্পানির কাছ থেকে আপনি কি আশা করছেন তার ওপর নয় ৷

Experience: (কর্ম অভিজ্ঞতা)

অভিজ্ঞ পেশাজীবিদের জন্য এই অংশটি শিক্ষাগত যোগ্যতার আগেই আসা উচিত ৷ সদ্য পাশ করা বা অল্প অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা (Education) এবং তার পরে experience আসা উচিত৷

যে সকল তথ্য আপনার প্রতিটি পূর্ব অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে উল্লেখ করবেন সেগুলো হচ্ছে,

* Organization name (প্রতিষ্ঠানের নাম)
* Designation (পদবী)
* Time period- From & To (সময়কাল)
* Job responsibility (দায়িত্ব)
* Special achievement (উল্লেখযোগ্য সাফল্য):

আপনি যদি একই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে কাজ করে থাকেন, তাহলে আলাদা আলাদা ভাবে তা উল্লেখ করুন ৷

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি প্রথমেই উল্লেখ করবেন আপনার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা
(most recent experience), তার পরে এক এক করে
Resume Chronological Order-এ একটির পর একটি অভিজ্ঞতা উল্লেখ করবেন যা শেষ হবে আপনার সর্বপ্রথম অভিজ্ঞতা দিয়ে ৷

আপনার খুব কম গুরুত্বপূর্ণ বা কম সময়ের অভিজ্ঞতা উল্লেখ না করাই ভাল ৷ তবে লক্ষ্য রাখবেন যে আপনার List of experience এর মধ্যে যাতে খুব বেশী Time gap না থাকে ৷


Education & Training (শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণ):

আগেই বলা হয়েছে যে এই অংশটি সদ্য পাশ করা বা অল্প অভিজ্ঞদের জন্য Experience অংশের আগেই আসা উচিত্ ৷ Education অংশে আপনি আপনার ডিগ্রিগুলোর নাম উল্লেখ করবেন এবং নিম্নেবর্ণিত তথ্য প্রদান করবেন ৷

* ডিগ্রির নাম (যেমন: SSC, HSC, BCom)
* কোর্স সময়কাল (কবে থেকে কবে)
* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বোর্ডের নাম ৷
* পরীক্ষার বছর এবং প্রয়োজনে ফলাফল প্রকাশের সময় ৷
* ফলাফল/Result এবং যদি উল্লেখযোগ্য সাফল্য (যেমন: মেধাতালিকায় স্থান) থাকে তবে তার উল্লেখ করতে হবে ৷

Experience-এর মতো এক্ষেত্রেও আপনি আপনার সবচেয়ে সাম্প্রতিক ডিগ্রির উল্লেখ আগে করবেন এবং তার পর পর্যায়ক্রমিক ভাবে বাকিগুলো উল্লেখ করবেন ৷ লক্ষ্য রাখবেন আপনার কোন ডিগ্রির চূড়ান্ত ফলাফল এখনও প্রকাশ না হয়ে থাকলে সেই ডিগ্রির উল্লেখ করার সময়
ব্র্যাকেটে ‘Appeared’ উল্লেখ করবেন ৷ কোন কোর্সে অধ্যায়নরত থাকলে ‘Ongoing’ উল্লেখ করুন৷কোন ডিগ্রির ক্ষেত্রে আপনার Result যদি খুব খারাপ হয়ে থাকে তবে কোন Result-ই উল্লেখ করার দরকার নেই ৷মনে রাখবেন একটি ডিগ্রির ফলাফল উল্লেখ করা ও অন্যটি উল্লেখ না করা দৃষ্টিকটু ৷ আপনি যদি কোন বিশেষ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং যদি তা আপনার কাজের যোগ্যতার সহায়ক বলে মনে করেন তবে তা উল্লেখ করবেন ৷ সেক্ষেত্রেও প্রশিক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, Topics, প্রতিষ্ঠানের সময় (Duration) তারিখ উল্লেখ করবেন ৷ প্রশিক্ষণের তালিকা আপনি Education অংশের নীচে দিতে পারেন ৷

অতিরিক্ত তথ্য / Additional Information:

যে সকল তথ্য উপরে উল্লেখিত অংশগুলোর মধ্যে পড়ে না কিন্তু চাকরির সাথে সম্পর্কিত তা এ বিভাগে বর্ণনা করুন-

* পেশাগত অর্জন / Professional Achievement
* পদক/ সম্মাননা/ Award.
* ভাষাগত দক্ষতা / Language Literacy
* কম্পিউটারে দক্ষতা / Computer Skills.
* লাইসেন্স,সরকারি পরিচয়পত্র, প্রকাশিত লেখা ও সত্বাধিকার
* স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ড ইত্যাদি

ব্যক্তিগত তথ্য / Personal Information-

এই অংশে পিতামাতা, বর্তমান/স্থায়ী ঠিকানা, ধর্ম, যে সকল দেশ আপনি ভ্রমণ করেছেন, শখ ইত্যাদি এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে ৷

রেফারেন্স (Reference):

খেয়াল রাখবেন Reference অংশে আপনি আপনার নিকট আত্মীয়দের নাম উল্লেখ করবেন না ৷ আপনাকে আপনার ছাত্র জীবনে বা কর্মজীবনে কাছ থেকে দেখেছে এমন ব্যক্তিকেই আপনি Reference হিসাবে উল্লেখ করবেন৷অবশ্যই যাদেরকে Reference দিবেন তাদের ফোন নাম্বার, ঠিকানা এবং ই-মেইল (যদি থাকে) উল্লেখ করবেন৷সাধারণত Reference হিসাবে সর্বোচ্চ ২-৩ জনের নাম উল্লেখ করাই শ্রেয় ৷ তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যাপারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে তা হচ্ছে আপনি যাদেরকে Reference হিসাবে উল্লেখ করেছেন সে সকল ব্যাক্তিকে আপনার আগে থেকে জানাতে হবে যে আপনি তাদের Reference হিসাবে আপনার জীবনবৃত্তান্ত(CV)-তে উল্লেখ করেছেন ৷

সামহ্যোর ইন ব্লগ থেকে

Sunday, December 26, 2010

চলনাময়ী নারী



 মি তোমার ভেতর বাহির
সবই জানতে চাই
আমাকে কতটা ভালবাসা
প্রমাণ করা তোমার চাই।

তুমি ভেবোনা আমায় কাপুরুষ
আমার এখনো আছে চরম হুশ্।
তোমাদের মিষ্টি ভাষায় আর ভুলবনা,
জেনে বুঝে দেব মন, তবে  হারবোন।

আস সবে করি পণ
না বুঝে কভু দেবনা মন।

২৪.১২.২০১০

খেলনা by নাসির উদ্দিন খান

মার আনন্দ আর বেদনার এই দিনটি, একদিন আগুপিছু হলে মহাকালের দিন বিন্যাসে কি এমন সমস্যা হত? এ দু’য়ে কি শুধুমাত্র আমার বেলায় এক হয়েছে? নাকি এমন অহরহই ঘটে থাকে, কেউ জানে কেউ জানে না।

বারান্দায় বসে দ্বৈত অনুভূতির এক দমবন্ধ সময় পার করছি একাকী। রাত গভীর। আকাশের পেয়ালা ভর্তি লক্ষ কোটি নক্ষত্র। প্রকৃতি দীঘির জলের মত স্থির। চারিদিক বড় নির্জন-নিশ্চুপ। নৈশব্দেরও বুঝি শব্দ থাকে, নির্বাক প্রকৃতিরও না বলা কথা থাকে। তেমনি যেন দূরে কোথাও গুমরে গুমরে সরোদ কেঁদে চলেছে একটানা। শোনা যায় না, উপলব্ধি করা যায়। বাসায় একমাত্র জেগে আমি। সারাদিন রান্না বান্নায় ব্যস্ত সময় কেটেছে। বিকেলে এতিমখানার কিছূ ছেলেপুলে খাইয়েছিলাম। আর রাতে কয়েকজন ভিক্ষুক-মিসকিন-আত্মীয়স্বজন। খাটুনি গেছে বেশ। এখন খুবই ক্লান্ত। কিন্তু ঘুমের যেন আড়ি হয়েছে চোখের সাথে।

পাঁচ বছর আগের এইদিনে আমার বাবা চোখ বুঁজেছিল। আবার তার এক বছর পর একইদিনে সে আমার কোলে ফিরে এসেছিল। ভেবে ভেবে আকুল হই। মনের কোণে প্রশ্ন জাগে; চূড়ান্ত কোন্ লক্ষ্য নিয়ে নানা রঙ্গের অংক কষে বিধাতা তার খেলায় মাতে?

খেলায় খেলায় কষ্ট বাড়ে, কষ্ট কমে অন্তরালে। আমার যে কোনটা হয় নিজেই তো বুঝিনা ছাই।
রাত এগারটায় সমস্ত আয়োজন শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমি যখন রান্না ঘরের কাজ প্রায় গুছিয়ে এনেছি, তখন ড্রইং রুম থেকে কিছু একটি ভাঙ্গার শব্দ শুনতে পাই। কিছুক্ষণ পর রান্না ঘরে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এসে তুষার বলল, ‘মা, লোবত তা ভেংগে গেতে।’ শুনে আমার আনন্দ আর ধরে না। আনন্দটা কিসের বুঝতে পারি, বোঝাতে পারি না।

আজ তুষারের চতুর্থ জন্মদিন গেল। চতুর্থ সুখবার্ষিকী। সেই সাথে আমার পঞ্চম বেদনাবার্ষিকীও বটে। ছেলেটার বয়সের তুলনায় কথা একটু দেরীতে ফুটছে। ডাক্তার বলেছেন, ‘সমস্যা নাই, অনেক শিশুই দেরীতে কথা বলে।’ অনুষ্ঠানটি ছোটখাট করে করব করব করেও মোটামুটি বড় হয়ে গেল।
আমার বিয়ের আট বছর পর, বাবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিন তুষার জন্মেছিল। বড় আশার এ জন্মদিনটি স্বামী সন্তানের সাথে উপভোগ করতে পারি না কখনোই। সুখের এই দিনটিতে যে কষ্টে কষ্টে লীন হয়ে যাই আমি।

বাসায় যে প্রৌঢ়া মহিলাটি আমাকে সারাদিন সাংসারিক কাজে সহযোগীতা করে, সে কিভাবে যেন জেনেছে আজ তুষারের জন্মদিন। যদিও ব্যাপারটি আমি গোপন রেখেছিলাম। সম্ভবত সেজন্যেই সে আজ একটি খেলনা মানুষ নিয়ে এসেছে। ছেলের বাবাও ছেলের জন্যে উপহার একটি এনেছিল গতকাল, সাইকেল। কিন্তু সাইকেল ফেলে এই সস্তা দামের রোবটটি কেন যে তার এত পছন্দ হয়ে গেল সে ই জানে। খুশী’র মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘তুমি আবার এটা আনতে গেলে কেন?’ সে ঠোঁট দু’টো অল্প নেড়ে বলেছিল, ‘আনলাম, পোলাপান মানুষ!’

শুনেছি বাবা শত কষ্টের মাঝেও আমার প্রথম জন্মদিনটির আয়োজন করেছিল। পরের জন্মদিন গুলোতে কেক কাটার মত আর্থিক সংগতি তার ছিল না। তাই বাকী জন্মদিনগুলো স্মরণ করা হলেও পালন করা হয়নি আর। সেই প্রথম জন্মদিনে তার দেয়া কাঠের পুতুলটি অক্ষত আছে আজো। এত আগের খেলনাটি এখনো অটুট থাকাতে আমার ভেতর আনন্দ জাগে না মোটেও। কষ্ট হয়। বাবাও যে ওটি দেখলে কষ্ট পেত তা বড় হয়ে বেশ বুঝতে পেরেছিলাম।

আমাদের টিভি রুমে দাদার সচ্ছলতার শেষ প্রতীক হিসেবে একটি কারুকাজ করা বিশালাকৃতির শোকেস ছিল। তার নীচের দিক হতে ফুট তিনেক উপরে তাকের মত একটি বড়সড় খালি জায়গা ছিল। বাবা ওই খালি জায়গাটিতে আমাদের টিভিটা বসিয়েছিল। তবে এত বড় জায়গায় বার ইঞ্চি টিভিটাকে বড্ড বেমানান দেখাত। টেলিভিশন দেখতে বসলেই শোকেসে রাখা পুতুলটির দিকে বাবা আর আমার চোখগুলো ছুটে যেত বারবার। বাবা পরে টিভি সেটটি অন্যদিকে সরিয়ে নিয়েছিল। বাবার কষ্টের পেছনের কারণ হচ্ছেন আমার মা।

মা খুব কড়া ধরনের মহিলা ছিলেন। এখানে যেতে পারবে ওখানে যেতে পারবে না, এটা খেতে পারবে ওটা খেতে পারবে না, চারপাশে সারি সারি নিয়ম কানুনের বেড়া। এরকম অনেক অনেক বিধি নিষেধের হাত থেকে সেই খেলনাটিও রেহাই পায়নি শেষ পর্যন্ত। সংসারের সবকিছুর প্রতিই মা বিশেষভাবে যত্নশীল ছিলেন। তেমনি খেলনাটির প্রতিও। সদা সতর্ক। তাই জন্যে, পুতুলটিকে মলিন বৈঠকখানার শোভা বর্ধনে শোকেসের গরাদে বন্দীত্ব বরণ করতে হয়েছিল কাঁচা বয়সেই। কখনো সখনো মায়ের অবর্তমানে বাবা পুতুলটি বার করে আমাকে সাথে নিয়ে খেলত। তবে সাবধানে থাকতে হত, যাতে পুতুলের গায়ে আঁচড় না লেগে যায়।

সেটি এখনো সযতনে রাখা আছে নীল মখমলে মুড়ে। তুষারের বাবাও অনেকটা আমার মায়ের মতই। সে একদিন ছেলেকে বলছিল, ‘আর কিচ্ছু আনব না কক্ষনো। বিকালে এত সুন্দর প্লেন আনলাম, রাতেই ভেঙ্গে ফেললি!’

কোন্ ভাঙ্গাতে তুষ্টি জাগে বুঝতে পারা ভার। খেলতে গিয়ে খেলনা ভাঙ্গা, নাকি না খেলাতে হৃদয় ভাঙ্গা? কে কিসেতে আনন্দ পায়, কান্না আসে কার?
এই মাঝরাতে নিজের কাছে নিজেকেই চোর চোর মনে হচ্ছিল। সন্তর্পনে আলমারী খুলে পুতুলটি বার করে বারান্দায় ফিরে আসি। প্রতি বছর এই বিশেষ দিনের এই সময়ে পুতুলটির সাথে আমি একা একা খেলি। স্বামী পুত্র কেউ জানে না এ খেলাটির মর্মকথা, শুধু জানি আমি। আর জানে সে, যে কিনা খেলেই চলে - খেলেই চলে, জীবন্ত সব খেলনা নিয়ে। ভাঙ্গা গড়ার খেলায় মেতে খুঁজতে থাকে - খুঁজতে থাকে; তার সৃষ্টির সার্থকতা।

Saturday, December 25, 2010

কোনো ভিনগ্রহ by শাহ আলম বাদশা

ছুটছি তো ছুটছি আমি অবিরাম
এ ছোটার নেই কোনো শেষ --
পেছনে ফেলে যাচ্ছি একে একে পথ
বাঁকের পর বাঁক
যেনো ট্রেন থেকে দেখা চলন্ত পরিবেশ;
পেছনে ছুটছে গাছপালা নদী পাখি
হারিয়ে যাচ্ছে দৃশ্যাবলী বাড়িঘর সব
হঠাৎ দেখি উধাও হয়ে যাচ্ছে
আমার চিরচেনা প্রিয় বাংলাদেশ!

একি কোনো নতুন ভূখন্ড আবার
নাকি ভিনগ্রহ অচেনা জগত?
যেদিকে তাকাই ঝাঁকঝাঁক শকুন চিল
ছিঁড়েছূঁড়ে খাচ্ছে সোল্লাসে
ফুলেল শিশুর পেলব শরীর।
কারা যেনো কামড়াচ্ছে জীবন্ত লাশ
তানিয়ার শরীরও খুবলে নিচ্ছে অদ্ভুত জীব!
হায়, এখানে বসন্ত নেই কলগুঞ্জন নেই
বয়ে চলেছে কোথাও কোথাও অশ্রম্ননহর!!

দেখে তাই শিউরে উঠি, দেই পেছনছুট----
ছুটতে ছুটতে কবে পার হলো তিনযুগ
এখন আর খুঁজেও পাইনা, সেই সবুজ বাসর
একি মধ্যযুগ, নাকি এরা কোন ইয়াজুজ-মাজুর?

হরেকরকম চুরি by শাহ আলম বাদশা

বুজঘেরা দেশটাতে আজ
হরেকরকম চোর
চুরির তালেই ব্যস্ত এবং
আনন্দে বিভোর !

কেউবা করে সিঁধেল চুরি
ছিঁচকে অসহায়
কেউ কলমের খোঁচায় আবার
লাখটাকা সরায় ?

কেউ গুদামের মাল সরিয়ে
হচ্ছে কলাগাছ
কেউ ব্যাংকের ক্যাশটা মেরে
নাচে ধিতাং নাচ ।

জনগণের ভোট নিয়ে কেউ
করেই পুকুরচুরি
চোরের অভাব এদেশে নেই
নেইযে কোথাও জুড়ি !

সবুজ গাঁয়




ই আস, চলে যাই
আমাদের সবুজ গাঁয়
যেখানে মনু মাঝি
নৌকা বায়...।

যেখানে মা আমার
পুলি পিঠা গড়ে
গ্রীষ্মের বাতাসে
পাকা আম পড়ে।
সবুজের ক্ষেতে পড়ে
লুটোপুটি খাওয়া
শান্ত ঝিলের পাড়ে
লুকোচুরি খাওয়া।

চলনা যাই
ঘুরে আসি ক্ষণ
পাড়া প্রতিবেশী সব
যেথায় আপন জন।


২৫.১২.২০১০

Friday, December 24, 2010

দূরতমা by বাবুল হোসেইন

তোমার শাড়ির ভাঁজে ছিল বিস্ময় আকাশ
না পড়া অভিব্যক্তির আজন্ম কাঙালপনা ;
সেই যে তুমি ডানা মেলতে শিখলে; উড়তে শিখলে;
একদা পান্থজন ভুলে গেলো পথের হদিস।

পথের আবর্তে হারালো পথ, ইতিহাস হয়ে গেলো প্রাক্-ইতিহাস।
গোলক ধাঁধায় আটকানো চোখে দিগন্তের হেলে পড়া আকাশ
কেবলই দূরে, আরো দূরে, দূরতম দ্বীপের মতন।

প্রাচ্যে আর পশ্চিমে :
ঢের ঘোরা হলো, দেখা হলো কত সভ্যতার নাড়ী-নক্ষত্র
তবু জানা হলো না কোন সভ্যতা লুকিয়ে থাকে
তোমার আটপৌরে শাড়ির ভাঁজে !

উপলব্ধি

ত্তাপহীন শীতের সকাল
কর্মহীন দিবসে
আয়েস করে নিয়ে চায়ের কাপ,
ভাবছি দাড়িয়ে বারান্দায়...

সত্যি বলছি,
সত্যি বলছি তোমায়..।
জোরপূর্বক চোখের পলক চাপিয়ে
কোথাও না হারিয়ে
পারিনি দেখতে কাউকে,
কে আছে স্বপ্ন নয়নে
মনের গহীনে...

এই কংক্রীট শহুরে পাড়ায়,
কি অবাকে এখনো বেচে থাকা
ঐ নিঃসঙ্গ তালগাছ-টিকে
আজ নিজের সংগে তুলনীয় মনে হয়,,,

একটি সমস্যায় নানা জনের নানা সমাধান

খোলা জানালা বা এই জাতীয় কোনো শিরোনামের কলামে আমরা অনেক সময় আমাদের সমস্যা লিখে সমাধান জানতে চাই। কিন্তু কোনো কারণে ভুল করে যদি সমস্যাটি অন্য কারও কাছে চলে যায়, তখন তার কাছ থেকে কী কী সমাধান আসবে? ভেবেছেন মহিউদ্দিন কাউসার
সমস্যা:
আমার বয়স ৩০, ব্যক্তিগত জীবনে আমি এক সন্তানের মা। একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করি। স্বামী- সন্তান নিয়ে সুখেই দিন যাচ্ছিল। সেদিন ছিল সোমবার। সকালে ঘুম থেকে সাইন আউট করে দেখি, বাইরে রীতিমতো ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। শেষ রাতে যে কারেন্ট গিয়েছিল সেটা তখনো আসেনি। ঘুম থেকে উঠে নাশতা তৈরি করতে গেলাম, গ্যাস নেই। মেজাজ প্রচণ্ড হট হয়ে গেল। স্বামী-সন্তানকে জাগালাম। বাইরে থেকে নাশতা আনিয়ে সবাই মিলে আধা অন্ধকারেই উদরস্থ করলাম। তারপর রেডি হয়ে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠালাম। স্বামীকে তাড়াতাড়ি অফিসে যেতে বলে আমিও গাড়ি নিয়ে অফিসের দিকে রওনা হলাম। রাস্তায় পানি জমে একাকার। ঘেমে গিয়ে আমারও ঠান্ডা লেগেছে। কিছুক্ষণ পর গাড়ির ইঞ্জিনে পানি ঢুকে পড়ায় সেও আমার মতো কাশতে কাশতে থেমে গেল। মেজাজ বিগড়ে যাওয়ায় সিদ্ধান্ত নিলাম, আজ আর অফিসে যাব না। হেঁটে বাসায় রওনা হলাম। ফিরে যা দেখলাম তাতে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। আমি যার সঙ্গে এত দিন বিশ্বাস করে সংসার করলাম, যার সঙ্গে প্রতিদিনই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসার অভিনয় করলাম, সে-ই কিনা আমার বিশ্বাস ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিল? এখন আমি কী করব?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
ভাঙ্গারহাট, সাটুরিয়া।
সমাধান
বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠিটি পৌঁছালে—
ঘটনার দিন রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না, এটা নতুন কোনো কথা না যে লিখে পাঠাতে হবে। লোডশেডিংয়ের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিন, দেখবেন জীবনে সুখ ব্যাপারটা সহজলভ্য হয়ে পড়বে।
গাড়ি মেকানিকের কাছে চিঠিটি পৌঁছালে—
সম্ভবত আপনার গাড়ির ইঞ্জিনে পানি অবৈধভাবে এন্টার করে ফেলেছে। রাস্তার পানিতে জীবাণুও বেশি ছিল, কে জানে ইঞ্জিনের নজেলে ভাইরাস অ্যাটাক করেছে কি না! যা-ই হোক, আজই কোনো ভালো দেখে একজন গাড়ি মেকানিককে দেখিয়ে গাড়িটির চিকিৎসা করান। না হয় ভবিষ্যতে পস্তাতে হবে।
সিনেমার নায়িকার কাছে চিঠিটি পৌঁছালে—
চিত্রনাট্যটি পছন্দ হয়েছে, কিন্তু আমার চরিত্র কোনটি সেটা তো বলেননি। তবে হ্যাঁ, আমি কিন্তু চরিত্রের প্রয়োজনে খোলামেলা হতে রাজি আছি। ভালো থাকবেন।
চিকিৎসকের কাছে চিঠিটি পৌঁছালে—
বলেন কি, ঠান্ডা লেগে আপনার কাশি হয়েছে? আজই আপনি তিনটা মাথার আর দুইটা পেটের এক্স-রে, তিনটা ব্লাড টেস্ট আর চারটা ইউরিন টেস্ট করান। এক্ষুনি ‘রসালো চিকিৎসা’ কেন্দ্রে এক ছালা টাকা নিয়ে চলে যান। তবেই আপনার সমস্যার সব সমাধান হয়ে যাবে। বসে আছেন কেন? যান যান!
আবহাওয়া অফিসে চিঠিটি পৌঁছালে—
আমাদের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী অবশ্য সেদিন কড়া রোদ থাকার কথা ছিল। কিন্তু কেন যে বজ্রসহ ঝড় ও বৃষ্টিপাত হয়ে গেল সেটি আমাদের বোধগম্য হয়নি। যা-ই হোক, আপনি বলেছেন আপনার স্বামীকে যখন অন্য মেয়ের সঙ্গে ডেটিং করতে দেখলেন তখন নাকি আপনার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। কিন্তু স্যাটেলাইটে ধারণকৃত চিত্র পর্যবেক্ষণ করে আমরা দেশের কোথাও আকাশ ভেঙে পড়ার প্রমাণ পাইনি। আমাদের মনে হচ্ছে আপনার হ্যালুসিনেশন হয়েছে। আপনার উচিত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখানো।
আইনজীবীর কাছে চিঠিটি পৌঁছালে—
আপনার জন্য আছে অনেকগুলো মামলার সুযোগ। তবে তার আগে বাথ সার্টিফিকেট দেখে আপনার বয়সের সত্যতাটা যাচাই করতে হবে। আপনি চাইলে গ্যাস ও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার অবহেলা আইনে মামলা করতে পারেন। মামলা করতে পারেন আবহাওয়া অফিসের বিরুদ্ধে ভুল পূর্বাভাসের জন্য, আরও অনেক মামলার সুযোগ আমি তৈরি করে দেব, আগে নিচের ঠিকানায় অগ্রিম ফিটা পাঠিয়ে দিন।
অফিসের বসের কাছে চিঠিটি পৌঁছালে—
সামান্য ঝড়-বৃষ্টি, জ্বর, কাশি, গাড়ি নষ্ট, রাস্তায় পানি জমা—এসব কারণেও তাহলে আপনি অফিস ফাঁকি দেন। এই সব ঠিক না। আর কখনো যেন এমনটি না হয়। অফিসে এলে কি আপনি আপনার স্বামীকে অন্য মেয়ের সঙ্গে ডেটিং করতে দেখতেন? অফিস ফাঁকি দিলে তো এভাবেই সংসারে আগুন লাগবে, তাই না?


সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ১৬, ২০১০

১০০ কৌতুক

১০০ মানে ১০০টাই, একটা মিসিংও নাই ফাওও নাই।

১. কম্পিউটার অনেকটা মানুষের মতোই। মাত্র একটিই পার্থক্য—এটি নিজের দোষ অন্য কম্পিউটারের ঘাড়ে চাপাতে পারে না।
২. একটি বই থেকে নিয়ে লিখলে সেটা হয় চুরি। আর কয়েকটা বই থেকে নিয়ে লিখলে সেটা হয় গবেষণা।
৩. প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি হলেন তিনি, যাঁর বৃদ্ধি ওপর ও নিচ এ দুই প্রান্ত থেকে থেমে গেছে, কিন্তু পাশে বাড়ছে।
৪. হে প্রভু, আমাকে ধৈর্য দাও। এখনই দাও। এক্ষুনি।
৫. নির্বোধের সঙ্গে তর্কে যেয়ো না। সে তোমাকে নিজের পর্যায়ে নামিয়ে আনবে এবং নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে তোমাকে হারিয়ে দেবে।
৬. মানুষ মাত্রেরই ভুল হয় কিন্তু অফিস মাত্রই তা ক্ষমা করে না।
৭. আমি আমার দাদার মতো ঘুমের মধ্যে শান্তিতে মরতে চাই, তাঁর বাসের যাত্রীদের মতো চিত্কার করতে করতে নয়।
৮. শিশুর সংজ্ঞা হলো—যাদের জন্মের পর প্রথম দুই বছর চলে যায় হাঁটা আর কথা শেখায় এবং তার পরের ১৬ বছরই কেটে যায় তাদের মুখ বন্ধ রাখা আর স্থির হয়ে বসা শেখায়।
৯. আপনার যথেষ্ট পরিমাণ টাকা আছে, শুধু এটা বোঝাতে পারলেই আপনি কোনো ব্যাংক থেকে টাকা ধার পেতে পারেন।
১০. যদি তোমার মনে হয় যে তুমি বেঁচে আছ নাকি মরে গেছ, তা নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই, তাহলে এক-দুই মাস বাড়ি ভাড়া দেওয়ার কথা ভুলে গিয়ে দেখ।
১১. ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে পড়লেই কেবল আমরা উপসংহারে পৌঁছাই।
১২. কখনো কোনো পরিস্থিতিতেই ঘুমের ওষুধ আর জোলাপ একসঙ্গে খাবেন না।
১৩. সন্ধ্যার খবর শুরু করা হয় ‘শুভ সন্ধ্যা’ বলে। এরপর একে একে বলা হয় সন্ধ্যাটি কেন শুভ নয়।
১৪. যদি বলো আকাশে চার বিলিয়ন তারা আছে, তাহলে না গুনেই সবাই সেটা বিশ্বাস করবে। কিন্তু যদি বলা হয়, মাত্র রং করেছি, চেয়ারের রংটা এখনো শুকায়নি, তাহলে সবাই হাত দিয়ে দেখবে।
১৫. লক্ষ্যভেদ করতে চাইলে প্রথমে তীর ছোড়ো, তারপর যেটায় লাগে সেটাকেই লক্ষ্যবস্তু হিসেবে প্রচার করো।
১৬. সময় খুবই ভালো উপশমক, কিন্ত রূপসজ্জাকর হিসেবে খুবই খারাপ।
১৭. আতিথেয়তা এমন একটি গুণ, যার কারণে অতিথিরা ভাবে, যেন তারা নিজের বাড়িতেই আছে।
১৮. আমি কাজ খুব ভালোবাসি। কাজ আমাকে আকৃষ্ট করে। আর তাইতো আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে কাজের দিকে শুধু তাকিয়েই থাকি।
১৯. একজন সেলসম্যান হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি এমনভাবে আপনাকে নরকে যেতে বলবেন যে আপনি যাত্রার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবেন।
২০. একটি কার্ডের লেখা: তুমি ছাড়া জীবনটা খুবই দুঃসহ। মনে হচ্ছে, তুমি এখনো আমার সঙ্গেই আছ।
২১. সব পুরুষই বোকা, আর আমি তাদের রাজাকে বিয়ে করেছি।
২২. মৃত্যু বংশানুক্রমিক একটা ব্যাপার।
২৩. পুরুষেরা কি ঘরের কাজে সাহায্য করে?
—করে। মেয়েরা যখন ঘর পরিষ্কার করে, তখন তারা পা তুলে বসে।
২৪. পৃথিবীতে তিন ধরনের মানুষ আছে—১. যারা গুনতে পারে। ২. যারা গুনতে পারে না।
২৫. মানুষ যতদিনে বুঝতে পারে যে তার বাবা ঠিক কথাই বলত, ততদিনে তার ছেলে বড় হয়ে তার ভুল ধরতে শুরু করে।
২৬. হে প্রভু, যদি আমার ওজন না-ই কমে, তাহলে আমার বন্ধুদের মোটা বানিয়ে দাও।
২৭. ‘সংক্ষেপকরণ’ শব্দটি নিজে এত লম্বা কেন?
২৮. অনেক ভালোবাস? তাহলে তাজা গোলাপ ২৪ ক্যারেট সোনার ভেতর সিলমোহর করে পাঠাও।
২৯. সেদিন একটি মেয়ে আমাকে ফোন করে বলল, ‘চলে এস, বাড়িতে কেউ নেই।’ তার দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে দেখি সেটি একটি পোড়োবাড়ি। সেখানে আসলেই কেউ থাকে না।
৩০. হাই! আমি ভাইরাস। আপনার মস্তিষ্কে ঢুকতে যাচ্ছি। ওয়েট! মস্তিষ্ক খুঁজছি…খুঁজছি…সরি, আপনার কোনো মস্তিষ্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমি চললাম। বাই!
৩১. বান্দরবান ঘুরে আসার পর এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করল, কি রে, বান্দরবানে প্রাকৃতিক দৃশ্য কেমন দেখলি? জবাবে আরেক বন্ধু বলল, ‘আরে দূর, পাহাড়ের জন্য কিছুই দেখতে পারিনি।’
৩২. আলঝেইমার (কিছু মনে না থাকার রোগ) রোগ হওয়ার একটি সুবিধা আছে। রোজই আপনি নতুন নতুন বন্ধু পাবেন।
৩৩. যে লোক দুই কানে তুলা গুঁজে রাখে, তাকে কী বলা যায়?
—তাকে যা ইচ্ছা তাই বলা যায়।
৩৪. মনে করি, A হলো একটি সফল জীবন। A=x+y+z, এখানে x=কাজ, y=খেলা, z=মুখ বন্ধ রাখা।
৩৫. প্লেনে উঠে বিমানবালাকে বললাম, ‘আমার একটি ব্যাগ নিউইয়র্কে, একটি ব্যাগ লস অ্যাঞ্জেলেসে এবং আরেকটি মায়ামিতে পাঠিয়ে দিন।’ মহিলা বললেন, ‘অসম্ভব’। আমি বললাম, ‘গত সপ্তাহে আপনারা এ কাজটিই করেছেন।’
৩৬. ডাক্তার বললেন, আমি আর ছয় মাস বাঁচব। আগামী ছয় মাসে বিলের টাকা দিতে পারব না শুনে বললেন, ছয় মাস নয়, এক বছর বাঁচবেন।
৩৭. ডাক্তার বললেন, ‘আপনি ৬০ বছর বাঁচবেন।’ আমি বললাম, ‘এখনই আমার বয়স ৬০।’ ডাক্তার খুশি হয়ে বললেন, ‘বলেছিলাম না?’
৩৮. ভিখারি বলল, ‘সারা সপ্তাহ খাবারের স্বাদ পাইনি।’ উত্তর এল, ‘চিন্তা কোরো না, খাবারের স্বাদ এখনো আগের মতোই আছে।’
৩৯. ছেলে: বাবা, ইডিয়ট কাকে বলে?
বাবা: ইডিয়ট হলো সেই সব বোকা ব্যক্তি যারা নিজেদের বক্তব্য এত বেশি প্রলম্বিত করে যে কেউ তার কথা বুঝতে পারে না। বুঝতে পেরেছ?
ছেলে: না।
৪০. একজন এসে পুলিশকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমি কি এখানে গাড়িটা পার্ক করতে পারি?’
—না
—তাহলে এই গাড়িগুলো এখানে কেন?
—তারা কেউ এখানে গাড়ি পার্ক করতে পারবে কি না জিজ্ঞেস করেনি।
৪১. যে চিন্তাশক্তি দিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করা হয়, সেই একই চিন্তাশক্তি দিয়ে তা সমাধান করা যায় না।
৪২. আমি ৪৯ বছর ধরে একজন নারীকেই ভালোবাসছি। আমার স্ত্রী জানতে পারলে অবশ্য আমাকে খুন করবে।
৪৩. আমাদের বিয়েটা টিকে থাকার একটি রহস্য আছে। আমি আর আমার স্ত্রী সপ্তাহে দুই দিন রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভালো খাবার খাই আর ওয়াইন পান করি। আমি সোমবারে যাই আর আমার স্ত্রী যায় মঙ্গলবারে।
৪৪. ব্রেকফাস্টের আগে যে জিনিস দুটো কখনোই খাওয়া সম্ভব নয়, সেগুলো হলো লাঞ্চ আর সাপার।
৪৫. তুমি একটা ইলেকট্রিক ব্লেন্ডার, একটা ইলেকট্রিক টোস্টার এবং একটা ইলেকট্রিক ব্রেড মেকার কিনে বললে, ‘ওফ! বাসায় এত জিনিস! আমি বসব কোথায়?’ পরদিন আমি একটা ইলেকট্রিক চেয়ার কিনে আনলাম।
৪৬. এক বিশালদেহী লোক আমাকে বলল, ‘আমি ১০ ডলার বাজি ধরে বলতে পারি যে তুই মারা গেছিস।’ আমি তার সঙ্গে বাজি ধরতে সাহস পেলাম না।
৪৭. হাতুড়ির সবচেয়ে নিরাপদ ব্যবহার হলো, পেরেকটা অন্য কাউকে ধরতে দেওয়া।
৪৮. আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, ‘স্বামী হলো ওয়াইনের মতো, যত পুরোনো ততই ভালো।’ পরদিন সে আমাকে সেলারে আটকে রাখল।
৪৯. প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত সমালোচনা আছে।
৫০. বাড়ির কাজ না আনার সবচেয়ে খারাপ অজুহাত হলো—আমি দেখে লেখার মতো কাউকে পাইনি।
৫১. আলোর বেগ তো সবাই জানে। অন্ধকারের বেগ কত?
৫২. যদি প্রথমবারে সফল না হও, তাহলে স্কাইডাইভিং তোমার কর্ম নয়।
৫৩. খবর: আত্মঘাতী এক লোক ভুল করে তার যমজ ভাইকে খুন করে ফেলেছে।
৫৪. স্ত্রীদের সঙ্গে তর্কের দুটি নিয়ম আছে। কোনোটিই কার্যকরী নয়।
৫৫. এক লোক লটারি জিতে টিকিট পেয়ে চীনে বেড়াতে গেছেন। এখন তিনি চীনেই আছেন। আরেকটি লটারির টিকিট জিতে দেশে ফিরতে চান।
৫৬. ধরুন, কোনো ব্যক্তি দুর্ঘটনায় তাঁর শরীরের বাঁ-পাশ পুরোটাই হারিয়েছেন। এখন তাঁর কী হবে?
—তিনি এখন ‘অল রাইট’।
৫৭. ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যায়ও কাজ করেন কেন? উত্তর: আরে, উনি তো পি.এম, এ এম নন।
৫৮. স্কুলে একজন বোকাকে কীভাবে চেনা যায়?
—শিক্ষক যখন বোর্ড মোছেন, সে তখন তার সব ক্লাসনোট কেটে দেয়।
৫৯. মা এবং স্ত্রীর মধ্যে পার্থক্য কী?
—একজনের কারণে তুমি কাঁদতে কাঁদতে পৃথিবীতে এসেছিলে, অন্যজনের কারণে তুমি সারা জীবন কাঁদবে।
৬০. স্ত্রী ও চুম্বকের মধ্যে পার্থক্য কী?
—চুম্বকের একটি পজিটিভ দিক আছে।
৬১. জনসংখ্যার বিস্ফোরণ বিষয়ে পড়াতে গিয়ে এক শিক্ষক বললেন, ‘আমাদের দেশে প্রতি ১০ সেকেন্ডে একজন মহিলা একটি করে শিশুর জন্ম দেন।’
এক ছাত্র চিত্কার করে উঠল, ‘জলদি চল, তাঁকে খুঁজে বের করে এক্ষুনি থামাতে হবে।’
৬২. বাচ্চা ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা জানার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো তার জন্ম পর্যন্ত অপেক্ষা করা।
৬৩. ৩৫-এর পর আমার কি আর বাচ্চা নেওয়া ঠিক হবে?
—না। ৩৫টা বাচ্চাই যথেষ্ট।
৬৪. পৃথিবীর স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একটি পজিটিভ দিক বলুন।
—এইচ আই ভি।
৬৫. দুজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার একসঙ্গে কীভাবে বড়লোক হতে পারে?
—একজন ভাইরাস লিখে, অন্যজন অ্যান্টিভাইরাস লিখে।
৬৬. গণিতের একটা বই আরেকটা বইকে কী বলে?
—তোমার কথা জানি না, কিন্তু আমার ভেতরটা সমস্যায় ভর্তি।
৬৭. আপনার স্ত্রী ড্রাইভিং শিখতে চাইলে তাঁর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না।
৬৮. এক ব্যক্তি মনোচিকিত্সকের কাছে গিয়ে বলল, ‘কেউ আমার কথা শোনে না’। মনোচিকিত্সক সঙ্গে সঙ্গে বললেন, ‘নেক্সট’।
৬৯. লোকটি এতই মোটা যে সে ছবি প্রিন্ট করে না, পোস্টার ছাপায়।
৭০. দুজন ড্রাইভার ট্রাক চালাচ্ছিল।
১ম ড্রাইভার: হায়। ব্রিজটা ২ দশমিক ৭ মিটার উঁচু আর আমাদের ট্রাকটা ৩ মিটার।
২য় ড্রাইভার: যা দোস্ত, কোনো সমস্যা নেই। আশপাশে কোনো পুলিশ নেই।
৭১. মেকানিক্যাল আর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের মধ্যে পার্থক্য কী?
—মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অস্ত্র বানায় আর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বানায় অস্ত্রের টার্গেট।
৭২. আমার স্ত্রী গতরাতে বলছিল, আমি নাকি তার কোনো কথাই মন দিয়ে শুনি না…নাকি…এ রকমই কিছু একটা… ঠিক মনে পড়ছে না।
৭৩. গতরাতে স্বপ্নে দেখলাম, আমি ১০ পাউন্ড ওজনের একটা হটডগ খাচ্ছি। সকালে উঠে দেখি আমার কোলবালিশটা নেই।
৭৪. টিচার: তোমার বাবা তোমাকে বাড়ির কাজ করতে সাহায্য করেছেন?
ছাত্র: না। পুরোটাই উনি করেছেন।
৭৫. সব বিয়েই সুখের। পরবর্তী সময়ে একসঙ্গে থাকতে গিয়েই যত ঝামেলা শুরু হয়।
৭৬. অনেকেই চোখের বদলে মাথার ওপর চশমা পরে কেন? উত্তর: যার যেটা নষ্ট সে সেখানেই চশমা পরে।
৭৭. গত সপ্তাহে আমার সাইকিয়াট্রিস্টকে বললাম, ‘আমি আজকাল শুধু আত্মহত্যা করার কথা ভাবি।’ শুনে তিনি বললেন, ‘এখন থেকে অগ্রিম ফি নিয়ে আসবেন।’
৭৮. আমি অনেক বছর ধরে আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলিনি। আমি তার বক্তব্যে বাধা দিতে চাইনি।
৭৯. ব্যাচেলররা বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে বিবাহিতদের চেয়ে বেশি জানে, নইলে তারাও বিবাহিত হতো।
৮০. উড়োজাহাজের পেছনের সারিতে বসার কারণ দুটি। এক. হয় আপনি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। দুই. আপনি আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচিত হতে চান।
৮১. অভিজ্ঞতা যে কোনো কাজে লাগে না তার প্রমাণ হলো, মানুষ একটা প্রেম শেষ হওয়ার পরও আরেকবার প্রেমে পড়ে।
৮২. তিনি খুব অল্প কথার মানুষ। তাই না?
—হ্যাঁ, সারা সকাল ধরে সেই কথাটাই তিনি বোঝালেন।
৮৩. একটি চালাক ছেলে তার পছন্দের মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিল এভাবে—সে মেয়েটিকে নিয়ে নৌকায় উঠল। নৌকাটি মাঝনদীতে যাওয়ার পর মেয়েটিকে বলল, ‘তুমি যদি আমার প্রস্তাবে রাজি না হও তাহলে এক্ষুনি নৌকা ছেড়ে চলে যাও।’
৮৪. একটি পরিচ্ছন্ন ডেস্ক একটি এলোমেলো ড্রয়ারের প্রতীক।
৮৫. স্বামীর কাছে আরও বেশি স্বাধীনতা দাবি করায় স্বামী মিস্ত্রি ডেকে রান্নাঘরটা বড় করে দিলেন।
৮৬. একটা ফোন এল ৭৭৭৭৭৭৭৭ নম্বরে, ‘হ্যালো, এটা কি ৭৭৭৭৭৭৭৭? প্লিজ, আমাকে একটা ডাক্তার ডেকে দিন না। আমার আঙুল ফোনের ডায়ালে আটকে গেছে।’
৮৭. দোকানদারের কাছে অদৃশ্য কালি চাইতেই দোকানদার বলল, ‘কী রঙের দেব বলুন।’
৮৮. উনি এত কৃপণ যে চিনির কৌটায় কাঁটাচামচ ব্যবহার করেন।
৮৯. পেটে প্যাঁচঅলা এক লোক ভুলে পেরেক খেয়ে ফেলায় সেটি স্ক্রু হয়ে বেরিয়েছিল।
৯০. ভোট অন্যতম নাগরিক অধিকার, যা প্রয়োগে অধিকাংশ সময়েই নাগরিকদের কোনো অধিকার অর্জিত হয় না।
৯১. ছেলে: মা, রূপকথার গল্প সব সময় ‘এক দেশে ছিল এক’ দিয়ে শুরু হয় কেন?
মা: না, সব সময় না। মাঝে-মধ্যে অফিসের কাজে আটকে গেছি, আজ ফিরতে একটু রাত হবে দিয়েও শুরু হয়।
৯২. রেস্তোরাঁর মালিক: ওয়েটার, আজ খদ্দেরদের সঙ্গে একটু ভালো ব্যবহার করবে, কারণ আজকের ভাতের তলা ধরে গেছে, পোড়া গন্ধ।
৯৩. আমি সব সময় ওর হাত ধরে থাকি। কারণ, হাত ছাড়লেই সে কেনাকাটা করতে যায়।
৯৪. আমাদের বাসার রান্নাঘরটা এত ছোট যে ওখানে কনডেন্সড মিল্ক খেতে হয় আমাদের! এমনি দুধ খাওয়া যায় না।
৯৫. এক তরুণ রাস্তায় এক তরুণীর পথ রোধ করে বলল, কিছু মনে করবেন না। আমি একটা টেলিফোন ডিরেক্টরি লিখছি, আপনার নম্বরটা যদি দয়া করে দিতেন…।
৯৬. রাজনীতির প্রথম কথা হচ্ছে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
৯৭. বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জনৈক নেতা মাত্র চার ঘণ্টার জন্য অনশন পালন করেন। তাঁর অনশন শুরু হয়েছিল সকালে নাশতা খাওয়ার পর এবং অনশন ভাঙেন মধ্যাহ্নভোজনের আগে আগে।
৯৮. আপনার একটি ফোন থাকলে সেটি প্রয়োজনীয়তা, দুটি ফোন থাকলে সেটি বিলাসিতা, আর কোনো ফোনই যদি না থাকে তাহলে আপনি স্বর্গে বসবাস করছেন।
৯৯. নির্বাচন হচ্ছে গণতান্ত্রিক-ব্যবস্থার একটি চমত্কার উদার দিক, যেখানে সবাই মিলে ঠিক করে কে কে তাদের শোষণ করবে।
১০০. কারচুপি একটি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক শব্দ, পরাজিত দলের ভাষ্যমতে যা স্থূল ও সূক্ষ্মরূপে জয়ী দল করে থাকে।

আলিয়া রিফাত

Thursday, December 23, 2010

বন্ধু


রাত হল নিঝ্ঝুম
চোখ জুড়ে আয় ঘুম
ঘুমতো আসেনা
কোন বাঁধাই মানেনা।
মনকে বলি তোর কি চাই
জবাব আসে ঘুম চোখে নাই।

বন্ধু তোকে মনে পড়ে
প্রতিদিন নিশি হলে।
বন্ধু তুই সুখে থাক্
আমার কথা মনে রাখ্
পৃথিবী অবাক চেয়ে থাক্
তুই আমায় পাশে রাখ্।

তুই যখন করবি কিছু
আমায় রাখিস পিছু পিছু
সর্বদা তোর  ভালো হোক
এই থাকবে কামনা মোর।

২৪.১২.২০১০

স্বপ্নবিরাসী

মি স্বপ্নচারিনী,
স্বপ্নেরই জাল বুনি।
ভালোলাগে স্বপ্ন দেখতে
ভয় পাই বাস্তবতাকে রুখে দাড়াতে।
মনে মনে চাই যাকে
ভালো লাগে তারই থেকে আড়ালে যেতে।
আমি স্বপ্নচারিনী,
স্বপ্নেরই জাল বুনি।
দূর থেকেই চাই তোমাকে পেতে
চাইনা তোমাকে পেয়ে হারাতে।
দূর থেকেই চাই তোমাকে ভালোবাসতে
চাইনা কাছে যেয়ে ফিরে যাওয়ার কথা শুনতে।
আমি স্বপ্নচারিনী ,
স্বপ্নেরই জাল বুনি।

এখান থেকে

অদ্ভুত আঁধারে হেঁটে যায় একাকী যুবক by বাবুল হোসেইন

আষাঢ়ের আকাশ। পরিষ্কার এবং মেঘলা। পেঁজা মেঘগুলো উড়ে যায় এদিক সেদিক। সে এক দেখার মত দৃশ্য ! বারান্দায় বসে অহম দেখে বর্ষার বাড়ন্ত আকাশ। চাঁদটা মেঘের আড়ালে একবার লুকোয় পরক্ষণে আবার খলখলিয়ে হেসে উঠে আপন মহিমায়। চাঁদের মধ্যে বিষণ্ন এক পথিকের হেটে যাওয়া দেখে অহম। কেবল দৌড়াচ্ছে, শাদা শার্ট আর নীল জামা। অহম দেখে আর বিস্ময়ে অভিভূত হয়। সে বিশ্বাসই করতে পারে না। সে মাকে ডেকে আনে বারান্দায়। মাও দেখে বিস্মিত হন। একি! এ যে সত্যি সত্যি চাঁদের বুকে যুবকের হেঁটে যাওয়া। অহম ডিবে থাকে চাঁদের মগ্নতায়। বিষণ্ন পথিকের মত ক্লান্ত শ্রান্ত অহমও আবিষ্কার করে সেও কেবল হেঁটে যাচ্ছে। জনমভর। সারাটা জনম ধরে।......
বিষণ্ন দুপুরগুলোয় অহমরা আড্ডা দিত কোন এক শিমুলতলায়। আর সেই শিমুলের উড়াউড়ি দেখে অহম আবিষ্কার করত এক ধরনের সুখ সুখ ভাব। কি পবিত্র আর স্নিগ্ধ শিমুল তুলা। স্পর্শ করলেই যেনো নরম পরশ দেয়। আর কি শফেদ আর অপরূপ রূপ। অহমের বন্ধুরা বিশেষত সবুজ ওকে ক্ষেপাত খুব। বলত প্রকৃতি প্রেমিক। আর হবেই বা না কেন? জন্মের একটা ধারাতো অস্বীকার করা যায় না। তার পূর্ব-পুরুষের হাত ধরে তার জিনেও ঢুকেছে প্রকৃতিপ্রেম, লেখালেখি আরো কত কি। তার আগের প্রজন্মের অনেকেই নামকরা লেখক এবং গীতিকার ছিলেন। সেও পেয়েছে কিছুটা হলেও। তাই অহমও একদিন সিদ্ধান্ত নেয় পূর্বপুরুষের মত সেও লেখালেখিতে মনযোগ দিবে এবং তার ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিবে এই লেখালেখিকেই।

চাঁদের আলোয় অহম একধরনের বেদনাবোধ টের পায়। তার কেবলই মনে হয় এটা কি সে সত্যি সত্যি দেখেছে নাকি বিভ্রম। কেবলই বিভ্রম। সে ভাবতে থাকে, ক্রমশই ভাবতে থাকে। চাঁদের মধ্যে এক বুড়ি আছে, এরকম একটা মিথ সে শুনেছিল কোন এক শৈশবের দিনে, বিষণ্ন দুপুরে হয়তো নানী কিংবা দাদীর বিছানার পাশে বসে, সুপাড়ির লাল রসে ফাঁকা দাঁতের হাসিতে নানী কিংবা দাদী তাকে শুনিয়েছিলো সেইসব পুরোনো দিনের মিথ, তার মনে নেই। শুধু মনে আছে এইটুকু সে শুনেছিলো কারও কাছ থেকে।

অহম নিজেই হেঁটে যায় বিষণ্ন রাস্তায়। চারপাশের মেঘকণা তাকে সঙ্গ দেয়। তুমুল আড্ডা হয় মেঘেদের সঙ্গে। মেঘ তাকে আমন্ত্রন দেয় ওদের রাজ্যে বেড়াতে যাওয়ার। মেঘেদের বাড়ীতে কি শুভ্র বিছানা আছে কিংবা ওদের এমন অমায়িক আচরণ দারুন মুগ্ধ করে। অহম কথা দেয় মেঘেদের বাড়ীতে বেড়াতে কোন এক মেঘলা দিনে। তারপর শুনবে কি করে সারা আকাশ জুড়ে মেঘেদের দাপট, সেইসব কাহিনী কিংবা মিথগুলো।

তার মনে পড়ে কোন সুদূরের দিনে তার এক বন্ধু তাকে কথা দিয়েছিলো আসার। সে বেড়াতে গিয়েছিলো জঙ্গলে। সুন্দরবনে। অহমকে নিয়ে যাবার কথা ছিলো, কিন্তু যাওয়ার আগে অহম অসুস্থ্য হয়ে গেলে আর যেতে পারেনি তার বন্ধুর সঙ্গে। তারপর সেই বন্ধু একাই চলে গিয়েছিলো। আর ফির আসেনি। কথা ছিলো এসেই অহমকে দেখতে আসবে, কিন্তু আর আসতে পারেনি সেই বন্ধু। তারপর থেকে অহম একটু অন্যরকম হয়ে যায়। বিশাল একটা পরিবর্তন আসতে থাকে অহমের জীবনে। কেমন ঘোর লাগা একটা সময় আসে অহমের জীবনে। সবাই জানতো ব্যাপারটা, তাই শান্তনার বদলে সবাই অহমকে সঙ্গ দিয়েছে। ভালোবেসে কাছাকাছি থেকেছে। কিন্তু অহমের মনের ভিতরে যে পরিবর্তন হয়ে গেছে সেটা আটকাতে পারেনি কেউই। অহম কেবল স্বপ্ন দেখে বিষণ্ন শহর ছেড়ে পালাচ্ছে একাকী যুবক। তার স্বপ্নের মাঝে বারবার আসে একাকী যুবক। বারবারই সে শুধু যুবকের অবয়ব চিনে, যুবককে চিনে না। কিংবা ঐন্দ্রজালিক এক ধরণের ধাঁধাঁ তাকে চিনতে দেয়না, কে জানে? অহম কেবলই শুন্যতা অনুভব করে তখন। মাকে সে বলেছে এরকম সময়ে তার কি রকম লাগে। মা তাকে ভালো সাইকি দেখিয়েছেন। সেরকম কোন সমস্যাই নেই অহমের, ডাক্তার জানিয়েছে মাকে। অহম দিন দিন কেমন অদ্ভুদ আর বিষন্নতায় ডুবে যাচ্ছে। মা চিন্তিত হন ভীষণ রকম।

দিন যেতে যেতে এক সময় অহমের মা টের পান ছেলে তার শান্ত সুবোধ বালক। হৈহুল্লোড় আর আড্ডা ছেড়ে অহম কেমন চুপচাপ বসে থাকে পড়ার রাজ্যে। ডুবে থাকে দিনমান এবং রাত্তিরের সবটুকু সময়। মা শান্তনা দেন অহমকে। অহম মাকে আশ্বাস দেয়, বলে আমি ঠিক আছি মা। তুমি আমাকে নিয়ে একদম কোন চিন্তাই করো না, আমি পুরোপুরি ভালো আছি। সুস্থ্য আছি।

সেই যে বন্ধুটি চলে গিয়েছিলো অহমের জীবন থেকে, তারপর থেকে অহম কেবলই খুঁজতে থাকে তাকে। কঁচি মনে বারবার সেই বন্ধুটিকে চেয়েছে সে, বুঝতে পারেনি। তাই সে এরকম অদ্ভুদ আচরণ করেছে সবার সাথে। অথচ অহম নিজে ভিতরে ভিতরে কি শান্ত সুবোধ বালক। বন্ধুদের আড্ডার মধ্যমণি অহম নিজেকে সরিয়ে ফেলে সেসব থেকে। গুটাতে থাকে আপন আধারে। সেই থেকে অহমের পথ চলা কেবলই বিষণ্ন যুবকের সনে। একাকী নির্জনে। কোন এক সুদূরের পানে। পরিপূর্ণ যুবক অহম এখনো ভাবে আনমনে সেইসব দিনের কথা, স্মৃতি। তার বন্ধু তাকে দেখতে আসবে...অথবা সেও তো চলে যেতে পারতো তার বন্ধুর সাথে। সে কেবলই ভাবে কেন সে অসুস্থ্য হলো, কেন সে যেতে পারেনি তার বন্ধুর সঙ্গে। অথবা নিয়তিই কি তাকে বাঁচিয়েছিলো দূর থেকে। কিন্তু সে তো চায়নি তার বন্ধুর এরকম হারিয়ে যাওয়া। আর ফিরে আসবে না তার বন্ধু এরকম তো সে কখনো চায়নি। সে কল্পনাও করেনি তার বন্ধু আর ফিরে আসবে না। সে অপেক্ষায় ছিল, তার বন্ধুর ফিরে আসার। ফিরে এলে গল্প শুনবে সুন্দরবনের। ছবি দেখবে। দেখে মুগ্ধতায় হারাবে অহম। নিজেকে খুব গর্বিত ভাবে অহম, সে এবং তার বন্ধু সুন্দরবন দেখতে পেরেছে এই জন্য। বন্ধুদের মাঝে বলবে তারও কথা ছিলো যাওয়ার কিন্তু যেতে পারেনি অসুস্থতার জন্য। সে ছবি দেখে চিনে রাখবে সবগুলো স্পট যাতে আরেকবার গেলে সে সহজেই চিনে ফেলতে পারে।

অহম কান্নার মত গুমরে গুমরে উঠে মাঝরাতে। তার চেতনে অবচেতনে হেঁটে বেড়ানো বালক। তার জগৎ কেবলই গোলক ধাঁধাঁয় ঘুর পাক খায়। বিষণ্নতা বিছানো পথে সে কেবলই হারায় নিজেকে। আর প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করে অদ্ভুদ আঁধারে একাকী হেঁটে যায় বিষণ্ন যুবক। আর তাকে সঙ্গ দিচ্ছে অদ্ভুদ মেঘেরা, মেঘলা আকাশের চাঁদ আর শৈশবের দাদী কিংবা নানীর মুখে শুনা মিথ...যা তার পুরোপুরি মনে পড়ে না।

এখান থেকে

প্রেমিকার কাছে একটি আর্জি by সাইফুল করীম

যত দূরে যাই, যেখানেই যাই
যেখানেই থাকি, যেভাবেই থাকি
বাংলাদেশ তুমি থেকো ভালো।

যত থাক দুঃখ, দারিদ্র, কান্না
সীমাহীন বঞ্চনা, ক্ষুধা, জরা,
বীভৎস খুন, ধর্ষন, লুটপাট
আর মিথ্যাদের জয়-জয়কার,
তবু তুমিই অন্তহীন প্রেরণা আমার।

দিয়েছ ভাষা, রবি-নজরুল সহ
শামসুর রাহমান, দিয়েছ রক্ত দিয়ে
স্বাধীনতা- আজো বুকে বহমান।
দিয়েছ মা, আদর কত সয়েছ
চুপে জ্বালা, বলো নি কখনো
একবারো- নে এবার তোর পালা।

তোমার প্রেমে ডুবে আছি, ফেলো
না আমায় দূরে, দূরে রইলেই কি
প্রেম চলে যায় সোজা আস্তাকুড়ে?
তোমায় আমি ভালোবেসেছি হে
প্রেমিকা বাংলাদেশ,
তোমার কোলেই মরতে চাই
এই প্রণতি- সবিশেষ।


সূত্র

মিথ্যা নির্ণয়ক রোবট! by মুবাশ্বির

একদিন তারেকের বাবা দোকান থেকে একটি বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন রোবট কিনে নিয়ে এলেন। বিশেষ ক্ষমতাটি হলো, রোবটটি মিথ্যা নির্ণয় করতে পারে এবং মিথ্যাবাদীর গালে কষে চড় লাগিয়ে দেয়।

সেদিনই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অ-নে-ক দেরিতে স্কুল থেকে বাসায় ফিরল তারেক। দরজা ঠেলে রুমে ঢুকতেই বাবা বজ্রকন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,"আজ এত দেরি হল কেন রে?"

তারেক কাচু-মাচু স্বরে জবাব দিল "আজকে অতিরিক্ত ক্লাস ছিল...... কথা শেষ না হতেই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রোবটটি তারেকের গালে ঠাস করে চড় বসিয়ে দিল।

"দেখ তারেক" বাবা বললেনঃ "এই রোবটটি মিথ্যা শুনলে বুঝতে পারে এবং শাস্তি হিসেবে দেখলেই তো কী করে। তাই সত্যি করে বলো যে কেন তোমার দেরি হলো?"

বিস্মিত তারেক উত্তর দিলঃ আসলে বাবা আমি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম। "কী সিনেমা?" বাবা জানতে চাইলেন। তারেক উত্তর দিল "টার্মিনেটর টু"। সঙ্গে সঙ্গে তারেকের গালে আবার ঠাস করে চড় কষাল রোবটটি। শব্দ হল আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।

"কী, এখনও মিথ্যা বলবে?" বিদ্রুপাত্মক কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন তারেকের বাবা। ইয়ে মানে..... ছবিটির নাম "ধুম"। গালে হাত বোলাতে বোলাতে উত্তর দিল তারেক।

এবার তারেককে উদ্দেশ্য করে বাবা বললেন "তোমার লজ্জিত হওয়া উচিত। স্কুলজীবনে আমি কখনো স্কুল কামাই দিয়ে সিনেমা দেখতে যাইনি"।

ঠাস করে প্রচন্ড জোরে আরেকটি চড়ের শব্দ হলো। তারেক অবাক হয়ে দেখল রোবটের চড় খেয়ে তার বাবা ডান গালে হাত বোলাচ্ছেন।

"এসব কী হচ্ছে" রান্নাঘর থেকে ছুটে এলেন তারেকের মা। স্বামীর উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বললেন, "একদিন না হয় স্কুল ফাঁকি দিয়ে সিনেমা দেখেছে। তাই বলে এতগুলো চড় মারতে হবে? এতটুকু দয়া মায়া নেই তোমার? শত হোক তোমারই তো ছেলে......

বাক্যটি শেষ না হতেই আগেরগুলোর থেকে প্রায় চারগুণ জোরে ঠাস করে একটি চড়ের শব্দ হলো। তারেক এবং তার বাবা অবাক হয়ে দেখল তারেকের মা নিজের ডান গালে হাত বোলাচ্ছেন।

সূত্র

লজ্বা by হামিদুর রহমান

আমার হৃদয় প্রাণ
সকলই করেছি দান ,
কেবল শরমখানি রেখেছি ।
চাহিয়া নিজের পানে
নিশিদিন সাবধানে
সযতনে আপনারে ঢেকেছি ।
কেন যে তোমার কাছে
একটু গোপন আছে ,
কটু রয়েছি মুখ হেলায়ে ।
এ নহে গো অবিশ্বাস —
নহে সখা , পরিহাস ,
নহে নহে ছলনার খেলা এ ।
এমন সকল বেলা
পবনে চঞ্চল খেলা ,
বসন্তকুসুম-মেলা দুধারি ।
শুন বঁধু , শুন তবে ,
সকলই তোমার হবে ,
কেবল শরম থাক্‌ আমারি ।

ভালবাসি তোমায়


ইতো সেদিন বিকেল বেলা
চুল গুলি সব এলো ছাড়া,
দাঁড়িয়ে আছো একা
ভাবিনি হবে দেখা।।

আমার করা ফুল বাগানে
তুলছো ফুল আপন মনে,
চোখে যখন পড়ল চোখ
লজ্জা পেয়ে কামড়ে ঠোঁট,
আমার পানে চাহি
সরি বলে যাচ্ছো বাগান ছাড়ি।।
ইচ্ছে হলে নিয়ে যা
ইচ্ছে মতো ফুল,
তোমাকে দেখা  হয়ত
মস্ত বড় ভুল।।

মনের কথা বলিতে ব্যাকুল
শুনতে তুমি চাও?
ভালবাসি তোমায় আমি,
শুধু জেনে নাও।।
২২.১২.২০১০

Wednesday, December 22, 2010

স্বপ্ন আমার by মোর্শেদা আক্তার মনি

স্বপ্নের রাজ্যে ছিলাম একাকী।
হঠাৎ এসে দেখা দিয়েছ তুমি
পারিনি ফিরাতে তোমাকে আমি।
অনুভবে অভিমানে চেয়েছি আমি
শত কষ্টের কাছাকাছি রবে আমারি
অনিশ্চিত মাত্রায় পা দিয়েছি আমি
এমন যে হয়ে যাবে তাতো ভাবিনী
স্বপ্নের ঘরে আমি একি করেছি’’
ভুল করে আমি তোমাকে চেয়েছি।।

জানা অজানা - ০৪

আপনি কি জানেন .....

* যখন কোন ডলফিন অসুস্থ থাকে বা আহত হয়, তখন তার চিতকার এবং কান্না শুনে অন্য ডলফিন এগিয়ে আসে যাতে সে পানির উপর গিয়ে দম নিতে পারে।
* এন্টার্টিকা হল একমাত্র মহাদেশ যেখানে কোন রেপ্টাইল বা সাপ নেই।
* এলবাট্রস এর পাখা প্রসারিত করলে তা ১৪ ফুট লম্বা হয়। এরা প্রজনন এর জন্য ২ বছরে মাত্র একবার ভূমিতে আসে। এরা একবারে হাজার মাইল পথ পারি দিতে সক্ষম।
চিতা সর্বোচ্চ ঘন্টায় ৭০ কিমি বেগ এ দৌড়াতে পারে।
* গ্রে হাউন্ড প্রজাতির কুকুর এক লাফে ২৭ ফুট দূরে যেতে পারে।
* সারা বিশ্বে গড়ে প্রতি গাভী দিনে ৪০ গ্লাস করে দুধ দেয়।
* যখন দুটি কুকুর নিজেদের দিকে অগ্রসর হয় তখন অপেক্ষাকৃত ভীতু কুকুরটি ধীরে লেজ নাড়ায়।
* হাতী একমাত্র প্রানী যে লাফ দিতে জানেনা।
* গন্ডারের শিং লোম দিয়ে তৈরী।
* জীরাফ এর কোন কন্ঠনালী নেই।
* ছাগলের চোখের মনি চারকোনা।
সূত্র

জানা অজানা - ০৩

সাপ হচ্ছে একমাত্র সত্যিকারের মাংসাশী প্রাণী। কারণ অন্য প্রাণীরা কিছু না কিছু উদ্ভিদ জাতীয় খাবার খেলেও সাপ কখনোই তা করে না।

প্রতি চার মিনিটে মায়েরা একবার তার সন্তানের কথা ভাবেন। এই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ২১০ বার সন্তানের কথা চিন্তা করেন একজন মা।
প্রতিবছর সারা পৃথিবীতে মা দিবসে প্রায় ১৫ কোটি ২০ লাখ কার্ড বিলি হয় মায়েদের কাছে।

সবচেয়ে ছোট ডাকটিকেটটি ছিলো ৯.৫ x ৮ মিমি। ১৮৬৩ সালে এই টিকেটটি প্রকাশ করেছিলো বলিভারের কলাম্বিয়ান স্টেট।

এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ডাকটিকেট প্রকাশ করেছে চীন। বিংশ শতাব্দির প্রথম দিকে তারা ২১০ x ৬৫ মিমি মাপের ডাকটিকেটটি প্রকাশ করে।

ডাকটিকেটের পেছনে প্রথম আঁঠা লাগানোর পদ্ধতি চালু করে সিয়েরা লিয়ন নামের আফ্রিকা মহাদেশের দেশটি। সালটা ছিলো ১৯৬৪।

ডাকটিকেট কখনো কলার মতো হয়! শুনে তুমি অবাক হবে, কিন্তু উত্তরটা হচ্ছে, হ্যাঁ হয়। প্যাসিফিক আইল্যান্ড অব টঙ্গা কলার মতো দেখতে একটি ডাকটিকেট প্রকাশ করেছিলো একবার।

মানুষের নখ প্রতিদিন ০.০১৭১৫ ইঞ্চি করে বাড়ে।

মানুষের শরীরের রক্ত শরীরের ভেতর প্রতিদিন ১৬ লাখ ৮০ হাজার মাইল সমান পথ অতিক্রম করে।

মানুষ প্রতিদিন ৪৩৮ ঘনফুট বাতাস শ্বাস প্রশ্বাসের কাজে ব্যবহার করে।

মানুষের কান প্রতি বছর এক ইঞ্চির প্রায় ০.০০৮৭ অংশ করে বাড়ে। ভাগ্যিশ! বেশি বাড়লে শেষে একেবারে গাধার কানের মতো লম্বা হয়ে যেতো!

অবেলার ডাক by কাজী নজরুল ইসলাম

নেক ক’রে বাসতে ভালো পারিনি মা তখন যারে,
আজ অবেলায় তারেই মনে পড়ছে কেন বারে বারে।।
আজ মনে হয় রোজ রাতে সে ঘুম পাড়াত নয়ন চুমে,
চুমুর পরে চুম দিয়ে ফের হান্‌তে আঘাত ভোরের ঘুমে।
           ভাব্‌তুম তখন এ কোন্‌ বালাই!
           কর্‌ত এ প্রাণ পালাই পালাই।
আজ সে কথা মনে হ’য়ে ভাসি অঝোর নয়ন-ঝরে।
অভাগিনীর সে গরব আজ ধূলায় লুটায় ব্যথার ভারে।।
তর”ণ তাহার ভরাট বুকের উপ্‌চে-পড়া আদর সোহাগ
হেলায় দু’পায় দ’লেছি মা, আজ কেন হায় তার অনুরাগ?
           এই চরণ সে বক্ষে চেপে
           চুমেছে, আর দু’চোখ ছেপে
জল ঝ’রেছে, তখনো মা কইনি কথা অহঙ্কারে,
এম্‌নি দার”ণ হতাদরে ক’রেছি মা, বিদায় তারে।।
দেখেওছিলাম বুক-ভরা তার অনাদরের আঘাত-কাঁটা,
দ্বার হ’তে সে গেছে দ্বারে খেয়ে সবার লাথি-ঝাটা।
           ভেবেছিলাম আমার কাছে
           তার দরদের শানি- আছে,
আমিও গো মা ফিরিয়ে দিলাম চিন্‌তে নেরে দেবতারে।
ভিক্ষুবেশে এসেছিল রাজাধিরাজ দাসীর দ্বারে।।
পথ ভুলে সে এসেছিল সে মোর সাধের রাজ-ভিখারী,
মাগো আমি ভিখারিনী, আমি কি তাঁয় চিন্‌তে পারি?
           তাই মাগো তাঁর পূজার ডালা
           নিইনি, নিইনি মণির মালা,
দেব্‌তা আমার নিজে আমায় পূজল ষোড়শ-উপচারে।
পূজারীকে চিন্‌লাম না মা পূজা-ধূমের অন্ধকারে।।
আমায় চাওয়াই শেষ চাওয়া তার মাগো আমি তা কি জানি?
ধরায় শুধু রইল ধরা রাজ-অতিথির বিদায়-বাণী।
           ওরে আমার ভালোবাসা!
           কোথায় বেঁধেছিলি বাসা
যখন আমার রাজা এসে দাঁড়িয়েছিল এই দুয়ারে?
নিঃশ্বসিয়া উঠছে ধরা, ‘নেই রে সে নেই, খুঁজিস কারে!’
সে যে পথের চির-পথিক, তার কি সহে ঘরের মায়া?
দূর হ’তে মা দূরন-রে ডাকে তাকে পথের ছায়া।
           মাঠের পারে বনের মাঝে
           চপল তাহার নূপুর বাজে,
ফুলের সাথে ফুটে বেড়ায়, মেঘের সাথে যায় পাহাড়ে,
ধরা দিয়েও দেয় না ধরা জানি না সে চায় কাহারে?
মাগো আমায় শক্তি কোথায় পথ-পাগলে ধ’রে রাখার?
তার তরে নয় ভালোবাসা সন্ধ্যা-প্রদীপ ঘরে ডাকার।
           তাই মা আমার বুকের কবাট
           খুলতে নারল তার করাঘাত,
এ মন তখন কেমন যেন বাসত ভালো আর কাহারে,
আমিই দূরে ঠেলে দিলাম অভিমানী ঘর-হারারে।।
সোহাগে সে ধ’রতে যেত নিবিড় ক’রে বক্ষে চেপে,
হতভাগী পারিয়ে যেতাম ভয়ে এ বুক উঠ্‌ত কেঁপে।
           রাজ ভিখারীর আঁখির কালো,
           দূরে থেকেই লাগ্‌ত ভালো,
আসলে কাছে ক্ষুধিত তার দীঘল চাওয়া অশ্র”-ভারে।
ব্যথায় কেমন মুষড়ে যেতাম, সুর হারাতাম মনে তরে।।
আজ কেন মা তারই মতন আমারো এই বুকের ক্ষুধা
চায় শুধু সেই হেলায় হারা আদর-সোহাগ পরশ-সুধা,
           আজ মনে হয় তাঁর সে বুকে
           এ মুখ চেপে নিবিড় সুখে
গভীর দুখের কাঁদন কেঁদে শেষ ক’রে দিই এ আমারে!
যায় না কি মা আমার কাঁদন তাঁহার দেশের কানন-পারে?
আজ বুঝেছি এ-জনমের আমার নিখিল শানি–আরাম
চুরি ক’রে পালিয়ে গেছে চোরের রাজা সেই প্রাণারাম।
           হে বসনে-র রাজা আমার!
           নাও এসে মোর হার-মানা-হারা!
আজ যে আমার বুক ফেটে যায় আর্তনাদের হাহাকারে,
দেখে যাও আজ সেই পাষাণী কেমন ক’রে কাঁদতে পারে!
তোমার কথাই সত্য হ’ল পাষাণ ফেটেও রক্ত বহে,
দাবাললের দার”ণ দাহ তুষার-গিরি আজকে দহে।
           জাগল বুকে ভীষণ জোয়ার,
           ভাঙল আগল ভাঙল দুয়ার
মূকের বুকে দেব্‌তা এলেন মুখর মুখে ভীম পাথারে।
বুক ফেটেছে মুখ ফুটেছে-মাগো মানা ক’র্‌ছ কারে?
স্বর্গ আমার গেছে পুড়ে তারই চ’লে যাওয়ার সাথে,
এখন আমার একার বাসার দোসরহীন এই দুঃখ-রাতে।
           ঘুম ভাঙাতে আস্‌বে না সে
           ভোর না হ’তেই শিয়র-পাশে,
আস্‌বে না আর গভীর রাতে চুম-চুরির অভিসারে,
কাঁদাবে ফিরে তাঁহার সাথী ঝড়ের রাতি বনের পারে।
আজ পেলে তাঁয় হুম্‌ড়ি খেয়ে প’ড়তুম মাগো যুগল পদে,
বুকে ধ’রে পদ-কোকনদ স্নান করাতাম আঁখির হ্রদে।
           ব’সতে দিতাম আধেক আঁচল,
           সজল চোখের চোখ-ভরা জল-
ভেজা কাজল মুছতাম তার চোখে মুখে অধর-ধারে,
আকুল কেশে পা মুছাতাম বেঁধে বাহুর কারাগারে।
দেখ্‌তে মাগো তখন তোমার রাক্ষুসী এই সর্বনাশী,
মুখ থুয়ে তাঁর উদার বুকে ব’লত,‘ আমি ভালোবাসি!’
           ব’ল্‌তে গিয়ে সুখ-শরমে
           লাল হ’য়ে গাল উঠত ঘেমে,
বুক হ’তে মুখ আস্‌ত নেমে লুটিয়ে যখন কোল-কিনারে,
দেখ্‌তুম মাগো তখন কেমন মান ক’রে সে থাক্‌তে পারে!
এম্‌নি এখন কতই আমা ভালোবাসার তৃষ্ণা জাগে
তাঁর ওপর মা অভিমানে, ব্যাথায়, রাগে, অনুরাগে।
           চোখের জলের ঋণী ক’রে,
           সে গেছে কোন্‌ দ্বীপান-রে?
সে বুঝি মা সাত সমুদ্দুর তের নদীর সুদূরপারে?
ঝড়ের হাওয়া সেও বুঝি মা সে দূর-দেশে যেতে নারে?
তারে আমি ভালোবাসি সে যদি তা পায় মা খবর,
চৌচির হ’য়ে প’ড়বে ফেটে আনন্দে মা তাহার কবর।
           চীৎকারে তার উঠবে কেঁপে
           ধরার সাগর অশ্র” ছেপে,
উঠবে ক্ষেপে অগ্নি-গিরি সেই পাগলের হুহুঙ্কারে,
ভূধর সাগর আকাশ বাতাস ঘুর্ণি নেচে ঘিরবে তারে।
ছি, মা! তুমি ডুকরে কেন উঠছ কেঁদে অমন ক’রে?
তার চেয়ে মা তারই কোনো শোনা-কথা শুনাও মোরে!
           শুনতে শুনতে তোমার কোলে
           ঘুমিয়ে পড়ি। - ও কে খোলে
দুয়ার ওমা? ঝড় বুঝি মা তারই মতো ধাক্কা মারে?
ঝোড়ো হওয়া! ঝোড়ো হাওয়া! বন্ধু তোমার সাগর পারে!
সে কি হেথায় আসতে পারে আমি যেথায় আছি বেঁচে,
যে দেশে নেই আমার ছায়া এবার সে সেই দেশে গেছে!
           তবু কেন থাকি’ থাকি’,
           ইচ্ছা করে তারেই ডাকি!
যে কথা মোর রইল বাকী হায় যে কথা শুনাই কারে?
মাগো আমার প্রাণের কাঁদন আছড়ে মরে বুকের দ্বারে!
যাই তবে মা! দেকা হ’লে আমার কথা ব’লো তারে-
রাজার পূজা-সে কি কভু ভিখারিনী ঠেলতে পারে?
           মাগো আমি জানি জানি,
           আসবে আবার অভিমানী
খুঁজতে আমায় গভীর রাতে এই আমাদের কুটীর-দ্বারে,
ব’লো তখন খুঁজতে তারেই হারিয়ে গেছি অন্ধকারে!

অবসান by রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

জানি দিন অবসান হবে,
জানি তবু কিছু বাকি রবে।
রজনীতে ঘুমহারা পাখি
এক সুরে গাহিবে একাকী-
যে শুনিবে, সে রহিবে জাগি
সে জানিবে, তারি নীড়হারা
স্বপন খুঁজিছে সেই তারা
যেথা প্রাণ হয়েছে বিবাগী।কিছু পরে করে যাবে চুপ
ছায়াঘন স্বপনের রূপ।
ঝরে যাবে আকাশকুসুম,
তখন কূজনহীন ঘুম
এক হবে রাত্রির সাথে।
যে-গান স্বপনে নিল বাসা
তার ক্ষীণ গুঞ্জন-ভাষা
শেষ হবে সব-শেষ রাতে।

অনাবৃষ্টি by রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

প্রাণের সাধন কবে নিবেদন
করেছি চরণতলে,
অভিষেক তার হল না তোমার
করুণ নয়নজলে।
রসের বাদল নামিল না কেন
তাপের দিনে।
ঝরে গেল ফুল মালা পরাই নি
তোমার গলে।

মনে হয়েছিল, দেখেছি করুণা
আঁখির পাতে-
উড়ে গেল কোথা শুকনো যূথীর সাথে।
যদি এ মাটিতে চলিতে চলিতে
পড়িত তোমার দান
এ মাটি লভিত প্রাণ,
একদা গোপনে ফিরে পেতে তারে
অমৃত ফলে।

নতুন রঙ by রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ধূসর জীবনের গোধূলী,
ক্ষীণ তার উদাসীন স্মৃতি,
মুছে-আসা সেই ম্লান ছবিতে
রঙ দেয় গুঞ্জনগীতি।

ফাগুনের চম্পকপরাগে
সেই রঙ জাগে,
ঘুমভাঙা কোকিলের কূজনে
সেই রঙ লাগে,
সেই রঙ পিয়ালের ছায়াতে
ঢেলে দেয় পুর্ণিমাতিথি।

এই ছবি ভেরবী-আলাপে
দোলে মোর কম্পিত বক্ষে,
সেই ছবি সেতারের প্রলাপে
মরীচিকা এনে দেয় চক্ষে,
বুকের লালিম-রঙে রাঙানো
সেই ছবি স্বপ্নের অতিথি।

গানের খেয়া by রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

যে গান আমি গাই
জানি নে সে
কার উদ্দেশ্যে।
যবে জাগে মনে
অকারণে
চপল হাওয়া
সুর যায় ভেসে
কার উদ্দেশ্যে।ঐ মুখে চেয়ে দেখি,
জানি নে তুমিই সে কি
অতীত কালের মুরতি এসেছ
নতুন কালের বেশে।
কভূ জাগে মনে,
যে আসে নি এ জীবনে
ঘাট খুঁজি খুঁজি
গানের খেয়া সে মাগিতেছে বুঝি
আমার তীরেতে এসে।

অধরা by রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ধরা মাধুরী ধরা পড়িয়াছে
এ মোর ছন্দবন্ধনে।
বলাকাপাঁতির পিছিয়ে-পড়া ও পাখি,
বাসা সুদূরের বনের প্রাঙ্গণে।
গত ফসলের পলাশের রাঙিমারে
ধরে রাখে ওর পাখা,
জরা শিরীষের পেলব আভাস
ওর কাকলিতে মাখা।
শুনে যাও বিদেশিনী,
তোমার ভাষায় ওরে
ডাকো দেখি নাম ধরে।

ও জানে তোমারি দেশের আকাশ
তোমারি রাতের তারা,
তব যৌবন-উৎসবে ও যে
গানে গানে দেয় সাড়া,
ওর দুটি পাখা চঞ্চলি উঠে তব হৃৎকম্পনে।
ওর বাসাখানি তব কুঞ্জের
নিভৃত প্রাঙ্গনে।

বুঝাতে পারিনা কাউকে

সবাই ভাবে কতটা স্বাভাবিক আমি,
কতটা অপ্রকৃতিস্থ জানি আমি !

সবাই ভাবে সব ভুলে যাই আমি,
অথচ ভুলাটা সহজ নয় জানি আমি !

সবাই ভাবে কতটা নিশাচর আমি,
অথচ কতটা ঘুমকাতুরে জানি আমি !
সবাই জানে কতটা ধূমপায়ী আমি,
অথচ কতটা ঘৃণা করি জানি আমি!

সবাই ভাবে একজন অর্থহীন ভাবি আমি,
অথচ কতটা প্রয়োজন জানি আমি !

সবাই ভাবে কতটা বাস্তববাদী,
অথচ কতটা আবেগপ্রবণ জানি আমি !

সবাই ভাবে তা ভুল জানি আমি,
অথচ কাউকে বুঝাতে পারিনা আমি !
সূত্র

মনে পড়ে তোমায় by মাহফুজ খান

যখন তুমি রাতে কিংবা ভোরে
হঠাৎ জেগে উঠো,
এবং আমাকে আলতো করে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাও
যে স্পর্শ আমার ভালোবাসাকে তরঙ্গাঁয়িত করে
সেই স্পর্শের কসম,

আমি তোমাকে ভালোবাসি।
আর যখন আমার মতো করেই
তুমি আমাকে ভালোবাস,
যখন দুটি সত্ত্বা একসাথে সময়কে অতিক্রম করে,
তখন তোমার সবকিছুই আমার বেশ ভালো লাগে।
প্রিয়তমা, তুমি আমার ঐই দূর আকাশের নক্ষত্র
আর আমি তোমার সেই উজ্জ্বল নক্ষত্রের আলো।
মনে পড়ে তোমায় সারাটিক্ষণ
ঠিক এভাবে,
এমনি আপন করে।

Tuesday, December 21, 2010

ভালোবাসার জন্য নয়

জ হয়ত সময়,
ভালোবাসা জন্য নয়,
নয় কিছু পাবার আশায়,
শুধু অনুভবে তোমায় ভাবায়,

তোমার কাল্পনিক ছায়া,
এখনো বারায় মায়া,
তোমার কাল্পনিক হাতের ছোয়া,
আমার হৃদয় ছুয়ে যাওয়া,

তুমি আজ কোথায়, কত দুরে?
তুমি কি আছ আমার স্বপ্নপুরে?
তোমার অনুভুতি আমায় কাঁদায়,
হেই, তুমি আসবে আমায়?

কত কাল দেখিনা তোমায়,
শুধু অনুভবে তোমায় ভাবায়,
মন বলে আছ তুমি আমার পাশে,
আছ তুমি আমায় ভালোবেসে।

অদ্ভুত আঁধার এক by আসিফ মহিউদ্দীন

"ভাই সিগারেটটা দেন তো।"
বা দিকে তাকিয়ে দেখলাম একটা কম বয়সী ছেলে, হাত বাড়িয়ে সিগারেট চাচ্ছে। মাঝে মাঝে এমন হয়, কেউ সিগারেট ধরাবার জন্য সিগারেট চায়। কিন্তু ছেলেটার হাতে কোন সিগারেট দেখছি না।
জিজ্ঞেস করলাম "কেন? কি করবা"

"খামু, বড্ড ঠান্ডা পরছে।"

মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। দেশের মানুষ ভাত পায় না, আর এই বেটা আয়েশ করে সিগারেট টানবে। তাও যেই সেই সিগারেট না, সাড়ে পাচ টাকা দামের বেনসন এন্ড হেইজেস। বুঝলাম একটু পাগল কিছিমের লোক, বেশি ঘাটিয়ে লাভ নাই। বললাম "সিগারেট নাই, যাও ভাগো"।

ছেলেটা দেখি একেবারে অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকালো। যেন বিশ্বাসই করতে পারছে না যে আমি তাকে একটা সিগারেট দিলাম না। হতভম্ব হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষণ। তার দৃষ্টিতে অপমানের ছাপ বেশ স্পষ্ট। এত আত্মসম্মান বোধ নিয়ে বেটা রাস্তার মানুষের কাছে সিগারেট চাচ্ছে, এ মাথা খারাপ না হয়ে যায় না।

কি মনে হতে সিগারেটের প্যাকেটটা বাড়িয়ে দিলাম। আমার দামী লাইটারটা দিয়ে ধরিয়েও দিলাম। ছেলেটার আর কোন ভাবান্তর নাই, সিগারেটে জোরে একটা টান দিয়ে হেটে চলে গেল। যেন এটাই খুব স্বাভাবিক। হাটার ভঙ্গি বেশ স্বাভাবিক, তবে পাগল যে তা বোঝা যাচ্ছিল। সাই সাই করে গাড়ি যাচ্ছে, তার কোন বিকার নাই। গাড়িকে একটুও পাত্তা না দিয়ে রাস্তা পার হয়ে গেল।

আমিও রাস্তা পার হবার জন্য হাটা শুরু করলাম। সামনে নীতুর বাসা।

প্রতিদিন নীতুর বাসায় যাবো যাবো করেও কেন জানি যাওয়া হচ্ছে না। ওর বাসায় একবার যাওয়া দরকার। নীতুর বাবার নাকি হার্টে সমস্যা দেখা দিয়েছে। হার্ট বেশ ফুলে গেছে, অপারেশনের দরকার পরতে পারে। নীতুর মারও শরীর ভাল যাচ্ছে না, ডায়াবেটিক ধরা পরেছে কদিন হল। তাকেও দেখতে যাওয়া দরকার।

এসব চিন্তা করতে করতে একেবারে নীতুর বাসার সামনেই চলে আসলাম। যাবো যাবো ভাবতে ভাবতে পেরিয়ে আসলাম নীতুর বাসাটা। কেন জানি যাওয়া যাচ্ছে না ওর বাসায়, যখনি ওর বাসায় যাবো ভেবে বের হচ্ছি, পা আটকে যাচ্ছে।

এরেকটা সিগারেট ধরিয়ে রিকশা নিলাম। আমার বাসা খুব বেশি দুরে না, হেটেই যাওয়া যায়। কিন্তু বৃষ্টি বেশ জাকিয়ে বসেছে, বাসায় যেতে যেতে পুরো ভিজে যাবো। রিকশাওয়ালাদেরও পোয়াবারো, তিনগুন ভাড়া চেয়ে বসেছে। কি আর করা, একটু মুলামুলি করে উঠে পরলাম রিকশাতে। রিকশাওয়ালারা ঢাকার প্রান, তাদের ক্ষেপাতে নাই।

নীতুর সাথে যখন রিকশায় চড়তাম, সারাটা রাস্তা আমাকে ক্ষেপাতে থাকতো। নতুন অফিসে জয়েন করার পরে আমার অল্প একটু ভুড়ি হয়েছে, ভুড়িতে খোঁচা দিয়ে বলতো "মোটু কোথাকার, আর একটু বাড়লেই তো আর এক সাথে রিকশায় চড়া যাবে না। তা ক'মাস?"

আমার খুব রাগ লাগে আমাকে কেউ মোটু বললে। কিন্তু নীতু এত মিষ্টি করে মোটু বলে, আমার আর রাগ করার উপায় থাকে না। অনেক চেষ্টা করেও রাগ করতে পারি না।

সেবার ডিসেম্বর মাসেই, হ্যা ডিসেম্বরেই আমরা দুজন দুজনকে মোটু, ইতর, বদমাইশ বলতে বলতে রিকশায় করে যাচ্ছিলাম। আমাদের ভালবাসাটাও অদ্ভুত রকমের ছিল, কেউ কখনও কাউকে জড়িয়ে ধরে বলিনি ভালবাসি, বা কোন রোমান্টিক কথা, আবেগের কথাও বলিনি। কিন্তু দুজন দুজনকে ছেড়ে একদিনও থাকতে পারতাম না। আমাদের সব কথা, সব যুদ্ধ, মারামারি, একে অন্যকে খোঁচা মেরে কথা বলাই ছিল আমাদের সম্পর্ক।

সেই ডিসেম্বরে আকাশে চমৎকার চাঁদ উঠেছিল। আমি চাঁদের দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে ছিলাম, আমারও একটু রোমান্টিক হবার ইচ্ছা করছিল। যদিও আমার ওসব একেবারেই আসে না।

চাঁদের আলোয় নীতুকে কেমন জানি অচেনা মনে হচ্ছিল। আমার কিছু বলতে ইচ্ছা করছিল, কোন কবিতার লাইন, কোন প্রচন্ড আবেগের কথা। স্মৃতি হাতরে তন্নতন্ন করেও কোন লাইন মনে আসছিল না। শেষমেষ মুখ ফস্কে বেড়িয়ে গেল,"তোমাকে চাঁদের মত লাগছে"

বলার পরেই ভুল বুঝতে পারলাম, সর্বনাশ হয়ে গেছে। নীতু চোখ ছোট ছোট করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল,"তোমার মাথা ঠিক আছে তো? বাংলা সিনেমা দেখা শুরু করলে নাকি।"

আমি প্রচন্ড অপমানে তখন অন্যদিকে তাকিয়ে আছি। কি ঝামেলায় পরলাম, এই ডায়লগের খোঁচা আমাকে আগামী এক মাস শুনতে হবে। সুযোগ পেলেই আমাকে বলবে বাংলা সিনেমা দেখা ছাড়ো। ঐসব বলে মেয়ে পটানো যায় না। একটু স্মার্ট হও। যেমন গাধা ছিলা তাই রয়ে গেলা, মানুষ হলা না।

অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলাম, ভাব দেখাচ্ছিলাম কিছুই শুনছি না। রাস্তায় দেখি জয় বাংলা পাগলটা চিৎকার করছে। জয় বাংলা পাগলটার বয়স কত, কিভাবে পাগল হল আমি কিছুই জানি না। ছোট বেলা থেকেই এলাকায় দেখে আসছি ওকে। যেকোন মিছিলে গিয়ে জয় বাংলা বলে চিৎকার দিয়ে দেয়। পাগলটা এমনই আহাম্মক, বুঝতেই চায় না জয় বাংলা এখন আর চিৎকার দিয়ে বলার মত স্লোগান না। এই স্লোগানটা একটা রাজনৈতিক দল দখল করে নিয়েছে। বেচারা বিএনপির মিছিলে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বেশ কয়েকবার মার খেয়েছে, যুবদলের ষন্ডামার্কা নেতারা একবার ওকে মেরে পুরা ছেচে ফেলেছিল মিছিলের মাঝখানে গিয়ে জয় বাংলা বলার অপরাধে। কিন্তু আহাম্মকের বাচ্চা এখনও বুঝে উঠতে পারে নি যে এটা ৭১ নয়, এটা স্বাধীন বাংলাদেশ। এখানে জয় বাংলা বলে চেচামেচি করলে জনগনের কোমল অনুভূতিতে আঘাত লাগে, তাদের বিএনপিয়ানুভূতি, জামাতানুভূতি প্রবল ভাবে আক্রান্ত হয়। এরকম পাগলকে দেশ থেকে বের করে দেয়া দরকার।

ঐদিকে নীতু আমাকে বেশ পেয়ে বসেছে, সমানে পচাচ্ছে আমাকে। কিন্তু নীতুর কথায় খেয়াল করতে পারছি না। জয় বাংলা পাগলটা দেখলাম বেশ জোরে জোরে চেচাচ্ছে, "তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা। বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর।" খেয়াল করে দেখলাম মিছিলটা ছাত্র শিবিরের। তারা কি কারনে জানি মিছিল করছে, কার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বা কোন কার্টুনে কি আঁকা তা নিয়ে। পাগলটা বরাবরের মতই কিছু না বুঝে মিছিলে ভিড়ে গেছে, আর জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে যাচ্ছে।

সামনের সাড়িতে শিবিরের নেতাদের চেহারায় দেখলাম প্রবল হতাশা, তাদের মিছিল না এখানেই পন্ড হয়ে যায়। তারা কিছু পাতি নেতাকে কি জানি নির্দেশ দিল। কয়েকজন পাগলটাকে টেন হিচড়ে রেললাইনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমি রিকশা থেকে নেমে গেলাম, নীতুকে বললাম বাসায় চলে যেতে। আমি পরে ফিরবো।

শিবিরের নেতাগুলো আমাকে চেনে ভালকরেই। আমি এগিয়ে যেতেই চাপ দাড়িওয়ালা ছাগলা সগির বলে উঠলো "আরে নাস্তিক সাহেব, কি খবর। আপনার নাস্তিকি দাওয়াত কার্যক্রম কেমন চলছে। কটা ছেলের মাথা আবার নষ্ট করলেন। একবার পার্টি অফিসে আসতে কইলা আইলেন না। আপনের মত লোক আমাগো দলে থাকলে মনে করেন বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বড় মাপের নেতা হইয়া যাইতেন। আপনের কথা পুলাপান যেমন খায়, মাশাল্লাহ।"

আমি বললাম, "জয় বাংলা পাগলটা কই? তারে কই নিয়া গেল?"
ছাগলা সগির বলল, "ঐটা নিয়া টেনশন নিয়েন না। ও বেজায় ত্যাক্ত করে। ওরে একটা বিড়ি কিন্না দিতে পাঠাইলাম। হালায় যেইখানে সেইখানে জয় বাংলা কয়, এইটা তো ঠিক না, তাই না। এইটা স্বাধীন বাংলাদ্যাশ। এইখানে এই সব তো বলা যাইবো না।"

আমি দৌড়ে চলে গেলাম রেল লাইনের দিকে। কিন্তু ততক্ষণে পাতি নেতারা জয় বাংলা পাগলটাকে নিয়ে গেছে। পেলাম না।

বাসায় ফিরে আসলাম। এই শিবিরের নেতাগুলো বেশ ক্ষমতাশালী। এলাকার যুবদলের নেতারাও এদের ভয় পায়। এদের সাথে আমি ঝামেলা করতে চাই না, এদের ক্ষমতা নাকি অসীম। বাসায় ফিরে নেটে বসলাম।

সকাল বেলা নাস্তা খাবার সময় কাজের ছেলেটার মুখে শুনলাম জয় বাংলা পাগলটা মারা গেছে। কারা জানি পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। মৃত্যু নিশ্চিত করার জয় পায়ের একটা রগও কেটে দিয়েছে।

পেটের ভেতরে কেমন জানি মোচড় দিয়ে উঠলো। গা গুলিয়ে উঠছিল, গরগর করে কিছুক্ষণ বমি করলাম।

সেই ডিসেম্বরের পরে মাঝে মাঝেই পাগলটাকে মনে পরতো। আর তেমন কেউ হয়তো মনে রাখে নি। পাগলটার লাশ কি করা হয়েছিল তাও খোজঁ নেই নি। কি দরকার আমার? পাগলামী ছাগলামী করতে গিয়ে দেশপ্রেমিক জনগনের হাতে মার খেলে কে বাঁচাতে আসবে? এই ধরনের পাগলের মরে যাওয়াই উচিৎ। বেঁচে থেকে এরা দেশ জাতির কি এমন উন্নতি করবে?

পাগলটার কথা মনে হলেই নীতুর কথা আরও বেশি মনে পরে। নীতু পাগলটাকে আমার একটা শার্ট দিয়েছিল। সেই শার্টটা পরে পাগলটার কি খুশি, নীতুকে জড়িয়ে ধরেছিল। এতদিন প্রেম করার পরেও আমি নীতুকে কখনও জড়িয়ে ধরতে পারলাম না, একটু হাত ধরতে চাইলেই ধমকে ধমকে কান ঝালা পালা হয়ে যেত, অথচ নীতু পাগলটাকে কিছুই বলে নি।

ইচ্ছা করছে নীতুকে একটা ফোন দিতে। কিন্তু নীতুকে ফোন দেয়া অনেক খরচের ব্যাপার। নীতুও ফোন সহজে ছাড়তে চায় না, এতক্ষণ কথা বলাও সম্ভব না, তাই ফোন দেবার চিন্তাটা বাদ দিতে হল।

বৃষ্টির ভেতরে সব ঝাপসা হয়ে আসছে, বাসায় ফিরতে হবে তাড়াতাড়ি। একটু পরেই অন্ধকার নামবে, সেই অন্ধকারে নিশাচর জীবেরা খাবারের সন্ধানে বের হবে। আধুনিক হিংস্র প্রানীরা হামলে পরে কামড়ে ধরবে না, ধীরে ধীরে রক্ত চুষে নেবে। তারা দখল করে নেবে, আমাদের শিকলে আটকে ফেলবে। যেমন দখল করে নিয়েছে নীতুকেও।

নির্বাচিত বিষয়গুলো দেখুন

Labels

মাসের পঠিত শীর্ষ দশ

 

জোনাকী | অনলাইন লাইব্রেরী © ২০১১ || টেমপ্লেট তৈরি করেছেন জোনাকী টিম || ডিজাইন ও অনলাইন সম্পাদক জহির রহমান || জোনাকী সম্পর্কে পড়ুন || জোনাকীতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ