প্রিয় পাঠক লক্ষ্য করুন

Saturday, August 27, 2011

শব-ই-কদরের গুরুত্ব

‘‘ইন্না আনযালনাহু ফি লাইলাতুল কাদরে। ওয়ামা আদরাকা মা লাইলাতুল কাদরে। লায়লাতুল কাদরে, খায়রুম মিন আলফে সাহরিন। তানাযযালুল-মালায়িকাতো ওয়াররুহো ফিহা বিইযনি রাবিবহিম মিন কুল্লি আমরিন। সালামুন হিয়া হাত্তা মাতলায়িল ফাজরি।’’ (সুরা কাদর ১-৫ আয়াত) ইরশাদ হচ্ছে- ১। আমি ইহা অবতীর্ণ করেছি মহিমান্বিত রজনীতে; ২। আর মহিমান্বিত রজনী সম্বন্ধে তুমি কি জান? ৩। মহিমান্বিত রজনী সহস্র মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। ৪। সে রাতে ফিরিশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাহাদিগকে প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। ৫। শান্তিই শান্তি, সেই রজনী উষার আবির্ভাব পর্যন্ত।

রমজানুল মোবারকের রাত্রি সমূহের মধ্যে একটি রাত্রিকে ‘‘শবে কদর’’ বলা হয়। উহা বড়ই মঙ্গল ও বরকতের কল্যাণময় রাত। কালামে পাকে উক্ত রাতকে এক হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম বলা হয়েছে। এক হাজার মাসে ৮৩ বছর ৪ মাস হয়। ভাগ্যবান ঐসব লোক যাদের উক্ত রাত্রির ইবাদত বন্দেগী নসীব হয়। কেননা এই একটি মাত্র রাত যে ইবাদতে কাটালো সে যেন ৮৩ বছর ৪ মাসের চেয়ে বেশি সময় ইবাদতে কাটালো। (সুবহানাল্লাহ) আর এই বেশির অবস্থাও জানা নাই যে উহা হাজার মাস অপেক্ষা কত মাস অধিক উত্তম। প্রকৃতপক্ষে বিশ্বনিয়ন্তা আল্লাহ পাকের সেরা অবদান শবে-কদর। আল্লাহ পাক সূরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে নিজেই বলেছেন যে, পবিত্র রমযান মাসে কুরআন মজীদকে অবতীর্ণ করা হয়েছে যে তিনি কদরের রাত্রিতে কুরআন পাক নাযিল করেছেন। নবী করিম (সাঃ) বনী ইসরাইলের সামউনের কথা উল্লেখ করে বলেন যে, তিনি এক হাজার মাস পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতেন, দিনের বেলা রোজা রাখতেন এবং সারারাত ইবাদতে কাটাতেন। এর প্রতি সাহাবাগণের মনে ঈর্ষা ও হতাশার ভাব দেখা দিলে আল্লাহতায়ালা উহার ক্ষতিপূরণস্বরূপ কেবলমাত্র উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য সেরা অবদান শবে কদর দান করে সুরা কদর নাযিল করেন। হযরত আইয়ুব (আঃ), হযরত যাকারিয়া (আঃ) প্রত্যেকেই ৮০ বছর পর্যন্ত আল্লাহপাকের ইবাদতে অতিবাহিত করেন, মুহূর্তের জন্যও আল্লাহর নাফরমানী করেননি। কাজেই শবে কদরের একটি বিশেষ রাতে যে ইবাদত বন্দেগীতে কাটালো সে যেন মহা সৌভাগ্যবান এবং উক্ত রাতে যে ব্যক্তি আল্লাহর করুনা ও কল্যাণ হতে বঞ্চিত থাকে সে সর্বহারা ও চিরবঞ্চিত। উক্ত রাতে ফেরেস্তা এবং রূহ আল্লাহর রহমত ও করুণা নিয়ে জমিনে অবতরণ করেন। উক্ত রাতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কেবল শান্তি আর শান্তি এবং উক্ত রাতে বরকত ও কল্যাণ ভোর পর্যন্ত থাকে। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে বলা হয় যে ব্যক্তি মহিমান্বিত শবে কদরে ঈমান সহকারে ও সওয়াবের নিয়্যতে ইবাদত করার জন্য দন্ডায়মান হয় তার বিগত জীবনের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) হতে বর্ণিত হাদীসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন যে, রমযানের শেষ দশ দিনের যে কোন বিজোড় রাত্রিতে শবে কদর তালাশ কর। বোখারী শরিফের অপর হাদীসে পাওয়া যায় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সাহাবীগণকে শবে কদরের সুনির্দিষ্ট সংবাদ দেয়ার জন্য বাইরে আসেন। কিন্তু সেই সময় দু'জন মুসলমানের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল বলে উহার নির্দিষ্টতা আল্লাহর তরফ থেকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে, অর্থাৎ ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। হাদীসের বিশেষ শিক্ষণীয় এই যে দু'জন মুসলমানের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ কঠিন অপরাধ। উহার জন্য কল্যাণ ও বরকত উঠিয়ে নেয়া হয়, পারস্পরিক সুসম্পর্ক সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ, আর পরস্পর কলহ বিবাদ দ্বীনকে ধ্বংস করে। শবে কদরের শিক্ষা ও মহিমা অপার। এই রাতেই লাওহে মাহফুজ হতে প্রথম আকাশে কোরআন মজীদ নাযিল করা হয়। মানুষের কল্যাণের জন্য রুহুল কুদ্দুস বা হযরত জীবরাঈল (আঃ) ও অসংখ্য ফেরেস্তা সহ আল্লাহর নির্দেশে পৃথিবীতে আগমণ করেন, উক্ত রাতে আধ্যাত্মিক, জৈবিক উন্নতি ও কল্যাণ বৃদ্ধির এক বর্ষা মুখর রাতে বৃষ্টির ধারার মত বর্ষণ হতে থাকে। এই রাত শান্তি ও সান্তনার রাত, নিরাপত্তার রাত।
বিখ্যাত তফসীরে কাদেরীতে উল্লেখ আছে, ইমাম শাফী (রাঃ) রমযানের ২১ ও ২৩ রাত্রিতে শবে কদর উদযাপনে বেশি গুরুত্ব প্রদান করেন, অধিকাংশ আলেমগণ এবং হানাফী মাযহাবে ২৭শে রাত্রিতে শবে কদর উদযাপনের উপর বেশি গুরুত্ব দেন। কারণ স্বরূপ ব্যাখ্যা করা হয় যে, আরবী লাইলাতুল কদরে নয়টি অক্ষর রয়েছে এবং সুরা কদরে লাইলাতুল কদর কথাটি তিনবার নির্ধারিত হয়েছে। কাজেই (৯x৩)=২৭ অক্ষর ইশারা করা হয়েছে যে, রমজান মাসের ২৭শে রাত্রিতেই শবে কদর পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং মুসলিম বিশ্বে রমযান মাসের ২৭শে রাত্রিতে শবে কদর রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। রমযান মাসে যারা জামাতের সাথে নিয়মিত তারাবীর নামাজ, এশার নামাজ ও ফজরের নামাজ আদায় করেন তারা শবে কদরের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হন না।

রমযান মাসের শেষ দশকে যারা সুন্নতে মোয়াক্কাদা কেফায়া হিসাবে মসজিদে এতেকাফ পালন করেন তারা অবশ্যই শবে কদরের রাত পেয়ে থাকেন। সব রকম পাপাচার ত্যাগ করে মানব মনের পশু প্রবৃত্তিকে ও ষড় রিপুকে দমন করে পূর্বের পাপরাশির স্মরণে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়ে এই মহান রজনীতে একাগ্রচিত্তে আল্লাহর নিকট পাপের ক্ষমা ভিক্ষা করতঃ আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীতে উক্ত রাত অতিবাহিত করা ঈমানদার বান্দাগণের মহান কর্তব্য। শবে কদরের মহান রাতের সদ্ব্যবহার করা প্রত্যেক ঈমানদার মানুষের একান্ত কর্তব্য এবং এতেই বিশ্বশান্তি ও মানব কল্যাণ নিহিত। আল্লাহ আমাদিগকে শবে কদর রাতের সদ্ব্যবহার করার তৌফিক দিন। (আমিন)

Friday, August 26, 2011

১৬ ঘরের জাদুবর্গ বা ম্যাজিক স্কয়ার তৈরি কৌশল

সংখ্যার রাজ্যে চমৎকার এক জিনিস জাদুবর্গ বা ম্যাজিক স্কয়ার। নানান ধরনের ম্যাজিক স্কয়ার বা জাদুবর্গ রয়েছে। সেগুলির মধ্যে এর আগে আমরা দেখেছিলাম কি করে ৩X৩ = ৯ ঘরের জাদুবর্গ বা ম্যাজিক স্কয়ার তৈরি করতে হয়। আজ আমরা এখানে দেখব ৪X৪ = ১৬ ঘরের জাদুবর্গ বা ম্যাজিক স্কয়ার তৈরি কৌশল। মূলত এই ১৬ ঘরের জাদুবর্গটি তৈরি করা খুবই সহজ, সামান্য কয়েকটা ধাপেই এটি তৈরি করা যায়। এই জাদুবর্গে ঘরের সংখ্যা ১৬টি তাই এখানে সংখ্যাও লাগবে ১ থেকে ১৬ পর্যন্ত ১৬টি সংখ্যা। জাদুবর্গটি তৈরি হয়ে গেলে আমরা দেখতে পাব এর যেকোনো কলাম, সারি বা কোনের ৪টি সংখ্যার যোগ ফল হবে ৩৪।



তাহলে আসুন ৫ ধাপে ৫টি ছবি দেখে শিখে ফেলি কি করে ১৬ ঘরের জাদুবর্গ বা ম্যাজিক স্কয়ার তৈরি করতে হয়।













































তাহলে আজ এই পর্যন্তই, আগামীতে আবারও আরও ভিন্নরকম কোন জাদুবর্গ নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে, ততদিন খুব ভালো থাকবেন।







এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের মত এই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝি পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ।

Tuesday, August 23, 2011

অদ্ভুত বর্ণচিত্র

অদ্ভুত জিনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহের কোন শেষ নেই। ব্যতিক্রম কিছু তৈরি করাতে অন্যরকম এক আনন্দ লোকে পেয়ে থাকে। মানুষ তার নিজের আনন্দের জন্য যেমন নানান কিছু সৃষ্টি করে তেমনি অন্যকে আনন্দ দেয়ার জন্য নতুন কিছু তৈরি কারর মতো মানুষেরও অভাব নেই দুনিয়ায়। তাদেরই কেউ কেউ আবার ব্যতিক্রম কিছু তৈরি করে সবাইকে চমকে দেয়ার সচেষ্ট হয়। এরা আছে বলেই আমর নানান ধরনে অদ্ভুত শিল্পকর্ম দেখার সুযোগ পাই। আজ এখানে সুযোগ এসেছে তেমনই অদ্ভুত কিছু চিত্রকর্ম দেখার। নিচের ৫টি চিত্র কর্ম একটু মনোযোগ দিয়ে দেখলে আপনি বিচিত্র একটি বিষয় ধরতে পারবেন। সব কটি ছবিই তৈরি করা হয়েছে শুধুমাত্র ইংরেজি বর্ণমালার ২৬টি অক্ষর ব্যবহার করে। হে, শুধুই ইংরেজি অক্ষর দিয়ে আকা হয়েছে এই ৫টি ছবি। কিন্তু সবচেয়ে মজার আর অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে ছবির প্রতিটি অংশের নামই ছবি টিকে তৈরি করেছে। যেমন ধরুন- ছবির যেখানে দেয়াল আছে, সেখানে লিখা আছে WALL। কারপেটের যায়গায় লেখা আছে CARPET। দরজার যায়গায় লিখা আছে DOOR, ইত্যাদি। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন এক নজরে দেখে আসি ছবিগুলি।



১।







২।







৩।







৪।







৫।









তাহলে আজ এখানেই শেষ করছি অদ্ভুত চিত্রকর্মের এই পর্বটি। খুব শীঘ্রই আগামী পর্বে আবার অন্য কোন অদ্ভুত শিল্প কর্ম নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে। ততদিন খুব ভালো থাকবেন সকলে।



সিরিজের অন্যান্য পর্বগুলি : অদ্ভুত চিত্রকর্ম (পেন্সিল সাপনার), গাছের পাতায় অদ্ভুত শিল্পকর্ম, ডিমের খোসায় অদ্ভুত শিল্পকর্ম





এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের মত এই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝি পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ।

Sunday, August 21, 2011

সময়ের কথা





যদিও শিরনাম দেখে মনে হতে পারে ইতিহাস নিয়ে কথা বলবো, আসলে তা কিন্তু নয়। মূলত আমি সময় নিয়ে কথা বলবো। সময় নিয়ে তেমন ভাবে বলার কিছুও নেই, আমরা সকলেই জানি সময় হচ্ছে প্রবাহিত নদীর মত, বয়ে চলে যায়। সময়কে মাপার জন্য অনেকগুলি একক আমরা তৈরি করে রেখেছি যাদের সেকেন্ড-মিনিট-ঘন্টা ইত্যাদি ইত্যাদিতে প্রকাশ করা হয়। আজকের এই ক্ষুদ্র আলোচনায় আপনাদের সামনে সেই বস একককেই তুলে ধরতে যাচ্ছি। এগুলি হয়তো অনেকেরই জান, কিন্তু গুটি কয়েক জনেরও যদি জানা না থাকে আর আমার এই লেখা থেকে তারা যদি তা জানতে পারেন তাতেই আমি খুশি। তাহলে শুরু করা যাক সময়ের এককগুলি জেনে নেয়ার এই চেষ্টা।



সিদ্ধান্তজ্যোতিষের (৩০০-১২০০খৃ:) সময়ে সময়কে অনেকগুলি বিভাগে ভাগ করা হতো। সেই বিভাগগুলি দেখার আগে আরও কিছু জিনিস আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। বাংলা চলচিত্রের একটি বিখ্যাত গান আছে -

“এক পলকে একটু দেখা

আরও একটু বেশি হলে ক্ষতি কি?”

আরও একটু বেশি হলে কোন ক্ষতি ছিল কিনা তা যারা ছবিটি দেখেছেন তারাই বলতে পারবেন, কিন্তু আমরা কজন জানি “১ পল” সমান-সমান কতটা সময়?



আমরা অহরহই বলি- “এক দণ্ড দাঁড়ানোর সময় নাই।”

এখন প্রশ্ন হচ্ছে “১ দণ্ড” বা “১ প্রহর” সমান-সমান কতটা সময়?



যারা জানেন তাদের অভিনন্দন আর যারা জানেন না তারা আজকের পর থেকে জেনে যাবেন। আমি যদি বলি “এক সূর্যোদয় থেকে আরেক সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়কে মোট ৬০টি দণ্ডে ভাগ করা হয়েছে” তাহলে দাঁড়ায়

২৪ ঘন্টা = ৬০ দণ্ড।

বা ১ ঘন্টা = (৬০÷২৪) দণ্ড বা ২.৫ দণ্ড

অতএব ২.৫ দণ্ড = ১ ঘন্টা

বা ২.৫ দণ্ড = ৬০ মিনিট

বা ১ দণ্ড = (৬০÷২.৫) মিনিট বা ২৪ মিনিট।

তাহলে দেখা যাচ্ছে ২৪ মিনিটে হয় ১ দণ্ড।



তাহলে উপরের হিসাব থেকে দেখতে পাচ্ছি যে কেউ যখন বলে “এক দণ্ড দাঁড়ানোর সময় নাই” তার অর্থ হচ্ছে উনি ২৪ মিনিট দাঁড়াতে পারবেন না।





আবার আমরা এটা বলে থাকি যে - “অষ্টপ্রহর ব্যস্ত থাকতে হয়।”

এখানে জেনে রাখুন, ৮ প্রহর = ৬০ দণ্ড।

আর আমরা আগেই জেনেছি ৬০ দণ্ড = ১ দিবারাত্রি।

অর্থাৎ

৮ প্রহর = ২৪ ঘন্টা

বা ১ প্রহর = (২৪÷৮) ঘন্টা

বা ১ প্রহর = ৩ ঘন্টা।

তাহলে দেখতে পাচ্ছি ৩ ঘন্টায় হয় ১ প্রহর।







চোখের পলক ফেলার আগেই যদি কেউ হাওয়া হয়ে যায়, তাহলে তার হাওয়া হতে কত সময় লেগেছে বলতে পারবেন? চোখের পলক ফেলতে আমাদের হয়ত সেকেন্ডেরও কম সময় লাগে, কিন্তু জেনে রেখেন ১ পল সমান-সমান কিন্তু ২৪ সেকেন্ড। ২৪ সেকেন্ডে কেউ হাওয়া হয়ে যেতে পারে কিনা তার হিসাব এবার আপনারা করেন।



যাইহোক ইউরোপিয়ান রীতিতে আমরা জানি

১০০০০০০ নেনোসেকেন্ড = ১ মিলিসেকেন্ড।

১০০০ মিলিসেকেন্ড = ১ সেকেন্ড।

৬০ সেকেন্ড = ১ মিনিট।

৬০ মিনিট = ১ ঘন্টা।

২৪ ঘন্টা = ১ দিন। (দিবারাত্রি)

৭ দিন = ১ সপ্তাহ।

৩০ দিন = ১ মাস।

১২ মাস বা ৩৬৫ দিন = ১ বছর।

১০০ বছর = ১ শতাব্দী।

কিন্তু সত্যিকারের নক্ষত্রীয় সময়ে ৬০ সেকেন্ড = ১ মিনিট নয়, বরং ৫৯.৮৩৬১৭ সেকেন্ড = ১ মিনিট হয়।



আবার যদিও বলা হচ্ছে ৩০ দিনে এক মাস, আসরে বলা উচিত-

২৮, ২৯, ৩০ বা ৩১ দিনে এক মাস।

ফেব্রুয়ারি মাস হয় ২৮ দিনে, লিপইয়ারে আবার হয় ২৯ দিনে। আবার কিছু মাস হয় ৩০ বা ৩১ দিনেও



আমরা বলি ৩৬৫ দিনে ১ বছর, আসলে-তো ৩৫৬ বা ৩৬৬(লিপ ইয়ার) দিনে এক বছর হয়।



সময়ের প্যাঁচাল আজ এই পর্যন্তই রইলো, সকলে ভালো থাকবেন।







এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের মত এই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝি পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ।

Wednesday, August 10, 2011

আমি যখন হারিয়ে যাবো ।। জহির রহমান

আমি যখন হারিয়ে যাবো
আমায় তুই ভাবিস না
আমার স্মৃতি মনে করে
মন খারাপ করিস না।
আমায় তুই ভুল করে
বুকে জড়াই ধরিস না
পিছলা পথে চলতে গিয়ে
পড়ে হাত- পা ভাঙ্গিস না।
তোর সর্বাঙ্গে যে রুপ
দিয়েছেন বিধাতা
সব ছেড়ে দিয় তুই
তার দিকে ফিরে যা।
আমায় তুই অযথা
আর পিছু ডাকিস না
আমার পথ আগলে তুই
আর কভূ দাঁড়াস না।
একা ছিলাম, একাই আছি
একাকীত্ব ভালোবাসি
আসছি একা, যাবও একা
কত আজীব হল দেখা।
ঝরাজীর্ণ অতীত ভুলে
বর্তমানকে সঙ্গী করে
চলে যাবো দুরের পানে
অচেনা কোন স্মৃতির টানে।
ভাল থাকিস, সুখে থাকিস
এইতো আমার আশা
কখনো তুই ভুলিস না'ক
আমার ভালোবাসা।
১১ আগষ্ট, ২০১১

Saturday, August 6, 2011

৯ ঘরের জাদুবর্গ বা ম্যাজিক স্কয়ার তৈরির কৌশল


১ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যাগুলি দিয়ে এমন একটি জাদুবর্গ তৈরি করা হয় যার যেকোনো কলাম বা সারির সংখ্যা তিনটির যোগফল হয় ১৫। এই জাদু বর্গটি দেখেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভার। আর আমরা অনেকেই হয়তো বার বার চেষ্টা করেছি এটি মিলাতে। কেউ কেউ সফল হয়েছি, কেউ বা হইনি। যারা সফল হয়েছেন তাদের জানাই অভিনন্দন। আর যারা সফল হননি তাদের জন্য এই টপিক। একবার শুধু চোখ বুলিয়ে যান, দেখবেন আর কখনো ভুলবেননা এই নিয়ম। তাহলে নিচের ছবিগুলিতে দেখুন এবার, কি করে তৈরি করবেন ৩x৩ এর জাদুবর্গ।


১।


২।


৩।


৪।


৫।


৬।


৭।


৮।


৯।


১০।


১১।


তৈরি হয়ে গেলো আপনার ৩x৩ এর জাদুবর্গ। এই একটা জাদুবর্গ ব্যবহার করে আপনি আরো আনেকগুলি জাদুবর্গ তৈরি করতে পারবেন। এবার দেখুন কিভাব তৈরি করবেন আরো জাদু বর্গ।

১২।


১৩।


আশাকরি ৩x৩ এর জাদুবর্গ তৈরি করতে আপনাদের আর কারো কোনো সমস্যা হবে না।
আজ এখানে দেখলেন কি করে তৈরি করতে হয় ৩x৩ এর জাদুবর্গ। আগামিতে আরো বড় জাদুবর্গ তৈরির কৌশল নিয়ে হাজির হবো। ততো দিন ভালো থাকবেন সকলে।
চাইলে PDF ডাউনলোড করতে পারেন।


এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের মত এই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝি পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ।

Wednesday, August 3, 2011

রমজানে মানুষকে ইবাদতে আগ্রহী করা প্রয়োজন ।। মুফতি আবদুর রহমান

রমজান রহমত ও বরকতের মাস। ইবাদতের বসন্তকাল। মহান রাব্বুল আলামীন এ মাসে ইবাদতের ছওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন। আল্লাহর প্রিয় বান্দারা সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগাতে ইবাদতে মত্ত হয়ে থাকেন, সাধারণ মানুষের মাঝেও রমজানের বরকত পরিলক্ষিত হয়। হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, রমজান শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই শয়তানকে সারা মাসের জন্য বেড়িবদ্ধ করা হয়। সে কারণে রমজানের বরকতস্বরূপ দ্বীনি পরিবেশের সৌন্দর্য পরিলক্ষিত হয়। সবার মাথায় টুপি শোভা পায়, মসজিদে মুসল্লি বৃদ্ধি পায়, মানুষও সাধ্যানুপাতে ইবাদতে সচেষ্ট হয়। তাদের দ্বীনি মনোভাব ও টুটাফাটা ইবাদতের সাধারণ ভুলের জন্য তিরস্কার না করে আরও উত্সাহ প্রদান করাই শ্রেয়। এ ব্যাপারে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের যত্নশীল হওয়া কাম্য।
শায়খুল হাদিস হজরত যাকারিয়া (রহ.) বলতেন, মুখলিছ ব্যক্তিদের উল্টাসিধা আমল এবং তাদের সঠিক নিয়ত ও একনিষ্ঠতার দরুন আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে যায়। ইরশাদ হয়েছে, সব আমলের ছওয়াব নিয়তের ওপর নির্ভরশীল (আল হাদিস)।
হজরত মুসা (আ.)-এর একটি হাদিসে বর্ণিত আছে, একদা এক মুমিন গ্রাম্য বুড়ি আল্লাহর মহব্বত ও ভালোবাসায় আপ্লুত হয়ে বলছিলেন, আল্লাহ! তুমি যদি আমার সামনে আসতে, তোমাকে যদি আমি পেতাম তবে তোমাকে যত্ন করে গোসল করাতাম, মাথায় তেল লাগিয়ে দিতাম এবং হাত-পা টিপে দিতাম। হজরত মুসা (আ.) ওই মহিলার পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে এসব শুনে তাকে ধমক দেন এবং এসব বলতে বারণ করেন। পরে তাঁর ওপর আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহি আসে, হে মুসা! তুমি এটা কেমন কাজ করলে? সেই মহিলা পদ্ধতিগত ভুল করলেও আগে আমাকে স্মরণ করত, তোমার নিষেধে এখন সে আমার স্মরণই ছেড়ে দিয়েছে।
হজরত জালালুদ্দীন রুমী (রহ.) বলেন, মানুষকে আল্লাহমুখী করতে আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে, আল্লাহ বিমুখ করতে নয়। তাই রমজানে মানুষের আবেগ ও আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে তাকে দ্বীনি বিষয়ে সহযোগিতা প্রদান করে ইবাদতের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সচেষ্ট হওয়া বাঞ্ছনীয়। তাহলে থেকে যাওয়া ছোটখাট ভুলগুলো সময়ে ঠিক হওয়া সম্ভব। অন্যথায় বিরক্ত হয়ে ইবাদত বর্জনেরই আশঙ্কা থাকে।
অনুলিখন : আবদুল্লাহ মুকাররম 
সূত্র : আমার দেশ

আপনি কি জানেন যে আপনি আংশিক সত্য জানতেন? ।। রাজীব

দুনিয়াজুড়ে এমন অসংখ্য আবিষ্কার রয়েছে যার আবিষ্কারক একজন নন। একই আবিষ্কারের পেছনে একই সময় একাধিক উদ্ভাবক গবেষণা করেছেন এবং দুই বা ততধিক ব্যক্তিই সফলতা লাভ করেছিলেন। কিন্তু নানা কারণে আমরা এখন শুধু একজন আবিষ্কারকের কথাই জানি, কারণ চূড়ান্ত পর্যায়ে সব ক্রেডিট তুলে দেয়া হয়েছে একজনের হাতেই। তবে সাধারণ জনগণ না জানলেও ইতিহাসের পাতায় ঠিকই বাকি উদ্ভাবকদের অবদানের কথা লেখা আছে। ইন্টারনেট ঘেঁটে এমন কিছু আবিষ্কার ও তার নেপথ্য কাহিনী রয়েছে এই প্রতিবেদনে।

ক্রিস্টোফার কলম্বাস কোনোভাবেই উত্তর আমেরিকা মহাদেশে পা রাখা প্রথম ব্যক্তি নন
কলম্বাস প্রথম ইউরোপিয়ান যিনি আমেরিকা আবিষ্কার করেছেন একথা প্রায় সবাই জানলেও এখানে কিছু ফাঁকি আছে। আধুনিক যুগে এসে কলম্বাস প্রথম আমেরিকা আবিষ্কার করলেও তিনি কোনোভাবেই উত্তর আমেরিকা মহাদেশে পা রাখা প্রথম ব্যক্তি নন। বর্তমানে গবেষক ও ইতিহাসবিদদের কাছে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত যে, নরওয়ের বাসিন্দা লিফ এরিকসনের (৯৭০-১০২০ খ্রি.) নেতৃত্বে একদল ভাইকিং প্রথম আমেরিকা মহাদেশে পা রাখে এবং তা কলম্বাসের আমেরিকা যাওয়ার আরও প্রায় পাঁচশ’ বছর আগে। অভিযাত্রী দলটি স্ক্যান্ডিনেভিয়া থেকে রওনা হয়ে নিউফাউন্ডল্যান্ডে পৌঁছায়। বর্তমানে শক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, ভাইকিংরা গ্রিনল্যান্ড ও কানাডার উপকূলে তাদের আবাস গড়ে তুলেছিল। এছাড়াও প্রাচীন ফোনিশিয়ান জাতিরা (খ্রিস্টপূর্ব ১৫৫০-খ্রিস্টপূর্ব ৩০০) প্রথম উত্তর আমেরিকায় পা রেখেছিলেন এমন বেশকিছু প্রমাণ পাওয়া যায় এবং এটি ঘটেছিল কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের আরও কমপক্ষে ১০০০ বছর আগে। যদিও কলম্বাস প্রথম আমেরিকা আবিষ্কার করেননি তবু কলম্বাসের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো আধুনিক যুগে এসে আমেরিকা মহাদেশকে পুনঃআবিষ্কার করা, তাছাড়া পৃথিবী সমতল নয় এই তত্ত্বকে প্রমাণিত করা।

আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল প্রথম টেলিফোন আবিষ্কারক নন
ভাগ্য কখনও কখনও খুব নির্দয় হয়, যেমন হয়েছে এলিশা গ্রের ক্ষেত্রে। মূলত বেল টেলিফোন যন্ত্রের প্রথম পেটেম্লট করেছিলেন কিন্তু প্রথম আবিষ্কারক তিনি নন। এই দাবি করতে পারেন অ্যান্তেনিও মিউচি। তিনি ১৮৫৭ সালে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক টেলিফোন আবিষ্কারের গবেষণায় সফলতা লাভ করেন। ১৮৬৫ সালে ইতালিয়ান আবিষ্কারক ইনোচেনযো মেনজাডি একটি স্পিকিং টেলিফোন আবিষ্কার করেন। হাঙ্গেরিয়ান আবিষ্কারক থিবেদার পুশকাস সুইচবোর্ড ও পার্টি লাইন আবিষ্কার করে টেলিফোনকে ব্যবহার উপযোগী করে তোলেন। তবে এরা বেলের প্রধান প্রতিযোগী নন। বেলের প্রধান প্রতিযোগী হলেন আমেরিকান উদ্ভাবক এলিশা গ্রে। মজার ব্যাপার হলো তিনি এবং বেল একই দিন (১৮৭৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি) পেটেম্লট অফিসে যান টেলিফোন যন্ত্রের নিবন্ধন করার জন্য। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে গ্রে-র আইনজীবী বেলের চেয়ে কয়েকঘণ্টা পরে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত বেলই টেলিফোন আবিষ্কারের কৃতিত্ব লাভ করেন।

চার্লস ডারউইন কখনোই বিবর্তনবাদ ধারণার প্রথম প্রবক্তা নন
ডারউইনকে বিবর্তনবাদের জনক বলা যায় এই কারণে যে তিনি বিবর্তনবাদের ধারণাকে আরও পরিমার্জিত করেন এবং এর আধুনিক তত্ত্ব তিনি প্রকাশ করেন। কিন্তু ডারউইন কখনোই বিবর্তনবাদ ধারণার প্রথম প্রবক্তা নন।
প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক অ্যানেক্সিমেন্ডার (খ্রিস্টপূর্ব ৬১০-খ্রিস্টপূর্ব ৫৪৫) প্রথম ঐশ্বরিক উপায় ছাড়াই জীবজন্তু বা উদ্ভিদের জন্মের কথা বলেন। তার দাবি ছিল বংশবিস্তারে শারীরিক ভূমিকাই সব, কোনো সুপারন্যাচারাল পাওয়ার নয়। যাই হোক আধুনিক বিবর্তনবাদ নিয়ে প্রথম যুক্তিসঙ্গত ধারণা দেন ফ্রেঞ্চ গণিতবিদ পিয়েরে লুইস মোপারচিও এবং চার্লস ডারউইনের দাদা ইরাসমাস ডারউইন। ফ্রেঞ্চ প্রকৃতিবিজ্ঞানী জেন ব্যাপটিস্ট লেমার্ক বিবর্তনবাদ নিয়ে জোরালো একটি ধারণা পেশ করেন। তিনি ধারণা দিয়েছিলেন, প্রজাতির মধ্যে থাকা এক ধরনের ন্যাচারাল ফোর্স যা অর্গানিজমের মূল চাবিকাঠি এবং এর মাঝে থাকা এনভায়রনমেন্টাল ফোর্স তাদের স্থানীয় পরিবেশের উপযোগী করে তোলে। তবে ডারউইনরে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন ইংরেজ প্রকৃতিবিজ্ঞানী আলফ্রেড ওয়ালেচ। যিনি ১৮৫৮ সালে প্রেস্টিজিস লিননেন সোসাইটিতে ন্যাচারাল সেকশনে বিবর্তনবাদের ওপর একটি তত্ত্ব প্রকাশ করেন, যা চার্লস ডারউইনের তত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে ডারউইনের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো তার বই ‘দি অরিজিন অব স্পেসিস’। মূলত এই বইয়ের ফলে বিবর্তনবাদ সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং বিবর্তনবাদের প্রথম প্রচারক ও জনক হিসেবে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। অন্যরা যেখানে কোনো ক্রেডিটই পাননি।

টমাস এডিসন প্রথম বৈদ্যুতিক বাতির আবিষ্কারক নন, তিনি মূলত বাতিটির উন্নয়নে কাজ করেছেন
আরও একটি বিভ্রান্তিকর তথ্য হলো টমাস এডিসন প্রথম বৈদ্যুতিক বাতির আবিষ্কারক। ইলেকট্রিক্যাল বাল্ব আবিষ্কারের কৃতিত্ব এককভাবে কাউকে দেয়া যায় না। যদি দিতে হয় তবে হামফ্রে ডেভিকে দেয়া যায়। এর আবিষ্কার ও আধুনিকায়নে একাধিক উদ্ভাবকের হাত রয়েছে। মূলত এডিসন বাতিটি ডেভেলপে কাজ করেছেন। এডিসনের জন্মেরও আগে ১৮০২ সালে ইংরেজ কেমিস্ট হামফ্রে ডেভি একফালি শীর্ণ প্লাটিনামের পাতের মাঝে বিদুত্প্রবাহ চালান এবং এর ফলে ইলেকট্রিক বাল্ব আবিষ্কার করেন। যদিও এই বাল্ব ছিল খুবই ক্ষণস্থায়ী। এরপর থেকে গবেষণা চলতে থাকে উন্নত ও টেকসই ফিলামেন্ট আবিষ্কারের। এরই ধারাবাহিকতায় ইংরেজ উদ্ভাবক আলফ্রেড ডি মলিনস ১৮৪১ সালে একটি ভ্যাকুয়ামে প্লাটিনামের তার ব্যবহার করে তাতে বিদ্যুত্ প্রবাহ করে আরও দীর্ঘস্থায়ী একটি ইলেকট্রিক বাল্ব আবিষ্কার করেন। তিনিই প্রথম ইনক্যানডেসন্ট ল্যাম্পের পেটেম্লট করান। তবে তার আবিষ্কৃত এই বাল্বের প্রতিস্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ এত বেশি ছিল যে তার এই আবিষ্কার জনপ্রিয়তা লাভ করেনি।
এরপর থেকে গবেষণা চলতে থাকে একই সঙ্গে সাশ্রয়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী ফিলামেন্ট আবিষ্কারের। শেষপর্যন্ত ১৮৭৯ সালে এডিসন আবিষ্কার করেন কার্বনাইজড ব্যাম্বু ফিলামেন্ট। যা ১২০০ ঘণ্টার মতো জ্বলতে পারত এবং খরচের দিক থেকেও ছিল সাশ্রয়ী। প্রায় একই সময়ে ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী জোশেপ সোয়ানও একটি ইলেকট্রিক বাল্ব আবিষ্কার করেন। কিন্তু ব্যবসায়িক বুদ্ধিতে এডিসনের ধারেকাছেও যেতে পারেননি তিনি। এডিসন দ্রুত তার বাল্বের পেটেম্লট নেন এবং তা স্থাপন করতে থাকেন। যার ফলে সবাইকে ছাড়িয়ে এডিসনের বাল্বই ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। একথা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না যে ইলেকট্রিক বাল্বকে আধুনিকায়ন এবং সাশ্রয়ী করার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান টমাস এডিসন, কিন্তু একথাও দাবি করার কোনো যৌক্তিকতা নেই যে এডিসনই প্রথম বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিষ্কার করেন। 
সূত্র : আমার দেশ

নির্বাচিত বিষয়গুলো দেখুন

Labels

মাসের পঠিত শীর্ষ দশ

 

জোনাকী | অনলাইন লাইব্রেরী © ২০১১ || টেমপ্লেট তৈরি করেছেন জোনাকী টিম || ডিজাইন ও অনলাইন সম্পাদক জহির রহমান || জোনাকী সম্পর্কে পড়ুন || জোনাকীতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ