প্রিয় পাঠক লক্ষ্য করুন

Thursday, January 26, 2012

ইসলামে নারীর মর্যাদা, অধিকার ও ক্ষমতায়ন || শাহ আব্দুল হান্নান

সমাজে নারীর অবস্থান এবং অধিকার নিয়ে আমরা নানা কথা শুনে থাকি৷ নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা বিষয়ে বর্তমানে যে কথাগুলো বলা হয় , তার মধ্যে অনেকগুলোই গ্রহণযোগ্য৷ আবার কিছু কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করার অবকাশ আছে৷ নারী-পুরুষ সকলেরই অধিকার প্রতিষ্ঠা হওয়া অনস্বীকার্য৷ কারণ সমাজ দিনে দিনে সামনে এগুচ্ছে৷ তাই শুধু নারী বা পুরুষের নয়, বরং সকল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে হবে৷
গত পঞ্চাশ বছরে সমাজ অনেকটা এগিয়েছে৷ এ সময়ে পুরুষের সাথে নারীরাও সমান-সমান না হলেও, এগিয়ে এসেছে৷ বেগম রোকেয়ার সময়ে যে সমাজ ছিল , সে সমাজকে আমরা অনেক পেছনে ফেলে এসেছি৷ তিনি দেখেছিলেন যে, সে সময়ে মেয়েরা লেখাপড়ার কোন সুযোগই পেতনা৷ সে সময়ে বেগম রোকেয়া জন্ম না নিলে এবং নারী শিক্ষার ব্যাপারে সাহসী উদ্যোগ না নিলে আজ আপনারা, নারীরা কেউই কিন্তু পড়ালেখা শিখতে পারতেন না৷ অবশ্য আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয়ই তখন অন্য কোন নারীকে পৃথিবীতে পাঠাতেন যিনি এই কাজটি করতেন৷ যা হোক, আমি সেদিকে গেলাম না৷ কারণ একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমার আলোচনা শেষ করতে চাই৷
সারা পৃথিবীতে, বিশেষ করে আমাদের দেশে মানুষের উপর, বিশেষ করে নারীর উপর যে অত্যাচার চলছে তার একটা ফাউন্ডেশন আছে , ভিত্তি আছে৷ অত্যাচারটা আকাশ থেকে আসছে না৷ নারীর উপরে পুরুষের , কোন কোন ক্ষেত্রে নারীর যে অত্যাচার তার 'আইডিওলজিক্যাল ফাউন্ডেশন' টা হলোঃ সাধারণভাবে মানুষ বিশ্বাস করে- বিশেষ করে পুরুষরা বিশ্বাস করে যে- নারী পুরুষের চেয়ে ছোট , তাদের কোয়ালিটি খারাপ এবং তারা নিচু৷ এই বিশ্বাস অবশ্য নারীর মধ্যেও কিছুটা বিদ্যমান৷ মানুষের মধ্যে কতগুলো বিভ্রান্তি থেকে এ বিশ্বাসের জন্ম৷ আর এই বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে আছে নারীর উপর অবহেলা, বঞ্চনা এবং নির্যাতন৷
এখন আমাদের দেশ থেকে যদি নারী নির্যাতন বন্ধ করতে হয়, তবে ইসলামকে বাদ দিয়ে তা করা যাবে না৷ আমি এটা খুব পরিষ্কারভাবে আপনাদের বলতে চাই যে , ইসলামকে বাদ দিয়ে আমাদের মত দেশে (যে দেশে মূলত নব্বই ভাগ মানুষ মুসলিম) চলা যাবে না৷ যারা ইসলাম থেকে বিদ্রোহ করেছে তারা কিন্তু টিকতে পারেনি , পারছে না৷ এক মহিলা বিদ্রোহ করেছিলেন-আমি নাম বলবো না- তার পরিণতি ভাল হয়নি৷ খারাপ হয়েছে৷ বিনীতভাবে বলতে চাই যে , ইসলামের 'ফ্রেমওয়ার্ক'- এর মধ্যে আমরা যদি এগুতে পারি, তবে তা সব চাইতে ভাল হবে৷ আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ইসলামে এরকম একটি 'ফ্রেমওয়ার্ক' আছে, যা নারীদের সামনে এগিয়ে দিতে পারে৷
আমি ইসলামকে বিকৃত করতে চাইনা, বিকৃত করার পক্ষেও নই এবং ইসলামের কোনো টেম্পোরারী ব্যাখ্যা দেয়ার পক্ষে নই৷ সত্যিকার অর্থেই ইসলাম নারীকে ক্ষমতায়িত করেছে এবং নারীকে সম্মানিত করেছে৷ নারীকে অধিকার দিয়েছে৷ সেগুলো ব্যাখ্যা করার আগে আমি আইডিওলজিক্যাল ফাউন্ডেশন-এর নতুন ভিত্তি যেটা হতে পারে সেটা বলতে চাই৷
কি সেই ভিত্তি? যে ভিত্তির ওপর নারী-পুরুষের মৌলিক সাম্য বিদ্যমান? আল্লাহ মানুষের চেহারা এক রকম করেন নাই৷ সকল দিক থেকে রহ in every dot যে কোনো দু'টি মানুষ সমান নয়৷ ওজন, উচ্চতা, রঙ, শিক্ষা ইত্যাদি সবকিছুতে একটি মানুষ থেকে আরেকটি মানুষ আলাদা৷ কিন্তু মৌলিকভাবে প্রতিটি মানুষ সমান৷ আল্লাহ্র কাছে সমান৷ তার চারটি প্রমাণ আমি আপনাদের দিচ্ছি৷
১. আল্লাহ তায়ালা এ কথা খুব স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, মূল মানুষ হচ্ছে ' রূহ' ৷ যাকে আমরা ' আত্মা' বলি৷ মূল মানুষ কিন্তু শরীর না৷ দেহ তো কবরে পঁচে যাবে৷ আমরা যারা ইসলাম বিশ্বাস করি তারা জানি , মূল মানুষ হচ্ছে ' রূহ' ৷ আল্লাহ সকল মানুষকে, তার রূহকে একত্রে সৃষ্টি করেন, একই রকম করে সৃষ্টি করেন এবং একটিই প্রশ্ন করেন৷ আল্লাহর প্রশ্নের উত্তরও নারী-পুরুষ সকলে একই দিয়েছিল৷ আমি সূরা আরাফের একটি আয়াত বলিঃ ( বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম) ' ওয়া ইজা আখাজা রাব্বুকা' ( যখন আল্লাহ তায়ালা বের করলেন), ' মিম বানি আদামা' ( আদমের সন্তানদের থেকে), ' মিন জুহুরিহিম' ( তাদের পৃষ্ঠদেশ থেকে-এটা একটা রূপক কথা) ' জুররিয়াতাহুম' ( তাদের সন্তানদেরকে৷ অর্থাত্‍ সকল আত্মাকে) এবং সাক্ষ্য নিলেন তাদের ওপরে , 'আমি কি তোমাদের প্রভু নই?' তারা সকলে বললো- সকল পুরুষ এবং নারী বললো, ' বালা' ( হ্যাঁ), ' সাহেদনা' ( আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি আমাদের প্রভু)৷ ( আয়াত নং-১৭২, সূরা আরাফ) তার মানে আল্লাহ্র সঙ্গে একটি পয়েন্টে সকল নারী এবং পুরুষের একটি চুক্তি হলো যে, আপনি আমাদের প্রভু; আমরা আপনাকে মেনে চলবো৷ এক্ষেত্রে পুরুষের চুক্তি আলাদা হয়নি৷ নারীর চুক্তি আলাদা হয়নি৷ সুতরাং আমরা দেখলাম , আমাদের Ideological foundation এর প্রথম কথা হচ্ছে এই যে, মূল মানুষ হচ্ছে ' রূহ' এবং তা সমান৷ এই সাম্যের পরে যদি কোনো অসাম্য থেকে থাকে তাহলে তা অত্যন নগন্য Insignificant, Very Small ; তার মানে হচ্ছে , মানুষের আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব এক এবং সে মানুষ হিসেবে এক৷ এটি হলো নারী-পুরুষের সাম্যের প্রথম ভিত্তি৷
২. আমরা পুরুষরা গর্ব করি যে, আমাদের শারীরিক গঠন বোধহয় নারীর তুলনায় ভালো, আল্লাহ বোধহয় আমাদেরকে তুলনামূলকভাবে শ্রেষ্ঠ করে বানিয়েছেন এবং মেয়েরা আনকোয়ালিফায়েড৷ কিন্তু আল্লাহ একটি কথা কোরআনে খুব পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন যে , সকল মানুষের মধ্যে পার্থক্য আছে, কিন্তু প্রতিটি মানুষ ফার্ষ্ট ক্লাশ৷ যারা নামাজ পড়েন তারা এই আয়াতটা জানেন , সূরা ' ত্বীন'- এ আল্লাহ বলছেন (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম) ' লাকাদ খালাক্বনাল ইনছানা ফি আহছানি তাক্বওয়ীম' ( নিশ্চয়ই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সর্বোত্তম কাঠামোতে-পুরুষকে বলেন নাই)৷ তার মানে আমাদের গঠনে পার্থক্য আছে , আমরা এক না, আমরা ভিন্ন কাঠামোর৷ কিন্তু সবাই ফার্ষ্ট ক্লাস, স-বা-ই ফার্ষ্ট ক্লাস ৷ সুতরাং নারী-পুরুষের মৌলিক সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য, নতুন নারী আন্দোলনের জন্য অথবা নতুন মানব আন্দোলনের জন্য পুরুষদের এ কথা বলা ঠিক না যে , মেয়েদের স্ট্রাকচার খারাপ৷ আল্লাহ্ তাতে অসন্তুষ্ট হবেন৷ আপনারা যারা মোমেন, যারা বিশ্বাসী-তারা এ কথা বলবেন না৷ সুতরাং নারী-পুরুষের মৌলিক সাম্যের এটা হলো দ্বিতীয় প্রমাণ৷ মৌলিক এ কারণে বলছি যে , নারী-পুরুষের মধে ছোটোখাটো পার্থক্য বিদ্যমান৷
৩. আল্লাহ তায়ালা সুস্পষ্টভাবে বলছেন যে, সকল মানুষ এক পরিবারের৷ আদম এবং হাওয়া পরিবারের৷ সূরা নিসার প্রথম আয়াতে আল্লাহ বলছেন , "হে মানব জাতি , সেই রবকে তুমি মানো যিনি তোমাদেরকে একটি মূল সত্ত্বা (নফস) থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং সেই সত্ত্বা থেকে তার সাথীকে সৃষ্টি করেছেন এবং এই দুই জন থেকে তিনি অসংখ্য নারী ও পুরুষ সৃষ্টি করেছেন"৷ তার মানে আমরা এক পরিবারের৷
আমরা হচ্ছি বনি আদম৷ আদমের সন্তান৷ আল্লাহ পাক কোরআন শরীফে অন্ততঃ ২০/৩০ বার বলেছেন , ' ইয়া বনি আদামা' ( হে আদমের সন্তানেরা)৷ বাপ-মা এবং সন্তানেরা মিলে যেমন পরিবার তৈরী হয়, তেমনি ইসলামের দৃষ্টিতে মানব জাতি একটি পরিবার৷ সব পরিবারের ওপর হলো মানব জাতির পরিবার৷ তার মানে আমাদের মৌলিক সম্মান ও মর্যাদা , তা সমান৷ ছোট খাটো কারণে আমাদের মধ্যে পার্থক্য হয়ে যায়৷ তবে জাগতিক মর্যাদা আসল মর্যাদা না৷
আইনের ভাষায় যেমন বলা হয়, আইনের চোখে সকল মানুষ সমান, তেমনি আল্লাহর কাছেও সবাই সমান৷ আল্লাহ্র কাছে সম্মানের একমাত্র ভিত্তি হলো ' তাক্বওয়া' ৷ আল্লাহ বলেন নাই যে, তার কাছে পুরুষ সম্মানিত বা নারী সম্মানিত৷ আল্লাহ বলছেন, ' ইন্না আকরামাকুম ইন্দাল্লাহি (আল্লাহর কাছে), ' আতক্বাকুম' ( যে মেনে চলে আল্লাহকে)৷ আল্লাহ্র কাছে যদি মর্যাদার এই ভিত্তি হয়, তাহলে মানুষের পার্থক্যে কি কিছু যায় আসে? আল্লাহ বলছেন তিনি ' তাক্বওয়া' ছাড়া (আল্লাহকে কে মানে আর কে মানেনা) কোনো পার্থক্য করেন না৷ অতঃপর আমরা এক পরিবারের সন্তান, আমাদের মৌলিক মর্যাদা সমান৷ (সূরা হুজুরাত, আয়াত-১৩) আরেকটি কথা, কোরআনের সূরা নিসার একটি আয়াতের শেষ অংশে আল্লাহ বলছেন "এবং ভয় পাও সেই আল্লাহকে বা মান্য করো সেই আল্লাহকে , যার মাধ্যমে তোমরা একে অপরের কাছে অধিকার দাবী করে থাক৷ এবং ভয় পাও ' গর্ভ'- কে বা ' মা'- কে৷ আল্লাহ বলছেন ' গর্ভ'- কে ভয় পাও৷ কোরআন শরীফের এই আয়াতটির তফসিরে সৈয়দ কুতুব নামে মিশরের একজন বিখ্যাত আলেম লেখেন , এই ভাষা পৃথিবীর কোনো সাহিত্যে কোরআনের আগে লেখা হয় নাই৷ আল্লাহ ' গর্ভ '-কে ভয় করতে বলে মা '- কে সম্মান করার কথা বলেছেন, নারী জাতিকে সম্মান করার কথা বলেছেন৷ সুতরাং আমাদের মৌলিক সামাজিক মর্যাদা এক্ষেত্রেও সমান বলে প্রতীয়মান হলো৷ এটা আমাদের নতুন আইডিওলজিক্যাল ফাউন্ডেশনের তৃতীয় প্রমাণ৷
৪. আল্লাহ্ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টির সময় বলে দিলেন যে, " তোমরা সবাই খলিফা"৷ তিনি বললেন, " ইন্নি জায়লুন ফিল আরদে খলিফা"৷ আল্লাহ বলেন নাই যে, নারী পাঠাচ্ছেন বা পুরুষ পাঠাচ্ছেন৷ এমনকি তিনি বলেন নাই যে , তিনি মানুষ পাঠাচ্ছেন; আল্লাহ বললেন, তিনি খলিফা পাঠাচ্ছেন৷ পাঠালেন মানুষ, বললেন খলিফা৷ মানুষকে তিনি খলিফা নামে অভিহিত করলেন৷ খলিফা মানে প্রতিনিধি৷ আমরা পুরো মানব জাতি হচ্ছি আল্লাহর প্রতিনিধি৷ পুরুষ , নারী নির্বিশেষে আমরা প্রত্যেকে তাঁর প্রতিনিধি-আল্লাহর প্রতিনিধি৷ তবে এ কথা ঠিক যে , যদি আমরা গুণাহ্ করি, অন্যায় করি, খুন করি, অত্যাচার করি, জুলুম করি, ঈমান হারিয়ে ফেলি, তাহলে আমাদের খলিফার মর্যাদা থাকে না৷ কিন্তু মূলতঃ আমরা আল্লাহ পাকের খলিফা৷ (কুরআন ২:৩০; ৩৫:৩৯)
এই খলিফার মর্যাদার মধ্যেই রয়েছে সকল ক্ষমতায়ন; যে ক্ষমতায়নের কথা আমরা বলি৷ ক্ষমতা ছাড়া কেউ কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারে না৷ খেলাফতের দায়িত্ব পালন করতে গেলে প্রত্যেক নারী এবং পুরুষের কিছু ক্ষমতা লাগবে৷ নারীর ক্ষমতায়নের ভিত্তি এই খেলাফতের মধ্যে রয়েছে৷ শুধু নারী নয়, ' খেলাফত' শব্দের মধ্যে নারী, পুরুষ, গরিব, দুর্বল সকলের ক্ষমতায়নের ভিত্তি রয়েছে৷ সুতরাং নারী পুরুষ মৌলিক সাম্যের এটি হলো চতুর্থ প্রমাণ৷
ইসলাম চায় every man, every woman, every person should be empowered ; কিন্তু এই মুহ র্তে যদি নারীরা বঞ্চিত থেকে যায়, তবে তাদেরকে ক্ষমতায়িত করতে হবে৷ পুরুষরা কোনোদিন বঞ্চিত হলে তাদেরকে ক্ষমতায়িত করতে হবে৷ তবে যে বঞ্চিত তার কথা আমাদের আগে ভাবতে হবে ; নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য বর্তমানে আমাদের আগে কাজ করতে হবে৷
আজকে আপনাদের আলোচনায় মেয়েদের আসল কাজ কি, তা নিয়ে কথা উঠেছে৷ তারা কি ঘরে বসে থাকবে? এমন প্রশ্ন উঠেছে৷ কোনো মেয়ে যদি তার স্বাধীন সিদ্ধানে ঘরে থাকতে চায়, তার সেটা করার অধিকার আছে৷ পুরুষের ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য৷ কিন্তু আল্লাহ কোথাও বলেন নাই যে, নারীদের ঘরে বসে থাকতে হবে , বাইরের কাজ নারীরা করতে পারবে না৷ বরং আল্লাহ মূল দায়িত্ব নারী-পুরুষের একই দিয়েছেন৷ সূরা ' তওবা' র ৭১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন যে, নারী পুরুষের দায়িত্ব ৬টি৷ আয়াতটি এরকম: মোমেন পুরুষ এবং মোমেন নারী একে অপরের অভিভাবক (ওয়ালী) , একে অপরের বন্ধু, একে অপরের সাহায্যকারী (এই আয়াত কোরআন শরীফের সর্বশেষ সূরাসম হের একটি৷ উল্লেখিত বিষয়ে আগে যে সকল আয়াত আছে সেগুলোকে এই আয়াতের আলোকে ব্যাখ্যা করতে হবে)৷ এই আয়াতে বলা হয়েছে যে, নারী পুরুষ একে অপরের অভিভাবক, গার্জিয়ান৷ অনেকে বলে যে, নারী গার্জিয়ান হতে পারে না৷ কিন্তু আল্লাহ বলেছেন, নারী গার্জিয়ান হতে পারবে৷ মূল কোরআনে এ ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য নেই৷ নারী-পুরুষের নির্ধারিত ৬টি ডিউটি হলোঃ
ক. তারা ভালো কাজের আদেশ দিবে৷
খ. মন্দ কাজের ব্যাপারে নিষেধ করবে৷
গ. উভয়ে নামাজ কায়েম করবে৷
ঘ. যাকাত দিবে৷
ঙ. আল্লাহকে মানবে৷
চ. রসুলকে মানবে৷
এসব কথার মাধ্যমে আল্লাহ নারীদের সকল ভাল কাজে অংশগ্রহণের কথা বলেছেন৷ এটাই ইসলামের নীতি৷ এ বিষয়ে আল্লাহ বলেছেন যে , যারা এই ৬টি দায়িত্ব পালন করবে তাদের ওপর আল্লাহ তায়ালা রহমত করবেন৷ কোরআনের বেশ কয়েকটি তফসির পড়ে এবং পবিত্র কোরআন ও সুন্নাতে রাসুলে পুরোপুরি বিশ্বাসী একজন মানুষ হিসেবে আমি বিশ্বাস করি যে, এই ছয়টি দায়িত্বের মধ্যে নারী পুরুষ সবাই সমান৷ রাজনীতি , সমাজসেবা ইত্যাদি সব কাজই এ ৬টির আওতায় পড়ে৷
আমার মনে হয় আমরা ইসলামের মূল জিনিস পরিত্যাগ করে ছোট-খাটো জিনিস নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি৷ মানুষের তৈরী বিভিন্ন কিতাবের ওপর নির্ভর করছি৷ আল্লাহর মূল কিতাবকে আমরা সেই তুলনায় গুরুত্ব দিচ্ছি বলে মনে হচ্ছে না৷ শেষে একটি কথা বলি , ইসলামকে যদি আপনারা অন্যের মাধ্যমে শেখেন , তবে আপনারা কখনোও মুক্তি পাবেন না৷ আপনাদেরকে কোরআনের পাঁচ-ছয়টি তাফসির নিজে পড়তে হবে৷ অনেকে অনুবাদের মধ্যে তাদের নিজেদের কথা ঢুকিয়ে দেয়৷ ফলে পাঁচ-ছয়টি বই পড়লে আপনারা বুঝতে পারবেন কোথায় মানুষের কথা ঢুকছে; আর আল্লাহর কথাটা কি৷ কয়েক রকম ব্যাখ্যা পড়লে আপনি ঠিক করতে পারবেন কোন ব্যাখ্যাটা ঠিক৷ মেয়েদের মধ্যে বড় তাফসিরকারক হয়নি৷ এটা মেয়েদের ব্যর্থতা , মেয়ে তাফসিরকারকদের থাকলে হয়তো gender bias হতো না৷ তবে কোরআন শরীফের কিছু তাফসীর আছে যেগুলো free from gender bias ; যেমন মোহাম্মদ আসাদের "দি ম্যাসেজ অব কোরআন"৷
লেখক সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সরকার
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর ২৩তম উজ্জীবক প্রশিক্ষণে দেয়া শাহ্ আব্দুল হান্নানের বক্তব্যের সংকলিত অংশ৷ 



প্রকাশ সূত্র : ইসলাম ডট নেট ডট বিডি

Tuesday, January 24, 2012

আমার কিছু কথা

†n Avgvi ¯^cœ...!

যখন Avwg স্বপ্ন দেখা fy‡j †MwQ, যখন আমি নিজেকে নিজের মাঝে আবদ্ধ করেছি ঠিক তখনই তুমি এলে Avgvi Rxe‡b। আমি জানতাম, Avgvi সাধনা কখনো বিফলে যায়না তাই তোমাকে cvIqvi Rb¨ †h †Kvb mvabv করতে দ্বিধা করি নি। hLbB Rxe‡bi me PvIhv cvIqv †_‡K wb‡R‡K চারদিক থেকে ¸wU‡q wb‡qwQ ঠিক তখbই তোমার উপস্থিতি আমার আকাশে। আমার নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলায় তোমার মায়া আমাকে মোহিত করেছে। আমি হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছি তোমাকে, আর... আমার ভালোবাসাকে।

তোমাকে আমি সম্পত্তি হিসেবে পেতে চাই না, কখনো চাইবোও না। তুমি আমার সেই সম্পদ যাকে আমি অর্জন করেছি। †h AR©b a‡i ivLvi Rb¨ AvgiY jovB K‡i hve| কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের ভোরে যখনই শিশিরে পা পড়ে, তখন তোমার অস্তিত্ব টের পাই আমি। বুঝতে পারি আমার ভেতরেই তোমার বসবাস। এ যেন অন্য এক আমি। মাঝে মাঝে তোমার অস্তিত্ব এতটাই প্রবল হয়ে পড়ে যে, মনে হয় আমি আর আমাতে নেই।

আমি সবসময় বাস্তববাদী কাউকে পাশে চেয়েছি। কখনো আবেগী মানুষগুলোর সংস্পর্শে নিজেকে দাঁড় করিয়ে দেখতাম। কিন্তু সে মোহ কেটে যেতো নিমিষেই। তুমিই সেই যার ব্যাপারে আমি কখনো দ্বিধায় ভুগি নি। কারণ আমি জানি, আমি কী চাই। সুখের ডানায় চড়ে রাজKb¨vi দেশে যাওয়ার স্বপ্ন আমার কখনোই ছিল না। আজো নেই। আমি ওদের মতো করে বাঁচতে চাই না। আমি আমার মতো করে বাঁচতে চাই। আমি সম্পত্তি চাই না, খ্যাতি চাই না, অনেক সুখ চাই না, অনেক টাকাও চাই না, আমি শুধু তোমাকে নিয়ে বাঁচতে চাই। আমার অর্জিত সম্পদ নিয়ে আমি আমার পৃথিবী রচনা করতে চাই। আমি তোমাকে মায়ায় ভোলাতে চাই না, মোহে জড়াতে চাই না, মন্ত্রের দানেও পেতে চাই না।তুমি যদি স্বেচ্ছায় আমাকে পেতে চাও তবেই তুমি আমার। আমি চাই না আবেগের বশে তুমি আমার কাছে আসো, আমাকে ভালোবাসো। আমি চাই তোমার সচেতন বিবেকের নির্মল ভালোবাসা যাতে তোমার কখনো মনে না হয় যে তুমি ভুল করেছো।

মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় কখন জানো? যখন সে নিজের কাছে অপরাধী হয়। আমি তোমাকে সে অবস্থায় দেখতে চাই না। তোমার সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎকে আমি মায়ার মোহে ঢেকে দিতে চাই না। যদি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করো, আমাকে তোমার দরকার তবেই আমার কাছে এসো। আমি অপেক্ষা করবো তোমার জন্য, তোমার আর আমার ভালোবাসার জন্য Avgvi Rxe‡bi †kl gyûZ¡© ch©š— ।

Avwg me mgq †Zvgv‡K GKUv K_v ewj AvR AveviI ej‡ZwQ Ó GB Rxe‡b hw` wb‡Ri Rb¨ wKQy PvB, ïay †Zvgv‡K PvBÓ gnvb Avj­vn ZvAvjvi Kv‡Q Avgvi GKUvB cÖv_©bv Avgvi PvIqvUv †hb wZwb cyiY K‡ib! Avwgb|

Avgvi wei“‡× GKUvB Awf‡hvM me mgq Ki Zzwg Avwg Avi Av‡Mi gZ †Zvgv‡K fvjevwm bv, Ae‡njv Kwi †Zvgv‡K| Zzwg Avgvi Kv‡Q GKUv †evSv| wek¦vm Ki ‡Kvbw`b Avgvi gv_vq GKevi GB wPš—v Av‡m bx †h †Zvgv‡K Qvov Avwg evPu‡Z cvie| Avgvi wKQy AcviMZvi Rb¨ ‡Zvgvi mv‡_ Ggb Ki‡ZwQ| †Zvgvi †Zv me Rvbvi K_v| ZzwgB †Zv Avgvi †cÖiYv Avgv‡K wKQyUv mgq `vI wc­R| A‡bK †ekx myL, Av`i Avi fvjevmv w`e †Zvgv‡K|

wek¦vm Ki ÓA‡bK †ekx fvjevwm †Zvgv‡KÓ| Rxe‡bi †kl gyû©Z¡ ch©š— fvj‡e‡m hve|

Saturday, January 21, 2012

পাথরের উপর অদ্ভুত শিল্পকর্ম || মরুভূমির জলদস্যু

সেই আদিকাল থেকে গুহা মানবেরা কর্কশ পাথরের উপরে আঁচড় কেটে নানা চিত্র তৈরি করেছে। তাদের আকা সেই সব অদ্ভুত ছবি এখনো রয়ে গেছে আমাদের সামনে তাদের সময়ের সাক্ষী হিসেবে। তারপর কেটে গেছে শতশত শতাব্দী-সহস্রাব্দ। মানা হাঁটিহাঁটি পা-পা করে আজ উঠে এসেছে সভ্যতার শিখরে। এখন আর তাদের চিত্র কর্মের জন্য ক্যানভাস হিসেবে পাথরকে বেছে নিতে হয়না। অতি উন্নতমানের কাগজে আঁকা হয় আরো উন্নত ছবি। আজকের এই আধুনিক যুগের এই সময়ে বসে কিছু কিছু লোক আবারো ক্যানভাস হিসেবে বেছে নিয়েছেন সেই পাথরকেই। পাথরে আকা সেই সব অদ্ভুত শিল্প কর্মই আজকের এই পোস্টের উপজীব। ১। ২। ৩। ৪। ৫। ৬। ৭। ৮। ৯। ১০। সিরিজের অন্যান্য পর্বগুলি : ১।অদ্ভুত পেনসিল সাপনার চিত্রকর্ম , ২।গাছের পাতায় অদ্ভুত শিল্পকর্ম, ৩।ডিমের খোসায় অদ্ভুত শিল্পকর্ম, ৪।অদ্ভুত বর্ণচিত্র, ৫।অদ্ভুত সাদা স্কসটেপ শিল্পকর্ম, ৬।অদ্ভুত বিস্কুট সিটি, ৭।গাছের পাতায় অদ্ভুত শিল্পকর্ম (২য় অংশ), ৮।অস্ত্রের তৈরি অদ্ভুত শিল্পকর্ম এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের মত এই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝি পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ।

Wednesday, January 18, 2012

তোমার চোখ এতো লাল কেন || নির্মলেন্দু গুণ

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরজা খুলে দেবার জন্য।
বাইরে থেকে দরজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত।

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ আমাকে খেতে দিক। আমি হাতপাখা নিয়ে
কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,
আমি জানি, এই ইলেকট্রিকের যুগ
নারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী -সেবার দায় থেকে।
আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক:
আমার জল লাগবে কি না, নুন লাগবে কি না,
পাটশাক ভাজার সংঙ্গে আরও একটা
তেলে ভাজা শুকনো মরিচ লাগবে কি না।
এঁটো বাসন, গেঞ্জি-রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি।

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরজা
খুলে দিক। কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক।
কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক: 'তোমার চোখ এতো লাল কেন?'

মানুষ এখন || শাহ আলম বাদশা

মানুষ এখন নেইতো মানুষ আর
হিংস্র পশুর মতোই হৃদয়হীন
চলার পথে মরলে কেউই, তার
চোখের কোনেও পাইনে জলের চিন্।

ভাতবিনে কেউ মরলে পথের পাশে
মানুষ এখন চায়না ফিরেও কভূ;
গরীব যখন খাবার চাইতে আসে
দয়ার উদয় হয় নাকো তার তবু?

চলতিপথে কাতরালে কেউ পড়ে---
মানুষ এখন হয়না দুঃখে কাতর
পাশ কেটে কয়, ’ওরা কী আর মরে’
মরতে দেখেও হয়না শোকে পাথর!

মানুষ এখন এই জগতের মাঝে
মানুষকে আর মানুষ ভাবছে নাযে?

Monday, January 16, 2012

ভয়ঙ্কর সুন্দর !!! মরুভূমির জলদস্যু

বিষাক্ত প্রাণী সাপ। সেই সাপেরও কি কোনো সৌন্দর্য থাকতে পারে? এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের মত এই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝি পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ।

Saturday, January 14, 2012

কুলি || কাজী নজরুল ইসলাম

দেখিনু সেদিন রেলে,
কুলি ব’লে এক বাবু সা’ব তারে ঠেলে দিলে নীচে ফেলে!
চোখ ফেটে এল জল,
এমনি ক’রে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?
যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ঐ বাষ্প-শকট চলে,
বাবু সা’ব এসে চড়িল তাহাতে, কুলিরা পড়িল তলে।
বেতন দিয়াছ?-চুপ রও যত মিথ্যাবাদীর দল!
কত পাই দিয়ে কুলিদের তুই কত ক্রোর পেলি বল্‌?
রাজপথে তব চলিছে মোটর, সাগরে জাহাজ চলে,
রেলপথে চলে বাষ্প-শকট, দেশ ছেয়ে গেল কলে,
বল ত এসব কাহাদের দান! তোমার অট্টালিকা
কার খুনে রাঙা?-ঠুলি খুলে দেখ, প্রতি হঁটে আছে লিখা।
তুমি জান না ক’, কিন- পথের প্রতি ধূলিকণা জানে,
ঐ পথ, ঐ জাহাজ, শকট, অট্টালিকার মানে!

আসিতেছে শুভদিন,
দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা শুধিতে হইবে ঋণ!
হাতুড়ি শাবল গাঁইতি চালায়ে ভাঙিল যারা পাহাড়,
পাহাড়-কাটা সে পথের দু’পাশে পড়িয়া যাদের হাড়,
তোমারে সেবিতে হইল যাহারা মজুর, মুটে ও কুলি,
তোমারে বহিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগাল ধূলি;
তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদেরি গান,
তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান!
তুমি শুয়ে র’বে তেতালার পরে আমরা রহিব নীচে,
অথচ তোমারে দেবতা বলিব, সে ভরসা আজ মিছে!
সিক্ত যাদের সারা দেহ-মন মাটির মমতা-রসে
এই ধরণীর তরণীর হাল রবে তাহাদেরি বশে!
তারি পদরজ অঞ্জলি করি’ মাথায় লইব তুলি’,
সকলের সাথে পথে চলি’ যার পায়ে লাগিয়াছে ধূলি!
আজ নিখিলের বেদনা -আর্ত পীড়িতের মাখি’ খুন,
লালে লাল হ’য়ে উদিছে নবীন প্রভাতের নবারুণ!
আজ হৃদয়ের জমা-ধরা যত কবাট ভাঙিয়া দাও,
রং-করা ঐ চামড়ার যত আবরণ খুলে নাও!
আকাশের আজ যত বায়ু আছে হইয়া জমাট নীল,
মাতামাতি ক’রে ঢুকুক্‌ এ বুকে, খুলে দাও যত খিল!
সকল আকাশ ভাঙিয়া পড়-ক আমাদের এই ঘরে,
মোদের মাথায় চন্দ্র সূর্য তারারা পড়-ক ঝ’রে।
সকল কালের সকল দেশের সকল মানুষ আসি’
এক মোহনায় দাঁড়াইয়া শোনো এক মিলনের বাঁশী।
একজনে দিলে ব্যথা-
সমান হইয়া বাজে সে বেদনা সকলের বুকে হেথা।
একের অসম্মান
নিখিল মানব-জাতির লজ্জা-সকলের অপমান!
মহা-মানবের মহা-বেদনার আজি মহা-উত্থান,
উর্ধ্বে হাসিছে ভগবান, নীচে কাঁপিতেছে শয়তান!

Friday, January 13, 2012

দেশের ক্ষুদ্রতম মসজিদ || নাজমুল ইমন

আজ থেকে প্রায় সাড়ে ৩০০ বছর আগের ঘটনা। এমন একটি মসজিদ তৈরি হবে যেখানে হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে পারবে। জানালা থাকবে না, দরজা থাকবে তবে ছোট আকৃতির। দেশের সবচেয়ে ছোট মসজিদ হবে সেটি।
বগুড়া জেলার প্রাচীনতম শহর সান্তাহার। সেই সান্তাহার থেকে ৩ কিলোমিটার ভেতরে একটি গ্রাম, তারাপুর। সকাল সকাল আমরা বের হলাম সেই গ্রামের উদ্দেশে। আঁকাবাঁকা রাস্তার দুই ধারে প্রচুর গাছ। গ্রামে ঢুকতেই কেমন জানি মনটা ভরে গেল। মাটির বাড়ি সারিসারি এক তলা, দুই তলা। বেশ কয়েকটা বাড়ি পেরিয়ে পেঁৗছে গেলাম একটা প্রাইমারি স্কুলে। সেখানে সবাইকে এ মসজিদের কথা বলতেই আমাদের এর ঠিকানা বলে দিলেন। শুরু হলো মাটির রাস্তা। গ্রামের যে এত সৌন্দর্য তা তারাপুর গ্রাম দেখলেই বোঝা যাবে। আমরা কয়েক মিনিটের মধ্যে পেঁৗছে গেলাম আমাদের লক্ষ্যস্থান সেই ক্ষুদ্র মসজিদের কাছে।
সুনসান জায়গা। দেড়শ' বছরের অধিক সময় ধরে এই মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ হয়ে আছে। কারা, কেন এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন এ নিয়ে বর্তমান গ্রামবাসীর মধ্যে অনেক মতবিরোধ আছে। আমরা সবার কথার গুরুত্ব দেই। সেখানে যেহেতু এই মসজিদের কোনো ইতিহাস নেই, সেহেতু এ মসজিদটির যে দুই-চারটে কথিত ইতিহাস আছে হয়তো এর মধ্যেই একটি ইতিহাস আছে যেটি সত্য। তাই আমরা আশপাশে থাকা বয়স্ক, যুবক, তরুণ সব ধরনের মানুষের কাছ থেকেই মসজিদ সম্পর্কে জানতে চাই।
তরুণ আরিফুল ইসলাম জনি বললেন, সান্তাহারের ছাতিয়ান গ্রাম ইউনিয়নের রানী ভবানীর বাবার বাড়ি। সান্তাহারের আশপাশসহ আমাদের তারাপুরও রানী ভবানীর বাবার রাজ্যত্ব ছিল। তারই অংশ হিসেবে রানী ভবানীর আসা-যাওয়া ছিল এ গ্রামে। একজন মুসলমান মহিলা এই গ্রামে ছিলেন, যিনি পরহেজগার। হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা হওয়ার কারণে ওই মহিলার নামাজ পড়ার অনেক অসুবিধা হতো। রানী ভবানী এমন কথা জানতে পেরে তিনি নিজেই এই গ্রামে চলে আসেন আর সেই মহিলাকে যেন কেউ তার নামাজ পড়াতে অসুবিধা না করতে পারে, সে জন্য তার পেয়াদারদের হুকুম দেন_ তার জন্য রাজকীয় নকশায় একটি মসজিদ তৈরি করে দেওয়া হোক। এভাবেই এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। তবে এটাও তার দাদার মুখ থেকে শোনা। দাদা আবার শুনেছেন তার দাদার কাছে।
এক পর্যায়ে আমরা এ মসজিদটি মেপে দেখি। লম্বায় এই মসজিদের উচ্চতা ১৫ ফুট আর প্রস্থ ৮ ফুট, দৈর্ঘ্য ৮ ফুট। মসজিদের দরজার উচ্চতা ৪ ফুট আর চওড়া দেড় ফুট। একটি মানুষ অনায়াসে সেখানে ঢুকতে বা বের হতে পারবে। একটি গম্বুজ আছে যেটা অনেকটাই উঁচুতে। আর দেয়ালের পুরুত্ব দেড় ফুট। এ ছাড়া দেয়ালটি ইটের তৈরি। যে ইটগুলো মসজিদের দেয়ালে ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোর সবটার অর্ধেক ভাঙা। মসজিদের দরজায় দুটি রাজকীয় নির্দেশনার আদলে নির্মিত খিলান আছে। মুসলিম স্থাপত্যের নিদর্শন সংবলিত মিনার, দরজার খিলান এবং মেহরাবই মসজিদটির প্রাচীন ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে আছে।
আসলে এটি এত পুরনো আর সংস্করণের অভাবে এটির যে অবস্থা, মসজিদটি দেখার পরও তেমনভাবে বিশেষ চিহ্ন বা নিদর্শন চোখে পড়ে না। এমন একটি নিদর্শন আমাদের সংরক্ষণ করা এখনই দরকার।

সূত্র : সমকাল

ভাবুক ছেলে || অদ্বৈত মারুত

ও বাছাধন তোর কাঁচা মন
চিনতে পারিস গাছ?
তুই কি জানিস জলে থাকে
হরেক রকম মাছ?

জানবি না ক্যান, মনটা যে তোর
রঙমাখা আকাশ
ফুলগুলো সব ফুটলে আহা
চোখ মেলে তাকাস।

শিশিরভেজা ঘাসের বনে
হাঁটতে পারিস তুই?
তোর মনের ওই রঙ-আকাশে
ভাবছি গিয়ে শুই।

সবই পারিস, জিতিস হারিস
খুঁজিস কাশের বন
ভাবের দেশে ঘুরে খোকা
ফেরাস পাঠে মন।

সূত্র : সমকাল

Tuesday, January 10, 2012

বদরুদ্দীন উমর নতুন ও সাহসী চিন্তার লড়াকু পুরোধা || হাসান শান্তনু

কাল মার্কস বলেছিলেন, ‘এতদিন দার্শনিকেরা শুধু জগেক নানাভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, কিন্তু আসল কাজ হলো তাকে পরিবর্তন করা।’ মার্কসের চিন্তা-ভাবনার প্রচারক ও প্রয়োগপ্রয়াসী বদরুদ্দীন উমর তাঁর আত্মজীবনীতে বলেছেন, ‘জীবনের কোনো অভিজ্ঞতাকে আমি ফেলে দিইনি। প্রত্যেক অভিজ্ঞতা আমার চিন্তা, চেতনা, উপলব্ধিকে সমৃদ্ধ করেছে। আমি জীবনে দ্রুত পরিবর্তিত হইনি। আমার মধ্যে পরিবর্তন এসেছে ধীরে ধীরে। মনে হয় পরিবর্তনের এই ধীর গতিই আমার চিন্তা-চেতনার ভিত্তি মজবুত করেছে।’
যাঁর জীবনে বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ আর মানুষের মুক্তির রাজনীতির মধ্যে কোনো প্রাচীর নেই, বরং একটি অন্যটির সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য—তিনি বদরুদ্দীন উমর।
বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মধ্য দিয়ে সমাজের বিপ্লবী রূপান্তরের রাজনৈতিক সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন জীবনভর। মার্কসের শ্রেণীসংগ্রামের চিন্তা নিয়ে পার করছেন জীবনের সব দিন। এটাই তাঁর জীবনের অন্যতম দিক। তিনি জানতেন, এ গন্তব্য বন্ধুর ও বিরুদ্ধ। তবে বিশ্বাস করতেন, মেহনতি মানুষ পরিবর্তন চায়। প্রতিভার কাজ এ চাওয়াকে সুসংগঠিত করা। লেনিন যেমন করেছিলেন রাশিয়ায়, মাও করেছিলেন চীনে, ফিদেল ক্যাস্ট্রো করেছিলেন কিউবায়। শোষণ-নিপীড়ন, বৈষম্য, ফ্যাসিবাদ, সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যের বিরুদ্ধে বদরুদ্দীন উমরের ক্ষুরধার লেখা সমাজ-অধিপতিদের চিন্তাকে বিরতিহীনভাবে মোকাবিলা করে আসছে সেই ষাটের দশক থেকে। তিনি উপমহাদেশে বাংলা ভাষায় মার্কসবাদী সাহিত্য উপস্থিত করার অগ্রণী ব্যক্তিত্ব। ইংরেজিতে পূর্ব পাকিস্তানের শ্রেণীসংগ্রাম আর বাংলাদেশের অভ্যুদয়সহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন উপমহাদেশ তথা বিশ্বের কাছে। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম সেরা কলামিস্ট।
ষাটের দশকে তাঁর অনেক লেখা বাঙালি মুসলমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ দেখিয়েছিল। বাঙালি মুসলমান মধ্যবিত্ত সমাজ, শিক্ষিতদের সক্ষম করে তোলে আত্মপরিচয় প্রসঙ্গে আত্মোপলব্ধিতে। স্বাধীন বাংলাদেশেও তিনি নতুন ও সাহসী চিন্তার পুরোধা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পরে অসংখ্য কিশোর-তরুণের মধ্যে নতুন দেশ প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন ক্রমে ক্রমে ভাঙছিল, যারা নতুন পথ অনুসন্ধান করছিলেন, তাঁর চিন্তা ও সক্রিয়তা সেই তারুণ্যকে দেয় নতুন পথের সন্ধান। তিনি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের একজন। একজন রাজনৈতিক সমালোচকও। দেশ-বিদেশের দৈনিকগুলোতে সাহসী কলাম লিখে অর্জন করেছেন ভিন্নমতাবলম্বী বুদ্ধিজীবীর বিরল সম্মান।
ষাট ও সত্তরের দশকে তিনি এদেশের তরুণ সমাজকে নাড়া দেন ‘সাম্প্রদায়িকতা’ ও ‘সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা’ বই দু’টির মাধ্যমে। তার ‘পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তত্কালীন রাজনীতি’ বইটি শুধু ভাষা আন্দোলন নয়, সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত অনুসন্ধানে শ্রেষ্ঠতম গবেষণা। আহমদ ছফা বইটি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আর কিছু দরকার নেই, উমর যদি জীবনে আর কিছু নাও করতেন, তবুও এ বইয়ের জন্যই তিনি বাঙালি সমাজে চিরস্মরণীয় থাকবেন।’ তবে এরপর তিনি আরও অনেক কাজ করেছেন। এখনও করছেন। তাঁর লেখা ‘বাঙালী মুসলমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ বইটি ভাষা আন্দোলনের ওপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা। দুই খণ্ডে লেখা হয় তার ‘ইমারজেন্স অব বাংলাদেশ’ বইটি দেশের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস। দেশের ইতিহাস নিয়ে এ পর্যন্ত বেশিরভাগ বই লেখা সংকীর্ণ ও দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে, যা পক্ষপাত দোষে দুষ্ট, যার বেশিরভাগই লেখা হয়েছে উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কৃতিত্বকে বড় করে দেখে। বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস সেখানে ভিন্ন। তিনি লিখেছেন সত্যনিষ্ঠ সতর্কতার সঙ্গে। এ ইতিহাসবিদের লেখায় গুরুত্ব পেয়েছে শ্রেণী সম্পর্ক। মার্কস যেমনটা বলেছিলেন, ‘মানবসভ্যতার ইতিহাস হলো মূলত শ্রেণীসংগ্রামের ইতিহাস।’ বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন রকমের ব্যাপক মাত্রায় প্রাথমিক উত্স ব্যবহার, যা তাঁর ইতিহাসকে করেছে গ্রহণযোগ্য, সত্যনিষ্ঠ, সমৃদ্ধ। ‘ইমারজেন্স অব বাংলাদেশ’ বইটির প্রথম খণ্ডে চল্লিশটি অধ্যায়ে অছে ১৯৪৭ থেকে ’৫৮, আর দ্বিতীয় খণ্ডের ৫৯টি অধ্যায়ে আছে ’৫৪ থেকে ’৭১ সালের ইতিহাস।
ষাটের দশকে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লিখে তিনি পড়েন আইয়ুব-মোনেম সরকারের রোষানলে। তখন উপলব্ধি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত থেকে বেশি দূর কাজ করা অসম্ভব। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় রক্তচক্ষু থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার প্রত্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে দেন ’৬৮ সালে। যুক্ত হন সক্রিয় রাজনীতিতে। পরে সুযোগ, আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষকতা বা অন্য কোনো পেশায় না গিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের ইতিহাস অনুসন্ধান আর এর ওপর দাঁড়িয়ে নতুন ভবিষ্যত্ নির্মাণে রাজনৈতিক ভূমিকা পালনে আজীবন একনিষ্ঠ আত্মনিয়োগ করেছেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পর তিনি এদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনকে ফের সংগঠিত করা আর সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য মাসিক ‘সংস্কৃতি’ পত্রিকা প্রকাশ করেন। ‘লেখক শিবির’-এরও নেতৃত্ব দেন। ‘সংস্কৃতি’ প্রথম প্রকাশিত হয় ’৭৪ সালে। কয়েক সংখ্যা প্রকাশের পরই জরুরি অবস্থা ও সব পত্রিকা নিষিদ্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের ফলে ‘সংস্কৃতি’ বন্ধ হয়ে যায় ’৭৪ সালের ডিসেম্বরে। ’৮১ সালে আবারও প্রকাশনা শুরু হয়। তাঁর আরও লেখা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারের রোষানলে পড়ে। আশির দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নসহ পূর্ব ইউরোপের সমাজতন্ত্রের তথাকথিত পরাজয় আর পুঁজিবাদের পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর গোটা বিশ্বের মতো এদেশের বামপন্থী মহলেও চরম হতাশা ও মার্কসবাদের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ওই সময়ে বদরুদ্দীন উমরের তীক্ষষ্ট ও বিশ্লেষণধর্মী লেখা সেই হতাশাজনক পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। ’৬৯ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টিতে (এমএল) যোগ দেয়ার সময় পূর্ব পাকিস্তানজুড়ে চলছিল গণআন্দোলন। ওই সময় তাঁর লেখা আন্দোলনের গতিকে আরও তীব্র করে। তত্ত্বের তীক্ষষ্ট বিশ্লেষণ আর বাস্তব অবস্থাকে সমাজতান্ত্রিক সংগ্রামের ভেতর দিয়ে এগিয়ে নেয়ার প্রয়াস তাঁর পুরো রাজনৈতিক জীবনে প্রতিফলিত হতে দেখা যায়। এ প্রয়াস থেকে তিনি বর্তমানে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি।
যে রাষ্ট্রে ক্ষুদ্র, তরল লোকজন সমাজের মাথা হিসেবে বিবেচিত হন, যে সমাজে খলনায়কেরা নায়কের মর্যাদা পান, সেখানে বদরুদ্দীন উমরের মতো পণ্ডিত ও বিপ্লবী তাত্ত্বিকের মূল্যায়ন হবে কতখানি? কমিশন কিংবা ক্ষমতায় থাকার সমর্থনের বিনিময়ে যে রাষ্ট্রে সাম্রাজ্যবাদের অবস্থান পাকাপোক্ত হয় আর সুবিধাবাদীদের সহাবস্থান ঘটে, সেখানে কোনো সংবেদনশীল, মননশীল, দায়িত্বশীল মানুষ ক্রোধ থেকে মুক্ত থাকতে পারেন? প্রগতি চিন্তা ও রাজনীতির প্রবল শক্তিকে এখনও আটকে রেখেছে সুবিধাবাদিতা, লেজুড়বৃত্তি, দেউলিয়াত্বের পুরনো বৃত্ত। বদরুদ্দীন উমরের মতো ব্যক্তিদের এরকম সমাজে অস্বস্তির কারণ হওয়ারই কথা। তবে তিনি সফল। কেননা তিনি হার মানেননি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই উক্তির বাস্তবতা আছে তার জীবনে, ‘তোমরা কমিউনিস্টরা ভুল করো না। ...সাম্রাজ্যবাদ বিশ্বাসঘাতকতা করবেই।’ পরাজয়, আত্মসমর্পণ আর দাসত্বের শৃঙ্খল প্রত্যাখ্যান করার শক্তিই সংগ্রাম এগিয়ে নেয়ার পূর্বশর্ত। গভীর তৃপ্তি আর প্রবল অহঙ্কার নিয়ে বদরুদ্দীন উমর আজ বলতে পারছেন, তিনি আজীবন বিরামহীনভাবে এ শক্তি নিয়ে কাজ করেছেন। যথাসাধ্য ভূমিকা পালনে দ্বিধা, ক্লান্তি ছিল না। জাতীয় দুর্দিনে দুর্বৃত্ত সরকারি নীতি ও অবস্থার বিরুদ্ধে কখনোই কথা বলতে ছাড়েননি।
তিনি ইতিহাসের গৌরবময় দু’টি অধ্যায় ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামী পুরুষ। ভাষা আন্দোলনের একেবারে চরম মুহূর্ত থেকে পরিণতি পর্যন্ত সব লড়াইয়ের মধ্যে তিনি কাজ করেছেন। আন্দোলনকে তিনি বেগবান করেছিলেন ‘আমাদের ভাষার লড়াই’ শিরোনামে পুস্তিকা লিখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ভাষা আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র। তিনি তখন ছিলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা ছাত্র। ছাত্র আন্দোলনের সব মিছিল-সভায় তিনি উপস্থিত থাকতেন। সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি তাঁর ‘আমাদের ভাষার লড়াই’র দশ হাজার কপি ছাপিয়ে প্রচার করেছিল।
বদরুদ্দীন উমর জীবনভর প্রচারবিমুখ থেকেছেন। পুরস্কার, পদবি, সামাজিক শান-শওকত, অর্থবিত্তকে পরোয়া করেননি। এ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় বা সরকারি-বেসরকারি কোনো ধরনের পুরস্কার তিনি নেননি। ’৭২ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার দেয়া হলেও প্রত্যাখ্যান করেন। ’৭৪ সালে তিনি প্রত্যাখ্যান করেন ইতিহাস পরিষদ পুরস্কার। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে একুশে পদক দেয়ার কথা বলা হলে ওই সময়ও তিনি তা নিতে রাজি হননি। এ প্রসঙ্গে তাঁর অভিমত, ‘পুরস্কারের আশায় আমি লিখি না। কারো দ্বারা আমার পুরস্কৃত হওয়ার প্রয়োজন নেই।’
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় ১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর তাঁর জন্ম। বাবা আবুল হাশিম ব্রিটিশ ভারতের বঙ্গীয় মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি সর্বভারতীয় রাজনীতিতেও জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। বদরুদ্দীন উমর ’৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন শাস্ত্রে এমএ পাস করেন। ’৫৬ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, ১৯৫৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেন। ’৬১ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার কর্মজীবন শুরু করেন। ’৬৩ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠা তাঁর মাধ্যমে হয়। সেখানে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ও সমাজকর্ম বিভাগ চালুতে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। ’৬৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তিনি ‘সোশ্যাল ওয়ার্ক কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রবন্ধ ও গবেষণা মিলিয়ে বাংলা-ইংরেজি ভাষায় লেখা তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় পঁচাশি। এর মধ্যে ‘সংস্কৃতির সংকট’, ‘পূর্ববাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তত্কালীন রাজনীতি’, ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত : বাঙলাদেশের কৃষক’, ‘বাঙলাদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের সমস্যা’, ‘যুদ্ধোত্তর বাঙলাদেশ’, ‘ভাষা আন্দোলন ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’, ‘বাঙলাদেশে মার্কসবাদ’, ‘বাঙলাদেশে বুর্জোয়া রাজনীতির চালচিত্র’, ‘ভারতীয় জাতীয় আন্দোলন’, ‘মার্কসীয় দর্শন ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’, ‘বাঙলাদেশের কৃষক ও কৃষক আন্দোলন’, বাঙলাদেশে ফ্যাসিবাদ’, ‘আমার জীবন’, ‘Politics and Society in East Pakistan and Bangladesh’, ‘Society and Politics in Pakistan’, ‘Towards the Emergency in Bangladesh’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

সূত্র : আমার দেশ

প্রান্তিক || মনসুর হেলাল

উপেক্ষার নিস্পৃহ তর্জনী
যদি উদ্ধত করো : তবে নির্ঘাত নিষম্ফলা যাবে
সমস্ত কর্ষণ।

শস্যের সপক্ষে থেকে
আমি কিন্তু খুঁজে নেবো মৃত্তিকার ঘ্রাণ।
সুবীর্য উত্থিত হবো উদ্ভিদের বিনম্র প্রণয়ে
প্রেম ও প্রকৃতির নিরঙ্কুশ ঐক্যে
প্রজ্ঞায়িত হবো
উষ্ণায়নে রুক্ষ শুষ্ক মাটির গভীরে।

উপেক্ষার নিস্পৃহ তর্জনী
যদি উদ্ধত করো তবে প্রতিটি প্রান্তিকে তুমি
ভীষণ বিব্রত হবে।
মাটির চাতুর্য আর ফসলের হানাহানি
দারুণ ভোগাবে তোকে
এবং তোমাকে।

সূত্র : আমার দেশ

একজন ক্রীতদাস ও একটি গাধার কাহিনী || শফিক আলম মেহেদী

আজকাল প্রায়শ এমন হয়
আমি আমার মাথা খুঁজে পাই না
মেরুদণ্ড, সে এখন দূর অতীতের স্মৃতি!
সতত প্রশ্ন জাগে, জন্মলগ্নে
আমি কি স্বাভাবিক মানব শিশু ছিলাম
নাকি মাথা ও মেরুদণ্ডহীন
সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী
ক্ষুধা ভিন্ন অন্য কোনো অনুভূতি
যাদের স্পর্শ করে না?

যদ্দূর মনে পড়ে
আমি মানুষ হয়েই জন্মেছিলাম
একদিন হিমালয়ের চূড়া
কাঞ্চনজঙ্ঘার সুউচ্চ শৃঙ্গ
অসীম আকাশ অতল সমুদ্রদেশ
এসব আমার নাগালের মধ্যে ছিল
আমি তখন মানুষ ছিলাম!

দারিদ্র্য দৈন্য বৈরী ভাগ্য
অথবা মধ্যবিত্তের দোদুল্যমানতা
আমার পিতা-মাতাকে
সম্ভ্রান্ত মানুষ করার কঠিন অঙ্গীকার থেকে
একচুল বিচ্যুত করতে পারেনি
তারা তাদের সন্তানের জন্য
পা-চাটা গোলামের
রাজসুখ নয়
উদয়াস্ত খেটে খাওয়া
শ্রমিক কৃষক অথবা ধীবরের
অবাধ উন্মুক্ত জীবন চেয়েছিলেন
হায় আমার দুর্ভাগ্য জনক-জননী
আমি আপনাদের যুগল স্বপ্নের
রূপকার হতে পারলাম না
আমার ব্যর্থতা ক্ষমা করবেন
অভিজ্ঞতায় জেনেছি
মানুষের ভেতর যুগপত্ বাস করে
একজন চক্ষুষ্মান মানুষ
এবং
একজন অন্ধ অচেতন ক্রীতদাস
একটি সাহসী সিংহ
এবং
একটি ভীরু অসহায় গাধা
আমরা যাকে
আধুনিক শিক্ষা উঁচু পেশা
অথবা সম্ভ্রান্ত জীবনযাপন বলি
তা মানুষের ভেতরের অন্তর্লীন মানুষকে
ক্রমান্বয়ে গ্রাস করে
গোপনে বেড়ে ওঠে ক্রীতদাস
একমাত্র ও প্রবল
এক সময় সিংহটি হেরে যায় গাধার কাছে
অবিশ্বাস্য অদ্ভুত নিয়মে
আমি এখন একজন
নিপুণ ক্রীতদাস উত্কৃষ্ট গাধা
সরল অর্থে সফল আমলা!
এখন আমার মাথা নেই
মেরুদণ্ড নেই
বুকে ভর করে চলা প্রাণীর মতো
দিনগত পাপক্ষয়ে টিকে আছি
মানুষের মতো বেঁচে নেই!

আমাকে দেখে এখন
পাখিরা মুখ ফেরায়
ফুল ঝরে পড়ে
নদী ভোলে উত্সমুখ
হায়রে জীবন
একটাই জীবন
তুই আমার হাতছাড়া হয়ে গেলি!

প্রয়োজনীয় ও মজার কয়েকটি সাইট

এ মুহূর্তে ঢাকার সময় যদি বিকাল সাড়ে পাঁচটা হয় তাহলে লন্ডনের সময় কত? জোহোনেসবার্গে যদি সন্ধ্যা ছয়টা বাজে তাহলে ওয়াশিংটন ডিসিতে কত? বিভিন্ন সময় এ রকমের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা আমাদের প্রয়োজন হতে পারে। আর তখন যদি ইন্টারনেট সংযোগসহ একটি কম্পিউটার সামনে থাকে তাহলে গোটা বিশ্বের চলতি সময় জানার জন্য কষ্ট করতে হবে না।
এসবের জন্য চলে যেতে হবে অসাধারণ ওয়েবসাইট টাইমটিকারে। সেখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে পৃথিবীর একটি মানচিত্র। সেই মানচিত্রে আমার দরকারি জায়গাটায় মাউস কার্সর রাখলেই ওই নির্দিষ্ট টাইম জোনে ক’টা বাজছে তা জেনে নেয়া যাবে। এছাড়া নিচে সাজানো আছে বিভিন্ন দেশ ও শহরের নাম। তার কোনো একটিকে সিলেক্ট করলেই সঙ্গে সঙ্গে বড় অক্ষরে লিখে জানানো হবে এখন ওখানে ক’টা বাজে। তাহলেই বাংলাদেশের সময়ের সঙ্গে সে এলাকার সময়ের তুলনা করতে পারবেন আপনি। ওয়েবসাইট ঠিকানা : http://www.timeticker.com আমরা সবাই জানি ইন্টারনেটে ফ্রি জিনিসের অভাব হয় না। নানা কাজে ইন্টারনেটের কাছে হাত পাতলেই ফ্রি তথ্য, ফ্রি উপদেশ, ফ্রি সফটওয়্যার বা ফ্রি বুদ্ধির অভাব হবে না।

বিমটোনস : মোবাইলের রিংটোন বানান এবং ডাউনলোড করুন
অনলাইনে মোবাইল ফোনের জন্য সুন্দর সুন্দর রিংটোন তৈরি করা এবং তারপর সেগুলো নিজের মোবাইল ফোনে ডাউনলোড করার সুযোগ করে দেয় এই অসাধারণ ওয়েবসাইটটি। এখানে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের নাম পাবেন ড্রপ ডাউন বক্সের মধ্যে। তারপর কিবোর্ড বা মাউসের মাধ্যমে এসব বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নিজের পছন্দমত টিউন তৈরি করে ফেলুন। নিজেই হয়ে যান আজকের বিটোভেন বা মোজার্ট। যত খুশি রিংটোন বানান, নিজে ডাউনলোড করুন, বন্ধুদের উপহার দিন, সবই একই ওয়েবসাইট থেকে।
ওয়েব ঠিকানা : http://www.bimtones.com

আর্জ-মি : দরকারি কাজের কথা মনে করিয়ে দেবে
আজকের ব্যস্ত জীবনে হাজারও ঝামেলার ভিড়ে অনেক দরকারি কাজের কথাই আমরা ভুলে যাই। আর্জ-মি সাইটের কাজ হচ্ছে যাতে দরকারি কাজ ভুলে গিয়ে একটা দুর্ঘটনা পাকিয়ে না ফেলি সেটি নিশ্চিত করা। দরকারি বিভিন্ন কাজের জন্য আপনাকে ই-মেইলের মাধ্যমে রিমাইন্ডার দেবে এই সাইট। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, যে কাজের কথা আপনাকে মনে করিয়ে দিতে হবে সেটির নাম এই সাইটে প্রবেশ করানো, একটা ডেডলাইন ঠিক করে দেয়া এবং তারপর ঙশধু বাটনে ক্লিক করা। ব্যস, আর আপনাকে কিছুই করতে হবে না। ওই ডেডলাইন অনুসারে আপনাকে ই-মেইল পাঠানোর মাধ্যমে দরকারি সেই কাজের কথা মনে করিয়ে দেবে আর্জ-মি নামের এই সাইট।
ঠিকানা : http://www.urge-me.com

হুইসপার : নিজের ই-মেইল ঠিকানা লুকিয়ে রাখতে
নিজেদের ই-মেইল অ্যাড্রেস নিয়ে আমাদের প্রায়ই বিব্রত হতে হয়। আমরা চাই না, তবু নানা জায়গায় নিজের ই-মেইল ঠিকানা দিতে হয়। ব্যস, আর যায় কোথায়! ঝাঁকে ঝাঁকে অবাঞ্ছিত মেইল এসে ইনবক্সে হানা দেয়। মেইল চেক করার কাজটিকেই করে তোলে ভোগান্তির নামান্তর। যারা নিজের ই-মেইল ঠিকানা খুব বেশি মানুষের মধ্যে ছড়াতে চান না তাদের জন্যই এই ওয়েবসাইট : হুইসপার। এটি আপনার ই-মেইল ঠিকানাকে লুকিয়ে রেখে যারা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চায় তাদের দেবে একটি ছোট ফরম। এই ফরম পূরণ করেই তারা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। ফলে অনলাইনে যেখানে খুশি আপনি আপনার ই-মেইল ঠিকানা দিয়ে বেড়াতে পারেন, স্প্যাম মেইলের শিকার হওয়ার ভয় না করেই!
ওয়েব ঠিকানা : http://whspr.me

সূত্র : আমার দেশ
লেখক : এম. হারুন অর রশিদ

Monday, January 9, 2012

সচিত্র বাংলাদেশ পুলিশ র‍্যাংক || মরুভূমির জলদস্যু

বাংলাদেশ পুলিশ সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নাই, নতুন কিছু বললতেও আমি চাচ্ছি না। বাংলাদেশ পুলিশের চরিত্র বা তাদের পক্ষপাতিত্ব অথবা তাদের কর্মদক্ষতা আলোচনা এই পোস্টের উদ্দেশ নয়। তবে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের রেংকগুলি আমাদের জানা থাকা উচিত। আমি কিছু কিছু জানতাম, তবে মনে রাখতে পারি না। আপনারা অনেকই হয়তো জানেন, আবার মনেও রাখতে পারেন। তাই যারা পুলিশের রেংক গুলি জানেন না তাদের জন্য এই পোস্ট ছবি সহ।

বাংলাদেশ পুলিশের পতাকা

পুলিশের ইংরেজি বানান “POLICE” আমরা সকলেই জানি। আর এই POLICE এর ফুল ফর্ম হচ্ছে –
P—-Polite
O—-Obedient
L—-Loyal
I—-Intelligent
C—-Courageous
E—-Eager to help
তবে বাংলাদেশ পুলিশের ক্ষেত্রে আনেকেই উপরের এই ফুল ফর্মটি পছন্দ না করে নিচেরটিকেই বেশি মানানসই মনে করেন।
P—-Powerless
O—-Official Criminal
L—-Loafer
I—-Illegal
C—-Corrupt
E—-Effete
তা যাইহোক, এই সমস্ত আলোচনার কোনো দরকার আমাদের নেই। তবে এতটুকু বলতে পারি এখনো নিশ্চয়ই সৎ পুলিশ অফিসার আমাদের বাংলাদেশে রয়েছে। আগামীতে সমস্ত পুলিশ বাহিনীই হবে যোগ্য, সৎ আর সুদক্ষ এটাই সবাই কামনা করি।

বাংলাদেশ পুলিশের লোগো


বাংলাদেশ পুলিশ তাদের ইউনিফর্মে কাপড়ের এই লোগটি ব্যবহার করে।

নিচে দেখুন বাংলাদেশ পুলিশের রেংকের নাম ও তাদের প্রতীক।
০১। IGP বা IGP

Inspector General of Police (IGP)

০২। Add .IG বা Add .IGP

Additional Inspector General of Police (Add. IGP)

০৩। DIG

Deputy Inspector General (DIG)

০৪। ADIG

Additional Deputy Inspector General (Add. DIG)

০৫। SP

Superintendent of Police (SP)

০৬। ASP

Additional Superintendent of Police (ASP)

০৭। Senior ASP

Senior Assistant Superintendent of Police (Senior ASP)

০৮। ASP

Assistant Superintendent of Police (ASP)

০৯। Inspector

Inspector

১০। Sergeant

Sergeant

১১। SI

Sub-Inspector (SI)

১২। ASI

Assisitant of Inspector (ASI)

১৩। Head Constable

(Armed Branch)

১৪। Head Constable

(Unarmed Branch)

১৫। Naik

Naik

১৬। Constable

Constable

বাংলাদেশ পুলিশ
উইকি

এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের মত এই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝি পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ।

নির্বাচিত বিষয়গুলো দেখুন

Labels

মাসের পঠিত শীর্ষ দশ

 

জোনাকী | অনলাইন লাইব্রেরী © ২০১১ || টেমপ্লেট তৈরি করেছেন জোনাকী টিম || ডিজাইন ও অনলাইন সম্পাদক জহির রহমান || জোনাকী সম্পর্কে পড়ুন || জোনাকীতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ