প্রিয় পাঠক লক্ষ্য করুন

Saturday, September 17, 2011

হাসুন প্রাণ খুলে ( কৌতুক )


  •  মালিক : আচ্ছা, দোকানে যে পচা ঘি ছিল সেটা কে কিনেছে?
কর্মচারী : শফিক সাহেব।
মালিক : পচা আটা, পচা ডিম আর মেয়াদোত্তীর্ণ নকল সেমাই?
কর্মচারী : সেগুলিও শফিক সাহেবই নিয়েছেন।
মালিক : এ্যাঁ!!
কর্মচারী : কেন! কী হয়েছে?
মালিক : তুই করেছিস কী? আরে, আজ তো শফিক সাহেবের বাসাতেই আমার দাওয়াত!!
  • বিমান চলছে। হঠাৎ করে হুড়মুড় করে এক পেসেঞ্জার প্লেনের চালকের ঘরে ঢুকে পড়লো। চালকতো অবাক। চালককে আরোও অবাক করে দিয়ে লোকটা চালকের হেডফোনটাকে ছিনিয়ে নিল।
তারপর লোকটা বলল, "হারামজাদা! টাকা দেব আমরা আর তুমি এইখানে বইসা কানে হেডফোন লাগাইয়া গান শুনবা না?
  •   রেলগাড়ির কামরায় উঠল এক বাংলাদেশি। তার সঙ্গে বিশাল বোঝা। বোঝাটা ওঠানোর দরকার ওপরের তাকে।
কিন্তু তার গায়ে জোর কম, সে কিছুতেই নিজের ঘাড়ের ওপর বোঝাটা তুলতে পারছে না।
এগিয়ে এল এক পাকিস্তানি। বোঝাটা এক ঝটকায় তুলে দিল তাকের ওপর।
তারপর বাংলাদেশিকে বলল, ‘রুটি খাও, গায়ে জোর হবে।’
বাংলাদেশি খানিক পর রেলগাড়ির চেইন টানার চেষ্টা করতে লাগল।
কিন্তু তার ভাবখানা এমন, কিছুতেই সে চেইন টেনে জুত করতে পারছে না।
তার সাহায্যে এগিয়ে এল পাকিস্তানিটি। চলন্ত ট্রেনের চেইনটা টেনে দিল সে এবং আবারও বলল, ‘রুটি খাও, গায়ে বল হবে।’
ততক্ষণে রেলপুলিশ এসে হাজির। ‘কে চেইন টেনেছে? দাও, ২০০ টাকা জরিমানা।’
বেচারা পাকিস্তানি অর্থদণ্ড দিতে বাধ্য হলো। তখন বাংলাদেশি বলল,
‘ভাত খাও, বুদ্ধি হবে।
  • স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাক্ বিতন্ডা হওয়ার পর এক বন্ধু এসেছে আরেক বন্ধুর কাছে।
প্রথম বন্ধুঃ দোস্ত বড্ড একটা ঝালেমার মধ্যে আছি।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ কেন দোস্ত, তোর আবার কি হলো? মাত্র কয়দিন আগেই তো বিয়ে করলি। এর মধ্যে আবার কি ঝামেলা হলো?
প্রথম বন্ধুঃ সারাদিন অফিস করে বাসায় ফেরা মাত্রই সে এসে শুধু টাকা টাকা করে। প্রত্যেকটা দিনই এক অবস্থা। আর পারি না দোস্ত।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ তা তোর বউ এত টাকা দিয়ে করেটা কি?
প্রথম বন্ধুঃ সে কি করে, কেমনে বলবো? আমি কি ওকে কখনও টাকা দিয়েছি নাকি?
  • এক গাঁয়ের এক চোর একটা সাইকেল চুরি করে বাজারে নিয়ে গেল বিক্রি করতে। এক টাউট লোক এসে সাইকেলটা দরদাম করল কিছুক্ষণ।
তারপর ‘দেখি তোমার সাইকেলটা কেমন চলে’ বলে সাইকেলে চড়ে প্যাডেল মেরে একেবারে হাওয়া।
শুকনো মুখে বাড়ি ফিরছিল চোর। গাঁয়ের যারা তাকে সাইকেল বিক্রি করতে নিয়ে যেতে দেখেছিল তারা জানতে চাইল, কি, সাইকেল বিক্রি করে কত লাভ হলো?
চোর বলল, লাভ হয়নি; যে দরে কিনেছিলাম সেই দরেই বেচেছি।

  •   রেলওয়েতে চাকরির ইন্টারভিউ হচ্ছে। একটি চটপটে ছেলেকে সবার পছন্দ হল। চেয়ারম্যান একটু বাজিয়ে নিতে চাইলেন।
:ধর একটা দ্রুতগামী ট্রেন আসছে। হঠাৎ দেখলে লাইন ভাঙা। ট্রেনটা থামানো দরকার। তখন তুমি কি করবে?
: লাল নিশান ওড়াবো।
: যদি রাত হয়?
: লাল আলো দেখাবো।
: লাল আলো যদি না থাকে?
: তাহলে আমার ছোট বোনকে ডাকবো।
: বোনকে কেন ডাকবে? বোন এসে কি করবে?
: কিছু করবে না। ওর অনেক দিনের শখ একটা ট্রেন অ্যাক্সিডেন্ট দেখার। 

  • ঢোল বাজানো

ছেলে তার বাবাকে বলছে, ‘বাবা, আমাকে একট ঢোল কিনে দাওনা।’

বাবা বললেন, ‘না, তা হবে না। ঢোল কিনে দিলে তুমি যখন-তখন ঢোল পিটিয়ে আমাদের বিরক্ত করবে।’

ছেলে বলল, ‘না বাবা, আমি বিরক্ত করবো না। তোমরা যখন ঘুমোবে আমি তখনই বাজাবো।’

  • ঘরে কেউ ঢুকবে না

এক গরিব লোকের ঘরে চোর এসে আতিপাতি করে খুঁজে, নিয়ে যাওয়ার মতো কিছুই পেল না। হতাশ হয়ে চোর যখন চলে যাচ্ছে-
লোক : (শুয়ে শুয়ে) দরজাটা বন্ধ করে যেও।
চোর : (দীর্ঘশ্বাস ফেলে) দরজা খোলা থাকলেও সমস্যা নেই। আপনার ঘরে কেউ ঢুকবে না।

  • পরাজয়ীর না জানি কি অবস্থা!
এক লোক একটি পুরানো জিনিসের দোকানে (এন্টিক শপ) গিয়েছে কিছু কিনতে। একটা পাথরের মূর্তি তার নজরে পড়ল যেখানে একজন যোদ্ধা একটা ঘোড়ার উপর বসে আছে। কিন্তু মূর্তিটা অনেক পুরানো, তাই এর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। হাতের তলোয়ারটা আধা ভাঙ্গা, যোদ্ধার নাকটা পর্যন্ত কিছুটা ভেঙ্গে গেছে। মাথায় পড়া হেলমেটের অবস্থাও খারাপ। মূর্তির উপর এক জায়গায় খোদায় করে লেখা ‘বিজয়ী‘ ।
তাই দেখে লোকটা আতকে উঠলো, হায় হায়, এই যদি হয় বিজয়ীর অবস্থা তাহলে পরাজয়ীর না জানি কি অবস্থা!
  • শিক্ষকঃ বলতো কুকুর মুখের বাইরে জিভটা বের করে রাখে কেন?
ছাত্রঃ পেছনের লেজটার সঙ্গে ব্যালেন্স রাখতে।
  • শিক্ষকঃ রফিক এবারো কিন্তু কাসে ফার্স্ট হওয়া চাই।
রফিকঃ দোয়া করবেন স্যার, আরেকটা কথা, প্রশ্নপত্র বাবার প্রেসেই দিচ্ছেন তো স্যার এবারো?
শিক্ষকঃ সে কি! তোমার বাবা তোমাকে প্রশ্ন পত্র দেখান নাকি?
রফিকঃ না না স্যার, তবে বাবার চোখের সমস্যার কারনে প্রুফটা দেখে দেই কিনা!
  • শিক্ষকঃ এই ছেলে, তুমি কখন থেকে ঘুমাচ্ছো?
ছাত্রঃ স্যার, সুলতানী আমল থেকে।
শিক্ষকঃ আমার সঙ্গে ফাইজলামি!
ছাত্রঃ না সত্যি! আপনি যখন সুলতানী আমল পড়াচ্ছিলেন তখন থেকেই।
  • শিক্ষক: যারা একেবারে গাধা বা নির্বোধ তারা ছাড়া সবাই বসে পড়ো। (সকল ছাত্র বসলেও একজন দাড়িয়ে আছে)
শিক্ষক: কিরে, তুই গাধা নাকি নির্বোধ?
ছাত্র: না স্যার, আপনি একা দাড়িয়ে আছেন এটা ভাল দেখাচ্ছেনা, তাই
  • এক লোক দোকান থেকে রেজার কিনে বাসায় গিয়ে সেভ করতে গিয়ে দেখে রেজারটা ভাল কাজ করছে না।

লোকটা দোকানদারের কাছে গিয়ে অভিযোগ করলো- ভাই আপনি আমাকে কী একটা রেজার দিলেন যা ভাল নয়, এইটা দিয়ে তো দাড়ি/গোফ কাটা যায় না।

দোকানদারঃ আপনি কী বলছেন ভাই, আপনাকে রেজারটা দেওয়ার আগে আমি ৩ বার দাড়ি সেভ করে দেখেছি ‘এটা তো চমৎকার কাজ করে।‘ আর এখন আপনি বলছেন রেজারটা ভাল নয়, এটা কি বিশ্বাস করা যায় না!
  • তেলের দোকানে ইনকামটেক্সর লোক রেইড দিতে পারে এমন আশংকায় এক তেল ব্যবসায়ী তার কর্মচারীকে ডেকে বলল– ৩০ টিন তেল মাটির নীচে লুকিয়ে রাখতে ।

২ ঘন্টা পরে কর্মচারী এসে তেল ব্যবসায়ীকে বলল, স্যার ! ৩০ টিন তেল তো মাটির নীচে লুকিয়ে ফলেছি, এখন তেলের খালি টিনগুলো কোথায় রাখবো!!!!!
  • জ্যোতিষী : আপনি নিশ্চিত ১০০ বছর বাঁচবেন।
ভদ্রলোক : যদি এর আগে মরে যাই?
জ্যোতিষী : তাহলে মূল্য ফেরত নিয়ে আমায় জুতোপেটা করবেন!
  • আমার কাছে সত্যই একটা ব্যাপার হাসির মনে হয় যখন শুনি মানুষ প্রশ্ন করে যে ভালবেসে বিয়ে করা ভাল নাকি পারিবারিক ভাবে বিয়ে করা ভাল। আমার কাছে মনে হয় একজন যেন অন্য একজনকে প্রশ্ন করছেঃ আত্ম হত্যা ভাল নাকি খুন হওয়া ভাল।
  • প্রগতিশীল বর (দোকানের সেলস্ গার্লকে): আচ্ছা আপনাদের এখানে কি এমন কোন বই আছে যার নাম “মহিলাদের শাষন কর্তা পুরুষ”?
সেলস্ গার্লঃ স্যার, আষাঢ়ে গল্পের বই ৩/২ নং সেকশনে পাবেন।
  • প্রেমিকারা হচ্ছে চকলেটের মত, ভাল লাগে যখন-তখন;
প্রেমিকরা হচ্ছে পিজার মত, Hot n spicy, খাওয়া হয় প্রায়ই;
বউ হচ্ছে ডাল-ভাতের মত, খাওয়া হয় যখন কোন উপায় নাই।
  • ছোট ছেলে দৌড়ে বাসায় গিয়ে তার মাকে বলল, মা- আজ কী ঈদ?

মা :- কেন আজ ঈদ হবে?

ছোট ছেলেটি :- তাহলে আব্বু আর ছোট খালা যে ছাদে কোলাকুলি করছে??
  • দার্শনিকঃ এতটুকু ছেলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছে, বড় মায়া হল, তাই কোলে করে নিয়ে এলাম।
স্ত্রীঃ তুমি কি চোখের মাথা খেয়েছ? নিজের ছেলেকে চিনতে পারছ না।
  • এক বন্ধুর মন খুব খারাপ। অন্য বন্ধু তাই দেখে কথা বলছেঃ
১ম বন্ধুঃ কিরে দোস্ত, মন খারাপ কেন? ওঃ তোর বউ সেই যে বাপের বাড়ি গেল, এখনও আসেনি, তাই?
২য় বন্ধুঃ নারে দোস্ত, আজকে তার ফিরে আসার কথা!
  • স্ত্রী : কী ব্যাপার! বাজার থেকে পেঁয়াজ আননি কেন, দাম বেশি বলে পেঁয়াজ আনবে না?
স্বামী : না, ঠিক তা নয়।
স্ত্রী : তাহলে?
স্বামী : পেঁয়াজ কাটতে বসে তুমি প্রতিদিন চোখের জল ফেলবে, দৃশ্যটা আমি সহ্য করতে পারি না।
  • স্ত্রীঃ তোমার বন্ধু যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছে সে মেয়েটা কঠিন দজ্জাল। তাকে বারন করো।
স্বামীঃ কেন বারন করবো? সে কি আমার সময় বারন করেছিল?
  • এক বৃষ্টির দিনে মালিক তার কাজের লোককে বলছে-
মালিক : রহিম, বাগানে পানি দিতে যা।
কাজের লোক : হুজুর আজকে তো বৃষ্টি হচ্ছে।
মালিক : বৃষ্টি হলে ছাতা নিয়ে যা!
  • এক লোক হোটেলের সাইনবোর্ড দেখে খুব খুশি হয়ে ইচ্ছেমতো খেলেন।
ওয়েটারঃ স্যার, আপনার বিল ৫০০ টাকা।
লোকটাঃ কী বলছেন ভাই? আমার বিল? কিন্তু আপনাদের সাইনবোর্ডে যে লেখা, ‘আপনি যা খাবেন আপনার নাতি তা শোধ করবে।’
ওয়েটারঃ সেটা না হয় না দিন। কিন্তু এই ৫০০ টাকা দিন। এটা আপনার নানা খেয়ে গেছেন।
  •  রাজাঃ ধরো, আমি যদি স্থান পরিবর্তন করি। তুমি বসবে আমার ওই সিংহাসনে আর আমি বসব তোমার জায়গায়।
মন্ত্রীঃ না মহারাজ, সেটা সম্ভব নয়।
রাজাঃ কেন? তোমার কি রাজা সাজতে লজ্জা হয়?
মন্ত্রীঃ না, রাজা হতে লজ্জা হবে না, কিন্তু লজ্জা পাব আপনার মতো একটা নির্বোধকে আমার মন্ত্রী হতে দেখে!
  • তিন বন্ধু ঘুম থেকে উঠে একজন আরেকজনকে স্বপ্নের কথা বর্ননা করছে।
প্রথম বন্ধুঃ "জানিস আমি স্বপ্নে দেখলাম মরুভুমির সব বালি সোনা হয়ে গেছে আর আমি সেগুলোর মালিক হয়ে গেছি।"
দ্বিতীয় বন্ধুঃ "আমি স্বপ্নে দেখলাম আকাশের সব তারা স্বর্নমুদ্রা হয়ে গেছে আর আমি তার মালিক হয়ে গেছি।"
তৃতীয় বন্ধুঃ "আমি স্বপ্নে দেখলাম এতো কিছু পেয়ে তোরা খুশিতে হার্টফেল করেছিস আর মরবার আগে আমাকে তোদের সব সম্পদ উইল করে দিয়ে গেছিস।"
  •   এক লোক একটি পুরানো জিনিসের দোকানে (এন্টিক শপ) গিয়েছে কিছু কিনতে। একটা পাথরের মূর্তি তার নজরে পড়ল যেখানে একজন যোদ্ধা একটা ঘোড়ার উপর বসে আছে। কিন্তু মূর্তিটা অনেক পুরানো, তাই এর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। হাতের তলোয়ারটা আধা ভাঙ্গা, যোদ্ধার নাকটা পর্যন্ত কিছুটা ভেঙ্গে গেছে। মাথায় পড়া হেলমেটের অবস্থাও খারাপ। মূর্তির উপর এক জায়গায় খোদাই করে লেখা "বিজয়ী" ।
তাই দেখে লোকটা আতকে উঠে বলল, "হায় হায়! এই যদি হয় বিজয়ীর অবস্থা তাহলে পরাজয়ীর অবস্থা না জানি কি‌?"
  • আমার বন্ধু জাকির পত্রমিতালি করত এক মেয়ের সঙ্গে। মঝেমধ্যে তাদের মধ্যে উপহার লেনদেনও হতো। তবে সব লেনদেনই হতো বাই পোস্টে। যেমন, একবার বন্ধু পাঠাল পারফিউম, মেয়ে পাঠাল কোলাপুরি স্যান্ডেল! এই করতে করতে তাদের মধ্যে একটু প্রেম প্রেম ভাব চলে এসেছিল। তারা ঠিক করল, এবার দেখা হওয়া দরকার। ঠিক হলো, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে তারা দেখা করবে। মেয়ে পরে আসবে নীল শাড়ি আর জাকির পরে আসবে হলুদ শার্ট। নির্দিষ্ট দিনে মেয়ে ঠিকই নীল শাড়ি পরে এল, কিন্তু জাকির পরে গেল অন্য শার্ট (তার ধান্দা মেয়ে বেশি সুন্দরী না হলে খোদা হাফেজ···)। মেয়েকে দেখে জাকির হতাশ! সে কেটে পড়ার তাল করছে। এমন সময় দেখে মেয়ে গটগট করে তার দিকেই আসছে। এসেই চার্জ করল? ‘অন্য শার্ট পরে এসেছ কেন?’ বন্ধু তখন তোতলাতে শুরু করেছে, ‘তু-তুমি বুঝলে কী করে?’ মেয়ে জাকিরের পায়ের দিকে দেখাল। জাকির তাকিয়ে দেখে মেয়ের দেওয়া স্যান্ডেলটাই পরে এসেছে! (বলাই বাহুল্য, তারা এখন সুখী দম্পতি)।
  •   একবার এক পরিদর্শক পাগলাগারদ পরিদর্শনে গেলেন।
পরিদর্শকঃ আপনারা কীভাবে বোঝেন যে একজন রোগী সুস্থ হয়েছে?
ডাক্তারঃ প্রথমে আমরা রোগীদের বাথরুমে বাথটাবের কাছে নিয়ে যাই। বাথটাবটা পানি দিয়ে পূর্ণ করি। তাদের আমরা একটি চামচ, একটি মগ ও একটি কাপ দিই। তারপর তাদের বাথটাবটি পানিশূন্য করতে বলি। তাদের পানিশূন্য করার নিয়ম দেখেই আমরা বুঝি কে সুস্থ হয়েছে।
পরিদর্শকঃ যদি তারা মগ দিয়ে পানি ফেলে দেয়। তাহলে নিশ্চয়ই আপনারা তাকে সুস্থ বলেন?
ডাক্তারঃ না, যদি তারা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়, তবে বাথটাবের পানি বের করার প্লাগ তুলে ফেলবে, তবেই আমরা ধরে নেই, সেই রোগী এখন সুস্থ হয়েছে। তা, আপনার জন্য কী এখানকার একটা রুম বুক করব?
 
  • ক্রেতাঃ কম পেট্রোলে বেশি মাইল চলবে-এ রকম কোনো গাড়ি নেই?
বিক্রেতাঃ আছে। এই যে, এটা নিন। পেট্রোল ছাড়াই চলবে।
ক্রেতাঃ তাই নাকি? কীভাবে?
বিক্রেতাঃ কেন? অকটেনে!
  • এক স্কুল ছাত্র। তার এক চোখ কানা। সবাই তার আসল নাম বাদ দিয়ে কানা নামে ডাকত।
একদিন স্যার ক্লাসে এসে ছাত্রদের বললেনঃ
এই সবাই শোন কাল স্কুলে পরিদর্শক আসবেন, তাই আগামীকাল সবাই পরিষ্কার ড্রেস পড়ে আসবে।
পরদিন সকালে প্রথম ঘন্টায় স্যার ক্লাসে এসে দেখলেন সব ছাত্র মোটামুটি পরিষ্কার কাপড় পরে এসেছে শুধু কানা ছাড়া। কানার পরনে ময়লা কাপড় দেখে স্যারের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পরে পরিদর্শক আসবেন। তিনি এসে যদি এই অবস্থা দেখেন তাহলে চাকরিটাই যাবে ।
স্যার রেগে গিয়ে ক্লাসের বড় সাইজের কয়েকজন ছাত্রকে বললেন
শিক্ষকঃ এই কানাইয়ারে স্কুলের পিছনে আম গাছের লগে বাইন্দা আয়।
ছাত্ররা স্যারের আদেশ মত কানাকে স্কুলের পিছনে আম গাছের সাথে বেঁধে আসল।
এর কিছুক্ষণ পরে পরিদর্শক ক্লাসে এলেন । ক্লাসের অবস্থা দেখলেন ছাত্রদের কয়েকটা প্রশ্ন করার পর হঠাৎ করে প্রশ্ন করলেন।
পরিদর্শকঃ বলতো কানাডা কোথায়?
ছাত্ররা এত সহজ প্রশ্ন পেয়ে উত্তর দিতে একটুও দেরী করল না
ছাত্ররাঃ স্যার কানাডা আমাদের স্কুলের পিছনে আম গাছের সাথে বাঁধা আছে।
  •   ব্যাঙ নিয়ে গবেষণা করছিলেন এক অধ্যাপক। টেবিলের ওপর ব্যাঙটা রেখে প্রথমে তিনি ব্যাঙের পেছনের ডান পা-টা কাটলেন। পা কেটে একটা তালি দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙটা লাফিয়ে উঠল। এরপর পেছনের বাঁ পা কেটে একটা তালি দিলেন। ব্যাঙটা আবার লাফিয়ে উঠল। এরপর সামনের ডান পা কাটলেন এবং তালি দিলেন। ব্যাঙটা এবারও লাফিয়ে উঠল। সবশেষে নিপুণ হাতে কাটলেন সামনের বাঁ পা। কাটা শেষে যথারীতি তালি দিলেন, কিন্তু এবার ব্যাঙ আর লাফাল না।
কাটাছেঁড়া শেষ করে অধ্যাপক তাঁর থিসিসে লিখলেন, চার পা কেটে দিলে ব্যাঙ কানে শোনে না।
  • হাটবারের দিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে জড়বুদ্ধির মতো আচরণ করতেন হোজ্জা, ফলে নির্বোধ ভেবে মানুষ তাকে মুদ্রা দান করত। কিন্তু তার সামনে দুটি মুদ্রা
তুলে ধরা হলে, সর্বদাই তিনি ছোট মুদ্রাটি গ্রহণ করতেন, যতবারই, যেভাবেই দেয়া হোক না কেন।
একদিন সদাশয় এক ব্যক্তি তাকে বললেন, "নাসিরুদ্দীন, তুমি তো বড় মুদ্রাটা নিতে পার। এতে তোমার দ্রুত বেশ কিছু টাকা-পয়সা জমে যাবে আর মানুষও আগের মতো তোমাকে নিয়ে তামাশা করতে পারবে না।"
"হুমম, আপনি যা বলছেন তা হয়তো ঠিক হতে পারে। কিন্তু আমি ভাবছি, আমি যদি সবসময় বড় মুদ্রাটা গ্রহণ করি, তাহলে মানুষ আমাকে তাদের চেয়েও নির্বোধ ভেবে যে আনন্দটা পায়, সে আনন্দটা আর পাবে না, ফলে দান হয়তো একেবারেই বন্ধ করে দিবে।" হোজ্জা জবাব দেন।
  •   মন্দিরে ঢুকতে যাবার সময় পেছন থেকে পন্ডিতের বাঁধা, ‘এ তুমি কী করছো গোপাল! মন্দিরে কুকুর নিয়ে ঢুকছো?’
‘কোথায় কুকুর?’ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে গোপাল।
‘এই তো তোমার পেছনে!’ একটি কুকুরের দিকে হাত তুলে দেখায় পন্ডিত।
‘এটি আমার কুকুর নয়!’
‘তোমার নয় বললেই হলো?’ রাগ দেখিয়ে বলে পন্ডিত, ‘তোমার পেছন পেছনেই তো যাচ্ছে!’
‘বটে? তা তুমিও তো আমার পেছন পেছন আসছো!’
  •   ছেলেঃ বাবা মোরগ ডাকে কেন?
বাবাঃ কেউ মিথ্যা কথা বললেই মোরগ ডেকে ওঠে।
ছেলেঃ কিন্তু ভোর চারটায় যখন সবাই ঘুমে থাকে তখন কেন মোরগ ডাকে বাবা?
বাবাঃ ওই সময় দৈনিক পত্রিকাগুলি ছাপা হয়তো, তাই।
  • বিচারক ও আসামীর মধ্যে কথোপকথন হচ্ছে।
বিচারকঃ তুমি জান মিথ্যে বললে কী হবে?
আসামীঃ আজ্ঞে হুজুর, নরকে যাব।
বিচারকঃ সাবাস! আর সত্য বললে?
আসামীঃ মামলায় হেরে যাব।

  • দুই মাতাল রাতে বাসায় ফিরছে। হঠাৎ একজন ডানহাত মুঠো করে ধরে পাশের জনকে দেখিয়ে বলে, "ক তো দেহি আমার হাতের মুডায় কি আছে?" ২য় জন টলতে টলতে বলল, "রেলগাড়ী।"
১ম জন চমকে গেল। হাতের মুঠো ভাল করে চেক করে ২য় জনকে বলল, "খেলমুনা, তুই দেখছস।"

  •   আলাল দুলালকে জিজ্ঞেস করছে, "কিরে, তুই নাকি গতকালকে সবার সামনে স্বীকার করেছিস তুই গাধা"?
দুলাল বলল, "না, স্যার ক্লাসে এসে বললো কে কে গাধা দাড়াও?"
আলাল, "তারপর?"
দুলাল, "স্যার একা দাঁড়িয়ে ছিলোতো তাই ভালো দেখাচ্ছিলো না। তাই আমিও দাঁড়ালাম।

  • একদিন এক ব্যাঙ ভাগ্য পরীক্ষা করার জন্য জোতিষীর কাছে গেলো।
জোতিষী তাকে বললো : খুব শীঘ্রই এক সুন্দরী মেয়ের সাথে তোমার দেখা হবে। মেয়েটি তোমার সম্পর্কে সবকিছু জানে।
ব্যাঙ: চমৎকার! তার সঙ্গে আমার কোথায় দেখা হবে? পার্টিতে নাকি অন্য কোথাও?
জোতিষী : না! মেয়েটির বায়োলজি ক্লাশে।

  •   স্ত্রী তার বান্ধবীর উদ্দেশ্যেঃ
স্ত্রীঃ জানিস, আমি আমার স্বামীকে আজও তেমনি ভালবাসি যেমন ভালবাসতাম আমাদের বিয়ের প্রথম দিন থেকে।
বান্ধবীঃ তাই? কিন্তু তোকে যে একটু আগেই দেখলাম ওর সাথে ঝগড়া করছিস।
স্ত্রীঃ সেটা তো আমরা বিয়ের প্রথম দিনও করেছিলাম!  
  • একদিন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে এক খোরগোশ হঠাৎ রাস্তার মাঝখানে দেখে এক ভাল্লুক শুয়ে আছে। খোরগোশ জিজ্ঞেস করছেন স্যার রাস্তার মাঝখানে এভাবে শুয়ে আছেন কেন? ভাল্লুক তখন কাতরাতে কাতরাতে খোরগোশকে বলছে আমাকে এক শিকারী গুলি করেছে আর গুলিটা লেগেছে আমার পায়ে তাই হাঁটতে পারছিনা। তুমি কি আমাকে একটু সাহায্য করতে পারো? খোরগোশ তখন গর্জে উঠে বললো তবেরে হারামজাদা শুয়ে থাকবি রাস্তার মাঝখানে কেন? জলদি রাস্তা ক্লিয়ার কর।

  • ব্যাঙ নিয়ে গবেষণা করছিলেন এক অধ্যাপক। টেবিলের ওপর ব্যাঙটা রেখে প্রথমে তিনি ব্যাঙের পেছনের ডান পা-টা কাটলেন। পা কেটে একটা তালি দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙটা লাফিয়ে উঠল। এরপর পেছনের বাঁ পা কেটে একটা তালি দিলেন। ব্যাঙটা আবার লাফিয়ে উঠল। এরপর সামনের ডান পা কাটলেন এবং তালি দিলেন। ব্যাঙটা এবারও লাফিয়ে উঠল। সবশেষে নিপুণ হাতে কাটলেন সামনের বাঁ পা। কাটা শেষে যথারীতি তালি দিলেন, কিন্তু এবার ব্যাঙ আর লাফাল না।
কাটাছেঁড়া শেষ করে অধ্যাপক তাঁর থিসিসে লিখলেন, চার পা কেটে দিলে ব্যাঙ কানে শোনে না। 




No comments:

Post a Comment

নির্বাচিত বিষয়গুলো দেখুন

Labels

মাসের পঠিত শীর্ষ দশ

 

জোনাকী | অনলাইন লাইব্রেরী © ২০১১ || টেমপ্লেট তৈরি করেছেন জোনাকী টিম || ডিজাইন ও অনলাইন সম্পাদক জহির রহমান || জোনাকী সম্পর্কে পড়ুন || জোনাকীতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ