প্রিয় পাঠক লক্ষ্য করুন

Monday, March 7, 2011

প্রশ্রয় দিলে মাথায় উঠে ।। ফাহিম আহমদ

এক দেশের এক শৌখিন রাজা, তিনি খুব শখ করে জঙ্গল থেকে একটি বানর ধরে রাজদরবারে আনলেন। রাজা মহাশয় নিজে সেই বানরকে লালন পালন করা শুরু করলেন। রাজা মহাশয় বানরকে এতো আদর যত্ন করতেন যে রাজা নিজে যে প্লেটে খাবার খেতেন বানরকে সেই একই প্লেটে খাবার দিতেন। রাজা নিজ হাতে খাওয়াতেন ও গোসল করাতেন এই বানরকে। রাজা মহাশয় এতো আদর যত্ন করার পরেও প্রতিদিন বানরকে তিনটি করে বেত্রাঘাত করতেন। রাজা মহাশয় বানরকে এতো আদর যত্ন করার পর কেন প্রতিদিন বেত্রাঘাত করেন তা নিয়ে প্রজাদের মধ্যে নানা গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে। একদিন সব প্রজারা এক হয়ে আলোচনা করলো তারা সবাই রাজার কাছে জিজ্ঞেস করবেন যে, বানরকে যদি প্রতিদিন আঘাতই করেন তবে এতো আদর যত্ন করার কি দরকার বানরটিকে। যে কথা সেই কাজ। একদিন সব প্রজারা মিলে রাজদরবারে হাজির হলো। প্রজাদেরকে রাজদরবারে দেখে রাজা মহাশয় জিজ্ঞাসা করলেন কি ব্যাপার তোমরা এখানে কিসের জন্য এসেছো। প্রজারা রাজাকে বললো, হুজুর আমরা একটা কথা জানতে এসেছি আপনার কাছ থেকে। রাজা মহাশয় বললেন কি কথা বলো। আচ্ছা হুজুর বানরটিকে আপনি এতো আদর যত্ন করার পর সেই বানরটিকে প্রতিদিন কেন বেত্রাঘাত করেন? রাজা মহাশয় হেসে বললেন আচ্ছা এই কথা। তোমরা সবাই কি দেখতে চাও এতো আদর যত্ন করার পরেও আমি কেন বানরটিকে বেত্রাঘাত করি? প্রজারা সবাই বললো হ্যঁা নিজ চোখে দেখতে চায়। রাজা মহাশয় পরদিন থেকে বানরটিকে পূর্বের মতোই আদর যত্ন করেছেন, কিন্তু বেত্রাঘাত করেননি। প্রথমদিন বানরটি রাজা মহাশয়ের শরীরে ঘষাঘষি করলো। দ্বিতীয় দিন রাজার উরুতে বসে নাচানাচি, জামা কাপড় ধরে টানাটানি করলো। তৃতীয় দিন বানরটি নাচানাচি করে রাজা মহাশয়ের ঘাড়ে বসে রাজার দুই কান ধরে ইচ্ছা মতো কানমলা দেয়া শুরু করলো। তখন রাজা মহাশয় প্রজাদেরকে বললেন, দেখেছো তো, আমি যদি প্রতিদিন বেত্রঘাত করতাম বানরটিকে তবে আজ আমার ঘাড়ে উঠে কানমলা দেয়ার সাহস পেতো না।

No comments:

Post a Comment

নির্বাচিত বিষয়গুলো দেখুন

Labels

মাসের পঠিত শীর্ষ দশ

 

জোনাকী | অনলাইন লাইব্রেরী © ২০১১ || টেমপ্লেট তৈরি করেছেন জোনাকী টিম || ডিজাইন ও অনলাইন সম্পাদক জহির রহমান || জোনাকী সম্পর্কে পড়ুন || জোনাকীতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ