প্রিয় পাঠক লক্ষ্য করুন

Tuesday, February 22, 2011

গ্লাডিওলাস

গ্লাডিওলাস ফুল ইদানিংকালে
আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এর ইংরেজি নাম Sword lily ও
বৈজ্ঞনিক নাম Gladiolus sp. গ্লাডিওলাস ফুল কমবেশি সারাবছরই আমাদের দেশে
উৎপাদন করা হয়। গ্লাডিওলাস ফুল বিভিন্ন রঙ- এর হয়ে থাকে। যেমন-সাদা, হলুদ,
গোলাপী, লাল, ফিকে লাল, বেগুনী ইত্যাদি। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ
...করে ঢাকা, যশোর, সাতক্ষীরা, কুমিল্লা প্রভৃতি অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে এই
ফুলের চাষ করা হচ্ছে। যে কোনো উৎসবে এই ফুলের উপস্থিতি দেখা যায়। টিনা, পুনম, ফ্রেন্ডশিপ,
হোয়াইট ফ্রেন্ডশিপসহ বিভিন্ন প্রজাতির গ্গ্ন্যাডিওলাস ফুল রয়েছে। এই ফুল
চাষ করে আপনিও আয়ের পথ সুগম করতে পারেন।
জমি নির্বাচন ও বপন পদ্ধতি : এই ফুল চাষের জন্য প্রায় সব ধরনের মাটিই
উপযুক্ত। তবে বেলে ও কাদামাটিতে চাষ না করাটাই ভালো। বেশি জৈব পদার্থযুক্ত
মাটিই গ্লাডিওলাস ফুল চাষের জন্য ভালো। যে জমিতে এই ফুল চাষ করা হবে তাতে
যেন পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এই
ফুলের চারা সাধারণত কন্দ থেকে তৈরি হয়। কন্দ লাগানোর আগে জমি ভালো করে
তৈরি করে নিতে হবে। কন্দের আকৃতির ওপর সাধারণত নির্ভর করে ফুলের আকার ও
আকৃতি। বিঘাপ্রতি ২ থেকে ৩ টন গোবর সার, ৫০ কেজি সুপার ফসফেট ও ১৫ কেজি
ইউরিয়া সার মিশিয়ে জমি তৈরি করে নিতে হবে। জমি তৈরি হয়ে গেলেই কন্দ রোপণ
করা যায়। সেচ ও আগাছা দমন : কন্দ রোপণের পর সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে সেটা যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয়। আগাছা ভালোমতো পরিষ্কার করাটা জরুরি।

ফুল সংগ্রহ : এগাছ থেকে ফুল ৭০-৯০ দিনের মধ্যেই সংগ্রহ করা যায়। দুপুরে গাছ
থেকে ফুল তোলা যাবে না। ফুল সংগ্রহ করতে হবে সকাল বা বিকেলে।

ফুল বাজারজাতকরণ : ফুলের সবচেয়ে বড় বাজার হচ্ছে শাহবাগ। এছাড়া দেশের সব
জেলাতেই রয়েছে অসংখ্য ফুলের দোকান। আর এসব দোকানে বর্ণিল গ্গ্ন্যাডিওলাস
ফুলের চাহিদা প্রচুর। এসব দোকানে ফুল সরবরাহ করে আয় করতে পারেন।

বংশবিস্তার

১. বীজ, গুঁড়ি কন্দ ও গুঁড়ি কন্দের গায়ে জন্মানো ছোট ছোট কন্দ থেকে গ্লাডিওলাসের বংশবিস্তার করা যায়।
২. বীজ থেকে তৈরি চারাতে ফুল আসতে অনেক সময় লাগে এবং জাতিগত বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে না। তাই বীজ দিয়ে সাধারণত বংশবিস্তার করা হয় না।
৩. ফুল
দেয়া শেষ হলে গাছ শুকিয়ে যায়। এ সময় মাটি খুঁড়ে গ্লাডিওলাসের কন্দ তুলে
নিয়ে এর গায়ে জন্মানো ছোট কন্দগুলো আলাদা করে নিতে হবে।
৪. এর কন্দগুলোর গায়ে লেগে থাকা মাটি পরিষ্কার করে নিয়ে কন্দগুলো ছায়াযুক্ত জায়গায় রেখে শুকিয়ে নিতে হবে।
৫. শুকানোর পর কন্দগুলো কিছুটা অন্ধকার শুকানো জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে।
৬. এগুলো সুপ্ত অবস্থা অতিক্রম করে গজানো শুরু করলে নতুন ফুল গাছের জন্য মাটিতে রোপণ করতে হবে.

No comments:

Post a Comment

নির্বাচিত বিষয়গুলো দেখুন

Labels

মাসের পঠিত শীর্ষ দশ

 

জোনাকী | অনলাইন লাইব্রেরী © ২০১১ || টেমপ্লেট তৈরি করেছেন জোনাকী টিম || ডিজাইন ও অনলাইন সম্পাদক জহির রহমান || জোনাকী সম্পর্কে পড়ুন || জোনাকীতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ