প্রিয় পাঠক লক্ষ্য করুন

Saturday, October 8, 2011

ছোঁয়া || মুহাম্মদ মহিউদ্দিন

টক্ টক্ টক্। ঠাস। দরজায় বেশ কড়া নাড়ছে। রাত আনুমানিক ১টা পেরিয়েছে। চারদিকে সুনসান নীরবতা। মফস্বল শহরের কাছের একটি গ্রাম। মায়াপুর। মহাসড়কের পাশেই মায়াপুর ডিগ্রি কলেজ। কলেজের পাশে রায়দীঘি। দীঘির পাড়ে ছোট টিনের ছাউনি দোচালা বাড়িতে থাকে আবির। মায়াপুর ডিগ্রি কলেজের ইংরেজির প্রভাষক। বাড়িতে একাই থাকে। রাত-অবধি পড়াশোনা আর লেখালেখিতে সময় কেটে যায়। লেখালেখির অভ্যেসটা সেই স্কুল থেকেই। গল্প, ছড়া-কবিতাই বেশি লেখে। পত্রিকা সাময়িকীতে মাঝেমধ্যে ছাপানো হয়। সহকর্মী আর শিক্ষার্থীরা সমালোচনার ঝড় তোলে। বেশ ভালোই লাগে আবিরের।
দরজার কড়াটা জোরেশোরে নড়ছে। হতচকিত হয়ে জেগে ওঠে আবির। অন্ধকারেই ডাক দেয়। কে? কে? কে ওখানে?
দরজাটা খুলুন। প্লিজ। তাড়াতাড়ি দরজাটা খুলুন। একটি মেয়েলি কণ্ঠ।
অবাক হয় আবির। দ্বিধায় পড়ে। দরজা খুলবে কী খুলবে না। ও পাশে কড়া নেড়েই চলে।
একটু দরজাটা খুলুন। আমাকে বাঁচান। মেয়েটি বলল।
আবির উঠে বসে। বাতি জ্বালায়। তারপরও মন থেকে দ্বিধা যায় না। সমূহ-বিপদ ভেবে থমকে দাঁড়ায়। আবার গা-ঝাড়া দিয়ে দরজার কাছে যায়। কটাস করে দরজা খোলে আবির। এক ঝাপটায় ভেতরে ঢোকে মেয়েটি।
একা দেখে বেশ অবাক হয়। পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটি হয়তো ভাবছে এ আবার কোন বাঘের গুহায় এসে পড়লাম।
বসুন। চেয়ারটা দেখিয়ে বলল আবির। দূরে শেয়ালের ডাক শোনা যাচ্ছে। কখনও কানে বাজে হুতোম প্যাঁচার ডাক।
মেয়েটি বসল না। ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে।
বসুন। আবার বলল আবির।
পানি হবে? বলল মেয়েটি।
নিশ্চয়ই।
টেবিলে রাখা জগ থেকে গ্লাসে ঢেলে মেয়েটিকে পানি দিল আবির। মেয়েটি চেয়ারে বসল। পরনে সুন্দর আকাশি রঙের শাড়ি। কালো-লম্বা চুলগুলো পেছনে অবিন্যস্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ঢক ঢক করে পুরো গ্লাস সাবাড় করল সে। টেবিলের পাশে রাখা বইয়ের তাকে তার চোখ। বইয়ের নামগুলো হাতড়ে বেড়াচ্ছে মেয়েটির তীক্ষষ্ট দৃষ্টি।
কোনো সমস্যা? নীরবতা ভাঙার জন্যই বলল আবির।
না। বলেই থামল মেয়েটি।
তাহলে? এত রাতে হঠাত্?
একাই থাকেন বুঝি? আবিরের প্রশ্ন এড়িয়ে পাল্টা প্রশ্ন করল মেয়েটি।
হুঁ।
তো কী করা হয়?
মেয়েটি মনে হয় আবিরের ঘরে ঢুকে আশ্বস্ত হতে পারছে না যে সে নিরাপদ।
পুকুরের ওপাড়ে কলেজটা আছে না? ও কলেজে পড়াই।
বেশ তো। মেয়েটি বলল। ঘরটির চারদিকে চোখ বোলাল। বইয়ের তাক আর পড়ার টেবিল দেখে কিছুটা আশ্বস্ত হলো বলে মনে হয়।
মেয়েটি চুপ করে আছে।
খেয়েছেন? বলল আবির।
চোখ তুলে তাকাল। বলল, এত রাতে আপনাকে ডিস্টার্ব করার জন্য দুঃখিত।
কী যা তা বলছেন। খেয়েছেন কি না বলুন?
একটা রাত না খেলে কিছু হবে না।
মানে? আপনি খাননি। আমি তো একা থাকি। খাবারটা পাশের একটা বাড়ি থেকে আসে। এখন আপনাকে কী খেতে দি? বলল আবির।
বললাম তো একটা রাত না খেলে তেমন কিছু হবে না। ছোট বেলায় মায়ের সঙ্গে রাগ করে কত রাত না খেয়ে থেকেছি। মেয়েটি বলল।
থাক। এ নিয়ে আর কথা বাড়াতে হবে না। বলল আবির।
বিছানা ছেড়ে উঠে গিয়ে একটা কৌটা আর দুটো আপেল নিয়ে এলো। মেয়েটির সামনে টেবিলে রাখল। কৌটায় বিস্কিট আছে। নিন। খেয়ে নিন। বলল আবির।
এতটা অস্থির হচ্ছেন কেন? মেয়েটি বলল।
রাতে না খেয়ে থাকাটা আমি পছন্দ করি না। খান। খেতে খেতে কথা বলি।
বিস্কিটের কৌটা খুলল মেয়েটি। গ্লাসে পানি ঢালল। বিস্কিট চুবিয়ে খাচ্ছে।
এত রাতে আপনাকে বিপদে ফেলে দিলাম। তাই না? মেয়েটি বলল।
আপনি নিশ্চয় বড় বিপদ থেকে বাঁচলেন? বলল আবির।
সে জন্য আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।
এই যে দেখুন। এতক্ষণ কথা বলছি, অথচ কেউ কারো নামটি পর্যন্ত জানলাম না। বলল আবির।
আপনি আবির। আর আমি পাতা। বলল মেয়েটি।
আবির বেশ অবাক হলো।
আপনি আমাকে চেনেন?
কী মনে হয়?
আমার নাম জানলেন কী করে?
কলেজে পড়ান, অথচ আপনি বোকা!
হাসল আবির। হ্যাঁ, ঠিক তাই।
টেবিলে রাখা বইতে তো আপনার নাম লেখা আছে।
কী বলুন? আমি ঠিক ধরিনি? বলল পাতা।
আপনার নাম পাতা? বলল আবির।
হ্যাঁ। কেন?
ব্যতিক্রমী নাম।
হ্যাঁ। নতুন কেউ আমার নাম শুনলেই এ কথাটি বলে।
আমার নামটা কে রাখল? কেন রাখল? তাত্পর্য কী?
আরও কত প্রশ্ন। বলল পাতা।
ঠিক আছে। আমি ওসব জানতে চাই না। বলল আবির।
আবির ফের দ্বিধায় পড়ে গেল। মেয়েটি হিন্দু না মুসলিম। পাতা নাম দিয়ে হিন্দু-মুসলিম নির্ণয় বড়ই দুষ্কর। আচ্ছা এবার বলুন আপনার বিপদ কী হয়েছিল। বলল আবির।
মার্কেটে যাব বলে বেরিয়েছিলাম। বাড়ি পেরিয়ে রাস্তার মোড়ে এসে রিকশায়ও উঠলাম। স্কুলঘর পেরিয়ে কিছুদূর আসতেই দেখলাম, রাস্তার পাশে একটা মাইক্রোবাস দাঁড়ানো, রিকশা পাশ কেটে যেতেই তিন-চারজন লোক এসে আমাকে টেনে-হিঁচড়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিল। একটা ভেজা রুমাল দিয়ে মুখ চেপে ধরল। মাঝখানের চেয়ারে হেলান দিয়ে রাখল। তারপর গাড়ি চলতে থাকল।
এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে থামল পাতা। আবির হাঁ করে পাতার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। অজান্তে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরুল আবিরের ভেতর থেকে।
বলল, তারপর?
তারপর আর কিছুই জানে না পাতা। নিজেকে আবিষ্কার করে কলেজের কাছে রাস্তার ধারে মাইক্রোবাসের ভেতর।
জ্ঞান ফিরছে। পাতা ধীরে ধীরে উঠে বসে। দেখে ওরা চার পাঁচজন গাড়িটির সামনে কিছুদূর বসে আড্ডা দিচ্ছে। বোতল মুখে পুরে কী যেন গিলছে। পাতা আলতো পায়ে নেমে পড়ে চোখ বুঝে গাড়িটির পেছনে চলে আসে। তারপর প্রাণপণ দৌড়ে চলে আসে আবিরের ঘরের দরজায়।
পৃথিবীর সব পুরুষই খারাপ নয়। বলল পাতা।
হঠাত্ এ কথা কেন? বলল আবির।
এই যে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য দৌড়ে আপনার ঘরে এসে আশ্রয় নিলাম। হতে পারত এখানে আমার জন্য আরও ভয়ানক কিছু অপেক্ষা করছে, বলল পাতা।
লজ্জা পেল আবির। পাতার দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াতে পেরে আত্মতুষ্টিতে ভরে গেল আবিরের মন। ঘুমিয়ে পড়ুন। রাত অনেক হলো। বলল আবির।
কোথায় ঘুমাব?
যে বিছানায় বসে আছেন।
তাহলে আপনি?
একটা চাদর বিছিয়ে শুয়ে পড়ব। ভোরে ছেলেমেয়েরা পড়তে আসবে। বলল আবির।
এ ঘরে?
হ্যাঁ।
তাহলে আমাকে ভোরের আগেই কেটে পড়তে হবে।
না।
তাহলে যে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে। ও ভালো কথা আবির সাহেব, বিয়ে করেছেন? বলল পাতা।
জি না।
তাহলে তো মহাবিপদ।
কেন? বলল আবির।
আপনার ছাত্রছাত্রীরা আমাকে দেখে ভাবী ডাকা শুরু করবে। তখন?
ভাবী ডাকলে ডাকবে। আপত্তি আছে? বলল আবির।
কী বললেন? আমি আপনার স্ত্রী হিসেবে তাদের পরিচয় দেব?
পাতা না—চোখ কপালে তুলে আবির বলল, আপত্তি থাকলে আমার বলার কিছু নেই। বাঁচার জন্য মানুষকে অনেক সময় মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়।
আপনার ছাত্রছাত্রীদের কাছে আমি নিজেকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিলে আমার চেয়ে সমস্যা বেশি হবে আপনার।
আমার! তা কেমন? বলল আবির।
ছাত্রছাত্রীদের হাজারো প্রশ্নের জন্য হাজারটা মিথ্যে কথা বলতে হবে। এবং মিথ্যে বলতে বলতে এক সময় আপনি ফেঁসে যাবেন। বলল পাতা।
আচ্ছা আপনি এতটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কথা বলছেন কী করে? কিছুক্ষণ আগেও তো ভয়ে কুঁকড়ে ছিলেন। পাতাকে বলল আবির।
নির্ভরতার কারণে। বলল পাতা।
মানে?
আপনার চেহারায় আমি সে রকম ভয়ানক কিছু দেখতে পাইনি। তাছাড়া আমার মন বলছে, আপনার ওপর নির্ভর করা যায়। বলল পাতা।
অতি নির্ভরতা বিপদ ডেকে আনতে পারে। আবির বলল।
সে আত্মবিশ্বাস আমার আছে। যারা নিজেদের লোভ, ক্রোধ সংযত করতে পারে, তারাই প্রকৃত মানুষ এবং আমি মনে করি আপনি প্রকৃত মানুষদের একজন। বলল পাতা।
কয়েক ঘণ্টার পরিচয়ে একজন মানুষ সম্পর্কে সার্টিফিকেট দেয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত, সেটা ভেবে দেখার বিষয়। বলল আবির।
ভাত রান্নার সময় সব ভাত টিপে দেখতে হয় না। রান্না-বান্নার বিষয়টা মেয়েদের প্রকৃতিগত। কাল কী হবে তাই বলুন। বলল আবির।
সকাল হোক। বলেই বিছানায় শুয়ে পড়ল পাতা।
বাতি নেভাল না আবির। মেঝেতে চাদর বিছিয়ে বই মাথায় দিয়ে শুয়ে পড়ল।
দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে ঘুম ভাঙল আবিরের। তার আগেই পাতা উঠে বসে আছে। আবির কী করবে, ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না।
আপনি তৈরি হয়ে নিন। আমি ওদের বসার ব্যবস্থা করছি। বলল পাতা।
আপনি! ঘুম জড়ানো চোখ ভাঙা গলায় বলল আবির। পরক্ষণে লাফ দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠল। পাতাকে রান্নাঘরের দিকে যেতে বলল। দরজার কড়া নড়ছে। পাতা বসে আছে। আবির অনেকটা জোর করে পাতাকে রান্না ঘরের দিকে পাঠাল।
দ্রুত পায়ে গিয়ে দরজার ছিটকিনি খুলল। বেশ কজন ছাত্রছাত্রী দাঁড়িয়ে আছে। আবির তাদের বলল, আজ পড়াবে না। তার বেশ শরীর খারাপ। ছাত্রছাত্রীরা ফিরে গেল। ভেতর থেকে মুখ টিপে হাসতে হাসতে বেরিয়ে এলো পাতা।
আপনার তো বেশ উপস্থিত বুদ্ধি। বলল পাতা।
কেমন?
এই যে ত্বরিত গতিতে তাদের ভাগিয়ে দিলেন।
আবির আবার শুয়ে পড়ল। পাতা বইয়ের তাকে চোখ বোলাচ্ছে। খানিকপর আবার দরজার কড়া নড়ে উঠল। রাজ্যের বিরক্তি নিয়ে চোখ কচলাতে কচলাতে দরজার কাছে যেতে গিয়েও থামল আবির। পাতাকে রান্না ঘরে পাঠাল।
মিলন। নাস্তা নিয়ে এসেছে। আবির নাস্তার কৌটাটা হাতে নিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল। টেবিলের ওপর কৌটা রাখল। পাতাকে খেয়ে নিতে বলে বাথরুমে গেল।
আপনি খাবেন না? পাতা বলল।
বাইরে খেয়ে নেব।
পাতা কথা বাড়াল না।
আবির তৈরি হয়ে নিল। বেরুনোর সময় তালা-চাবি হাতে নিয়েই বেরুল। পাতাকে বলল, বাইরে তালা লাগিয়ে যাবে। কিন্তু চাবিটা পাতার কাছেই থাকবে। ভেতর থেকে বাইরের তালা খোলার কৌশলও শিখিয়ে দেয় পাতাকে। যদি, কোনো জরুরি প্রয়োজন পড়ে, তখন হয়তো পাতাকেই তালা খুলতে হতে পারে। দুপুরেই ফিরবে আবির। আর সন্ধ্যের পরই পাতা চলে যাবে।
আবির কলেজে গেল। পাতা বইয়ের তাক থেকে তলস্তয়ের ‘আন্না কারেনিনা’ বইটি নিল। বালিশ দু’টি দেয়ালের সঙ্গে ঠেস দিয়ে হেলান দিল। পড়ছে পাতা। দু-এক পাতা পড়তেই পাতার চোখজুড়ে ঘুম এলো। ঘণ্টা খানেকও হয়নি। টিনের চালে কী একটা ঠাস্ করে পড়ল। মনে হয় কেউ ঢিল ছুঁড়েছে। ঘুম ছুটে গেল পাতার। খাটে পা ঝুলিয়ে বসল। আবিরের ঘরটির চারদিকে চোখ বোলালো। বেশ গোছানো। বেচারা একা থাকলেও বেশ গুছিয়ে রাখে দেখছি। পাতা ভাবছে হঠাত্ দরজার দিকে চোখ গেল পাতার। নিচে দরজার ফাঁকে খামের মতো কী যেন একটা দেখা যাচ্ছে।
পাতা উঠে গেল। একটি চিঠি।
প্রেরক আনজুমান। চিঠিটা ওল্টে-পাল্টে দেখল পাতা। বেশ কৌতূহল হচ্ছে তার। কে এই আনজুমান? আবিরের স্ত্রী? নাকি প্রেমিকা? চিঠিটা খুলবে পাতা? এরই মধ্যে আবিরের অনেক কিছুই ভালো লেগে যায় পাতার। মনের কোনো এক গহীন কোণে ভালোলাগা থেকে ভালোবাসাও জন্মায়। আনজুমানের চিঠিটা পাতাকে ভাবিয়ে তোলে।
কৌতূহল চেপে রাখতে পারে না পাতা। খামের আঠা লাগানো অংশে থুথু লাগিয়ে খুলে ফেলল। এক পৃষ্ঠার রোল করা কাগজে একটা চিঠি। পাতা পড়ছে।
‘আবির কেমন আছ জানতে চাইব না। কলেজ আর বাসায় ছাত্রছাত্রী পড়ানোতেই তোমার গত্বাধা ব্যস্ত জীবন। তারপরও তুমি নিয়মিতই আমাকে লিখছ। এটাই আমার পরম পাওয়া। শোন আমাদের বিয়ের তারিখটা মনে হয় আরও একদফা পেছাতে হতে পারে। মাসুদের মেট্রিক পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে... ।’
পুরো চিঠিটা পাতা পড়ল না। বাকিটা তার পড়তে ইচ্ছে হলো না।
চিঠির শেষে লেখা আছে তোমারই আনজুমান।
পাতা ঝিম ধরে বসল বিছানায়। চিঠিটা খামে পুরে মুখটা লাগিয়ে দিল। টেবিলে রাখা খাতা থেকে একটি পাতা ছিঁড়ে নিল। পাতা লিখছে।
‘আবির
হঠাত্ করে আপনার ঘরে এসে আমার জীবনটাই উল্টাপাল্টা হয়ে গেল। আনজুমানের সঙ্গে আপনার বিয়েটা আরেক দফা পেছাল বলে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। প্রিয়তমাকে না পাওয়ার চেয়ে দেরিতে পাওয়াও অনেক ভাগ্যের। আনজুমানকে নিয়ে আপনার জীবন সুখ-সমৃদ্ধে ভরে উঠুক। ভালো থাকুন। পাতা।’
চিঠিটা টেবিলের ওপর বই দিয়ে চাপা দেয় পাতা। তারপর আর কালবিলম্ব করে না। চাবি দিয়ে ভেতর থেকে দরজার বাইরের তালা খোলে। বেরিয়ে পড়ে পাতা। তালা লাগায়। চাবিটা দরজার ফাঁকে নিচেই ফেলে রাখে।
তারপর পথ মাড়ায় রুদ্ধশ্বাসে। অজানা অনুভূতির ছোঁয়া নিয়ে। 
সূত্র : আমার দেশ

No comments:

Post a Comment

নির্বাচিত বিষয়গুলো দেখুন

Labels

মাসের পঠিত শীর্ষ দশ

 

জোনাকী | অনলাইন লাইব্রেরী © ২০১১ || টেমপ্লেট তৈরি করেছেন জোনাকী টিম || ডিজাইন ও অনলাইন সম্পাদক জহির রহমান || জোনাকী সম্পর্কে পড়ুন || জোনাকীতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ