'বন্ধুত্ব' শব্দটিই এমন, যার কোনো নির্দিষ্ট অর্থ হয় না, একক কোনো সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা যায় না। বন্ধু বন্ধুই। পৃথিবীর সব স্বার্থের ঊধ্বে বন্ধুর স্থান। যাকে বিশ্বাস করে সবকিছু বলা যায়, বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে সবসময় ছায়ার মতো পাশে পাওয়া যায়_ সেই তো প্রকৃত বন্ধু। জীবনে এমন বন্ধুর বড় বেশি প্রয়োজন। প্রত্যেকটি সন্তানই তাদের জীবনে কম বেশী মায়ের অভাব অনুভব করে।
পৃথিবীতে মা'ই হলো সন্তানের নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থল। জীবেনর চরম সংকটকালে পরম মমতার ছোঁয়া যার কাছে পাই সে মা। মায়ের কাছে সন্তান যেমন তার শ্রেষ্ঠ সম্পদ তেমনি মা'ও সন্তানের কাছে সবচেয়ে পূজনীয় ব্যক্তি। মায়ের গর্ভে মায়ের রক্তে-মাংসে বেড়ে উঠে, সেই সন্তান যখন পৃথিবীতে আসে প্রথম দেখে সে মায়ের মুখ। পৃথিবীতে মায়ের বুকের দুধেই সে প্রথম লালিত পালিত হয়। সন্তানের সুখে কিংবা দুঃখে সর্বপ্রথম উচ্চারিত হয় মা ডাক। চেতন কিংবা অবচেতনেও সন্তান মাকেই আগে ডাকে। এই মাংয়ের পদতলেই সন্তানের বেহেশত।আর সেই বন্ধুটি যদি হয় মা কিংবা মা-মেয়ের মধ্যে যদি গড়ে ওঠে বন্ধুত্বের চমৎকার অটুট বন্ধন, তাহলে নিঃসন্দেহে সে সম্পর্কে যোগ হয় নতুন এক মাত্রা। সে সম্পর্কে খুঁজে পাওয়া যায় ভিন্ন এক আমেজ। মানুষের এই ছোট্ট জীবনে চলতে-ফিরতে ছোট কিংবা বড় নানা রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়। পড়তে হয় বিভিন্ন রকম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। আর এ ধরনের ঘটনা মুহূর্তেই জীবনকে ওলট পালট করে দিতে পারে। সে সময় কাছের বন্ধুটি নানা অজুহাতে দূরে সরে গেলেও মা যদি তখন শুধুই অভিভাবক না হয়ে বন্ধুর মতো তার নিজের মেয়েটির পাশে এসে দাঁড়ান, বুকে টেনে নেন, মেয়ের সমস্যা নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করেন_ সে মুহূর্তে মেয়েটির জীবনে আর কিছুরই প্রয়োজন পড়ে না। মায়ের চেয়ে বড় বন্ধু পৃথিবীতে আর কেউ নেই।তখন সে পূর্ণ ভরসা কিংবা নির্ভরতার জায়গাটুকু খুঁজে পায়।মায়ের সাহায্য আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়ে জীবন হয়ে ওঠে রঙিন এবং মধুর। ঠিক তেমনি মায়ের জীবনেও ঘটতে পারে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। তখন যদি মেয়েও শুধু মেয়ে না হয়ে মায়ের দিকে বাড়িয়ে দেয় বন্ধুত্বের হাত, তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
মেয়েদের জীবনে এমনিতেই সমস্যার অন্ত নেই। কৈশোর কিংবা টিনএজ বয়সটার কথাই ধরুন না। এ সময়টাতে মেয়েদের নানা রকম শারীরিক ও মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, যা অনেক সময় মুখ ফুটে কাউকে বলতে পারে না। ফলে অনেক সময় বিরূপ আচরণ করতে থাকে অন্যের সাথে। সেই অনাকাঙ্খিত আচরনই তাকে মানষিক ভাবে প্রতি নিয়ত তাড়া করে। তাই মাকে বন্ধু ভেবে খুলে বলুন আপনার একান্ত গোপন সমস্যাটির কথা যেটা অন্য কারো সাথে বলতে আপনার সংকোচবোধ হচ্ছে........................।