মোটর গাড়ি আবিষ্কারের ক্ষেত্রে অনেকের অবদান থাকলেও হেনরি ফোর্ডের অবদান ছিলো সবচেয়ে বেশি। এ কারণে হেনরি ফোর্ডকে মোটর গাড়ির আবিষ্কারক বলা হয়। তিনি ছিলেন উইলিয়াম ফোর্ড নামে এক চাষীর সন্তান। আমেরিকার অঙ্গরাজ্য মিচিগানের রেডিয়ার বোনে জন্মগ্রহণ করেন ফোর্ড। সেই দিনটি ছিলো ১৮৬৩ সালের ৩০ জুলাই।
১৮৬৮ সালে স্কুলে ভর্তি করে দেয়া হলেও দুষ্টুমি করার কারণে স্কুল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর তিনি বাড়িতে মা মেরি ফোর্ডের কাছে লেখাপড়া করেন। তবে ১৮৭৬ সালে মা মারা যাবার পর লেখাপড়া আর হয়নি।
ছেলেবেলা থেকেই যন্ত্রপাতির ওপর তীব্র আকর্ষণ ছিলো ফোর্ডের। তিনি ১৮৮৩ সালে একক প্রচেষ্টায় বাষ্পচালিত ট্রাক্টর বানিয়ে প্রথম তার উদ্ভাবনী শক্তির প্রমাণ দেন। ১৮৮৮ সালে ফোর্ড ক্লারা ব্রায়েন্টকে বিয়ে করেন। এ সময় তিনি জানতে পারেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা যান্ত্রিক গাড়ি বা মোটর চালিত গাড়ি আবিষ্কারের জন্য গবেষণা করে যাচ্ছেন। যন্ত্রের প্রতি ছেলেবেলা থেকেই আগ্রহী ছিলেন ফোর্ড। তিনি সিদ্ধান্ত নেন অবসর সময়ে মোটর গাড়ি উদ্ভাবনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
এ সময় ফোর্ড ডেট্রয়েটে বিখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস অ্যালভা এডিসনের এডিসন লাইটিং কোম্পানিতে কাজ করতেন। এখানে কাজ করতে হতো রাতের শিফটে—দিনে চালাতেন গাড়ি উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা। একটানা দু’বছর কাজ করার পর মোটামুটি মোটর গাড়ি উদ্ভাবনে সক্ষম হন ফোর্ড। তিনি এডিসনের কোম্পানির কাজ ছেড়ে দিয়ে পুরো সময় মোটর গাড়ি আবিষ্কারের পেছনে ব্যয় করেন। ১৮৯৩ সালের প্রথম দিকে মোটর গাড়ি তৈরির ব্যাপারে অনেক দূর এগিয়ে যান ফোর্ড। সে বছরের কোনো এক রাতে প্রথম মোটর গাড়ি নিয়ে পথে বের হন হেনরি ফোর্ড। পরে এই গাড়ির আরো উন্নতি ঘটান। ডেট্রয়েটের শহরতলিতে প্রতিষ্ঠা করেন প্রথম কারখানা। ছয়শ’ পঁয়ষট্টি একর জমির ওপর নির্মিত এ কারখানা থেকে হেনরি ফোর্ডের সময় প্রতি বছর মোটর গাড়ি ছাড়াও নির্মিত হতো দশ লাখ ট্রাক্টর। একশ’টি রেলপথ দিয়ে সেগুলো বিভিন্ন দেশে পাঠানো হতো।
ফোর্ড নিজে ছিলেন কৃষকের সন্তান। তাই গরিব কর্মচারীদের ওপর তার ছিলো অসীম মমতা। তার ফোর্ড মোটর কোম্পানির সব শ্রেণীর কর্মচারীর জন্য তিনি চালু করেন স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, কল্যাণ ফান্ড, বৃত্তি ও অন্যান্য সেবাধর্মী কর্মকাণ্ড। তার প্রতিষ্ঠিত ফোর্ড ফাউন্ডেশন আজো বিশ্বের উন্নতিতে অর্থ সাহায্য করে যাচ্ছে। মহাপ্রাণ হেনরি ফোর্ড মারা যান ১৯৪০ সালের ৭ এপ্রিল।
১৮৬৮ সালে স্কুলে ভর্তি করে দেয়া হলেও দুষ্টুমি করার কারণে স্কুল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর তিনি বাড়িতে মা মেরি ফোর্ডের কাছে লেখাপড়া করেন। তবে ১৮৭৬ সালে মা মারা যাবার পর লেখাপড়া আর হয়নি।
ছেলেবেলা থেকেই যন্ত্রপাতির ওপর তীব্র আকর্ষণ ছিলো ফোর্ডের। তিনি ১৮৮৩ সালে একক প্রচেষ্টায় বাষ্পচালিত ট্রাক্টর বানিয়ে প্রথম তার উদ্ভাবনী শক্তির প্রমাণ দেন। ১৮৮৮ সালে ফোর্ড ক্লারা ব্রায়েন্টকে বিয়ে করেন। এ সময় তিনি জানতে পারেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা যান্ত্রিক গাড়ি বা মোটর চালিত গাড়ি আবিষ্কারের জন্য গবেষণা করে যাচ্ছেন। যন্ত্রের প্রতি ছেলেবেলা থেকেই আগ্রহী ছিলেন ফোর্ড। তিনি সিদ্ধান্ত নেন অবসর সময়ে মোটর গাড়ি উদ্ভাবনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
এ সময় ফোর্ড ডেট্রয়েটে বিখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস অ্যালভা এডিসনের এডিসন লাইটিং কোম্পানিতে কাজ করতেন। এখানে কাজ করতে হতো রাতের শিফটে—দিনে চালাতেন গাড়ি উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা। একটানা দু’বছর কাজ করার পর মোটামুটি মোটর গাড়ি উদ্ভাবনে সক্ষম হন ফোর্ড। তিনি এডিসনের কোম্পানির কাজ ছেড়ে দিয়ে পুরো সময় মোটর গাড়ি আবিষ্কারের পেছনে ব্যয় করেন। ১৮৯৩ সালের প্রথম দিকে মোটর গাড়ি তৈরির ব্যাপারে অনেক দূর এগিয়ে যান ফোর্ড। সে বছরের কোনো এক রাতে প্রথম মোটর গাড়ি নিয়ে পথে বের হন হেনরি ফোর্ড। পরে এই গাড়ির আরো উন্নতি ঘটান। ডেট্রয়েটের শহরতলিতে প্রতিষ্ঠা করেন প্রথম কারখানা। ছয়শ’ পঁয়ষট্টি একর জমির ওপর নির্মিত এ কারখানা থেকে হেনরি ফোর্ডের সময় প্রতি বছর মোটর গাড়ি ছাড়াও নির্মিত হতো দশ লাখ ট্রাক্টর। একশ’টি রেলপথ দিয়ে সেগুলো বিভিন্ন দেশে পাঠানো হতো।
ফোর্ড নিজে ছিলেন কৃষকের সন্তান। তাই গরিব কর্মচারীদের ওপর তার ছিলো অসীম মমতা। তার ফোর্ড মোটর কোম্পানির সব শ্রেণীর কর্মচারীর জন্য তিনি চালু করেন স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, কল্যাণ ফান্ড, বৃত্তি ও অন্যান্য সেবাধর্মী কর্মকাণ্ড। তার প্রতিষ্ঠিত ফোর্ড ফাউন্ডেশন আজো বিশ্বের উন্নতিতে অর্থ সাহায্য করে যাচ্ছে। মহাপ্রাণ হেনরি ফোর্ড মারা যান ১৯৪০ সালের ৭ এপ্রিল।
সূত্র: আমার দেশ
No comments:
Post a Comment