প্রিয় পাঠক লক্ষ্য করুন

Friday, June 8, 2012

দহন | জাকিয়া সুলতানা

চৌধুরী মিনহা প্রতিদিন ভোর পাঁচটায় উঠে ফজরের নামাজ পড়ে হালকা কিছু খেয়ে বিছানায় যান, আর ওঠেন আটটার দিকে। কিন্তু আজ তার কি যে হলো, বিছানায়ও যেতে ইচ্ছে করছে না। কিছুক্ষণ গড়াগড়ি করে বারান্দায় বসে আছেন। কাজের মেয়েটা সাধারণত সাতটায় উঠে নাশতা তৈরি করে তাকে জাগায়, কিন্তু আজ কাজের মেয়েটি উঠেই দেখে ম্যাডাম বারান্দায় বসা। ওতো এক রকম দৌড়ে গিয়েই—খালাম্মা আপনি আজ এত তাড়াতাড়ি উঠেছেন, আমি তো নাশতা তৈরি করতে পারিনি।
অসুবিধে নেই, মর্জিনা তুমি তোমার কাজ সেরে আমাকে একই টাইমে নাশতা দেবে। আমার শরীরটা তেমন ভালো নেই। তাই এখানে বসে আছি। তুমি আমাকে পত্রিকাটা এনে দাও।
সকাল থেকেই চৌধুরী মিনহার মনটা ভালো নেই। নিজের জীবনের অনেক কিছুরই না পাওয়ার বেদনা তাকে কুরে কুরে খেয়েছে সারাটি জীবন। এখন মধ্যবয়সে এসে মনে হচ্ছে জীবনে অনেক ভুলই করেছি, কিন্তু শোধরাবার সময় যে আর নেই। কিন্তু না পাওয়ার বেদনা যে কতটা প্রখর, তা আজ মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেন তিনি। কিন্তু সময় হারিয়ে সে উপলব্ধির তো কোনো অর্থই নেই। কিন্তু মেয়েটা? মেয়েটাও কী আমার মতোই সেই একই পথে হাঁটছে? কীভাবে বোঝাই ওকে? ও ছাড়া যে আমার জীবনে আর কিছুই নেই অবশিষ্ট।
আশির দশকে চৌধুরী মিনহার বিয়ে হয়েছিল ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সালেহ আহমেদের সঙ্গে। উচ্চ বংশের ছেলে সালেহ আহমেদ। বাবার অগাধ সম্পদ না থাকলেও একজন ভালো মানুষ হিসেবে সমাজে সর্বজনপ্রিয়। কিন্তু এ বিয়েতে মত ছিল না তার। কারণ কলেজ জীবনে ভালোবেসেছিলেন রেদোয়ান নামের এক যুবককে। রেদোয়ান ছিলেন এক পুলিশ অফিসারের ছেলে, আর সেখানেই আপত্তি ছিল মিনহার রক্ষণশীল বাবার। কোনোভাবেই বুঝতে চাননি মেয়েকে। তার একই কথা, ঘুষখোরের ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে নয়! যে বাবাকে দেশের সবাই এক নামে চেনে, যিনি জ্ঞানের ভাণ্ডার বলে পরিচিত; সেই বাবাকে বোঝানোর সাধ্যি কার? আর তার মেয়ে হয়ে যে একজনকে পছন্দ করেছে, সেটাই অনেক আশ্চর্যের ব্যাপার! শিক্ষানুরাগী হাতেম আলী, যিনি জীবনে শুধু মানুষকে দিয়েই গেছেন। কিন্তু নিজের মেয়ের জন্য কিছুই করতে পারলেন না। একটি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপ্যাল ছিলেন। গরিবদের জন্য বিনা বেতনে পড়ানো থেকে শুরু করে কার পাশে তিনি ছিলেন না? ছিল তার নিজের হাতে গড়া ফ্রি প্রাইমারি স্কুল, হাইস্কুল, এতিমখানা। যার দান-অনুদানের খবর মানুষের মুখে মুখে। বিদ্বান এই মানুষটির জীবনে এতটা কষ্ট আসবে, তা কেউ কল্পনাও করেনি কখনো। এতটাই আবেগি আর মুডি তার কন্যাটি যে... যখন শুনলেন তার বাবা এ বিয়েতে কিছুতেই মত দেবেন না, তখন সবকিছু শুধু মুখ বুজেই সহ্য করে গেছেন। বাবার সামাজিক অবস্থান আর মানসম্মানের দিকে তাকিয়ে বাবার মতের বিরোধিতা করেননি, দু’পায়ে দলেছেন নিজের ভালোবাসাকে।
বাবা যেখানে পাত্র পছন্দ করেছেন সেখানেই বিয়েতে মত দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিশোধ নিয়েছেন নিজের উপর। আর সেই প্রতিশোধের আগুনে জ্বলেছেন একজন নিষ্পাপ আবু সালেহ উদ্দীন। শুধু জ্বলাই নয়, তিনি ছারখার হয়েছেন জীবনে। কিন্তু মিনহার প্রতিশোধের আগুনে তিনি কেন জ্বলবেন? এমন কথাটাও বলার মতো ইচ্ছে তার জাগেনি কখনও। ভাগ্যকেই বরণ করে কাটিয়ে দিয়েছেন একটি জীবন। মুখ বুজে মিনহার সব ধরনের অত্যাচার তিনি সহ্য করেছেন। এমন একজন ব্যক্তিত্বের মেয়ের পাণি তিনি গ্রহণ করেছেন যে, ঘরের বাইরে এ নিয়ে বলার মতো মানসিকতাও তার কাজ করেনি কখনও। এক সময়ের উচ্ছল বন্ধুবত্সল আবু সালেহ বিয়ের পর কেমন যেন একা একা থাকতে ভালোবাসতেন। অফিসে দু’একজন কলিগ এ নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা অনেকদিন করেছেন। কিন্তু কারও সঙ্গে শেয়ার তিনি করেননি, শুধু একবুক জ্বালা নীরবে সয়েছেন। যখন সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে, তখন একদিন অপ্রাপ্ত বয়সে হার্ট অ্যাটাকে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করলেন। মিনহার সঙ্গে স্মৃতি বলতে রেখে গেছেন মেয়ে বকুলকে। মরার সময় শুধু বলে গেছেন, আমার মেয়েটাকে তুমি কষ্ট দিও না।
কিন্তু সে কথা রাখতে পারলেন না মিনহা। যখন জানলেন তার মেয়েটিও একজনকে পছন্দ করে, তখন যেন আকাশ ভেঙে তার মাথায় পড়ল। কারণ, প্রেম-ভালোবাসা তো তার অভিধানে নেই। ওখানে জীবনে কোনো কম্প্রোমাইজ তিনি করতে পারবেন না। ও জিনিসটি যে তার জীবন থেকে মরে গেছে অনেক আগেই। তাই বলে কী তার একমাত্র আদরের সন্তানটিকে নিজের মতো করেই কষ্ট দেবেন? নাকি মেয়ের পছন্দকেই প্রাধান্য দেবেন, তাই নিয়ে ভেতরে ভেতরে তোলপাড় চলছে মিনহা চৌধুরীর।
সালেহ সাহেব মারা যাওয়ার পর কলেজ শিক্ষক মা আর বুয়েট পড়ুয়া একমাত্র মেয়ের জীবন মোটামুটি ভালোই চলছিল। কিন্তু বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো অবস্থা হলো, যখন তিনি জানলেন তার মেয়েটি তারই মতো একই ভুল করতে যাচ্ছে। মেনে নিতে পারলেন না তিনি কিছুতেই। তাই প্রথমে মেয়েকে শোধরাবার চেষ্টা করলেন। একদম মায়ের কাজটিই বকুল করল। শুধু বলল, মা তুমি নিশ্চিত থাক, আমি তোমার অবাধ্য হয়ে কিছু করব না। তুমি যা চাও তাই হবে। তুমি আমাকে নিয়ে একদম ভেবো না। কিন্তু বকুল যে ভেতরে ভেতরে শেষ হয়ে যাচ্ছে, তা তার রাশভারি মা কী করে বুঝবে? কারণ বকুল আর তার মায়ের সম্পর্কটা ছিল এক রকম দূরত্বেরই। জীবনে মেয়ের সঙ্গে কখনও প্রয়োজনের বাইরে কথা বলতেন না তিনি। সব সময় একটা মাস্টার মাস্টার ভাব। কিন্তু সবকিছু জানার পরেও মিনহা চৌধুরী বোঝার চেষ্টা করেননি কখনও বকুলের হৃদয়ে কতটা রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যে ভালোবাসার জন্য তার জীবনটা এভাবে ছারখার হয়ে গেল, সেখানে বকুলের ভালোবাসাকে প্রাধান্য দেয়াটা ছিল তার অতি প্রয়োজন। কিন্তু তিনি করলেন তার উল্টোটি। বকুল ভালো করেই জানে, ওর একরোখা ধরনের মায়ের অনুমতি পাওয়া হয়তো কখনোই সম্ভব না। যে এক কথা দু’বার বলে না, তার কাছে তো কোনো কিছু ভিক্ষা চেয়েও লাভ নেই। তাই বলে তো আর জীবন থেমে থাকবে না। হয়তো এখন হাঁটতে হবে উল্টোপথে। তাই বকুল পাথরে বুক বেঁধে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অন্তত পড়াশোনাটা তো ঠিকমত করতে হবে।
বকুল কীভাবে সাকিবকে বোঝাবে যে ওর মাকে দ্বিতীয়বার কষ্ট দেয়া ওর পক্ষে সম্ভব না। তাই যেভাবেই হোক সাকিবকে ভুলতে হবে। আস্তে আস্তে দূরত্ব সৃষ্টি করতে লাগল বকুল। যেখানে ঘুমকাতুরে সাকিবের ঘুম ভাঙত বকুলের ফোনে, সেখানে আজ দু’দিন গত হতে চলল বকুল ফোন করছে না। বড্ড চিন্তায় পড়ে গেল সাকিব। কী হয়েছে ওর, ফোন করছে না কেন? কোনো রকম অসুখ করল না তো? সাকিব ফোন করে, বকুল ধরে না; আবার ফোন করে সে। না, সে ধরে না। তৃতীয়বার বলে, সাকিব আমার শীররটা তেমন ভালো নেই, কালকে তোমার সঙ্গে ক্যাম্পাসে দেখা হবে। সাকিব চিন্তায় পড়ে যায়, কী এমন অপরাধ করলাম আমি। আমার জানা মতে আমি তো কোনো অপরাধ করিনি। তাহলে কেন ও এমন করছে। সারাটি দিন-রাত খুব কষ্টে যায় সাকিবের। কিন্তু কোনো সমাধান খুঁজে পায় না সে। সামনে পরীক্ষা, এক মুহূর্তও সময় অপচয় করা চলবে না। তাই আবার মনোযোগী হয় পড়াশোনায়। পরের দিন ক্যাম্পাসে দেখা বকুলের সঙ্গে। কিন্তু কী বলবে ও? হয়তো পরীক্ষার জন্যই ও এমনটি করছে।
—কী হয়েছে বকুল? কোনো সমস্যা?
—না, তেমন কিছু নয়।
—তবে?
আসলে আমার শরীরটা তেমন ভালো নেই, আর সামনে তো পরীক্ষা। আমি ভাবছি আমরা কিছুদিন দেখা-সাক্ষাত্ বা কোনো রকম ফোন করব না।
সাকিব শুধু হুম বলে ক্লাসের দিকে পা বাড়ায়।
আড়ালে মুখ বুজে কিছুক্ষণ কেঁদে নেয় বকুল। হয়তো আর কোনোদিনই একপথে আর সাকিবের সঙ্গে হাঁটা হবে না। হয়তো কোনো ফুচকার দোকানে একই প্লেটে আর ফুচকা খাওয়া হবে না, বা লাইব্রেরিতে একসঙ্গে বসে আর কোনোদিন ক্লাসওয়ার্ক করা হবে না। হয়তো একটি রিকশায় হুড খোলা রেখে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে আর ভেজা হবে না। এ আমি কী করলাম! সাকিব আমাকে কতটা ভালোবাসে তাতো আমি জানি, আমাকে না পেলে ওর হয়তো বড় ধরনের অ্যাক্সিডেন্ট হবে। কিন্তু মা? আমি কাকে বেছে নেব? সামনে আমার দুটি পথ খোলা—এক সাকিবকে গ্রহণ করা, না হয় মায়ের কথা মেনে নেয়া। না, মাকে আমি কষ্ট দিতে পারব না। এগুলো ভাবলে আমি দুর্বল হয়ে পড়ব সাকিবের প্রতি। আমাকে এগুলো আর ভাবা চলবে না। আমার পথ এখন সাকিবের উল্টোদিকে। বিদায় সাকিব! বিদায়! ভালো থেকো।
বকুলের মায়ের জীবনের সবকিছুই একদিন বকুল তার ডায়রি পড়ে জেনে নেয়। কিন্তু মায়ের এমন কষ্টের জীবনে বকুল আর কষ্ট দিতে চায়নি বলেই ভুলতে চাচ্ছে সাকিবকে। কিন্তু তা কেমন করে সম্ভব? যাকে তার মনপ্রাণ সব দিয়ে বসেছে, তাকে বাকি জীবনে ভুলে থাকা কীভাবে সম্ভব? আর মাকেই বা কীভাবে কষ্ট দেবে বুঝতে পারে না বকুল। তাই ভাবতে থাকে আমাকে এমন আবেগি হলে চলবে না। যেভাবেই হোক আমাকে শক্ত হতেই হবে।
একদিন ইন্টারনেট ঘাঁটতে গিয়ে বকুল দেখতে পেল লন্ডনের একটি স্থাপত্য সংস্থা কিছু লোক নিয়োগ দেবে। এমন সুযোগ আর হাতছাড়া করা যাবে না। তাই দ্রুত আবেদন করতে হবে।
যেমন ভাবা তেমন কাজ। এত দ্রুত যে সবকিছু হয়ে যাবে, বকুল ভাবতেও পারেনি। তাই তো পরীক্ষার রেজাল্ট হতে না হতেই হাতের নাগালেই চাকরি। বকুল গোপনে তার পাসপোর্ট, যাবতীয় কাগজপত্র রেডি করে ফেলল। এক মাসের মধ্যেই সবকিছু হয়ে গেল। দু’দিন বাদেই বকুলের ফ্লাইট। তাই এখন শুধু বিদায় জানানোর পালা। মাকে তাই লেখা তার চিঠি—

মামণি,
আমি চলে যাচ্ছি; না সাকিবের সঙ্গে নয়, আমার কর্মস্থলে। কী তুমি অবাক হচ্ছো যে তোমার ভীতু মেয়েটা এতকিছু কীভাবে পারল? হ্যাঁ মা আমাকে পারতে হয়েছে। তুমি চেয়েছিলে আমি জীবনে একজন প্রতিষ্ঠিত ইঞ্জিনিয়ার হই। আর বাবা চেয়েছিলেন আমি ডাক্তার হই, কিন্তু এখানেও তুমি বাবার চাওয়াকে কোনো পাত্তা দাওনি। তুমি যা চেয়েছ, তাই হয়েছে। তুমি আমাকে বুয়েটে ভর্তি করানোর জন্য কী না করেছ। কিন্তু দেখ মা তোমার ইচ্ছেটাকে সৃষ্টিকর্তা কতটা তাড়াতাড়িই না গ্রহণ করেছে? পাস করতে না করতেই আমার চাকরিটা হয়ে গেল। হয়তো বিদেশে তুমি যেতে দিতে চাইতে না, তাই তোমাকে কিছু না জানিয়েই সবকিছু করতে হয়েছে আমাকে। সরি মা, এছাড়া যে আমার কোনো উপায় ছিল না। একমাত্র বিদেশই পারে তোমার-আমার ভাঙন থেকে দূরে রাখতে। কারণ একই ছাদের নিচে থেকে হয়তো তোমার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা অটুট রাখা সম্ভব হতো না। যেমনটা হয়েছিলে তোমার সঙ্গে নানা ভাইয়ের। তাই চলে গেলাম দূরে, বহুদূরে। তোমার-আমার সম্পর্কটা এখন আরও বেশি গভীর হবে, তুমি দেখো মা, সকাল-দুপুর-সন্ধ্যে তোমার খবর আমি নেব। যেটা তোমার কাছাকাছি থেকেও হয়তো সম্ভব হতো না। কারণ আমি ছাড়া যে এ দুনিয়ায় তোমার আর কিছু নেই।
মা, সারাটি জীবন তুমি ঝরেপড়া বকুল কুড়িয়ে তোমার মনের মানুষটির জন্য মালা গেঁথেছিলে। আর তাকে না পেয়ে আমার নিষ্পাপ বাবার জীবনটা তুমি নষ্ট করে দিয়েছ। কী দোষ ছিল আমার বাবার, বলতে পার? তাকে তুমি কোনোদিন স্বামীর মর্যাদা দাওনি। একই ছাদের নিচে বাস করে স্বামী-স্ত্রীর যে কী সম্পর্ক, তা তোমরা অনুভব করনি কখনও। মাঝখানে অকালে আমাকে হতে হয়েছে এতিম। কেন তোমার না পাওয়া ভালোবাসার বলি আমাদের বাবা-মেয়েকে হতে হয়েছে, বলতে পার কি? মা, সাকিব আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে অযোগ্য ছিল না। কিন্তু তোমার ওই যে ভালোবাসাকে ঘৃণা করা, যেটাকে তুমি মনে কর অর্থহীন, তোমার কাছে সেই অর্থহীন ভালোবাসাটাই আজ আমাকে এত দূরে ঠেলে দিয়েছে, কিন্তু একটি বারও তুমি এর বিপরীত দিকটা ভেবে দেখলে না মা। ভুল যদি কেউ করে থাকে করেছে তোমার বাবা, আর তার মাসুল কেন আমার বাবা বা আমি দিলাম? জানি তুমি আজ আমার কোনো প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারবে না। আর তাই আমি আমার জীবনে আমার বাবার মতো কোনো নিষ্পাপ লোককে ঠকাতে চাই না বলেই আমার এ সিদ্ধান্ত। মা, তুমি তোমার জীবনের সব আবেগ দিয়ে আমার নাম রেখেছ বকুল। আর এ নামটিই হয়তো তোমাকে আমার খুব কাছে রাখবে মা, তুমি ভালো থেকো। দোয়া যদি নাও কর, অন্তত বদ-দোয়া কর না। মা, এছাড়া যে আমার আর কোনো উপায় ছিল না। হ
ইতি তোমার
ঝরাবকুল
 
সূত্র : আমার দেশ

No comments:

Post a Comment

নির্বাচিত বিষয়গুলো দেখুন

Labels

মাসের পঠিত শীর্ষ দশ

 

জোনাকী | অনলাইন লাইব্রেরী © ২০১১ || টেমপ্লেট তৈরি করেছেন জোনাকী টিম || ডিজাইন ও অনলাইন সম্পাদক জহির রহমান || জোনাকী সম্পর্কে পড়ুন || জোনাকীতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ