আজি বসন্ত এসেছে দ্বারে
সাদরে ভিতরে নাও
মনের মত নক্সী কাঁথাটি
মেঝেতে বিছায়ে দাও।
বড় আদুরে বড় সোহাগে
বড় সে অভিমানিনী
ফুলের ডালি মাথায় নিয়ে
এসেছে বসন্তরাণী।
বন বনানী উঠেছে কেঁপে
কোকিলের কুহুতানে
নদীতে নব জোয়ার এল
কল কল কলতানে।
শাখে শাখে গেয়ে ওঠে পাখি
মাধবীর জয়গান
অপর শাখে ডাকিছে কাক
খেয়ে ফেলে যেন কাণ।
এমনি ক্ষণে কুটুম পাখি
ডেকে যায় বসে শুনি
ফুলের ডালি মাথায় নিয়ে
এসেছে বসন্তরাণী।
জীর্ণ শীর্ণ হয়েছিল ধরা
শীতের হিমেল বায়ে
মানব-মানবীর অর্ধায়ু
গিয়েছিল যেন ক্ষয়ে।
হেন কালে ফিরে এলো সেই
মায়াময় ঋতুরাজ
হিমশীর্ণা যুবা ধরণীরে
পরায়ে বধূর সাজ।
অরুণ রাঙা অধরদ্বয়
মুখে মধুর ফাল্গুণী
ফুলের ডালি মাথায় নিয়ে
এসেছে বসন্তরাণী।
হাতে দিল মোহন বাঁশরী
কন্ঠে দিল মিহি সুর
দখিণা সমীর পণ্য ভেবে
নিয়ে যায় বহু দূর।
অঙ্গে পরালো ফুলের শাড়ী
গলায় কুসুম মালা
আঁখি পাতে পরালো কাজল
হাতে দিল তরুবালা।
নবপত্রে আবরিল পদ
পরাইল ঝন্ ঝনি
ফুলের ডালি মাথায় নিয়ে
এসেছে বসন্তরাণী।
এমনি করিয়া বসে বসে
পরাইল নব সাজ
ডাগর চোখে আঁকিল পরে
যৌবন সুলভ লাজ।
মুচকি হাসি হাসিছে ধরা
নবীনা বধূর বেশে
নিঁদ্ হারা কত নিশি যায়
বসিয়া কাহার আশে।
ভোমর-ভোমরা গন্ধে আসে
গুণ্ গুণ্ মুখে ধ্বনি
ফুলের ডালি মাথায় নিয়ে
এসেছে বসন্তরাণী।
এমনি করিয়া দিন যায়
গাছে গাছে ফোটে ফুল
যেদিকে চাই দেখি শুধুই
কতনা আম্র মুকূল।
নব পল্লবে সজ্জিত মহি
সবুজের সমারোহ
অদুরে হেরি পাতার ফাঁকে
কৃষকের পর্ণ গেহ।
কিসের অভাবে ব্যস্ত ধরা
কন্ঠে শুধু রিনি ঝিনি
ফুলের ডালি মাথায় নিয়ে
এসেছে বসন্তরাণী।
মাধবী জোৎস্না রাতে বসে
লাগিল কিসের ঢেউ
যুবক-যুবতী চঞ্চল হল
বুঝিলনা কিসে কেউ।
মধুর হাসি হাসিল ক্ষিতি
হাসাল সবারে আর
তাই দেখি তারায় তারায়
চলিতেছে অভিসার।
পরশন্বেষী ফিরিছে তাই
খুঁজিয়া মধুর খনি
ফুলের ডালি মাথায় নিয়ে
এসেছে বসন্তরাণী।
সূত্র : নতুন দেশ
সাদরে ভিতরে নাও
মনের মত নক্সী কাঁথাটি
মেঝেতে বিছায়ে দাও।
বড় আদুরে বড় সোহাগে
বড় সে অভিমানিনী
ফুলের ডালি মাথায় নিয়ে
এসেছে বসন্তরাণী।
বন বনানী উঠেছে কেঁপে
কোকিলের কুহুতানে
নদীতে নব জোয়ার এল
কল কল কলতানে।
শাখে শাখে গেয়ে ওঠে পাখি
মাধবীর জয়গান
অপর শাখে ডাকিছে কাক
খেয়ে ফেলে যেন কাণ।
এমনি ক্ষণে কুটুম পাখি
ডেকে যায় বসে শুনি
ফুলের ডালি মাথায় নিয়ে
এসেছে বসন্তরাণী।
জীর্ণ শীর্ণ হয়েছিল ধরা
শীতের হিমেল বায়ে
মানব-মানবীর অর্ধায়ু
গিয়েছিল যেন ক্ষয়ে।
হেন কালে ফিরে এলো সেই
মায়াময় ঋতুরাজ
হিমশীর্ণা যুবা ধরণীরে
পরায়ে বধূর সাজ।
অরুণ রাঙা অধরদ্বয়
মুখে মধুর ফাল্গুণী
ফুলের ডালি মাথায় নিয়ে
এসেছে বসন্তরাণী।
হাতে দিল মোহন বাঁশরী
কন্ঠে দিল মিহি সুর
দখিণা সমীর পণ্য ভেবে
নিয়ে যায় বহু দূর।
অঙ্গে পরালো ফুলের শাড়ী
গলায় কুসুম মালা
আঁখি পাতে পরালো কাজল
হাতে দিল তরুবালা।
নবপত্রে আবরিল পদ
পরাইল ঝন্ ঝনি
ফুলের ডালি মাথায় নিয়ে
এসেছে বসন্তরাণী।
এমনি করিয়া বসে বসে
পরাইল নব সাজ
ডাগর চোখে আঁকিল পরে
যৌবন সুলভ লাজ।
মুচকি হাসি হাসিছে ধরা
নবীনা বধূর বেশে
নিঁদ্ হারা কত নিশি যায়
বসিয়া কাহার আশে।
ভোমর-ভোমরা গন্ধে আসে
গুণ্ গুণ্ মুখে ধ্বনি
ফুলের ডালি মাথায় নিয়ে
এসেছে বসন্তরাণী।
এমনি করিয়া দিন যায়
গাছে গাছে ফোটে ফুল
যেদিকে চাই দেখি শুধুই
কতনা আম্র মুকূল।
নব পল্লবে সজ্জিত মহি
সবুজের সমারোহ
অদুরে হেরি পাতার ফাঁকে
কৃষকের পর্ণ গেহ।
কিসের অভাবে ব্যস্ত ধরা
কন্ঠে শুধু রিনি ঝিনি
ফুলের ডালি মাথায় নিয়ে
এসেছে বসন্তরাণী।
মাধবী জোৎস্না রাতে বসে
লাগিল কিসের ঢেউ
যুবক-যুবতী চঞ্চল হল
বুঝিলনা কিসে কেউ।
মধুর হাসি হাসিল ক্ষিতি
হাসাল সবারে আর
তাই দেখি তারায় তারায়
চলিতেছে অভিসার।
পরশন্বেষী ফিরিছে তাই
খুঁজিয়া মধুর খনি
ফুলের ডালি মাথায় নিয়ে
এসেছে বসন্তরাণী।
সূত্র : নতুন দেশ
No comments:
Post a Comment