প্রিয় পাঠক লক্ষ্য করুন

Tuesday, May 3, 2011

অপেক্ষা ।। শিশিরার্দ্র মামুন

টিটিট-টিটিট করে ঘড়িটি আওয়াজ দিচেছ জানিয়ে দিলো এখন ৬ টা বাজে, আর ঘুম নয় উঠ্ উঠ্! ঘড়িটির এলার্ম বন্ধ করে লেপ থেকে অনিচছা সত্ত্বেও শরীর বের করলাম। ইস্ এ দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা গন্ডগোল, ধর্মঘট করেনা কেন? ধর্মঘট হলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকত, শীতে আরাম করে ঘুমাতে পারতাম। বিছানা ছেড়ে হাত-মুখ ধুয়ে জামা কাপড় পড়ে ক্লাশে যাওয়ার জন্য তৈরি হচিছ এমন সময় টেলিফোনের চিৎকার,
আমাকে ধর আমাকে ধর। বুকটা কেঁেপ উঠলো। এতো সকালে সাধারণত জার্মানির কোথাও হতে কোন ফোন আসে না। অবশ্য সকাল বেলা মাঝে মাধ্যে ফোন আসে আমার প্রিয় বাংলাদেশ থেকে। তাহলে দেশে কি কারো কিছু হলো? গত সপ্তাহে দেশে কথা বলেছি। বাবার শরীর ভাল নেই, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাহলে বাবার কিছু হলো নাকি? এক ধরণের চাপাভয়ে, উত্তেজনায় রিসিভারটি তুললাম, ওপার থেকে ভেসে এলো ‘হ্যালো অপু, ঈদ মোবারক!
গলা শুনে বুঝে গেছি এটা রোমানের ফোন।
কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করে বললাম, আজ ঈদ নাকি?
হ্যাঁ স্যার, আজ ঈদ। তা কখন আসছিস্ নামাজ পড়তে বাঙ্গালি মসজিদে?
দোস্ত  ঈদ মোবারক। না-রে আসতে পারবো না, আজ হোম টিউটোরিয়াল পরীক্ষা আছে।
বলিস কী, আজও কলেজে যাবি?
হ্যাঁ-দো¯ত, না গিয়ে উপায় নেই। আজকের পরীক্ষার জন্য গতকাল অনেক রাত পর্যšত পড়াশুনা করে প্রস্তুতি
নিয়েছি, তাছাড়া শালার প্রফেসর বড় বদমাশ, পরে আর নিতে চাইবে না, ঝামেলা পাকাবে।
ঈদের নামাজের চেয়ে তোর পরীক্ষা বড় হয়ে গেল?
এর উত্তর আমি দিতে পারলাম না। মনে মনে বললাম, প্রবাসে এসে ঈদের সঙ্গা কি, ঈদ কাকে বলে, ভুলে গেছি। ঈদ নামের আনন্দময় শব্দটির সাথে আমার যেন আঁড়ি সম্পর্ক!
তা হলে ক্লাশ শেষে বাসায় চলে আসিস ! ইকবাল, রাজু, লাবলু, আরিফ, জালাল ওরা সবাই নামাজের পর বাসায় আসবে। খুব মজা হবে, তাড়াতাড়ি এসে পরিস্।
নামগুলো শুনে আমার এখনই ফ্রাঙ্কফুর্টে রোমানের বাসায় যেতে ইচ্ছে করছে। নিশ্চয়ই ইকবাল আজ স্পেশাল রান্না করবে। আহা! কতদিন দেশী খাবার খাই না, কতদিন ওদের সাথে আড্ডা দেই না, তাস খেলতে বসে হৈ চৈ করি না, কতকাল বারে বসে সবাই মিলে মাতাল হই না! আমি ওদের কাছ থেকে তিরিশ কিলোমিটার দুরে থাকি, অথচ বছরে মাত্র তিন চার বার আমাদের সাথে দেখা হয়।
না দোস্ত , বিকালেও আসতে পারবো না, বিকালে আমার কাজ, কাজ শেষ করে ঘরে ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যাবে ।
আমার কথায় রোমান রাগ করে রিসিভারটি খট্ করে রেখে দিল। মনটা প্রচন্ড খারাপ হয়ে গেল। শালার এই এক চুতিয়া জীবন! আজ ঈদ, রোমানরা ও অন্যান্য প্রবাসী বাঙালিরা সব কষ্ট ভুলে আজ সবাই ক্ষণিকের জন্য সব কষ্ট ভুলে গিয়ে আনন্দফুর্তী করবে, আর আমি...? আমি যন্ত্রের মত ছুঁটতে থাকবো সারাদিন, উদ্ভ্রাস্তের মতো একা থাকবো সারাদিন, এখানে এই তো জীবন!
      প্রচন্ড মন খারাপ নিয়ে বাসা থেকে বেরলাম হতে। পথে পা দিতেই দেখি তুষার বৃষ্টি। তা দেখেই মনটা ভাল হয়ে গেল। ইউরোপের এই একটি জিনিষই আমার খুবভাল লাগে। ভয়ঙ্কর ভাল লাগে! আমি হেঁটে বাসষ্টেশনের দিকে যাচ্ছি আর সাদা কুঁচি কুঁচি তুষার পাপড়ি আমাকে ঢেকে দিচ্ছে। আচ্ছা প্রকৃতি মাতা কি আমাকে ঈদের জামা উপহার দিল? বাসে বসে দেশের কথা মনে পড়লো। ঈদের এক সপ্তাহ আগে আব্বা আমাদের ঈদের নুতন জামা কাপড় কিনে দিতেন। আমার ভাই বোনেরা কিংবা আমার বন্ধুরা তাঁদের জামা কাপড় কাউকে দেখাতো না। দেখালে নাকি পুরাতন হয়ে যাবে। অথচ আমি নতুন জামা আনার পরপরই পরে ঘুরে বেড়াতাম। একবার গায়ে চাপালে আর খুলতাম না। সুতরাং ঈদের দিন সকালে আবার নতুন জামার জন্য কান্নাকাটি, কান্নায় লাভ হতো। আম্মা আলমারী থেকে আমার জন্যে এনে রাখা নতুন আর একটি সার্র্ট বের করে দিতেন। তারপর ঘুরতাম সব আÍীয়স্বজনের বাড়িতে। পকেট ভরে যেত নতুন এক টাকার নোটে। আহাঃ কত মজা ছিল সেই দিনগুলো। এসব কথা ভাবছি আর তখনই বাস এসে থামলো আমাদের কলেজের সামনে।
করিডোর দিয়ে হাঁটছি, পেছন থেকে অপু ডাক শুনে ফিরে তাকালাম, দেখি সান্ড্রা। এই মেয়েটিকে দেখলেই আমার বুঁকটা যেন কেমন করে উঠে, আমি তীব্র এক আকর্ষণ অনুভব করি। কিন্তু কখনোই তাকে বলা হয়নি। আমি কোন মেয়ের সাথে কথা বলি না, এ নিয়ে মেয়ে মহলে আমাকে সমকামী বলে অনেক নষ্ঠকথা হয়! কারণ আমি শুধুই ছেলেদের সাথে কথা বলি, ছেলেদের সঙ্গ পছন্দ করি। আসলে মেয়েদের সাথে কথা বলতে কেন জানি আমার একটা জড়তা আছে। দেশে আমি ঠিক ওভাবে বেড়ে উঠিনি, একটা দরুত্ব ছিল।
গুটেন মরগেন অপু, সান্ড্রা বলল।
মরগেন সান্ড্রা।
সান্ড্রা আমার শরীর ঘেষে দাঁড়ালো। ওর শরীর থেকে ভেসে আসছে মিষ্টিগন্ধ, আহা এই সুগন্ধীর গন্ধে নেশা লেগে যাচ্ছে। যদি ওর বন্ধু থাকতো তাহলে এক্ষুণি জড়িয়ে ধরে চুমু খেত! আচ্ছা ওভাবে মুখের ভিতর মুখ গুজে চুমু খেতে কেমন লাগে? আমারও খেতে খুব লোভ হয় । পিপাসিত চোখ আমার উড়ে যায় সান্ড্রার গোলাপি  ঠোঁটে..!
তখনই ও বলল, তোমার প্রস্তুতি কেমন?
মোটামুটি।
অপু, তোমার চোখ লাল কেন ? গতকাল বুঝি অনেক রাত পর্যন্ত পড়েছ ? বলে চলল সান্ড্রা...
এর উত্তর না দিয়ে আমি হাসলাম ওর দিকে তাকিয়ে। অতঃপর আমরা তিনশো এক নম্বর রুমের দিকে
হেঁটে যাচ্ছি, দেখি ওখানে দাঁড়িয়ে আছে ডেভিড, নিনা, ইউখেন ও অন্যান্য সহপাঠী বন্ধুরা।
প্রফেসর হেলমুট ডুস প্রশ্নপত্র নিয়ে এলেন। আমরা যে যার নিজ জায়গায় বসলাম। ছোট বেলা হতেই আমার একটি জঘন্য অভ্যাস, হলে ঢুকেই আমার হাত-পা কাঁপতে থাকে। প্রশ্ন পাওয়ার আগ পর্যন্ত চোখ বুজে আলাহ্র নাম জপতে থাকি। প্রশ্ন পেয়ে খুব খুশী, খুশী মনে লিখতে যাচ্ছি, তখন দেখি কিছই লিখতে পারছি না। সব ভুলে গেছি। কষ্টে কান্না পাচ্ছে। লেখা বন্ধ করে বসে আছি। চুপচাপ কিছুক্ষণ বসে থাকি, বোতল থেকে পানি পান করি, অতঃপর আবার লেখা শুরু করি। দেখি ভালভাবেই সব উত্তর লিখতে পেরেছি। খাতা জমা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসি। ক্যাম্পাসের কেন্টিনের দিকে যাচ্ছি। ঠান্ডায় শরীর জমে যাচ্ছে, কফি খেতে হবে। কফি হাতে কেন্টিনের কোনার টেবিলে বসি। আবার আমাদের ক্লাশ শুরু হবে দেড়টায়। কেন্টিনে বসে আমি, ডেভিড, ইউখেন, বেনি, নিনা, মার্কোস আড্ডা দিচ্ছি, এমন সময় সান্ড্রা এসে বলল, অপু, ঈদ মোবারক!
আমি আকাশ থেকে পড়লাম। জার্মান মেয়ে আমাকে বলছে ঈদ মোবারক। কিছুক্ষণ কথা আসে না মুখ দিয়ে। হতভম্ভ ভাব কাটিয়ে আমি হেসে জিজ্ঞাসা করলাম তুমি জানলে কোথা থেকে ?
সান্ড্রা বলল, আলীর কাছ থেকে।
ডেভিড বলল, ঈদ মোবারক কি?
আমি বললাম, এটি একটি খাবারের জিনিষ, একটু তেতোঁ, তুই কি খেতে চাস?
না, কেক কিংবা রুটি বা তোদের কারি হলে একটু খেয়ে দেখতাম।
ডেভিড আবার বলল,  প্রচন্ড ক্ষিদে পেয়েছে, কিন্তু টাকা নেই ।
আমি ডেভিডকে বিশ মার্ক দিলাম কেক আনার জন্য, শত হলেও আজ ঈদের দিন, একটু মিষ্টি মুখ করি। ডেভিড খুশী হয়ে কেক আনার জন্য উঠে গেল, তখনই আলী হেলেদুলে আসছে আমাদের টেবিলের দিকে। ও দুর থেকে চিৎকার করছে- দোস্ত, ঈদ মোবারক! ও এসে কোলাকুলির জন্য জড়িয়ে ধরেছে, আমিও খুশীতে আলীকে জড়িয়ে ধরলাম।
তারপর আলীকে জিজ্ঞেস করলাম, তুই আজ পরীক্ষা দিলি না কেন?
আলী বলল, আরে শালা রাখ তোর পরীক্ষা! চাদু তোমার মত আমি ভাল ছাত্র না যে, বই ছাড়া  আমার আর অন্য কোন জীবন থাকবে না। পরীক্ষা গেলে পরীক্ষা পামু, মাগার ঈদ গেলে আর ঈদ পামু না, বলে হাসতে লাগলো আলী।
তা এতক্ষণ কোথায় ছিলি?
সকালে গিয়েছিলাম ফ্রাঙ্কফুর্ট মস্জিদে নামাজ পড়তে, নামাজ শেষ করে মামার বাসায়, তারপর সেখান থেকে এখানে তোর সাথে দেখা করতে এলাম।
আজ ঈদ  তুই আমাকে গতকাল বলিসনি কেন?
চাদু তোমাকে গতকাল কয়েকবার ফোন করছিলাম, তুমি বাসায় ছিলে না। তারপর চাঁন রাইত বানাইবার গেলাম বারে, আমি, হানেস, মিশাইল ..। মদ গিলতে গিলতে সে কী রঙীন অবস্থা হয়েছিলাম দোস্ত! তারপর ভোর চারটায় বার থেকে বেরিয়ে ....
থাক, আর বলতে হবেনা, বুঝতে পেরেছি। এই বলে আলীকে থামিয়ে দিলাম।
সান্ড্রা বলল, আচ্ছা অপু তোমরা এই দিনে কি কর?
আলী ঝটপট এর উত্তর দিয়ে দিল। মনে হলো আলী জার্মানির কোন তথ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা, সব কিছুর তথ্য দেওয়াই যেন তার প্রধান কাজ। আলী তা ভাল মতই পালন করলো ।
ইস্ আলীর জীবনটা কত মজার। ও চার বছর যাবৎ জার্মানিতে আছে। কিছুদিনের মধ্যে নিনাকে বিয়ে করবে। আলী সেমিষ্টারের পর সেমিষ্টার ড্রপ দিচ্ছে। দেশ থেকে, আমেরিকা  থেকে টাকা আনাচ্ছে আর ইচ্ছে মত তা উড়াচ্ছে । আমার দেখা মতে ও-ই একমাত্র বিদেশী ছাত্র, কাজ করে না। আর আমি জীবনের আনন্দকে তালাক বিসর্জন দিয়ে লক্ষী ছেলের মত ঠিকমত ক্লাশ করছি। ক্লাশের পর কাজ করচ্ছি। ছুটির দিনগুলো আড্ডা না মেরে রেষ্টুরেন্টের বাসন মাজি, হাতে দাগ পড়ে গেছে।
আমার উপর নির্ভর করে আছে গোটা পরিবার ভাই-বোন, মা-বাবা। বাবা আর ক’দিন পর রিটায়ার্ড করবেন। মা তাকিয়ে আছেন আমার দিকে, কবে পড়ালেখা শেষ করে সংসারের হাল ধরবো। ছোট ভাই-বোনেরা খুব আশা নিয়ে বেসে আছে পড়াশুনা শেষ হলে ভাইয়া  চাকুরী পাব, তখন সংসারের চেহারা বদলে যাবে। আর চৈতী অপেক্ষা করছে কবে আমি দেশে ফিরবো, কবে ওকে বউ করে ঘরে তুলবো? প্রতিটি চিঠির একই কথা, একই ভাষা, আমি যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা কোন ব্যবস্থা করি। ওর পরিবার ওর বিয়ের জন্য  উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু আমি স্বান্তনা দিয়ে চিঠি লিখা ছাড়া আর কিছুই করতে পারছি না চৈতীর জন্য। জানিনা চৈতীকে আদৌ বউ করে ঘরে তুলতে পারবো কি না। আমার উপর আশা করে আছেন বৃদ্ধ বাবা। তাঁর চার মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে। ছোট ভাইটার একটা ব্যবস্থা করতে হবে, বাজে ছেলেদের সাথে মিশে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাবা-মা প্রতিটি চিঠিতে লিখেন ওকে নেয়ার একটা ব্যবস্থা করার জন্য। কিন্তু তাঁদের বুঝাতে পারি না আমি কাজ করে কত টাকা পাই? তা থেকে দেশে পাঠাই, এখানে আমার চলতে হয়। এদিকে আলী আমাকে প্রতিদিন সবক দিচ্ছে, বড় ছেলে হিসেবে তোর অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং সবক দিচ্ছে ঐ সব চৈত্রী ফৈত্রী ভুলে এখনো সময় আছে সাদা গাভীর গলায় ঝুলে পড় ....!
ঐ শালা কি ভাবছিস ? আলী বলল।
আলীর কথায় হুস্ ফিরে এলো আমার, আমি ওখানে ছিলামই না, তারপরও বললাম, কিচ্ছু না।
কিন্তু কিছুতো একটা ভাবছিস, তোর কি দেশের কথা মনে পড়ছে অপু?
এ প্রশ্নের আমি কোন উত্তর করলাম না, শুধু ওর মুখের দিক থেকে আমার চোখ সরিয়ে নিলাম।
অপু, তুই একটা আজব প্রাণী! এতদিন হলো এখনো তুই দেশের কিছুই ভুলতে পারলি না।
আ-রে আমি যে, বাঙ্গাল- কথাটা বলেই আমি হেসে ফেললাম। আমার কথায় আলীও হাসলো।
আমাদের সবার দিকে তাকিয়ে ডেভিড বলল, চল্ ক্লাশের সময় হয়ে যাচ্ছে
আমরা উঠতে যাচ্ছি তখনই সান্ড্রা বলল, অপু আজ সন্ধ্যায় আমরা এক সাথে খেতে যাব, তোমার সময় আছে তো?
আমার আগেই আলী উত্তর করলো, সময় থাকবে না মানে! আলবৎ সময় আছে। অপুর সবতো ..  ..
আমি বললাম, ধন্যবাদ নিমন্ত্রণের জন্য। কিন্তু আমি দুঃখিত তোমার সাথে যেতে পারবো না বলে, কারণ বিকালে আমার কাজ।
তুমি কোথায় কাজ কর?
ক্যাফে কোয়ানতোতে।
কটা পর্যন্ত কাজ?
রাত দশটা পর্যন্ত।
ঠিক আছে আমরা না হয় রাত সাড়ে দশটায় যাব।
কাজ শেষ করে তাজমহল রেষ্টুরেন্টে চলে এসো, আমি তোমার জন্য ওখানে অপেক্ষা করবো।
উত্তরের অপেক্ষা না করেই সান্ড্রা চলে গেল বৃষ্টির মতন এক ঝলক হাসি ছিটিয়ে ....
আলী তড়িৎ বললো, দোস্ত, ঈদের দাওয়াত খেয়ে আয়, তাছাড়া চমৎকার মাল, দেখলেই শরীর গরম হয়ে যায়!
দেখলে যখন তোর এরকম অবস্থা তা, তুই-ই ঝুলে পড় আলী।
না দোস্ত, সেই চান্স আমার ভাগ্যে নেই! দেখ সব কথা বললাম আমি আর দাওয়াত করলো তোকে। কমিনের পিছে অনেক ঘুরছি, একদিন ক্যফেও নিছিলাম, মাগার চুমা খাইতে পারি নাই এটা একটা দুঃখ দোস্ত! সে তোর দিকে পেখম মেলেই আছে। দোস্ত, কাজের থেকে আজ একটু আগে ছুটি নিস্। বিটে দোস্ত, মিস্ করিস না।
মনে মনে বলি, না, মিস্ করবো না মোটেও!
সান্ড্রার চলে যাওয়া পথের দিকে
চলে যাওয়া পায়ের দিকে
অনাবৃত জঙ্ঘা
গম্ভীর উরুর দিকে
চওড়া পিঠের উপর
লুটিয়ে পড়া সোনালি চুল
সর্বনাশী নিতম্বের দিকে তাকালো অপু,
ক্রমশ ঝাপসা হয়ে আসছে তার চোখ,
অস্তিত্বের মধ্যে দুরের ঘন সবুজ বন থেকে
গল গল করে নামতে লাগলো রাত
এখন শুধু অপেক্ষা ....

সূত্র: নতুনদেশ

No comments:

Post a Comment

নির্বাচিত বিষয়গুলো দেখুন

Labels

মাসের পঠিত শীর্ষ দশ

 

জোনাকী | অনলাইন লাইব্রেরী © ২০১১ || টেমপ্লেট তৈরি করেছেন জোনাকী টিম || ডিজাইন ও অনলাইন সম্পাদক জহির রহমান || জোনাকী সম্পর্কে পড়ুন || জোনাকীতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ