গরম এলেই ঝামেলা বাড়ে, সেটা আমরা সবাই জানি। ঝামেলা বাড়ে সেটা বড় কথা নয়, গরম আছে বলেই আজ আমার লেখা ভিমরুলে। আসল কথায় আসা যাক। সেদিন স্কুলের ছাদে বসে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম। আড্ডার বিষয় ছিল কে, কখন, কীভাবে খাট থেকে পড়ে গেছি। সবাই মজার মজার কথাই বলল, আসলে আমি অপেক্ষা করছিলাম তুষারের কথার অপেক্ষায়। কারণ ওর কথা বলার স্টাইলটা অন্যরকম। যে কথাই বলুক না কেন, সেটার সঙ্গে অভিনয় করে দেখানোর চেষ্টা করে।
আমরা ছাদের এমন একটা জায়গায় বসেছিলাম, যেখান থেকে অভিনয় করে দেখালে যে অনেক সুন্দর এক ঘটনার অবতারণা অবশ্যই ঘটবে, সেটা আমার জানা। সবার শেষে বসার কারণে তুষার শুরুও করল শেষে। গরমকাল বুঝতেই পারছেন, মশারি ছাড়া তো ঘুম হারাম। একই বিছানায় মশারি টানিয়ে ঘুমাতে গেল তুষারের মেজো কাকা। তুষার আর তার একমাত্র কাজিন শুভ্র। শুভ্র বেশি নড়াচড়া করে বলেই তুষার তার মেজো কাকাকে মাঝখানে রাখল। রাত গভীর হতে না হতেই শুরু হলো শুভ্রর নড়াচড়া আর হাত-পা ছোড়াছুড়ি। আর এর সবকিছু অভিনয় করে দেখিয়ে দিচ্ছে তুষার। ওর কাজিনটা অর্থাত্ শুভ্র নড়াচড়া করতে করতে ঘুমের ঘোরে এমন ধাক্কা লাগাল ওর মেজো কাকাকে। আর নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী ওর মেজো কাকা গিয়ে ধাক্কা দিল তুষারের গায়। আর সঙ্গে সঙ্গে মশারি শুদ্ধ একেবারে খাট থেকে নিচে। তুষার কিন্তু এসব বলছে অভিনয়ের সঙ্গে। যখন সে অভিনয় করে দেখাচ্ছে কীভাবে সে মশারিসহ খাট থেকে নিচে পড়েছে, তখনই সে পেছন দিকে একেবারে নর্দমায় গিয়ে পড়ল। ছাদের ওপর থেকে। তখন আমাদের সে কী হাসি! নিচে নেমে দেখি নর্দমার পচা পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে সাঁতার না জানা আমাদের তুষার। কারণ একটাই, গরমের মশারি!Wednesday, May 4, 2011
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment