বাংলা ভাষা ও সাহিত্য গবেষণায় অনন্য অবদান রেখেছেন ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। বাঙালি সংষ্কৃতির ইতহাস নির্মাণে তার ভূমিকা জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। এই মহান জ্ঞানতাপসের জন্ম ১০ জুলাই ১৮৮৫ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চবি্বশ পরগণা জেলার পেয়ারা গ্রামে। তার ছেলেবেলা কাটে পেয়ারা গ্রামে। পরে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। অতপর তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফএ, সিটি কলেজ সংস্কৃতে সম্মানসহ বিএ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনতত্ত্বে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ডি.ফিল ডিগ্রি লাভ করেন সরবন বিশ্ববিদ্যালয়, প্যারিস থেকে।
মুহম্মদ শহীদুল্লার কর্মজীবন নানামাত্রিক।
স্নাতক পাস করার আগে তিনি যশোর জেলা স্কুলে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। অতপর ১৯১৫ থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত চবি্বশ পরগণার বশিরহাটে আইনব্যবসা করেন। ১৯১৯ থেকে ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টর দীনেশ চন্দ্র সেনের সহকারী গবেষক ছিলেন।
১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ঢাবির বাংলা বিভাগকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। তিনি নিজ উদ্যোগে চট্টগ্রামের আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদের কাছ থেকে ১৭শ পুরাণ পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ করেন। যা বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও মধ্যযুগ সম্পর্কে এক অনালোকিত দিকের সন্ধায় দেয়।
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের সংষ্কৃত ও বাংলা বিভাগের পাশাপাশি আইন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। এক পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি প্যারিস যান। সেখানে সরবন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাতত্ত্ব বিষয়ে গবেষণা করে ডি.ফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরে ১৯৩৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের রিডার হিসেবে নিযুক্ত হন। এখানে থাকাকালীন তিনি গুরুত্বপূর্ণ সব গবেষণা করেন। বাংলা বিভাগ থেকে ১৯৪৪ সালে অবসর নেন তিনি। পুনরায় তিনি বগুড়া আযীযুল হক কলেজে অধ্যক্ষ, ১৯৫৩-১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ফরাসি ভাষার খণ্ডকালীন শিক্ষক, ১৯৫৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত ও পালি বিভাগে যোগদান করে ১৯৫৮ সালে অবসরে যান।
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি বাংলা ভাষার পক্ষে বিশেষ বক্তব্য দেন। পরবর্তীকালে তিনি গবেষণায় ডুবে থাকেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ পূর্ব পাকিস্তানি ভাষার আদর্শ অভিধান প্রকল্পের সম্পাদক হিসেবে বাংলা একাডেমীতে যোগ দেন। বাংলা একাডেমীর ইসলামী বিশ্বকোষ প্রকল্পের অস্থায়ী সম্পাদক, বাংলা একাডেমীর পঞ্জিকার তারিখ বিন্যাস কমিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি উর্দু অভিধান প্রকল্পেরও সম্পাদক ছিলেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে শহীদুল্লাহর লেখা গ্রন্থের মধ্যে_ 'ভাষা ও সাহিত্য', 'বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত', 'দিওয়ানে হাফিজ', 'রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম', 'বিদ্যাপতি শতক', 'বাংলা সাহিত্যের কথা' (১ম ও ২য় খণ্ড), 'বাংলা ভাষার ব্যাকরণ', 'বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান' উল্লেখযোগ্য।
প্রাচ্যের অন্যতম সেরা ভাষাবিজ্ঞানী হিসেবে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এমিরেটাস অধ্যাপক পদ লাভ করেন। মহান এই ভাষাবিজ্ঞানী ফ্রান্স সরকারের সম্মানজনক পদক 'নাইট অব দি অর্ডারস অব আর্টস অ্যান্ড লেটার্স' লাভ করেন। ১৯৬৯ সালের ১৩ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন, তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের পাশে সমাহিত করা হয়।
মুহম্মদ শহীদুল্লার কর্মজীবন নানামাত্রিক।
স্নাতক পাস করার আগে তিনি যশোর জেলা স্কুলে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। অতপর ১৯১৫ থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত চবি্বশ পরগণার বশিরহাটে আইনব্যবসা করেন। ১৯১৯ থেকে ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টর দীনেশ চন্দ্র সেনের সহকারী গবেষক ছিলেন।
১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ঢাবির বাংলা বিভাগকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। তিনি নিজ উদ্যোগে চট্টগ্রামের আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদের কাছ থেকে ১৭শ পুরাণ পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ করেন। যা বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও মধ্যযুগ সম্পর্কে এক অনালোকিত দিকের সন্ধায় দেয়।
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের সংষ্কৃত ও বাংলা বিভাগের পাশাপাশি আইন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। এক পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি প্যারিস যান। সেখানে সরবন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাতত্ত্ব বিষয়ে গবেষণা করে ডি.ফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরে ১৯৩৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের রিডার হিসেবে নিযুক্ত হন। এখানে থাকাকালীন তিনি গুরুত্বপূর্ণ সব গবেষণা করেন। বাংলা বিভাগ থেকে ১৯৪৪ সালে অবসর নেন তিনি। পুনরায় তিনি বগুড়া আযীযুল হক কলেজে অধ্যক্ষ, ১৯৫৩-১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ফরাসি ভাষার খণ্ডকালীন শিক্ষক, ১৯৫৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত ও পালি বিভাগে যোগদান করে ১৯৫৮ সালে অবসরে যান।
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি বাংলা ভাষার পক্ষে বিশেষ বক্তব্য দেন। পরবর্তীকালে তিনি গবেষণায় ডুবে থাকেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ পূর্ব পাকিস্তানি ভাষার আদর্শ অভিধান প্রকল্পের সম্পাদক হিসেবে বাংলা একাডেমীতে যোগ দেন। বাংলা একাডেমীর ইসলামী বিশ্বকোষ প্রকল্পের অস্থায়ী সম্পাদক, বাংলা একাডেমীর পঞ্জিকার তারিখ বিন্যাস কমিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি উর্দু অভিধান প্রকল্পেরও সম্পাদক ছিলেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে শহীদুল্লাহর লেখা গ্রন্থের মধ্যে_ 'ভাষা ও সাহিত্য', 'বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত', 'দিওয়ানে হাফিজ', 'রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম', 'বিদ্যাপতি শতক', 'বাংলা সাহিত্যের কথা' (১ম ও ২য় খণ্ড), 'বাংলা ভাষার ব্যাকরণ', 'বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান' উল্লেখযোগ্য।
প্রাচ্যের অন্যতম সেরা ভাষাবিজ্ঞানী হিসেবে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এমিরেটাস অধ্যাপক পদ লাভ করেন। মহান এই ভাষাবিজ্ঞানী ফ্রান্স সরকারের সম্মানজনক পদক 'নাইট অব দি অর্ডারস অব আর্টস অ্যান্ড লেটার্স' লাভ করেন। ১৯৬৯ সালের ১৩ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন, তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের পাশে সমাহিত করা হয়।
হাফিজ মোল্লা
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
No comments:
Post a Comment