অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক জলহস্তীর নাম ছিলো পবন ঠাকুর। স্থলরাজ্যের বেশ বড়-সড় প্রাণী। হাতির পরেই ছিলো তার স্থান। তবে সে নিজেকে প্রাণীদের রাজা বলে ঘোষণা করেছিলো। তো রাজা জলহস্তীর ছিলো সাত সাতটি রানী। যখন তখন সে বড় বড় ভোজসভার আয়োজন করতো। রাজ্যের সবাইকে সে ভোজসভায় ডাকা হতো। মজার ব্যাপার ছিলো, জলহস্তীর সাত স্ত্রী ছাড়া কেউ তার আসল নামটি জানতো না। এক ভোজসভায় সব অতিথি ভোজনের জন্য তৈরি। ঠিক সেই সময় রাজা জলহস্তী বললো, যদি তোমরা আমার নাম না বলতে পারো তবে তোমরা সবাই ভোজন না করেই চলে যাও।
কেউ যেহেতু তার নাম জানতো না তাই তারা খাওয়া-দাওয়া না করেই ভোজসভা ত্যাগ করলো। স্থান ত্যাগ করার আগে একটি কচ্ছপ মাথা উঁচু করে বললো, আগামী ভোজসভায় যদি আমি আপনার নাম বলতে পারি তখন কী উপহার দেবেন?
আমার নাম যদি কেউ বলতে পারে, তবে তখনই আমি আমার পুরো পরিবারসহ এই রাজ্য ছেড়ে চলে যাবো। আর সারাজীবন জলের মধ্যে বাস করবো।
প্রতিদিন সকালে জলহস্তী ও তার সাত রাণী নদীতে যেতো গোসল আর জলপানের জন্য। এই অভ্যাস ছিলো কচ্ছপেরও। জলহস্তী দ্রুত চলতো। পিছে পিছে যেতো সাত রানী। একদিন নদীতে গোসল করতে নেমেছে তারা সবাই। রাস্তার ওপর ছোট একটি গর্ত খুঁড়লো কচ্ছপ। তারপর বসে বসে অপেক্ষা করছে কচ্ছপটি। গোসল সেরে তারা ফিরে আসছে প্রাসাদে। দুই রানী বেশ খানিকটা পেছনে পড়ে গেলো। কচ্ছপটি তখন আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে এবং গর্তের মধ্যে অর্ধেকটা শরীর ঢুকিয়ে রাখলো। সে তার পিঠের খোলসের বেশি অংশ বাইরে রাখলো।
জলহস্তীর দুই রানীর একজনের পা পড়লো কচ্ছপের খোলসের ওপর। ভয়ে সে রাজাকে চিৎকার করে বললো, শোনো পবন ঠাকুর, শোনো। ও আমার স্বামী। আমি পায়ে ব্যথা পেয়েছি গো ...।
জলহস্তীর নাম জানতে পেরে নাচতে নাচতে বাড়ি ফিরে গেলো কচ্ছপটি।
পরদিন আবার ভোজসভার আয়োজন করা হলো। আবার একই শর্ত জুড়ে দিলো জলহস্তী।
কচ্ছপ উঠে দাঁড়িয়ে বললো, প্রতিজ্ঞা করুন, আমি আপনার নাম বলতে পারলে আমাকে মারবেন না।
জলহস্তী প্রতিজ্ঞা করলো।
কচ্ছপ চিৎকার করে বললো, আপনার নাম পবন ঠাকুর।
উপস্থিত সবাই তখন কচ্ছপের নামে জয়ধ্বনি দিয়ে ভোজসভায় যোগ দিলো।
ভোজ শেষ হওয়ার পর প্রতিজ্ঞামতো জলহস্তী ও তার সাত রানী নদীতে চলে গেলো। আর কচ্ছপকে দিলো সারা রাজ্যময় ঘুরে বেড়ানোর অধিকার। সেই থেকে জলহস্তী ও তার স্ত্রীরা আজও নদীর মধ্যেই বাস করছে। রাতের বেলায় তারা ডাঙায় এলেও দিনে তাদের কখনও ডাঙায় দেখা যায় না। তারা হয়ে গেলো জলবাসী।
কেউ যেহেতু তার নাম জানতো না তাই তারা খাওয়া-দাওয়া না করেই ভোজসভা ত্যাগ করলো। স্থান ত্যাগ করার আগে একটি কচ্ছপ মাথা উঁচু করে বললো, আগামী ভোজসভায় যদি আমি আপনার নাম বলতে পারি তখন কী উপহার দেবেন?
আমার নাম যদি কেউ বলতে পারে, তবে তখনই আমি আমার পুরো পরিবারসহ এই রাজ্য ছেড়ে চলে যাবো। আর সারাজীবন জলের মধ্যে বাস করবো।
প্রতিদিন সকালে জলহস্তী ও তার সাত রাণী নদীতে যেতো গোসল আর জলপানের জন্য। এই অভ্যাস ছিলো কচ্ছপেরও। জলহস্তী দ্রুত চলতো। পিছে পিছে যেতো সাত রানী। একদিন নদীতে গোসল করতে নেমেছে তারা সবাই। রাস্তার ওপর ছোট একটি গর্ত খুঁড়লো কচ্ছপ। তারপর বসে বসে অপেক্ষা করছে কচ্ছপটি। গোসল সেরে তারা ফিরে আসছে প্রাসাদে। দুই রানী বেশ খানিকটা পেছনে পড়ে গেলো। কচ্ছপটি তখন আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে এবং গর্তের মধ্যে অর্ধেকটা শরীর ঢুকিয়ে রাখলো। সে তার পিঠের খোলসের বেশি অংশ বাইরে রাখলো।
জলহস্তীর দুই রানীর একজনের পা পড়লো কচ্ছপের খোলসের ওপর। ভয়ে সে রাজাকে চিৎকার করে বললো, শোনো পবন ঠাকুর, শোনো। ও আমার স্বামী। আমি পায়ে ব্যথা পেয়েছি গো ...।
জলহস্তীর নাম জানতে পেরে নাচতে নাচতে বাড়ি ফিরে গেলো কচ্ছপটি।
পরদিন আবার ভোজসভার আয়োজন করা হলো। আবার একই শর্ত জুড়ে দিলো জলহস্তী।
কচ্ছপ উঠে দাঁড়িয়ে বললো, প্রতিজ্ঞা করুন, আমি আপনার নাম বলতে পারলে আমাকে মারবেন না।
জলহস্তী প্রতিজ্ঞা করলো।
কচ্ছপ চিৎকার করে বললো, আপনার নাম পবন ঠাকুর।
উপস্থিত সবাই তখন কচ্ছপের নামে জয়ধ্বনি দিয়ে ভোজসভায় যোগ দিলো।
ভোজ শেষ হওয়ার পর প্রতিজ্ঞামতো জলহস্তী ও তার সাত রানী নদীতে চলে গেলো। আর কচ্ছপকে দিলো সারা রাজ্যময় ঘুরে বেড়ানোর অধিকার। সেই থেকে জলহস্তী ও তার স্ত্রীরা আজও নদীর মধ্যেই বাস করছে। রাতের বেলায় তারা ডাঙায় এলেও দিনে তাদের কখনও ডাঙায় দেখা যায় না। তারা হয়ে গেলো জলবাসী।
সূত্র : সমকাল
No comments:
Post a Comment