প্রিয় পাঠক লক্ষ্য করুন

Saturday, October 15, 2011

চন্দন চৌধুরীর এলে বেলে ছড়া

লোকটা

লোকটা খেতো কয়েন।
লাল পাগড়ি মাথায় দিয়ে
জঙ্গলে দেয় জয়েন।

বাঁদর দেখে চমকে বলে_
হ্যালো বন্ধু শোনো,
দানবজগত ছেড়ে এসে
হলাম তুখোড় বুনো!

তখন একটা গাছে_
গোখরো সাপ নাচে;
লোকটা পাগড়ি খুলে
দাঁড়ায় গিয়ে পাছে।

লোকটা এখন তাই
গোখরো সাপের ভাই।



গাধা-সমাচার

এক ছিলো এক গাধা
গাধার ছিলো দাদা
দাদার ছিলো গাই
সেই গাইয়ের দুধ দুইয়ে
আমরা এখন খাই।

আজও গাধা হাঁটে
নিজের জিহ্বা চাটে
কোটি কোটি মানুষ আমরা
ঘুমাই গাধার খাটে।


নিয়ম

নিয়ম করো চালু_
মানুষ হতে হলে তোমায়
হতে হবে কালো;
থাকতে হবে লেজ_
সেই লেজটা অন্ধকারে
চমকাবে জমকালো।

নিয়ম করো চালু_
মানুষ হলে থাকবে মগজ
লাগবে না আর তালু।


হরিণ

এবার আমি শিং লাগিয়ে
হব হরিণছানা
নাস্তা খাব পালংশাকে
চাঁদের আলো খাব ফাঁকে
পূর্ণিমাতে একলা একা
দেব চাঁদে হানা

এবার আমি হরিণ হব
মানুষ হওয়া মানা।


হাসতে মানা

তোমরা আমায় হাসতে করো
মানা,
কিন্তু আমার হাসির অর্থ
জানা।
হাসি হলো আলোর যেমন
ডানা,
অন্ধকারের অরণ্যে দেয়
হানা।

তোমরা আমায় হাসতে করো
মানা,
আমি কি আর বধির কিংবা
কানা?
'খোকা' বলেই হাসতে আমি
পারি,
তোমরা ঘুমাও, ঘুমায় পুলিশ-
ফাঁড়ি।


ছি-বুড়ি কুঁতকুঁত

আমার জন্য আকাশ খোলা রাখো_
খেলবো না মা ছি-বুড়ি কুঁতকুঁত,
চাঁদটাকে আজ বল বানিয়ে ব্যাটে_
প্র্যাকটিসটা করবো ভীষণ নেটে;
ছক্কা মেরে ভাঙবো বৃহস্পতি_
ঘুরিয়ে দেবো সূর্যটারও গতি,
তখন আহা কী যে হবে ভাবি_
আমার হাতে সৌরলোকের চাবি।

আমার জন্য আকাশ খোলা রাখো_
এই পৃথিবী তোমরা নিয়ে থাকো,
খেলবো না মা ছি-বুড়ি কুঁতকুঁত_
দেখবো আমি যা কিছু অদ্ভুত;
ভাবছো আমায় পাগল কি-না তাই?
আমার শুধু আকাশখানি চাই।
সূত্র : সমকাল

No comments:

Post a Comment

নির্বাচিত বিষয়গুলো দেখুন

Labels

মাসের পঠিত শীর্ষ দশ

 

জোনাকী | অনলাইন লাইব্রেরী © ২০১১ || টেমপ্লেট তৈরি করেছেন জোনাকী টিম || ডিজাইন ও অনলাইন সম্পাদক জহির রহমান || জোনাকী সম্পর্কে পড়ুন || জোনাকীতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ