নির্মলেন্দু গুণের জন্ম জুন ২১, ১৯৪৫ (আষাঢ় ৭, ১৩৫২ বঙ্গাব্দ) কাশবন, বারহাট্টা, নেত্রকোণায়। বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার গুরুত্বপূর্ণ কবিদের একজন। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কবিদেরও একজন তিনি। স্বাধীনতার পূর্বে তিনি সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সাংবাদিকতায়ও জড়িত ছিলেন।
তিনি প্রধানত একজন আধুনিক কবি। শ্রেণীসংগ্রাম, স্বৈরাচার-বিরোধিতা, প্রেম ও নারী তার কবিতার মূল-বিষয় হিসেবে বার বার এসেছে। কবিতার পাশাপাশি কবিতা এবং ভ্রমণগল্পও লিখেছেন। নিজের লেখা কবিতা এবং গদ্য সম্পর্কে তার নিজের বক্তব্য হলো -
“অনেক সময় কবিতা লেখার চেয়ে আমি গদ্যরচনায় বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করি। বিশেষ করে আমার আত্মজৈবনিক রচনা বা ভ্রমণকথা লেখার সময় আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি যে আমি যে গদ্যটি রচনা করতে চলেছি, তা আমার কাব্য-রচনার চেয়ে কোনো অর্থেই ঊনকর্ম নয়। কাব্যকে যদি আমি আমার কন্যা বলে ভাবি, তবে গদ্যকে পুত্রবৎ। ওরা দুজন তো আমারই সন্তান। কাব্যলক্ষ্মী কন্যা যদি, গদ্যপ্রবর পুত্রবৎ।”
তাঁর বিখ্যাত কিছু কাব্যগ্রন্থ হল -* প্রেমাংশুর রক্ত চাই (১৯৭০)
* না প্রেমিক না বিপ্লবী (১৯৭২)
* কবিতা, অমিমাংসিত রমণী (১৯৭৩)
* দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী (১৯৭৪)
* চৈত্রের ভালোবাসা (১৯৭৫)
* ও বন্ধু আমার (১৯৭৫)
* আনন্দ কুসুম (১৯৭৬)
* বাংলার মাটি বাংলার জল (১৯৭৮)
* তার আগে চাই সমাজতন্ত্র (১৯৭৯)
* চাষাভুষার কাব্য (১৯৮১)
* অচল পদাবলী (১৯৮২)
* পৃথিবীজোড়া গান (১৯৮২)
* দূর হ দুঃশাসন (১৯৮৩)
* নির্বাচিতা (১৯৮৩)
* শান্তির ডিক্রি (১৯৮৪)
* ইসক্রা (১৯৮৪)
* প্রথম দিনের সূর্য (১৯৮৪)
* আবার একটা ফুঁ দিয়ে দাও (১৯৮৪)
* নেই কেন সেই পাখি (১৯৮৫)
* নিরঞ্জনের পৃথিবী (১৯৮৬)
* চিরকালের বাঁশি (১৯৮৬)
* দুঃখ করো না, বাঁচো (১৯৮৭)
* ১৯৮৭ (১৯৮৮)
* যখন আমি বুকের পাঁজর খুলে দাঁড়াই (১৯৮৯)
* ধাবমান হরিণের দ্যুতি (১৯৯২)
* কাব্যসমগ্র, ১ম খণ্ড (১৯৯২, সংকলন)
* কাব্যসমগ্র, ২য় খণ্ড (১৯৯৩, সংকলন)
* অনন্ত বরফবীথি (১৯৯৩)
* আনন্দউদ্যান (১৯৯৫ )
* পঞ্চাশ সহস্র বর্ষ (১৯৯৫ )
* প্রিয় নারী হারানো কবিতা (১৯৯৬)
* শিয়রে বাংলাদেশ
* ইয়াহিয়াকাল (১৯৯৮ )
* আমি সময়কে জন্মাতে দেখেছি (২০০০)
* বাৎস্যায়ন (২০০০)
তাঁর একমাত্র গল্পগ্রন্থ “আপন দলের মানুষ” ও বেশকিছু আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ রয়েছে।
তিনি ১৯৮২ সালে “বাংলা একাডেমী পদক” এবং ২০০১ সালে “একুশে পদক” এ ভুষিত হন।
(তথ্যসূত্র : বাংলা উইকিপিডিয়া)
No comments:
Post a Comment