আমরা জানি, পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া আমরা একদিনও চলতে পারি না। প্রতিদিন প্রায় সব ধরনের কাজে আমাদের পানি লাগবেই। সারাদিন আমরা যত ধরনের খাবার খাই, তার মধ্যে একমাত্র পানিই হচ্ছে ক্যালরি, ফ্যাট, শর্করা ও চিনিমুক্ত। তাই যত খুশি পানি পান করুন, কোনো সমস্যা নেই। আমাদের শরীরের ৬০-৭০ ভাগ ওজনই হচ্ছে পানি। তার মানে শরীরের প্রধান উপাদান হচ্ছে পানি। কিন্তু আমরা প্রতিদিন বিভিন্নভাবে (যেমন—ইউরিন, ঘাম, শ্বাস-প্রশ্বাস ইত্যাদি) শরীর থেকে পানি হারাই। তাছাড়া শরীরকে সচল রাখতেও পানি দরকার। তাই আমাদের শরীরে দৈনিক পানির চাহিদা অনেক। শারীরিক ফিটনেস অর্জন করতে হলে খাদ্য তালিকায় প্রচুর পানি থাকতেই হবে। প্রতিদিন আমাদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে, না হলে অনেক রকম সমস্যা যেমন—পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, কিডনির সমস্যা, শরীরের টক্সিন জমা ইত্যাদি হতে পারে।
পানি পান করার প্রয়োজনীয়তা
— পানি মেটাবলিজম বাড়ায়, পেট ভরায়/ক্ষুধা কমায়; তাই ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
— বরফশীতল পানি পান করলে, শরীর তা হজম করার জন্য গরম হয়, ফলে কিছু ক্যালরি খরচ হয়।
— পিপাসার্ত অবস্থায় পানি খেলে তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে। ফলে শারীরিক ক্লান্তি দূর হয় ও শক্তি ফিরে আসে। কারণ পানি রক্তে ও কোষে অক্সিজেন এবং অনান্য পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। এছাড়া সারা শরীরের রক্ত সরবরাহ ও সঞ্চালন বাড়ে পানি পান করার ফলে।
— পানির অভাবে মাসলের দুর্বলতা, অস্বস্তি বোধ হওয়া, মাথা ঘুরানো ও অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।
— পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পানির অভাবে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে হিট স্ট্রোক হতে পারে।
— পানির অভাবে সারা শরীরের ও সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সমন্বয় ঠিকমত হয় না।
— পানি ইউরিন, নড়বিষ সড়াবসবহঃ ও ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে দূষিত/বর্জ্য পদার্থ ও ফ্যাট বের করতে সাহায্য করে।
— পানি হজম শক্তি বাড়ায়, হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। কারণ আমাদের শরীরে ঠিকভাবে খাবার হজম করার জন্য প্রচুর পানি দরকার হয়। তাই প্রচুর আঁশ জাতীয় খাবারের পাশাপাশি, প্রচুর পানিও পান করতে হবে
— পানি কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। পানি ঠিকমত পান না করলে শরীর সব পানি শুষে নেয়, ফলে কোলন শুষ্ক হয়ে যায়, তাই শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ ঠিকমত বের হতে চায় না বা নড়বিষ সড়াবসবহঃ ঠিকমত হয় না।
— পানি কিডনির পাথর হওয়া থেকে বাঁচায়। কারণ, পানি ইউরিনের লবণ ও মিনারেল ভেঙে দেয়, ফলে কিডনিতে পাথর হয় না।
— ব্রেইনের ৮৫ ভাগ হচ্ছে পানি। তাই পানির অভাবে আমরা মানসিক/শারীরিক চাপে ভুগি। একটু পরপর পানি পান করলে এই মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা যায় এবং শারীরিক শক্তি বাড়ে।
— ব্যায়াম করার সময় একটু পরপর পানি পান করতে হবে। পানি শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে, মাসলের ক্র্যাম্প থেকে রক্ষা করে, শরীরের শক্তি ঠিক রাখে। তাই অনেক সময় ধরে সঠিকভাবে ব্যায়াম করা যায়। শুধু কার্ডিও ব্যায়াম নয়, ওয়েট ট্রেনিং করার সময়ও একটু পরপর পানি খেতে হবে । তাহলে মাসলে পানিশূন্যতা হবে না ও ব্যায়াম ভালো কাজ করবে।
পানি হচ্ছে প্রাকৃতিক ক্রিম, যা ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়। পানিশূন্যতা আমাদের ত্বকে বলিরেখা ফেলে। তাই প্রচুর পানি পান করলে বলিরেখা থেকে মুক্ত থাকা যায়। কারণ পানি কোষের পানি বাড়ায়, ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়বে ও বয়স কম মনে হয়। তাছাড়া পানি শরীর থেকে সব দূষিত পদার্থ বের করে দেয়, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, তাই ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়। তাই হেলদি, উজ্জ্বল, মোলায়েম/কোমল ত্বক পেতে প্রচুর পানি পান করতে হবে।
— ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এক সপ্তাহ প্রচুর পানি পান করুন এবং এক সপ্তাহ পর লক্ষ্য করুন উজ্জ্বল ত্বক।
— পানি রোগমুক্ত রেখে ও ত্বক সজীব রেখে তারুণ্য ধরে রাখে।
— প্রচুর পানি পান করলে কিছু ক্যান্সার, যেমন—কোলন, ব্লাডার ও ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
— জয়েন্টের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। কারণ জয়েন্টের মেইন লুব্রিকেন্ট হচ্ছে পানি।
জয়েন্ট (Arthritis) ও ব্যাক পেইনের রোগীরা তাই প্রচুর পানি পান করলে উপকার পান।
— পানি মাথাব্যথা দূর করে ও প্রতিরোধ করে।
— পানি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। কারণ পানি হার্ট ও ব্রেইনের জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ করে।
— পানি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
— মস্তিষ্কের/ব্রেইনের ক্ষমতা বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধ করে।
— গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায়, হজমের সমস্যা ও জ্বালাপোড়া কমায়।
— রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, তাই উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
প্রতিদিন কতটুকু পানি পান করবেন?
প্রতিদিন কত গ্লাস পানি পান করবেন তা নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য, ওজন, কোথায় বাস করেন—গরম না ঠাণ্ডা আবহাওয়ায়, আপনি কত কর্মঠ ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম কেমন করেন ইত্যাদির ওপর। তাছাড়া আপনি আর অন্য কী পানীয় যেমন—চা, লাচ্ছি, জুস, ডাবের পানি ইত্যাদি খান, তার ওপরও নির্ভর করবে দৈনিক কত গ্লাস পানি পান করবেন।
সাধারণত পুষ্টিবিদেরা বলেন, দৈনিক অন্তত ৮ গ্লাস পানীয় পান করতে। তার মানে, সব ধরনের পানীয় ও পানিসহ দৈনিক অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
ঞযব ওহংঃরঃঁঃব ড়ভ গবফরপরহব-এর মতে পুরুষদের জন্য দৈনিক অন্তত ৩ লিটার বা ১২ গ্লাস এবং মহিলাদের জন্য অন্তত ২ লিটার বা ৮ গ্লাস পানি পান করা দরকার।
ঞযব ওহংঃরঃঁঃব ড়ভ গবফরপরহব’ং ঋড়ড়ফ ধহফ ঘঁঃত্রঃরড়হ ইড়ধত্ফ ১৯৯৪ সালে আরেকটি তথ্য প্রকাশ করেছে যে, মহিলাদের জন্য ৯১ আউন্স এবং পুরুষদের জন্য ১২৫ আউন্স পানি পান করতে হবে।
আরেকটি নিয়ম হচ্ছে—আপনার ওজন যত পাউন্ড, ঠিক তার অর্ধেক আউন্স পানি খেতে হবে। যেমন—আপনার ওজন যদি হয় ১৬০ পাউন্ড, তবে আপনাকে ৮০ আউন্স পানি পান করতে হবে। এই পানি সব রকম পানীয়ের হিসাব। তবে ৮০ আউন্সের ৮০ ভাগ বা ৬৪ আউন্স, শুধু পানি খেলে ভালো। মনে রাখবেন, ৮ আউন্স = এক গ্লাস পানি।
তবে আপনি যদি সুস্থ-সবল হন, তবে পানি খাওয়ার হিসাব নিয়ে খুব বেশি চিন্তার কারণ নেই। পিপাসা পেলে, স্বাভাবিকভাবে পানি পান করলেই চলবে। কিন্তু আপনি যদি খেলোয়াড় হন, ব্যায়াম করেন বা অনেক ঘামেন, তাহলে আরও বেশি পানি পান করতে হবে।
অতিরিক্ত গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়, তাই অনেক বেশি পানি পান করতে হবে। অসুস্থ হলে যেমন : জ্বর, ডায়রিয়া, বমি হওয়ার পর অনেক বেশি পানি পান করতে হবে।
কীভাবে বুঝবেন যে আপনি সঠিক পরিমাণে পানি পান করছেন?
আপনি যদি সব সময় তৃষ্ণার্ত বোধ না করেন।
আপনার যদি দৈনিক ১.৫ লিটার ইউরিন হয়।
যদি ইউরিনের রং সাদা বা হালকা হলুদ হয়।
ইউরিনের রং হলুদ হলে আপনি সঠিক পরিমাণে পানি পান করছেন না। আপনার নড়বিষ সড়াবসবহঃ যদি ঠিকমত হয় এবং আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য না হয়।
পানি পান করার প্রয়োজনীয়তা কত তা অনুধাবন করে, আপনার সঙ্গে তাই সব সময় বিশুদ্ধ খাবার পানি রাখুন ও বেশি বেশি পানি পান করুন। গরমের দিনে অনেক বেশি পানি পান করে শরীর ঠিক রাখুন। হেলদি লাইফ স্টাইল মেনে চলার খুব সহজ একটি উপায় হচ্ছে প্রতিদিন অনেক বেশি পানি পান করা। তাহলে আপনাকে সুস্থ, সুন্দর ও সবল দেখাবে।
পানি পান করার প্রয়োজনীয়তা
— পানি মেটাবলিজম বাড়ায়, পেট ভরায়/ক্ষুধা কমায়; তাই ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
— বরফশীতল পানি পান করলে, শরীর তা হজম করার জন্য গরম হয়, ফলে কিছু ক্যালরি খরচ হয়।
— পিপাসার্ত অবস্থায় পানি খেলে তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে। ফলে শারীরিক ক্লান্তি দূর হয় ও শক্তি ফিরে আসে। কারণ পানি রক্তে ও কোষে অক্সিজেন এবং অনান্য পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। এছাড়া সারা শরীরের রক্ত সরবরাহ ও সঞ্চালন বাড়ে পানি পান করার ফলে।
— পানির অভাবে মাসলের দুর্বলতা, অস্বস্তি বোধ হওয়া, মাথা ঘুরানো ও অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।
— পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পানির অভাবে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে হিট স্ট্রোক হতে পারে।
— পানির অভাবে সারা শরীরের ও সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সমন্বয় ঠিকমত হয় না।
— পানি ইউরিন, নড়বিষ সড়াবসবহঃ ও ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে দূষিত/বর্জ্য পদার্থ ও ফ্যাট বের করতে সাহায্য করে।
— পানি হজম শক্তি বাড়ায়, হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। কারণ আমাদের শরীরে ঠিকভাবে খাবার হজম করার জন্য প্রচুর পানি দরকার হয়। তাই প্রচুর আঁশ জাতীয় খাবারের পাশাপাশি, প্রচুর পানিও পান করতে হবে
— পানি কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। পানি ঠিকমত পান না করলে শরীর সব পানি শুষে নেয়, ফলে কোলন শুষ্ক হয়ে যায়, তাই শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ ঠিকমত বের হতে চায় না বা নড়বিষ সড়াবসবহঃ ঠিকমত হয় না।
— পানি কিডনির পাথর হওয়া থেকে বাঁচায়। কারণ, পানি ইউরিনের লবণ ও মিনারেল ভেঙে দেয়, ফলে কিডনিতে পাথর হয় না।
— ব্রেইনের ৮৫ ভাগ হচ্ছে পানি। তাই পানির অভাবে আমরা মানসিক/শারীরিক চাপে ভুগি। একটু পরপর পানি পান করলে এই মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা যায় এবং শারীরিক শক্তি বাড়ে।
— ব্যায়াম করার সময় একটু পরপর পানি পান করতে হবে। পানি শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে, মাসলের ক্র্যাম্প থেকে রক্ষা করে, শরীরের শক্তি ঠিক রাখে। তাই অনেক সময় ধরে সঠিকভাবে ব্যায়াম করা যায়। শুধু কার্ডিও ব্যায়াম নয়, ওয়েট ট্রেনিং করার সময়ও একটু পরপর পানি খেতে হবে । তাহলে মাসলে পানিশূন্যতা হবে না ও ব্যায়াম ভালো কাজ করবে।
পানি হচ্ছে প্রাকৃতিক ক্রিম, যা ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়। পানিশূন্যতা আমাদের ত্বকে বলিরেখা ফেলে। তাই প্রচুর পানি পান করলে বলিরেখা থেকে মুক্ত থাকা যায়। কারণ পানি কোষের পানি বাড়ায়, ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়বে ও বয়স কম মনে হয়। তাছাড়া পানি শরীর থেকে সব দূষিত পদার্থ বের করে দেয়, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, তাই ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়। তাই হেলদি, উজ্জ্বল, মোলায়েম/কোমল ত্বক পেতে প্রচুর পানি পান করতে হবে।
— ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এক সপ্তাহ প্রচুর পানি পান করুন এবং এক সপ্তাহ পর লক্ষ্য করুন উজ্জ্বল ত্বক।
— পানি রোগমুক্ত রেখে ও ত্বক সজীব রেখে তারুণ্য ধরে রাখে।
— প্রচুর পানি পান করলে কিছু ক্যান্সার, যেমন—কোলন, ব্লাডার ও ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
— জয়েন্টের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। কারণ জয়েন্টের মেইন লুব্রিকেন্ট হচ্ছে পানি।
জয়েন্ট (Arthritis) ও ব্যাক পেইনের রোগীরা তাই প্রচুর পানি পান করলে উপকার পান।
— পানি মাথাব্যথা দূর করে ও প্রতিরোধ করে।
— পানি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। কারণ পানি হার্ট ও ব্রেইনের জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ করে।
— পানি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
— মস্তিষ্কের/ব্রেইনের ক্ষমতা বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধ করে।
— গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায়, হজমের সমস্যা ও জ্বালাপোড়া কমায়।
— রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, তাই উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
প্রতিদিন কতটুকু পানি পান করবেন?
প্রতিদিন কত গ্লাস পানি পান করবেন তা নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য, ওজন, কোথায় বাস করেন—গরম না ঠাণ্ডা আবহাওয়ায়, আপনি কত কর্মঠ ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম কেমন করেন ইত্যাদির ওপর। তাছাড়া আপনি আর অন্য কী পানীয় যেমন—চা, লাচ্ছি, জুস, ডাবের পানি ইত্যাদি খান, তার ওপরও নির্ভর করবে দৈনিক কত গ্লাস পানি পান করবেন।
সাধারণত পুষ্টিবিদেরা বলেন, দৈনিক অন্তত ৮ গ্লাস পানীয় পান করতে। তার মানে, সব ধরনের পানীয় ও পানিসহ দৈনিক অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
ঞযব ওহংঃরঃঁঃব ড়ভ গবফরপরহব-এর মতে পুরুষদের জন্য দৈনিক অন্তত ৩ লিটার বা ১২ গ্লাস এবং মহিলাদের জন্য অন্তত ২ লিটার বা ৮ গ্লাস পানি পান করা দরকার।
ঞযব ওহংঃরঃঁঃব ড়ভ গবফরপরহব’ং ঋড়ড়ফ ধহফ ঘঁঃত্রঃরড়হ ইড়ধত্ফ ১৯৯৪ সালে আরেকটি তথ্য প্রকাশ করেছে যে, মহিলাদের জন্য ৯১ আউন্স এবং পুরুষদের জন্য ১২৫ আউন্স পানি পান করতে হবে।
আরেকটি নিয়ম হচ্ছে—আপনার ওজন যত পাউন্ড, ঠিক তার অর্ধেক আউন্স পানি খেতে হবে। যেমন—আপনার ওজন যদি হয় ১৬০ পাউন্ড, তবে আপনাকে ৮০ আউন্স পানি পান করতে হবে। এই পানি সব রকম পানীয়ের হিসাব। তবে ৮০ আউন্সের ৮০ ভাগ বা ৬৪ আউন্স, শুধু পানি খেলে ভালো। মনে রাখবেন, ৮ আউন্স = এক গ্লাস পানি।
তবে আপনি যদি সুস্থ-সবল হন, তবে পানি খাওয়ার হিসাব নিয়ে খুব বেশি চিন্তার কারণ নেই। পিপাসা পেলে, স্বাভাবিকভাবে পানি পান করলেই চলবে। কিন্তু আপনি যদি খেলোয়াড় হন, ব্যায়াম করেন বা অনেক ঘামেন, তাহলে আরও বেশি পানি পান করতে হবে।
অতিরিক্ত গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়, তাই অনেক বেশি পানি পান করতে হবে। অসুস্থ হলে যেমন : জ্বর, ডায়রিয়া, বমি হওয়ার পর অনেক বেশি পানি পান করতে হবে।
কীভাবে বুঝবেন যে আপনি সঠিক পরিমাণে পানি পান করছেন?
আপনি যদি সব সময় তৃষ্ণার্ত বোধ না করেন।
আপনার যদি দৈনিক ১.৫ লিটার ইউরিন হয়।
যদি ইউরিনের রং সাদা বা হালকা হলুদ হয়।
ইউরিনের রং হলুদ হলে আপনি সঠিক পরিমাণে পানি পান করছেন না। আপনার নড়বিষ সড়াবসবহঃ যদি ঠিকমত হয় এবং আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য না হয়।
পানি পান করার প্রয়োজনীয়তা কত তা অনুধাবন করে, আপনার সঙ্গে তাই সব সময় বিশুদ্ধ খাবার পানি রাখুন ও বেশি বেশি পানি পান করুন। গরমের দিনে অনেক বেশি পানি পান করে শরীর ঠিক রাখুন। হেলদি লাইফ স্টাইল মেনে চলার খুব সহজ একটি উপায় হচ্ছে প্রতিদিন অনেক বেশি পানি পান করা। তাহলে আপনাকে সুস্থ, সুন্দর ও সবল দেখাবে।
সূত্র: আমার দেশ
No comments:
Post a Comment