সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ক্যালিফোর্নিয়ার এনাহাইম শহরে ১৩-১৬ সেপ্টেম্বর ২০১১-এ অনুষ্ঠিত বিল্ড ডেভেলপারস কনফারেন্সে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ বিভাগের প্রেসিডেন্ট স্টিভেন সিনোফস্কি আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮ বাজারে আনার কথা জানিয়েছেন। কম্পিউটার, ট্যাবলেট এবং ল্যাপটপ প্লাটফর্মের জন্য ব্যবহৃত হবে এ সংস্করণটি।
নতুন সংস্করণটিতে কী কী থাকছে
এবার সম্পূর্ণ নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হয়েছে উইন্ডোজ ৮। এ প্রসঙ্গে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ বিভাগের প্রেসিডেন্ট স্টিভেন সিনোফস্কি জানিয়েছেন, ‘আমরা উইন্ডোজকে নতুন করে সাজিয়েছি। উইন্ডোজ ৯৫ সংস্করণের পর অপারেটিং সিস্টেম আপগ্রেডের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উইন্ডোজ ৮-কেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য সংস্করণে মাল্টিটাস্কিং সুবিধার কথা বলা হলেও উইন্ডোজ ৮-এ পাওয়া যাবে আসল মাল্টিটাস্কিংয়ের মজা।’ বিল্ড নামে ডেভেলপার্স কনফারেন্সে টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৮-এর বিভিন্ন ফিচার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, মূলত টেক জায়ান্ট অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেমকে টক্কর দিতেই নতুন করে ভাবতে হয়েছে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষকে।
ক্লাউড কম্পিউটিংভিত্তিক এ অপারেটিং সিস্টেমে ডেভেলপারদের অ্যাপ্লিকেশন তৈরির জন্য নানান টুলস দিয়ে দেয়া হয়েছে যা এরই মধ্যে ডেভেলপারদের কাছে প্রশংসা পেয়েছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে হাইপার-ভি ভার্চুয়ালাইজেশন; যার ফলে উইন্ডোজ ৭ বা তার আগের সংস্করণের জন্য তৈরি অ্যাপ্লিকেশনগুলোও এখানে কাজ করবে। আছে একটি অ্যাপ্লিকেশন স্টোর, যেখান থেকে ব্যবহারকারীরা নানান অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ইউজার ইন্টারফেস, টাচ, স্কাইড্রাইভ, অ্যাপস্টোর, এআরএম প্রসেসর, টাস্ক ম্যানেজারসহ বেশকিছু নতুন ফিচার রয়েছে উইন্ডোজ ৮-এ।
নতুন সংস্করণটিতে কী কী থাকছে
এবার সম্পূর্ণ নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হয়েছে উইন্ডোজ ৮। এ প্রসঙ্গে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ বিভাগের প্রেসিডেন্ট স্টিভেন সিনোফস্কি জানিয়েছেন, ‘আমরা উইন্ডোজকে নতুন করে সাজিয়েছি। উইন্ডোজ ৯৫ সংস্করণের পর অপারেটিং সিস্টেম আপগ্রেডের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উইন্ডোজ ৮-কেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য সংস্করণে মাল্টিটাস্কিং সুবিধার কথা বলা হলেও উইন্ডোজ ৮-এ পাওয়া যাবে আসল মাল্টিটাস্কিংয়ের মজা।’ বিল্ড নামে ডেভেলপার্স কনফারেন্সে টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৮-এর বিভিন্ন ফিচার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, মূলত টেক জায়ান্ট অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেমকে টক্কর দিতেই নতুন করে ভাবতে হয়েছে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষকে।
ক্লাউড কম্পিউটিংভিত্তিক এ অপারেটিং সিস্টেমে ডেভেলপারদের অ্যাপ্লিকেশন তৈরির জন্য নানান টুলস দিয়ে দেয়া হয়েছে যা এরই মধ্যে ডেভেলপারদের কাছে প্রশংসা পেয়েছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে হাইপার-ভি ভার্চুয়ালাইজেশন; যার ফলে উইন্ডোজ ৭ বা তার আগের সংস্করণের জন্য তৈরি অ্যাপ্লিকেশনগুলোও এখানে কাজ করবে। আছে একটি অ্যাপ্লিকেশন স্টোর, যেখান থেকে ব্যবহারকারীরা নানান অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ইউজার ইন্টারফেস, টাচ, স্কাইড্রাইভ, অ্যাপস্টোর, এআরএম প্রসেসর, টাস্ক ম্যানেজারসহ বেশকিছু নতুন ফিচার রয়েছে উইন্ডোজ ৮-এ।
মেট্রো ইন্টারফেস
একটি সাধারণ কম্পিউটার ইন্টারফেস এবং আরেকটি হচ্ছে ‘মেট্রো’ নামের ট্যাবলেট কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য আলাদা ইন্টারফেস। অর্থাত্ উইন্ডোজ ৮ সংস্করণে থাকছে দুটি ইন্টারফেস।
মেট্রো ইন্টারফেস অনেকটাই উইন্ডোজ ৭-এ থাকা টাইলসভিত্তিক ইন্টারফেসের মতো। এ ইন্টারফেস ট্যাবলেট কম্পিউটারের জন্য মানানসই। মেট্রো ইন্টারফেস টাচবান্ধব ইন্টারফেস হওয়ার ফলে নেভিগেশন আরও সহজ হবে। এতে রয়েছে পার্সোনালাইজড লেআউট, যাতে স্বচ্ছ টপোগ্রাফি এবং অ্যানিমেশন ব্যবহার করা হয়েছে। দ্রুত চালু হওয়ার জন্য সব ধরনের ইউজার অ্যাপ্লিকেশন স্টার্টআপ স্ক্রিনের সামনেই দেখাবে মেট্রো ইন্টারফেস। ম্যাট্রো স্টাইল অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন
স্কাই ড্রাইভ
মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৮ সংস্করণে যোগ হচ্ছে ক্লাউড সুবিধা। ক্লাউড সুবিধার এ পদ্ধতিটির নাম ‘স্কাই ড্রাইভ’। এ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যে কোনো ব্রাউজার বা মেট্রো অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে কোনো ফাইল, ছবি, ডকুমেন্টে এক্সেস পাওয়া যাবে।
টাচ কি-বোর্ড
উইন্ডোজ ৮-এ থাকছে দুটি টাচ কি-বোর্ড। একটি বড় বাটনযুক্ত ফুল-সাইজ টাচ কি-বোর্ড এবং আরেকটি থার্ড কি-বোর্ড। টাইপের গতি বাড়াতে এবং নিখুঁত করতে কি-বোর্ড দুটিতেই একাধিক ফিচার রয়েছে। কোনো ওয়ার্ড টাইপ করতে শুরু করলে কি-বোর্ড সেই শব্দটি অনুমান করে দেখাবে এবং শব্দটি বেছে নেয়া যাবে। সাধারণ মাউস এবং কি-বোর্ড উইন্ডোজ সমর্থন করবে। কোন ভাষার কি-বোর্ড ব্যবহার করা হবে সেটি ব্যবহারকারী পছন্দ করে নেয়ার সুযোগ পাবে। কোনো নির্দিষ্ট প্রোগ্রামের পরিবর্তে ইনপুট এবং ভাষা নির্বাচন করলে উইন্ডোজ সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুরো কম্পিউটারের জন্য মেনে চলবে।
নতুন টাস্ক ম্যানেজার
নতুন অপারেটিং সিস্টেমে থাকছে নতুন একটি টাস্ক ম্যানেজার। এই ম্যানেজার কতটুকু সিপিইউ, মেমোরি ব্যবহার হলো, অ্যাপ্লিকেশন এবং প্রসেসরের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের পারফর্ম্যান্স কেমন—সেসব তথ্যও দেখাবে। এছাড়াও উইন্ডোজ ৮-এর কন্ট্রোল প্যানেলেও আসছে পরিবর্তন।
অ্যাপস স্টোর
অ্যাপস স্টোর প্রসঙ্গে স্টিভেন সিনোফস্কি জানিয়েছেন, ‘নতুন অপারেটিং সিস্টেমটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে অ্যাপ্লিকেশনের ওপর। উইন্ডোজ ৮-এ প্রথমবারের মতো যোগ হচ্ছে অ্যাপলের অ্যাপস স্টোরের মতোই একটি অ্যাপস স্টোর। উইন্ডোজ ৭-এ যেখানে র্যাম ৪০৪ মেগাবাইট, সেখানে উইন্ডোজ ৮-এ লাগবে মাত্রই ২৮১ মেগাবাইট। মূল অপারেটিং সিস্টেমেই আসল ক্ষমতা রয়েছে, তাই আলাদা লেয়ার বসানোর প্রয়োজন পড়েনি। ফলে হার্ডওয়্যারের জন্য এটি বিদ্যুত্ সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারি খরচ করে। স্টার্ট-আপ টাইমও হয়েছে মাত্র ৮ সেকেন্ড!’
নিরাপত্তা
অন্যান্য সংস্করণের চেয়ে উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা আরও গভীরভাবে পর্যালোচনা করছে মাইক্রোসফট। ভাইরাস বা বাগ থেকে ফাইল বা সেটিংস রক্ষায় উইন্ডোজ ৮ কার্যকর হবে বলেই জানিয়েছেন সিনোফস্কি।
এটা পছন্দ করবে তো
এর আগে ব্যাপক ঢাকঢোল করে বের করা হয়েছিল উইন্ডোজ ভিস্তা, কিন্তু সেটি একেবারেই গ্রহণযোগ্য হয়নি ব্যবহারকারীদের কাছে। তাই এবার বেশ সতর্কই থাকছে মাইক্রোসফট। স্টিভেন সিনোফক্সি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘কত তাড়াতাড়ি বাজারে ছাড়ব, সেটির চেয়ে আমরা ভাবছি মান নিয়ে।’
No comments:
Post a Comment