ভা লো বা সা এই চারটি অক্ষরের শব্দটি ইট পাথরের তৈরী কোন ভাল বাসা নয়। এটা হচ্ছে মনে আবেগ ও অনুভূতি থেকে কারো প্রতি মমতা ও টান অনুভব করার নাম। ১৪ ফেব্রুয়ারী এলে বিদেশী সংস্কৃতি আদলে গাঁ ভাঁসিয়ে ফুলের তোড়া নিয়ে তরুণীদের পিছু নেওয়ার নাম ভালোবাসা হতে পারে না ভালোবাসা কোন দিনকে হিসেব করে নয়। ভালোবাসার অনেক রং, রূপ. গন্ধ, বৈশিষ্ট রয়েছে। ভালবাসা বিভিন্ন বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৈরী হয়। মায়ের সাথে ছেলে ভালোবাসা, বাবার সাথে মেয়ের ভালোবাসা, ভাইয়ের সাথে বোনের ভালোবাসা, প্রাপ্ত বয়স্ক কোন ছেলে সাথে মেয়ের ভালোবাসা ইত্যাদি। ভালোবাসা নিয়ে বিজ্ঞান কি বলে চলুন দেখা যাক।
খ.
ভালোবাসাটা কী? এর উৎপত্তিস্থল কোথায়? ভালোবাসার সংজ্ঞা একেক জনের কাছে একেক রকম হতে পারে। আমি মনে করি বিজ্ঞান ভালোবাসা সঠিক সংজ্ঞা দিয়েছে। প্রেম বলুন আর ভালাবাসা বলুন প্রতিটি বিষয় হালকা কিংবা ভাসা ভাসা। ভালোবাসা বা প্রেম যুগে যুগে সব দেশেই ছিল। প্রেমের রসায়ন বলে একটি বহুল শব্দ প্রচলিত আছে। প্রেম বা ভালোবাসা কী শুধুই রসায়নের খেলা। প্রেমের সংজ্ঞা যাই-ই হোকনা কেন প্রেম-ভালোবাসা একে অন্যের সমার্থক ও পরিপূরক, এর অসীম ক্ষমতা। করো প্রতি তীব্র আকর্ষণবোধ বা আসক্তি। হতে পারে মস্তিস্কের কোনা সাজানো কারসাজি। ভালোবাসার মানুষের জন্য প্রাণ পর্যন্ত মানুষ বিসর্জন দেয়। বিজ্ঞানীরা মানুষের ভালোবাসার এই অসীম ক্ষমতাকে অক্সিটোসিন নামের হরমোনের ক্রিয়া বলেই শনাক্ত করেছেন। প্রেমিক বা প্রেমিকাকে দেখে মুগ্ধ হওয়ার বা আকর্ষণবোধ করার জন্য কাজটি করে এই অক্সিটোসিন। বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন প্রেমের পরতে পরতে অক্সিটোসিন কীভাবে ইন্ধন জোগায়। প্রেমিক-প্রেমিকার হাত ধরাধরি, আলিঙ্গন, একসঙ্গে বসে সময় কাটানো প্রতি ক্ষেত্রেই অক্সিটোসিনের নানা মাত্রা কাজ করে। প্রেম বা ভালোবাসার আবেগ তৈরীর জন্য কতকগুলো নিউরোট্রান্সিমিটার কাজ করে। ডোপইন, সেরোটোনিন নামক হরমোন রোমান্টিক মুড আনার জন্য সহায়তা করে। এপিলেক্সিন-ননএপিলোক্সিন এই দুটি নিউরো ট্রান্সমিটারও জড়িয়ে আছে ভালোবসার সঙ্গে। এই হরমোনটি পিঠের ব্যাথা থেকে মাইগ্রেন পর্যন্ত দূর করে দেয়। অক্সিটোসিন যেমন যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিতে সহায়তা করে তেমনি শরীরের ক্ষত সারাতেও সাহায্য করে।
গ.
মানুষ কিছু মৌলিক প্রবৃত্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়। যেমন- ক্ষুধা, তৃষ্ণা, যৌন আগ্রহ ইত্যাদি। এর পাশা-পাশি মানুষ তার আবেগও অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে পছন্দ করে। যুক্তি-তর্ক, বুদ্ধি-বিবেচনার সাথে মানুষ অনেক অনুভূতিপ্রবণও হয়। অনুভূতি থাকলেই একজন মানুষের জীবনে ভালোবাসা, দুঃখ-ক্ষোভ, ক্রোধ প্রভৃতি থাকে। মনোবৈজ্ঞানিকদের মতে- এনাটোমিক্যালি ও ফিজিওলজিক্যালি চিন্তা করলে ব্রেন থেকে অনুভূতির উৎপত্তি হয়। ব্রেনের মধ্যে হাইপোথালামাস নামে একটা বিশেষ জায়গা আছে যার মাধ্যমে ক্রোধ, রাগ, ক্ষুধা, তৃষ্ণা, ভালোবাসা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে। ভালোবাসাকে আমরা যেভাবেই দেখি না কেন এটাকে বৃহত্তর আঙ্গিকে যদি চিন্তা করি সেটা আসলে ভালো লাগার পরবর্তী স্টেজ। ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ বিভিন্ন ভাবে যেমন হতে পারে তেমনি বিভিন্ন বিষয়কেও ভালোবাসা যেতে পারে। ভালোবাসা যেমন হিসেব কষে হয় না তেমনি ভালোবাসা একটি দিনে আটকে রাখা যেতে পারে না। ভালোবাসা অন্তকাল, চিরকাল, মহাকালের জন্য। দেশ-জাতি সর্বোপরি মানুষকে ভালোবাসতে হবে। তাহলে মানুষের সঠিক ভালোবাসার পথ সুগম হবে।
খ.
ভালোবাসাটা কী? এর উৎপত্তিস্থল কোথায়? ভালোবাসার সংজ্ঞা একেক জনের কাছে একেক রকম হতে পারে। আমি মনে করি বিজ্ঞান ভালোবাসা সঠিক সংজ্ঞা দিয়েছে। প্রেম বলুন আর ভালাবাসা বলুন প্রতিটি বিষয় হালকা কিংবা ভাসা ভাসা। ভালোবাসা বা প্রেম যুগে যুগে সব দেশেই ছিল। প্রেমের রসায়ন বলে একটি বহুল শব্দ প্রচলিত আছে। প্রেম বা ভালোবাসা কী শুধুই রসায়নের খেলা। প্রেমের সংজ্ঞা যাই-ই হোকনা কেন প্রেম-ভালোবাসা একে অন্যের সমার্থক ও পরিপূরক, এর অসীম ক্ষমতা। করো প্রতি তীব্র আকর্ষণবোধ বা আসক্তি। হতে পারে মস্তিস্কের কোনা সাজানো কারসাজি। ভালোবাসার মানুষের জন্য প্রাণ পর্যন্ত মানুষ বিসর্জন দেয়। বিজ্ঞানীরা মানুষের ভালোবাসার এই অসীম ক্ষমতাকে অক্সিটোসিন নামের হরমোনের ক্রিয়া বলেই শনাক্ত করেছেন। প্রেমিক বা প্রেমিকাকে দেখে মুগ্ধ হওয়ার বা আকর্ষণবোধ করার জন্য কাজটি করে এই অক্সিটোসিন। বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন প্রেমের পরতে পরতে অক্সিটোসিন কীভাবে ইন্ধন জোগায়। প্রেমিক-প্রেমিকার হাত ধরাধরি, আলিঙ্গন, একসঙ্গে বসে সময় কাটানো প্রতি ক্ষেত্রেই অক্সিটোসিনের নানা মাত্রা কাজ করে। প্রেম বা ভালোবাসার আবেগ তৈরীর জন্য কতকগুলো নিউরোট্রান্সিমিটার কাজ করে। ডোপইন, সেরোটোনিন নামক হরমোন রোমান্টিক মুড আনার জন্য সহায়তা করে। এপিলেক্সিন-ননএপিলোক্সিন এই দুটি নিউরো ট্রান্সমিটারও জড়িয়ে আছে ভালোবসার সঙ্গে। এই হরমোনটি পিঠের ব্যাথা থেকে মাইগ্রেন পর্যন্ত দূর করে দেয়। অক্সিটোসিন যেমন যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিতে সহায়তা করে তেমনি শরীরের ক্ষত সারাতেও সাহায্য করে।
গ.
মানুষ কিছু মৌলিক প্রবৃত্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়। যেমন- ক্ষুধা, তৃষ্ণা, যৌন আগ্রহ ইত্যাদি। এর পাশা-পাশি মানুষ তার আবেগও অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে পছন্দ করে। যুক্তি-তর্ক, বুদ্ধি-বিবেচনার সাথে মানুষ অনেক অনুভূতিপ্রবণও হয়। অনুভূতি থাকলেই একজন মানুষের জীবনে ভালোবাসা, দুঃখ-ক্ষোভ, ক্রোধ প্রভৃতি থাকে। মনোবৈজ্ঞানিকদের মতে- এনাটোমিক্যালি ও ফিজিওলজিক্যালি চিন্তা করলে ব্রেন থেকে অনুভূতির উৎপত্তি হয়। ব্রেনের মধ্যে হাইপোথালামাস নামে একটা বিশেষ জায়গা আছে যার মাধ্যমে ক্রোধ, রাগ, ক্ষুধা, তৃষ্ণা, ভালোবাসা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে। ভালোবাসাকে আমরা যেভাবেই দেখি না কেন এটাকে বৃহত্তর আঙ্গিকে যদি চিন্তা করি সেটা আসলে ভালো লাগার পরবর্তী স্টেজ। ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ বিভিন্ন ভাবে যেমন হতে পারে তেমনি বিভিন্ন বিষয়কেও ভালোবাসা যেতে পারে। ভালোবাসা যেমন হিসেব কষে হয় না তেমনি ভালোবাসা একটি দিনে আটকে রাখা যেতে পারে না। ভালোবাসা অন্তকাল, চিরকাল, মহাকালের জন্য। দেশ-জাতি সর্বোপরি মানুষকে ভালোবাসতে হবে। তাহলে মানুষের সঠিক ভালোবাসার পথ সুগম হবে।
প্রথম পরীক্ষামূলক কমেন্ট
ReplyDelete