বহু দিন আগে এক গ্রামে এক গরীব কৃষক বাস করতো। তার পরিবারে ছিল স্ত্রী, ছেলে ও এক বৃদ্ধ পিতাকে নিয়ে। তাদের সংসরে অভাব অনটন প্রায় সবসময় লেগে থাকতো। কৃষক খুব পরিশ্রম করতো কিন্তু তার পরও অভাব দূর করতে পারতোনা। তার ছেলে দাদাকে খুব পছন্দ করতো। দাদাও তাকে খুব স্নেহ করতেন। কিন্তু তার স্ত্র্রী ছিল খুব বদ মহিলা, শ্বশুরকে একদম দেখতে পারতোনা। সে প্রায় শ্বশুরের বিরুদ্ধে স্বামীকে রাগিয়ে দিত।
একদিন স্বামী কাজ থেকে ফিরলে স্ত্রী তাকে ডেকে বললো,
স্ত্রীঃ তোমার বাবাকে যদি বাড়ি থেকে বাহির না কর তাহলে আমি আমার বাপের বাড়ী চলে যাব।
স্বামীঃ কান্তু সেতো আমার জন্ম দাতা
স্ত্রীঃ আমি এত কথা শুনতে চাই না তোমার বাবাকে বাহির কর।
স্বামীঃ কিন্তু কিভাবে?
স্ত্রীঃ গভীর রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে যাবে তখন একটা থলেতে ভরে তোমার বাবাকে নদীতে ফেলে দিয়ে আসবে।
স্বামীঃ ঠিক আছে।
তাদের সব কথা তাদের ছেলে লুকিয়ে শুনে ফেললো।
গভীর রাতে বৃদ্ধের অনেক কাকুতি মিনতির শর্তেও থলেতে ভরে নিয়ে যাচ্ছে পাষাণ লোকটি। ঠিক তখনই পিছনে শব্দ হলো, কৃষক তাকিয়ে দেখলো তার ছেলে। ছেলে বললো,
ছেলেঃ বাবা, দাদাকে ফেলে ব্যাগটা কিন্তু ফেলে এসোনা।
বাবাঃ কেন ব্যাগটা কি তোমার বিশেষ প্রয়োজন?
ছেলেঃ হ্যা তুমি যখন বৃদ্ধ হবে তখন তোমাকেও তো আমার ফেলে আসতে হবে। আমি তোমার জন্য আরেকটা ব্যাগ কিনতে পারবোনা।
তখন লোকটা কাধ থেকে থলে নামিয়ে অবাক ও বিষ্ময়ের দৃষ্টিতে ছেলের দিকে তাকিয়ে রইল।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment