সময় ২০৯৫ সাল। ফেব্রুয়ারী মাসের ২৩ তারিখ।
হোটেলে খেতে এসেছে ফাহিম। বেশ দামী হোটেল। নাম - “The Hotel of Southia park” অর্ডার দিল দুইটা সিংগারা, দুইটা পুরি এবং এক কাপ চা এর।
তার মাথা আজ ঘুরাচ্ছে। বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছে তাকে।
ফাহিমদের বাসা ঢাকার একটি ছোট এলাকা ধনিয়ার ১৪১/৭৮ হাজী আসরউদ্দিন রোড। ফাহিমের চিন্তার মূল বিষয় আজকের পত্রিকার ১ম নিউজটা। নিউজটা হলো - “আবার বড় ধরনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশ”।
নিউজটার মূল বিষয় হলো-আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বানিজ্যিক চুক্তি হয়েছিল যে, বাংলাদেশ যতটুকু গ্যাস উৎপাদন করবে তার দুই - পঞ্চমাংশ বাংলাদেশ আমেরিকাকে দেবে। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এটি দিতে অস্বীকার করেন। যার ফলে আমেরিকা বাংলাদেশের উপর ক্ষেপে যায় এবং বাংলাদেশ কে ধ্বংস করার হুমকি দেয়।
খেতে খেতে ফাহিম ভাবে, যেভাবেই হোক এ অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ সরকার একদল তরুনদের নিয়ে একটি ডিটেকটিভ টিম গঠন করে যাতে এ বিপদ থেকে বাংলাদেশ রক্ষা পায়। কেননা বিশ্বের সকল দেশ জানে “আমেরিকা” একটি অন্যতম কুটনৈতিক দেশ। তারা কিভাবে যে সব কিছুর উসুল নেয় তা কেউ জানেনা।
ফাহিম ঐ ডিটেকটিভ টিমের একজন অন্যতম সদস্য। খাওয়া শেষ।বিল মিটিয়ে বাসার দিকে পা বাড়ায় ফাহিম।
কম্পিউটার রুমে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নজর রাখছে সিমান্তের উপর ফাহিম। হটাৎ ফাহিমের চোখ কম্পিউটারের স্ক্রিনে আটকে গেল। সে দেখলো একটি ক্ষুদ্র কি যেন উত্তর-পূর্ব দিক থেকে এগিয়ে আসছে। ফাহিমের উত্তেজনা বেড়ে গেল। ফাহিম জুম করে সেটার কাছে যেতে দেখলো এটি একটি এল-১১ নামক একটি শক্তিশালী বোমারু জেট প্লেন। সে দেখলো এটি বাংলাদেশ সীমানায় ঢুকে সরাসরি চলে গেল বাংলাদেশের গ্যাস উৎপাদন এলাকা লক্ষ্মীপুরের দিকে।
সর্বনাশ! তার মানে গ্যাস উত্তোলন করার পর এ এলাকাটি হাইড্রোজেন বোমার মাধ্যমে নিঃশেষ করে দেওয়া হবে।
ফাহিম সমস্ত প্রমাণ একত্র করে সিডি রাইট কমপ্লিট করলো। ফাহিমের মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে। সে তখন ফোন করলো ডিটেকটিভ টিম এর সদস্য নাম্বার-১৭ আদনান সাফীর কাছে। ফাহিম সমস্ত ঘটনা তাকে খুলে বললো।
তারপর বললো, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে হবে। আদনান শাফী অতি দ্রুত প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করলো।
প্রধানমন্ত্রী সব শুনে তার কার্যালয়ে আসতে বললেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেন বিমানবাহিনীর প্রধান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আনিসকে। আনিস সব শুনে বললেনঃ আমি আপনার কার্যালয়ে অতি দ্রুত আসছি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। উপস্থিত আছেন ডিটেকটিভ টিমের সকল সদস্য। কোন রকম ভূমিকা ছাড়াই মিটিং শুরু হলো। ফাহিম তার রাইট করা সিডিটি দিল এবং প্রধানমন্ত্রী সাথে সাথে সিডিটি অন করে দিলো।
সব দেখে প্রধানমন্ত্রী বললো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঐ বোমারু বিমানটাকে ধ্বংস করতে হবে। এরপর তিনি মোঃআনিসকে বললেন দুটি মিগ-২৫ বিমানকে ঐ বিমানটির পিছনে লাগিয়ে দিন এবং প্রচুর লেজার বিমান পাঠিয়ে দিন। গোপন মিটিং শেষ হলো।
রাত ১২টা বেজে ৪১মিনিট ৩৬সেকেন্ড। আর কিছুক্ষন পরই গ্যাস উত্তোলন শুরু করবে এল-১১ নামের বোমারু জেট প্লেনটি। ঠিক ১২টা বেজে ৪৩মিনিট ০১ সেকেন্ডে মিশনে রওনা দিবে দুটি মিগ-২৫ বাংলাদেশী বিমান।
সাথে রয়েছে একটি মিনি জেট প্লেন। দুটি বোমারু বিমানের একটি ড্রাইভ করছে জেনারেল মোঃআনিস অন্যটি ড্রাইভ করছেন তার সহকারী মোঃকিরণ। মিনি জেট প্লেনটি ড্রাইভ করছেন আদনান শাফী, তার পাশে বসে আছে মোঃরেদোয়ান করিম ফাহিম। রাত ১২টা ৪৩মিনিট। মিশন শুরু করলো প্লেন ৩টা।
আর অল্প কিছু দূরে আছে শত্রু পক্ষের বিমানটি। দুইটি প্লেন নিঃশব্দে ৩টি লেজার বিম একসাথে এ্যাটাক করলো।
মাত্র ১৩মিনিটের মিশন! ধুম করে একটি শব্দ তারপর সুনসান নীরবতা।
ধ্বংস হয়ে গিয়েছে শত্রু পক্ষের জেট প্লেন।
পরদিন বিশ্ব সাটেলাইটের টপ নিউজ ছিল “রহস্যজনক ভাবে বাংলাদেশের সীমান্তে নিখোজ হয়েছে আমেরিকার শক্তিশালী জেট ইঞ্চিন চালিত এল-১১ বিমানটি”।
হোটেলে খেতে এসেছে ফাহিম। বেশ দামী হোটেল। নাম - “The Hotel of Southia park” অর্ডার দিল দুইটা সিংগারা, দুইটা পুরি এবং এক কাপ চা এর।
তার মাথা আজ ঘুরাচ্ছে। বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছে তাকে।
ফাহিমদের বাসা ঢাকার একটি ছোট এলাকা ধনিয়ার ১৪১/৭৮ হাজী আসরউদ্দিন রোড। ফাহিমের চিন্তার মূল বিষয় আজকের পত্রিকার ১ম নিউজটা। নিউজটা হলো - “আবার বড় ধরনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশ”।
নিউজটার মূল বিষয় হলো-আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বানিজ্যিক চুক্তি হয়েছিল যে, বাংলাদেশ যতটুকু গ্যাস উৎপাদন করবে তার দুই - পঞ্চমাংশ বাংলাদেশ আমেরিকাকে দেবে। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এটি দিতে অস্বীকার করেন। যার ফলে আমেরিকা বাংলাদেশের উপর ক্ষেপে যায় এবং বাংলাদেশ কে ধ্বংস করার হুমকি দেয়।
খেতে খেতে ফাহিম ভাবে, যেভাবেই হোক এ অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ সরকার একদল তরুনদের নিয়ে একটি ডিটেকটিভ টিম গঠন করে যাতে এ বিপদ থেকে বাংলাদেশ রক্ষা পায়। কেননা বিশ্বের সকল দেশ জানে “আমেরিকা” একটি অন্যতম কুটনৈতিক দেশ। তারা কিভাবে যে সব কিছুর উসুল নেয় তা কেউ জানেনা।
ফাহিম ঐ ডিটেকটিভ টিমের একজন অন্যতম সদস্য। খাওয়া শেষ।বিল মিটিয়ে বাসার দিকে পা বাড়ায় ফাহিম।
কম্পিউটার রুমে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নজর রাখছে সিমান্তের উপর ফাহিম। হটাৎ ফাহিমের চোখ কম্পিউটারের স্ক্রিনে আটকে গেল। সে দেখলো একটি ক্ষুদ্র কি যেন উত্তর-পূর্ব দিক থেকে এগিয়ে আসছে। ফাহিমের উত্তেজনা বেড়ে গেল। ফাহিম জুম করে সেটার কাছে যেতে দেখলো এটি একটি এল-১১ নামক একটি শক্তিশালী বোমারু জেট প্লেন। সে দেখলো এটি বাংলাদেশ সীমানায় ঢুকে সরাসরি চলে গেল বাংলাদেশের গ্যাস উৎপাদন এলাকা লক্ষ্মীপুরের দিকে।
সর্বনাশ! তার মানে গ্যাস উত্তোলন করার পর এ এলাকাটি হাইড্রোজেন বোমার মাধ্যমে নিঃশেষ করে দেওয়া হবে।
ফাহিম সমস্ত প্রমাণ একত্র করে সিডি রাইট কমপ্লিট করলো। ফাহিমের মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে। সে তখন ফোন করলো ডিটেকটিভ টিম এর সদস্য নাম্বার-১৭ আদনান সাফীর কাছে। ফাহিম সমস্ত ঘটনা তাকে খুলে বললো।
তারপর বললো, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে হবে। আদনান শাফী অতি দ্রুত প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করলো।
প্রধানমন্ত্রী সব শুনে তার কার্যালয়ে আসতে বললেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেন বিমানবাহিনীর প্রধান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আনিসকে। আনিস সব শুনে বললেনঃ আমি আপনার কার্যালয়ে অতি দ্রুত আসছি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। উপস্থিত আছেন ডিটেকটিভ টিমের সকল সদস্য। কোন রকম ভূমিকা ছাড়াই মিটিং শুরু হলো। ফাহিম তার রাইট করা সিডিটি দিল এবং প্রধানমন্ত্রী সাথে সাথে সিডিটি অন করে দিলো।
সব দেখে প্রধানমন্ত্রী বললো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঐ বোমারু বিমানটাকে ধ্বংস করতে হবে। এরপর তিনি মোঃআনিসকে বললেন দুটি মিগ-২৫ বিমানকে ঐ বিমানটির পিছনে লাগিয়ে দিন এবং প্রচুর লেজার বিমান পাঠিয়ে দিন। গোপন মিটিং শেষ হলো।
রাত ১২টা বেজে ৪১মিনিট ৩৬সেকেন্ড। আর কিছুক্ষন পরই গ্যাস উত্তোলন শুরু করবে এল-১১ নামের বোমারু জেট প্লেনটি। ঠিক ১২টা বেজে ৪৩মিনিট ০১ সেকেন্ডে মিশনে রওনা দিবে দুটি মিগ-২৫ বাংলাদেশী বিমান।
সাথে রয়েছে একটি মিনি জেট প্লেন। দুটি বোমারু বিমানের একটি ড্রাইভ করছে জেনারেল মোঃআনিস অন্যটি ড্রাইভ করছেন তার সহকারী মোঃকিরণ। মিনি জেট প্লেনটি ড্রাইভ করছেন আদনান শাফী, তার পাশে বসে আছে মোঃরেদোয়ান করিম ফাহিম। রাত ১২টা ৪৩মিনিট। মিশন শুরু করলো প্লেন ৩টা।
আর অল্প কিছু দূরে আছে শত্রু পক্ষের বিমানটি। দুইটি প্লেন নিঃশব্দে ৩টি লেজার বিম একসাথে এ্যাটাক করলো।
মাত্র ১৩মিনিটের মিশন! ধুম করে একটি শব্দ তারপর সুনসান নীরবতা।
ধ্বংস হয়ে গিয়েছে শত্রু পক্ষের জেট প্লেন।
পরদিন বিশ্ব সাটেলাইটের টপ নিউজ ছিল “রহস্যজনক ভাবে বাংলাদেশের সীমান্তে নিখোজ হয়েছে আমেরিকার শক্তিশালী জেট ইঞ্চিন চালিত এল-১১ বিমানটি”।
No comments:
Post a Comment