তোমরা নিশ্চয়ই বেড়াতে খুবই পছন্দ করো। এখন চিন্তা করো, তুমি এমন এক জায়গায় ঘুরতে গেছো, যেখানে পুচকে পুচকে লেকে টলটলে পানি, আর লেকগুলো সাদা লবনের বিশাল স্তরে থরে থরে সাজানো! কিংবা এক সাগরের পাড়ে বেড়াতে গেছো, সেখানে গিয়ে দেখলে বিশাল বিশাল পাথর পড়ে আছে, যার আড়ালে অনেক বড়ো মানুষও ঢাকা পরে যাবে! অথবা এমন এক দ্বীপে বেড়াতে গেলে যেখানে এমন এমন অদ্ভূত গাছ আছে, যেগুলোর সঙ্গে মিল নেই পৃথিবীর অন্য কোনো গাছের! নিশ্চয়ই বিশ্বাস হচ্ছে না? চলো, আজকে এমনই কিছু অবিশ্বাস্য জায়গার গল্প শুনে আসি, শুনে আসি পৃথিবীর সবচেয়ে আজব কয়েকটা জায়গার গল্প।
পামুক্কালে
এই আজব লেকটি অবস্থিত তুরস্কে। তুরস্ক কোথায় তা জানো তো নিশ্চয়ই। এই দেশটাই অবশ্য একটা আজব দেশ, এর এক অংশ এশিয়া মহাদেশে, আর বাকি অংশটুকু আবার ইউরোপ মহাদেশে। এই আজব দেশেরই এক আজব জায়গা এই পামুক্কালে। এখানকার লেকগুলো দেখলে তো তুমি একেবারে আশ্চর্য হয়ে যাবে। সাদা লবনের বিশাল বিশাল স্তরে ছোট্ট ছোট্ট পুচকে পুচকে জলাধার। সেগুলোতে আবার মানুষ আগে ঘটা করে গোসলও করতে যেতো। তারা বিশ্বাস করতো ওখানে গোসল করলে শরীর ভালো থাকে। করতো বলছি কেনো, এখনো অনেকে তা-ই বিশ্বাস করে। কিন্তু এখন আর ওখানে কেউ গোসল করতে পারে না। লেকগুলোর যদি কোনো ক্ষতি হয়ে যায়, বা কেউ যদি অসতর্ক হয়ে পুচকে পুচকে লেকগুলোর কোনো ক্ষতি করে ফেলে সেই ভয়ে তুরস্ক সরকার ওগুলোতে দর্শনার্থীদের গোসল করতে বারণ করে দিয়েছে।
লেকের ছবি দেখে ভাবছো, এ আবার কিভাবে সম্ভব? ভাবছো, আমি নিশ্চয়ই গুল মারছি! আচ্ছা, তবে শোনো কিভাবে ওগুলো এমন হলো। লেকগুলো প্রায় ২০ লাখ বছরের পুরোনো। তুরস্কে আবার প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। অনেক আগে এখানে একটা বড়ো রকমের ভূমিকম্পে মাটিতে অনেকগুলো ফাঁটল সৃষ্টি হয়েছিলো। আর সেখান দিয়ে তখন মাটির নিচের ক্যালসিয়াম কার্বনেটে ভর্তি গরম গরম পানি বেরিয়ে এসে উপরে জমা হতে লাগলো। কিন্তু পানি গরম হলে তো বাষ্প হয়ে যায়। সেই পানিও বাষ্প হয়ে গেলো। থেকে গেলো শুধু ক্যালসিয়াম কার্বনেট। ক্যালসিয়াম কার্বনেট হলো একধরনের লবন। সেই লবনগুলো জমে জমে তৈরি হলো লেকগুলোর কাঠামো। আর তারপর সেগুলো যখন শক্ত হয়ে গেলো, তখন সেখানে বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্টি হলো এই আজব লেকগুলো। কী আজব গল্পটা, তাই না?
মোয়েরাকি
না, মোয়েরাকি আসলে কোনো জায়গার নাম নয়, কতগুলো পাথরের নাম। যে সে পাথর অবশ্য নয়, তোমার আব্বুর চেয়েও বড়ো বড়ো পাথর। ওগুলোতে যদি কোনো ফাটল থাকে, তুমি লুকোচুরি খেলার সময় নিশ্চিন্তে তার ভেতর লুকিয়ে থাকতে পারবে, কেউ খুঁজেই পাবে না। তার জন্য অবশ্য তোমাকে লুকোচুরি খেলতে হবে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে। পাথরগুলো দক্ষিণ নিউজিল্যান্ডের কোয়েকোহ সৈকতে আছে কি না! এই মোয়েরাকি পাথরগুলোকে নিয়ে কিন্তু নিউজিল্যান্ডের আদিবাসীদের এক মিষ্টি পৌরাণিক গল্পও আছে। নিউজিল্যান্ডের আদিবাসীদের নাম মাউরি। ওরা বলে ওদের পূর্বপুরুষরা একেকজন ছিলো দৈত্যের মতো বিশাল। আর তাদের সেই দৈত্যের মতো বিশাল পূর্বপুরুষরা একবার আরাইতেউরু নামের এক বিশাল নৌকাতে চেপে মহানন্দে নৌকা ভ্রমণ করছিলো। যেই না নৌকা মাতাকাএয়ার কাছে এলো, ওমনি বিরাট বিরাট তিনটা ঢেউ এসে সেই বিশাল নৌকা দিলো ডুবিয়ে। যে কয়জন বেঁচে গিয়েছিলো তারা পরে পাথর হয়ে যায়। সেই পাথরগুলোই পরে ওখানকার বিশাল বিশাল পাহাড়ে পরিণত হয়। আর নৌকার যে জিনিসপত্রগুলো ছিলো, সেগুলোই হয়ে যায় মোয়েরাকি পাথর।
এমনিতেই তো সাগরের পাড়ের সবকিছুই সুন্দর। তার উপর এই মোয়েরাকি পাথরগুলোও কিন্তু কম সুন্দর না। আর এগুলোর কয়েকটা তো এতোই ভারি, ওজন হবে কয়েক টন! ১ টন মানে কিন্তু এক হাজার কেজি। সেগুলো প্রস্থে হয় ৩ মিটারের মতো। এখন প্রশ্ন হলো, পাথরগুলো কিভাবে তৈরি হলো। সাগরের তীরে কোনো একটা নির্দিষ্ট বিন্দুকে কেন্দ্র করে বালি ও বালি জাতীয় বিভিন্ন পদার্থ জমে জমে তৈরি হয়েছে এই পাথরগুলো। সাগরের স্রোত আর বাতাস মিলে বালিকে ঠেলে ঠেলে জড়ো করার কাজটি করেছে। ঠিক যেভাবে ঝিনুকের পেটে বালি জমে মুক্তো তৈরি হয়, ঠিক সেভাবেই, তাই না? আবার সাগর তীরে পাথরের চাঙড় ভেঙে, ভাঙা অংশগুলো একসঙ্গে জড়ো হয়েও পাথরগুলো তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রেও অবশ্য জড়ো করার দায়িত্ব পড়ে সাগরের স্রোত আর বাতাসের কাঁধেই।\
এই আজব লেকটি অবস্থিত তুরস্কে। তুরস্ক কোথায় তা জানো তো নিশ্চয়ই। এই দেশটাই অবশ্য একটা আজব দেশ, এর এক অংশ এশিয়া মহাদেশে, আর বাকি অংশটুকু আবার ইউরোপ মহাদেশে। এই আজব দেশেরই এক আজব জায়গা এই পামুক্কালে। এখানকার লেকগুলো দেখলে তো তুমি একেবারে আশ্চর্য হয়ে যাবে। সাদা লবনের বিশাল বিশাল স্তরে ছোট্ট ছোট্ট পুচকে পুচকে জলাধার। সেগুলোতে আবার মানুষ আগে ঘটা করে গোসলও করতে যেতো। তারা বিশ্বাস করতো ওখানে গোসল করলে শরীর ভালো থাকে। করতো বলছি কেনো, এখনো অনেকে তা-ই বিশ্বাস করে। কিন্তু এখন আর ওখানে কেউ গোসল করতে পারে না। লেকগুলোর যদি কোনো ক্ষতি হয়ে যায়, বা কেউ যদি অসতর্ক হয়ে পুচকে পুচকে লেকগুলোর কোনো ক্ষতি করে ফেলে সেই ভয়ে তুরস্ক সরকার ওগুলোতে দর্শনার্থীদের গোসল করতে বারণ করে দিয়েছে।
লেকের ছবি দেখে ভাবছো, এ আবার কিভাবে সম্ভব? ভাবছো, আমি নিশ্চয়ই গুল মারছি! আচ্ছা, তবে শোনো কিভাবে ওগুলো এমন হলো। লেকগুলো প্রায় ২০ লাখ বছরের পুরোনো। তুরস্কে আবার প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। অনেক আগে এখানে একটা বড়ো রকমের ভূমিকম্পে মাটিতে অনেকগুলো ফাঁটল সৃষ্টি হয়েছিলো। আর সেখান দিয়ে তখন মাটির নিচের ক্যালসিয়াম কার্বনেটে ভর্তি গরম গরম পানি বেরিয়ে এসে উপরে জমা হতে লাগলো। কিন্তু পানি গরম হলে তো বাষ্প হয়ে যায়। সেই পানিও বাষ্প হয়ে গেলো। থেকে গেলো শুধু ক্যালসিয়াম কার্বনেট। ক্যালসিয়াম কার্বনেট হলো একধরনের লবন। সেই লবনগুলো জমে জমে তৈরি হলো লেকগুলোর কাঠামো। আর তারপর সেগুলো যখন শক্ত হয়ে গেলো, তখন সেখানে বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্টি হলো এই আজব লেকগুলো। কী আজব গল্পটা, তাই না?
মোয়েরাকি
না, মোয়েরাকি আসলে কোনো জায়গার নাম নয়, কতগুলো পাথরের নাম। যে সে পাথর অবশ্য নয়, তোমার আব্বুর চেয়েও বড়ো বড়ো পাথর। ওগুলোতে যদি কোনো ফাটল থাকে, তুমি লুকোচুরি খেলার সময় নিশ্চিন্তে তার ভেতর লুকিয়ে থাকতে পারবে, কেউ খুঁজেই পাবে না। তার জন্য অবশ্য তোমাকে লুকোচুরি খেলতে হবে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে। পাথরগুলো দক্ষিণ নিউজিল্যান্ডের কোয়েকোহ সৈকতে আছে কি না! এই মোয়েরাকি পাথরগুলোকে নিয়ে কিন্তু নিউজিল্যান্ডের আদিবাসীদের এক মিষ্টি পৌরাণিক গল্পও আছে। নিউজিল্যান্ডের আদিবাসীদের নাম মাউরি। ওরা বলে ওদের পূর্বপুরুষরা একেকজন ছিলো দৈত্যের মতো বিশাল। আর তাদের সেই দৈত্যের মতো বিশাল পূর্বপুরুষরা একবার আরাইতেউরু নামের এক বিশাল নৌকাতে চেপে মহানন্দে নৌকা ভ্রমণ করছিলো। যেই না নৌকা মাতাকাএয়ার কাছে এলো, ওমনি বিরাট বিরাট তিনটা ঢেউ এসে সেই বিশাল নৌকা দিলো ডুবিয়ে। যে কয়জন বেঁচে গিয়েছিলো তারা পরে পাথর হয়ে যায়। সেই পাথরগুলোই পরে ওখানকার বিশাল বিশাল পাহাড়ে পরিণত হয়। আর নৌকার যে জিনিসপত্রগুলো ছিলো, সেগুলোই হয়ে যায় মোয়েরাকি পাথর।
এমনিতেই তো সাগরের পাড়ের সবকিছুই সুন্দর। তার উপর এই মোয়েরাকি পাথরগুলোও কিন্তু কম সুন্দর না। আর এগুলোর কয়েকটা তো এতোই ভারি, ওজন হবে কয়েক টন! ১ টন মানে কিন্তু এক হাজার কেজি। সেগুলো প্রস্থে হয় ৩ মিটারের মতো। এখন প্রশ্ন হলো, পাথরগুলো কিভাবে তৈরি হলো। সাগরের তীরে কোনো একটা নির্দিষ্ট বিন্দুকে কেন্দ্র করে বালি ও বালি জাতীয় বিভিন্ন পদার্থ জমে জমে তৈরি হয়েছে এই পাথরগুলো। সাগরের স্রোত আর বাতাস মিলে বালিকে ঠেলে ঠেলে জড়ো করার কাজটি করেছে। ঠিক যেভাবে ঝিনুকের পেটে বালি জমে মুক্তো তৈরি হয়, ঠিক সেভাবেই, তাই না? আবার সাগর তীরে পাথরের চাঙড় ভেঙে, ভাঙা অংশগুলো একসঙ্গে জড়ো হয়েও পাথরগুলো তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রেও অবশ্য জড়ো করার দায়িত্ব পড়ে সাগরের স্রোত আর বাতাসের কাঁধেই।\
বেপ্পুর নয় নরক
ভাবছো, পৃথিবীতে আবার নরক এলো কোত্থেকে? আসলে নরক নয়, জাপানের মানুষ আদর করে জলাশয়গুলোর নাম দিয়েছে নরক। অবশ্য নরকের সঙ্গে জলাশয়গুলোর আসলেও মিল আছে। এগুলো গরম পানির পুকুর। পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো প্রাকৃতিক গরম পানির উৎস এই নয়টি গরম পানির পুকুর। জাপানের কিউশু দ্বীপে এই পুকুরগুলো অবস্থিত। এরমাঝে ৭টি আছে কানাওয়া জেলায়, আর বাকি ২টি শিবাসেকি জেলায়। জাপানের মানুষ অবশ্য পুকুরগুলোকে এতোই ভালোবাসে, এগুলোকে নরক বলেও থেমে থাকেনি, তারা প্রত্যেকটি পুকুরের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পুকুরগুলোর আলাদা আলাদা নামও দিয়েছে। যেমন কানাওয়া জেলার পুকুরগুলোর নাম হলো সমুদ্র নরক, ন্যাড়া মাথা নরক, তপ্ত কড়াই নরক, পার্বত্য নরক, পাহাড়দানো নরক, স্বর্ণ ড্রাগন নরক আর শাদা পুকুর নরক। আর শিবাসেকি জেলার পুকুর দুটির নাম হলো রক্ত পুকুর নরক আর জলছিটানো নরক।
পুকুরগুলো জাপানের মানুষের খুব প্রিয় হলেও বাইরের পৃথিবীর মানুষ কিন্তু পুকুরগুলোর কথা সেভাবে জানেই না। আর তাই পুকুরগুলো সংরক্ষণেরও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই পুকুরগুলোকে ঘিরে বিশাল ট্যুরিস্ট স্পট তৈরি হলেও জায়গাটার কিন্তু মোটেই ঠিকমতো দেখভাল করা হচ্ছে না।
গ্রেট ব্লু হোল
গ্রেট ব্লু হোল অবস্থিত ক্যারিবিয়ান দেশ বাহামায়। বাহামার বিলিজ শহরের ৬০ মাইল পূর্বে লাইট হাউজ রিফে আছে এই ব্লু হোলগুলো। ব্লু হোলগুলো মূলত একটি বিশাল কেভ নেটওয়ার্কের প্রবেশদ্বার। পুরো বাহামার নিচেই বিস্তৃত পানির এই বিশাল কেভ নেটওয়ার্ক। অনেকগুলো ব্লু হোল তো প্রায় ১৪ কিলোমিটার মোটা। এগুলো দিয়ে ডাইভাররা হোলের ভিতর গিয়ে নেটওয়ার্ক ঘুরে ঘুরে দেখে এসেছে আজব এক দুনিয়া।
হোলের ভিতর পুরো আলাদা একটা জগত চলছে। সেখানে যে কতো আজব আজব প্রাণী আছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই! এমনও অনেক জলজ প্রাণীর খোঁজ সেখানে পাওয়া গেছে যেগুলোর খোঁজ বিজ্ঞান এখানেই প্রথম পেয়েছে। এখনো চলছে নতুন প্রাণী খোঁজার প্রক্রিয়া। এখন প্রশ্ন হলো, এই আজব পানির দুনিয়া কিভাবে তৈরি হলো।
প্রায় ৬৫ হাজার বছর আগের কথা। পৃথিবীতে শেষবারের মতো বরফ রাজত্ব করছে। পৃথিবীর সব পানি তো জমে জমে জড়ো হয়েছিলো মেরু অঞ্চলে। সমুদ্রপৃষ্ঠও তাই তখন ছিলো এখনকার চেয়ে অনেক নিচুতে। বাহামাতে তখন সমুদ্রপৃষ্ঠ ছিলো এখনকার চেয়েও আরো ১৫০ মিটার নিচুতে। তখন ক্যালসিয়াম কার্বনেট জাতীয় পদার্থ জমে তৈরি হলো পাথর। আর সেই পাথর দিয়ে সৃষ্টি হলো কেভের বিশাল কাঠামো। কিন্তু যখন বরফ আবার গলতে শুরু করলো, সাগরের পানির উচ্চতাও বাড়তে শুরু করলো। পানির নিচে ডুবে গেলো সেই কাঠামো। মোটামুটি আজ থেকে ১০ হাজার বছর আগে পুরো কেভ নেটওয়ার্কই একেবারে পানির নিচে ডুবে গেলো। আর তখনই কয়েক জায়গার পাথর ভেঙে সৃষ্টি হলো এই ব্লু হোলগুলো।
ভাবছো, পৃথিবীতে আবার নরক এলো কোত্থেকে? আসলে নরক নয়, জাপানের মানুষ আদর করে জলাশয়গুলোর নাম দিয়েছে নরক। অবশ্য নরকের সঙ্গে জলাশয়গুলোর আসলেও মিল আছে। এগুলো গরম পানির পুকুর। পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো প্রাকৃতিক গরম পানির উৎস এই নয়টি গরম পানির পুকুর। জাপানের কিউশু দ্বীপে এই পুকুরগুলো অবস্থিত। এরমাঝে ৭টি আছে কানাওয়া জেলায়, আর বাকি ২টি শিবাসেকি জেলায়। জাপানের মানুষ অবশ্য পুকুরগুলোকে এতোই ভালোবাসে, এগুলোকে নরক বলেও থেমে থাকেনি, তারা প্রত্যেকটি পুকুরের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পুকুরগুলোর আলাদা আলাদা নামও দিয়েছে। যেমন কানাওয়া জেলার পুকুরগুলোর নাম হলো সমুদ্র নরক, ন্যাড়া মাথা নরক, তপ্ত কড়াই নরক, পার্বত্য নরক, পাহাড়দানো নরক, স্বর্ণ ড্রাগন নরক আর শাদা পুকুর নরক। আর শিবাসেকি জেলার পুকুর দুটির নাম হলো রক্ত পুকুর নরক আর জলছিটানো নরক।
পুকুরগুলো জাপানের মানুষের খুব প্রিয় হলেও বাইরের পৃথিবীর মানুষ কিন্তু পুকুরগুলোর কথা সেভাবে জানেই না। আর তাই পুকুরগুলো সংরক্ষণেরও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই পুকুরগুলোকে ঘিরে বিশাল ট্যুরিস্ট স্পট তৈরি হলেও জায়গাটার কিন্তু মোটেই ঠিকমতো দেখভাল করা হচ্ছে না।
গ্রেট ব্লু হোল
গ্রেট ব্লু হোল অবস্থিত ক্যারিবিয়ান দেশ বাহামায়। বাহামার বিলিজ শহরের ৬০ মাইল পূর্বে লাইট হাউজ রিফে আছে এই ব্লু হোলগুলো। ব্লু হোলগুলো মূলত একটি বিশাল কেভ নেটওয়ার্কের প্রবেশদ্বার। পুরো বাহামার নিচেই বিস্তৃত পানির এই বিশাল কেভ নেটওয়ার্ক। অনেকগুলো ব্লু হোল তো প্রায় ১৪ কিলোমিটার মোটা। এগুলো দিয়ে ডাইভাররা হোলের ভিতর গিয়ে নেটওয়ার্ক ঘুরে ঘুরে দেখে এসেছে আজব এক দুনিয়া।
হোলের ভিতর পুরো আলাদা একটা জগত চলছে। সেখানে যে কতো আজব আজব প্রাণী আছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই! এমনও অনেক জলজ প্রাণীর খোঁজ সেখানে পাওয়া গেছে যেগুলোর খোঁজ বিজ্ঞান এখানেই প্রথম পেয়েছে। এখনো চলছে নতুন প্রাণী খোঁজার প্রক্রিয়া। এখন প্রশ্ন হলো, এই আজব পানির দুনিয়া কিভাবে তৈরি হলো।
প্রায় ৬৫ হাজার বছর আগের কথা। পৃথিবীতে শেষবারের মতো বরফ রাজত্ব করছে। পৃথিবীর সব পানি তো জমে জমে জড়ো হয়েছিলো মেরু অঞ্চলে। সমুদ্রপৃষ্ঠও তাই তখন ছিলো এখনকার চেয়ে অনেক নিচুতে। বাহামাতে তখন সমুদ্রপৃষ্ঠ ছিলো এখনকার চেয়েও আরো ১৫০ মিটার নিচুতে। তখন ক্যালসিয়াম কার্বনেট জাতীয় পদার্থ জমে তৈরি হলো পাথর। আর সেই পাথর দিয়ে সৃষ্টি হলো কেভের বিশাল কাঠামো। কিন্তু যখন বরফ আবার গলতে শুরু করলো, সাগরের পানির উচ্চতাও বাড়তে শুরু করলো। পানির নিচে ডুবে গেলো সেই কাঠামো। মোটামুটি আজ থেকে ১০ হাজার বছর আগে পুরো কেভ নেটওয়ার্কই একেবারে পানির নিচে ডুবে গেলো। আর তখনই কয়েক জায়গার পাথর ভেঙে সৃষ্টি হলো এই ব্লু হোলগুলো।
নরকের দরজা
কী আশ্চর্য! আজব জায়গাগুলোর নাম হবে স্বর্গ দিয়ে, তা নয়, খালি নরকের কথা। নরকের পুকুরের পর এবার একেবারে নরকের দরজা! আসলে যে জায়গার কথা তোমাদের এখন বলবো, সেখানে এক বিশাল গোলাকার গর্তের ভিতরে সবসময় আগুন জ্বলছে তো, তাই এই জায়গার নাম দেয়া হয়েছে নরকের দরজা। নরকের দরজাটি অবস্থিত তুর্কমেনিস্থানের কারাকুম মরুভূমির দারওয়েজা নামের এক গ্রামের কাছে। নরকের দরজাটি ভয়ংকর সুন্দর লাগে রাতে। তখন অনেক দূর থেকেই জায়গাটা তো দেখা যায়ই, এর শিখার উজ্জ্বলতাও ভালোমতো বোঝা যায়। আর নরকের দরজার এমনই উত্তাপ, তুমি যতো চেষ্টাই করো, ওটার কাছাকাছি ৫ মিনিটের বেশি থাকতেই পারবে না।
নরকের দরজা কিভাবে তৈরি হলো, তা নিয়ে অবশ্য মতভেদ আছে। কেউ কেউ বলে, এটা একেবারেই প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে। আবার অনেকের মতে, এটা তৈরির পেছনে মানুষের কিঞ্চিৎ হাতও আছে। সেটা অবশ্য বেশিদিন আগের কথা নয়। আমাদের স্বাধীনতার বছর, ১৯৭১ সাল। তখনো তুর্কমেনিস্থান সোভিয়েত রাশিয়ার থেকে আলাদা হয়নি। একদিন সোভিয়েত রাশিয়ার একদল অনুসন্ধানকারী প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান করতে করতে দারওয়েজা এসে পৌছুলো। তারা প্রাকৃতিক গ্যাসের খোঁজ পেয়ে নরকের দরজার জায়গাটা খুঁড়লো। আর ছাদ খোঁড়া শেষ হলেই দেখে ভেতরে প্রায় ২৫ মিটার গভীর গর্ত। আর গোলাকার গর্তের ব্যাস প্রায় ৬০-৭০ মিটার। আর তা থেকে অনবরত উঠছে গ্যাস। পরে তারা বুঝলো, গ্যাস কেবল ঐ গর্তে আটকে ছিলো না, গ্যাস আসছে আরো গভীর কোনো উৎস থেকে। আর তখন কি মনে করে কে জানে, আশেপাশের বসতির মানুষগুলোর কথা চিন্তা না করে তারা গ্যাসে আগুন ধরিয়ে দিলো। আর তখন থেকেই নরকের দরজায় অনবরত আগুন জ্বলছে। তবেই বলো, ওটাকে নরকের দরজা না বলে আর কি বলবে?
স্যাংকুইংশান
পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্য অ্যামিউজমেন্ট পার্কটি অবস্থিত চিনে, নাম স্যাংকুইংশান। পার্কটি অবশ্য খুব বেশি বড়ো নয়, কিন্তু তার রূপ এতোটাই অসাধারণ, যারা একবার ওখানে গেছে, তারা একবাক্যে স্যাংকুইংশানের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নেয়। পার্কটি চিনের জিয়াংজি প্রদেশের সাংরাও শহরে অবস্থিত। অসাধারণ সুন্দর এই পার্কের সবচেয়ে অদ্ভূত জিনিস হলো গ্রানাইট পাথরের কতোগুলো আশ্চর্য কাঠামো। কোনোটা দেখতে পিলারের মতো, কোনোটা দেখতে আবার গাঁয়ের বুড়ি মার মতো। একেক ঋতুতে আবার এই পার্ক নেয় একেক রকম রূপ। শীতকালে কুয়াশা মেখে পুরো পার্ক রহস্যময় হয়ে ওঠে। আবার বসন্তকালে সূর্যোদয়ের সময় পবিত্রতার প্রতিমূর্তি হয়ে যায়। পার্কে প্রাকৃতিক ঝর্ণা তো আছেই, সেখানে আবার চিনারা পুল বানিয়েছে। একবার চিন্তা করো, তুমি একটা পুলের উপর দিয়ে হেটে যাচ্ছো, আর তোমার পায়ের নিচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঝর্ণা, কেমন হবে ব্যাপারটা!
তবে এই পার্কের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য হলো, এই পার্কটিতে প্রকৃতির মূল পাঁচটি উপাদানের চারটিই একসঙ্গে আছে। আসলে প্রকৃতির মূল উপাদান পাঁচটি নয়, তবে আগেকার বিজ্ঞানীরা তাই মনে করতেন। তারা মনে করতেন প্রকৃতির মূল পাঁচটি উপাদান হলো আকাশ, মাটি, পানি, বায়ু আর আগুন। আর এই পার্কে তুমি যদি গিয়ে একটু কষ্ট করো, এর চারটি উপাদানকে একসঙ্গে দেখতে পারবে। পার্কটিতে মাটি, পানি, বায়ু আর আগুনকে একত্রিত করা হয়েছে।
এই পার্কটিকে ঘিরেও আছে একটা মিষ্টি গল্প। অনেক আগে চিনের রাজা ছিলেন মু-গো। তিনি এতোই ক্ষমতাধর ছিলেন, যে তাকে বলা হতো ‘প্রাচ্যের রাজা’। তার স্ত্রীর নাম ছিলো ইন। তিনি একবার চিন্তা করলেন, তিনি এতো বড়ো রাজা, তার স্ত্রীকে খুশি করার জন্য তো তার কিছু একটা করা উচিত। যেমনি ভাবা, তেমনি কাজ। তিনি রাণীর জন্য স্যাংকুইংশানে একটি বাগান বানালেন। আর বাগানে একত্রিত করলেন প্রকৃতির চারটি মূল উপাদানকে। আকাশকে তো আর বাগানে আনা যায় না, তাহলে হয়তো পাঁচটি উপাদানই একসঙ্গে করে দিতেন। পরে সেই বাগানের জায়গায় এই অ্যামিউজমেন্ট পার্কটি বানানো হয়।
কী আশ্চর্য! আজব জায়গাগুলোর নাম হবে স্বর্গ দিয়ে, তা নয়, খালি নরকের কথা। নরকের পুকুরের পর এবার একেবারে নরকের দরজা! আসলে যে জায়গার কথা তোমাদের এখন বলবো, সেখানে এক বিশাল গোলাকার গর্তের ভিতরে সবসময় আগুন জ্বলছে তো, তাই এই জায়গার নাম দেয়া হয়েছে নরকের দরজা। নরকের দরজাটি অবস্থিত তুর্কমেনিস্থানের কারাকুম মরুভূমির দারওয়েজা নামের এক গ্রামের কাছে। নরকের দরজাটি ভয়ংকর সুন্দর লাগে রাতে। তখন অনেক দূর থেকেই জায়গাটা তো দেখা যায়ই, এর শিখার উজ্জ্বলতাও ভালোমতো বোঝা যায়। আর নরকের দরজার এমনই উত্তাপ, তুমি যতো চেষ্টাই করো, ওটার কাছাকাছি ৫ মিনিটের বেশি থাকতেই পারবে না।
নরকের দরজা কিভাবে তৈরি হলো, তা নিয়ে অবশ্য মতভেদ আছে। কেউ কেউ বলে, এটা একেবারেই প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে। আবার অনেকের মতে, এটা তৈরির পেছনে মানুষের কিঞ্চিৎ হাতও আছে। সেটা অবশ্য বেশিদিন আগের কথা নয়। আমাদের স্বাধীনতার বছর, ১৯৭১ সাল। তখনো তুর্কমেনিস্থান সোভিয়েত রাশিয়ার থেকে আলাদা হয়নি। একদিন সোভিয়েত রাশিয়ার একদল অনুসন্ধানকারী প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান করতে করতে দারওয়েজা এসে পৌছুলো। তারা প্রাকৃতিক গ্যাসের খোঁজ পেয়ে নরকের দরজার জায়গাটা খুঁড়লো। আর ছাদ খোঁড়া শেষ হলেই দেখে ভেতরে প্রায় ২৫ মিটার গভীর গর্ত। আর গোলাকার গর্তের ব্যাস প্রায় ৬০-৭০ মিটার। আর তা থেকে অনবরত উঠছে গ্যাস। পরে তারা বুঝলো, গ্যাস কেবল ঐ গর্তে আটকে ছিলো না, গ্যাস আসছে আরো গভীর কোনো উৎস থেকে। আর তখন কি মনে করে কে জানে, আশেপাশের বসতির মানুষগুলোর কথা চিন্তা না করে তারা গ্যাসে আগুন ধরিয়ে দিলো। আর তখন থেকেই নরকের দরজায় অনবরত আগুন জ্বলছে। তবেই বলো, ওটাকে নরকের দরজা না বলে আর কি বলবে?
স্যাংকুইংশান
পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্য অ্যামিউজমেন্ট পার্কটি অবস্থিত চিনে, নাম স্যাংকুইংশান। পার্কটি অবশ্য খুব বেশি বড়ো নয়, কিন্তু তার রূপ এতোটাই অসাধারণ, যারা একবার ওখানে গেছে, তারা একবাক্যে স্যাংকুইংশানের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নেয়। পার্কটি চিনের জিয়াংজি প্রদেশের সাংরাও শহরে অবস্থিত। অসাধারণ সুন্দর এই পার্কের সবচেয়ে অদ্ভূত জিনিস হলো গ্রানাইট পাথরের কতোগুলো আশ্চর্য কাঠামো। কোনোটা দেখতে পিলারের মতো, কোনোটা দেখতে আবার গাঁয়ের বুড়ি মার মতো। একেক ঋতুতে আবার এই পার্ক নেয় একেক রকম রূপ। শীতকালে কুয়াশা মেখে পুরো পার্ক রহস্যময় হয়ে ওঠে। আবার বসন্তকালে সূর্যোদয়ের সময় পবিত্রতার প্রতিমূর্তি হয়ে যায়। পার্কে প্রাকৃতিক ঝর্ণা তো আছেই, সেখানে আবার চিনারা পুল বানিয়েছে। একবার চিন্তা করো, তুমি একটা পুলের উপর দিয়ে হেটে যাচ্ছো, আর তোমার পায়ের নিচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঝর্ণা, কেমন হবে ব্যাপারটা!
তবে এই পার্কের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য হলো, এই পার্কটিতে প্রকৃতির মূল পাঁচটি উপাদানের চারটিই একসঙ্গে আছে। আসলে প্রকৃতির মূল উপাদান পাঁচটি নয়, তবে আগেকার বিজ্ঞানীরা তাই মনে করতেন। তারা মনে করতেন প্রকৃতির মূল পাঁচটি উপাদান হলো আকাশ, মাটি, পানি, বায়ু আর আগুন। আর এই পার্কে তুমি যদি গিয়ে একটু কষ্ট করো, এর চারটি উপাদানকে একসঙ্গে দেখতে পারবে। পার্কটিতে মাটি, পানি, বায়ু আর আগুনকে একত্রিত করা হয়েছে।
এই পার্কটিকে ঘিরেও আছে একটা মিষ্টি গল্প। অনেক আগে চিনের রাজা ছিলেন মু-গো। তিনি এতোই ক্ষমতাধর ছিলেন, যে তাকে বলা হতো ‘প্রাচ্যের রাজা’। তার স্ত্রীর নাম ছিলো ইন। তিনি একবার চিন্তা করলেন, তিনি এতো বড়ো রাজা, তার স্ত্রীকে খুশি করার জন্য তো তার কিছু একটা করা উচিত। যেমনি ভাবা, তেমনি কাজ। তিনি রাণীর জন্য স্যাংকুইংশানে একটি বাগান বানালেন। আর বাগানে একত্রিত করলেন প্রকৃতির চারটি মূল উপাদানকে। আকাশকে তো আর বাগানে আনা যায় না, তাহলে হয়তো পাঁচটি উপাদানই একসঙ্গে করে দিতেন। পরে সেই বাগানের জায়গায় এই অ্যামিউজমেন্ট পার্কটি বানানো হয়।
আফ্রিকার চোখ
সত্যি সত্যি ওখানে একটা চোখ আছে। একেবারে অবিকল মানুষের চোখ। তবে তা দেখতে ওখানে গেলে চলবে না, যেতে হবে অনেক উপরে, মহাশূণ্যে। কারণ চোখটা এতোই বিশাল, মহাশূণ্যে না গেলে তুমি পুরো চোখটা একসঙ্গে দেখতেই পারবে না। এমনকি তুমি যদি গুগল আর্থ দিয়েও দেখো, প্রথমে তুমি কেবল চোখের মণির ভেতরের শাদা যে অংশটা, আফ্রিকার বালুরঙা চোখের সেই অংশটা কেবল দেখতে পারবে। তারপর জুম আউট করলে তুমি দেখতে পারবে আফ্রিকার চোখের পুরোটা। আফ্রিকার এই চোখটা আছে আফ্রিকার এক গরীব দেশ মৌরিতানিয়ায়। আফ্রিকার বিখ্যাত সাহারা মরুভূমির নাম তো শুনেছো। মরুভূমিটার যে অংশ মৌরিতানিয়ায় পরেছে, তারই এক অংশে আছে আফ্রিকার এই আজব প্রাকৃতিক আশ্চর্য।
তবে এই চোখ কিভাবে সৃষ্টি হলো, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো কোনো স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। অনেকের মতে, কোনো দেশ হয়তো ওখানে মাটির নিচে কোনো এটোম বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, আর তা থেকেই এই চোখের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ওরকম বড়ো ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানোর মতো কোনো এটোম বোমা এখনো কোনো দেশ বানানোর ঘোষণাও দেয়নি। আরেকটি ব্যাখ্যায় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এটা হয়েছে ওখানকার ভূমির গঠনের জন্য। ওখানকার ভূমির গঠনই ওরকম ডোমাকৃতির, চোখের আদলে উঁচু হয়ে পরে আবার নিচু হয়ে গেছে। সময়ের আবর্তনে এর উপরের মাটি আর বালু ক্ষয়ে যাওয়ায় ভূমির মূল গঠন বেরিয়ে পরেছে। আর তাই উপর থেকে দেখলে ওটাকে চোখের মতো মনে হয়।
সুকাত্রা দ্বীপ
পৃথিবীর আরেক আজব জায়গা এই সুকাত্রা দ্বীপ। না, এই দ্বীপে আজব কোনো ঘটনা ঘটে না, আজব এই দ্বীপের জীবজগত। এই দ্বীপটির না উদ্ভিদ, না প্রাণী, কোনো কিছুর সঙ্গেই বাইরের পৃথিবীর কোনো মিল নেই। যেমন অদ্ভুত এর গাছগুলো, তেমন অদ্ভুত এর পাখিগুলোও। গাছগুলো শুধু অদ্ভুতই নয়, গাছগুলোর কাঠামোও খুবই অদ্ভুত ধরনের। এই আজব দ্বীপটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনের সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত।
দ্বীপটির অদ্ভুত অদ্ভুত গাছগুলোর নামগুলোও তেমনই অদ্ভুত অদ্ভুত। যেমন একটি গাছের নাম ড্রাগনের রক্ত। এই গাছ দিয়ে আবার ক্রিস্টাল বানানো হয়। আরেকটা গাছের নাম মরুভূমির গোলাপ। এই গাছটাকেই আবার অনেকে বলে হস্তীপদ গাছ। এছাড়াও এই দ্বীপে আছে এক ধরনের অদ্ভূতুড়ে শশা গাছ আর সকোট্রোন ফিগ গাছ।
দ্বীপটি এতোদিন মানুষের কাছে অচেনা থাকলেও দিনদিন দ্বীপটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দিনদিন দ্বীপে পর্যটকের সংখ্যাও বাড়ছে। কিন্তু পর্যটক যাতে বেশি না হয়ে যায় সেদিকেও কিন্তু খেয়াল রাখা দরকার, কারণ ইতিমধ্যেই দ্বীপটিকে আন্তর্জাতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
সত্যি সত্যি ওখানে একটা চোখ আছে। একেবারে অবিকল মানুষের চোখ। তবে তা দেখতে ওখানে গেলে চলবে না, যেতে হবে অনেক উপরে, মহাশূণ্যে। কারণ চোখটা এতোই বিশাল, মহাশূণ্যে না গেলে তুমি পুরো চোখটা একসঙ্গে দেখতেই পারবে না। এমনকি তুমি যদি গুগল আর্থ দিয়েও দেখো, প্রথমে তুমি কেবল চোখের মণির ভেতরের শাদা যে অংশটা, আফ্রিকার বালুরঙা চোখের সেই অংশটা কেবল দেখতে পারবে। তারপর জুম আউট করলে তুমি দেখতে পারবে আফ্রিকার চোখের পুরোটা। আফ্রিকার এই চোখটা আছে আফ্রিকার এক গরীব দেশ মৌরিতানিয়ায়। আফ্রিকার বিখ্যাত সাহারা মরুভূমির নাম তো শুনেছো। মরুভূমিটার যে অংশ মৌরিতানিয়ায় পরেছে, তারই এক অংশে আছে আফ্রিকার এই আজব প্রাকৃতিক আশ্চর্য।
তবে এই চোখ কিভাবে সৃষ্টি হলো, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো কোনো স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। অনেকের মতে, কোনো দেশ হয়তো ওখানে মাটির নিচে কোনো এটোম বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, আর তা থেকেই এই চোখের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ওরকম বড়ো ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানোর মতো কোনো এটোম বোমা এখনো কোনো দেশ বানানোর ঘোষণাও দেয়নি। আরেকটি ব্যাখ্যায় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এটা হয়েছে ওখানকার ভূমির গঠনের জন্য। ওখানকার ভূমির গঠনই ওরকম ডোমাকৃতির, চোখের আদলে উঁচু হয়ে পরে আবার নিচু হয়ে গেছে। সময়ের আবর্তনে এর উপরের মাটি আর বালু ক্ষয়ে যাওয়ায় ভূমির মূল গঠন বেরিয়ে পরেছে। আর তাই উপর থেকে দেখলে ওটাকে চোখের মতো মনে হয়।
সুকাত্রা দ্বীপ
পৃথিবীর আরেক আজব জায়গা এই সুকাত্রা দ্বীপ। না, এই দ্বীপে আজব কোনো ঘটনা ঘটে না, আজব এই দ্বীপের জীবজগত। এই দ্বীপটির না উদ্ভিদ, না প্রাণী, কোনো কিছুর সঙ্গেই বাইরের পৃথিবীর কোনো মিল নেই। যেমন অদ্ভুত এর গাছগুলো, তেমন অদ্ভুত এর পাখিগুলোও। গাছগুলো শুধু অদ্ভুতই নয়, গাছগুলোর কাঠামোও খুবই অদ্ভুত ধরনের। এই আজব দ্বীপটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনের সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত।
দ্বীপটির অদ্ভুত অদ্ভুত গাছগুলোর নামগুলোও তেমনই অদ্ভুত অদ্ভুত। যেমন একটি গাছের নাম ড্রাগনের রক্ত। এই গাছ দিয়ে আবার ক্রিস্টাল বানানো হয়। আরেকটা গাছের নাম মরুভূমির গোলাপ। এই গাছটাকেই আবার অনেকে বলে হস্তীপদ গাছ। এছাড়াও এই দ্বীপে আছে এক ধরনের অদ্ভূতুড়ে শশা গাছ আর সকোট্রোন ফিগ গাছ।
দ্বীপটি এতোদিন মানুষের কাছে অচেনা থাকলেও দিনদিন দ্বীপটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দিনদিন দ্বীপে পর্যটকের সংখ্যাও বাড়ছে। কিন্তু পর্যটক যাতে বেশি না হয়ে যায় সেদিকেও কিন্তু খেয়াল রাখা দরকার, কারণ ইতিমধ্যেই দ্বীপটিকে আন্তর্জাতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
রেসট্র্যাক প্লায়া
রেসট্র্যাক প্লায়াতে এক ধরনের আজব পাথর দেখা যায়, যেগুলো দিব্যি মানুষের মতো ঘুরে বেড়ায়! বিশ্বাস হচ্ছে না? শুনো তবে গল্প। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালিতে এই রেসট্র্যাক প্লায়া অবস্থিত। এই ডেথ ভ্যালি হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম একটি সমতল ভূমি। আর এখানকার রেসট্র্যাক প্লায়াতেই দেখা মেলে পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুত পাথরের। এই পাথরগুলোকে বলে সেইলিং স্টোন বা ভাসমান পাথর। কারণ এগুলো প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ায়। অবশ্য এখনো কেউ ওদের ঘুরে বেড়াতে দেখেনি। কিন্তু ওদের ঘোরাঘুরির মৌসুমে ওদেরকে একেকদিন একেক জায়গায় দেখা যায়, আর পেছনে পড়ে থাকে ওদের গড়িয়ে গড়িয়ে আসার স্পষ্ট ছাপ!
এই প্লায়াতে প্রতি বসন্তে হালকা বৃষ্টি হয়। ফলে মাটি কিছুটা পিচ্ছিল হয়ে ওঠে। রুক্ষ মাটি ভেজা ভেজা হয়ে উঠলেই পাথরগুলো তাদের ভ্রমণ শুরু করে। হয়তো পাথরের ঘুরে বেড়ানোকে গালগল্প বলে উড়িয়ে দেয়া যেতো, কিন্তু তাদের ঘুরে বেড়ানোর স্পষ্ট ছাপ বিজ্ঞানীদের কপালেও চিন্তার ছাপ ফেলে দিয়েছে। এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এর কোনো স্থির ব্যাখ্যা দাড় করাতে পারেনি। বিজ্ঞানীরা অনেক ভেবেচিন্তে বলেছিলেন, এর জন্য আসলে প্রচণ্ড বেগের বাতাসই দায়ী। কিন্তু সে কথা শুনে বোধহয় পাথরগুলো মুচকি মুচকি হেসেছিলো। কারণ, প্রায়ই দেখা যায় পাথরগুলো একেবারে পারফেক্ট অ্যাঙ্গেলে ঘুরে তাদের আগের জায়গায় ফিরে যাচ্ছে। সব দেখেশুনে মনে হয়, পাথরগুলো আসলেই বোধহয় ঘুরে বেড়ায়! তবে সবচেয়ে রহস্যজনক বিষয় হলো, এতোদিন হয়ে গেলো, এখনো কেউ পাথরগুলোর নড়াচড়ার কোনো ভিডিও বা ছবি তুলতে পারলো না। কী আশ্চর্য!
কী, এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না বুঝি! এরকম আজব আজব জায়গার কথা তো বিশ্বাস করতে একটু কষ্ট হবেই বৈকি! তবে তোমরা তো জেনে গেলে আজব আজব জায়গাগুলোর খবর। সুযোগ পেলে কিন্তু ঠিক ঘুরে এসো। আর যদি এগুলোর রহস্য ভেদ করতে পারো, তবে তো তোমাকে নিয়ে সারা পৃথিবীতেই হৈ চৈ পরে যাবে।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/নাবীল/এসএ/এইচবি/অক্টোবর ৭/১০
রেসট্র্যাক প্লায়াতে এক ধরনের আজব পাথর দেখা যায়, যেগুলো দিব্যি মানুষের মতো ঘুরে বেড়ায়! বিশ্বাস হচ্ছে না? শুনো তবে গল্প। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালিতে এই রেসট্র্যাক প্লায়া অবস্থিত। এই ডেথ ভ্যালি হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম একটি সমতল ভূমি। আর এখানকার রেসট্র্যাক প্লায়াতেই দেখা মেলে পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুত পাথরের। এই পাথরগুলোকে বলে সেইলিং স্টোন বা ভাসমান পাথর। কারণ এগুলো প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ায়। অবশ্য এখনো কেউ ওদের ঘুরে বেড়াতে দেখেনি। কিন্তু ওদের ঘোরাঘুরির মৌসুমে ওদেরকে একেকদিন একেক জায়গায় দেখা যায়, আর পেছনে পড়ে থাকে ওদের গড়িয়ে গড়িয়ে আসার স্পষ্ট ছাপ!
এই প্লায়াতে প্রতি বসন্তে হালকা বৃষ্টি হয়। ফলে মাটি কিছুটা পিচ্ছিল হয়ে ওঠে। রুক্ষ মাটি ভেজা ভেজা হয়ে উঠলেই পাথরগুলো তাদের ভ্রমণ শুরু করে। হয়তো পাথরের ঘুরে বেড়ানোকে গালগল্প বলে উড়িয়ে দেয়া যেতো, কিন্তু তাদের ঘুরে বেড়ানোর স্পষ্ট ছাপ বিজ্ঞানীদের কপালেও চিন্তার ছাপ ফেলে দিয়েছে। এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এর কোনো স্থির ব্যাখ্যা দাড় করাতে পারেনি। বিজ্ঞানীরা অনেক ভেবেচিন্তে বলেছিলেন, এর জন্য আসলে প্রচণ্ড বেগের বাতাসই দায়ী। কিন্তু সে কথা শুনে বোধহয় পাথরগুলো মুচকি মুচকি হেসেছিলো। কারণ, প্রায়ই দেখা যায় পাথরগুলো একেবারে পারফেক্ট অ্যাঙ্গেলে ঘুরে তাদের আগের জায়গায় ফিরে যাচ্ছে। সব দেখেশুনে মনে হয়, পাথরগুলো আসলেই বোধহয় ঘুরে বেড়ায়! তবে সবচেয়ে রহস্যজনক বিষয় হলো, এতোদিন হয়ে গেলো, এখনো কেউ পাথরগুলোর নড়াচড়ার কোনো ভিডিও বা ছবি তুলতে পারলো না। কী আশ্চর্য!
কী, এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না বুঝি! এরকম আজব আজব জায়গার কথা তো বিশ্বাস করতে একটু কষ্ট হবেই বৈকি! তবে তোমরা তো জেনে গেলে আজব আজব জায়গাগুলোর খবর। সুযোগ পেলে কিন্তু ঠিক ঘুরে এসো। আর যদি এগুলোর রহস্য ভেদ করতে পারো, তবে তো তোমাকে নিয়ে সারা পৃথিবীতেই হৈ চৈ পরে যাবে।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/নাবীল/এসএ/এইচবি/অক্টোবর ৭/১০
No comments:
Post a Comment