কার্টুন দেখতে কেমন লাগে? এই দেখ, আবার একটা বাজে প্রশ্ন করে ফেলেছি? কার্টুন আবার কারো খারাপ লাগে নাকি দেখতে? তবে হ্যাঁ, বলা যেতে পারে কোন কার্টুনটা দেখতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে! কারো হয়তো মিনা আবার কারো হয়তো টম এন্ড জেরি। কেউ পছন্দ করে পাপাই শো আবার কেউ বা ডোনাল্ড ডাক কিংবা মিকি মাউস কে পেলে অন্য সবকিছু ভুলে যায়। এরকমই সব কার্টুনদের সঙ্গে নিয়ে চলো আজ আমরা কিছুক্ষণ গল্প করি।
মিনা
প্রথমেই চলো গল্প করি আমাদের অনেকেরই প্রিয় মিনা কার্টুন নিয়ে। মিনাকে তো আমরা সবাই চিনি। আমাদের প্রিয় সেই মিনার টিয়া পাখি মিঠু আর ছোট ভাই এর নাম রাজু। সে কিন্তু গ্রামের মেয়ে। ছোট ভাই রাজু ছাড়াও তার পরিবারে আছে বাবা-মা, বোন আর দাদী। আদরের টিয়া পাখি মিঠু সারাক্ষণ মিনার সঙ্গেই থাকে। কার্টুনটি আমাদের অনেকেরই প্রিয় কারণ এখানে মিনার অনেক বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতা আমরা দেখেছি। সবার জন্য ভালো কিছু করতে মিনা সবার আগেই থাকে। সবসময়ই তার আগ্রহ, কিসে এলাকার মানুষের উপকার হয়। কিভাবে বুদ্ধি করে সে চোর ধরেছিলো তা তো আমরা দেখেছি। এতে অবশ্য এটাও বোঝানো হয়েছে যে শিক্ষা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। শুধু কি তাই, মিনা তার বাবাকে ঠকে যাবার হাত থেকেও বাঁচিয়েছিলো। এজন্যই মিনা কার্টুন সারা পৃথিবী জুড়েই ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়। এজন্য বছরের একটি দিনতো মিনার জন্মদিন হিসেবেই পালন করা হয়ে থাকে। সবাই তো জানোই, তারপরও বলছি প্রতি বছর ২৪ সেপ্টেম্বর মিনার জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়।
বাংলাদেশে প্রথম ১৯৯৫ সালে বিটিভিতে মিনা কার্টুন দেখানো শুরু হয়েছিলো। তারপর থেকে বাংলাদেশের ছেলেবুড়ো প্রত্যেকের কাছেই মিনা দারুণ জনপ্রিয়।
প্রথমেই চলো গল্প করি আমাদের অনেকেরই প্রিয় মিনা কার্টুন নিয়ে। মিনাকে তো আমরা সবাই চিনি। আমাদের প্রিয় সেই মিনার টিয়া পাখি মিঠু আর ছোট ভাই এর নাম রাজু। সে কিন্তু গ্রামের মেয়ে। ছোট ভাই রাজু ছাড়াও তার পরিবারে আছে বাবা-মা, বোন আর দাদী। আদরের টিয়া পাখি মিঠু সারাক্ষণ মিনার সঙ্গেই থাকে। কার্টুনটি আমাদের অনেকেরই প্রিয় কারণ এখানে মিনার অনেক বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতা আমরা দেখেছি। সবার জন্য ভালো কিছু করতে মিনা সবার আগেই থাকে। সবসময়ই তার আগ্রহ, কিসে এলাকার মানুষের উপকার হয়। কিভাবে বুদ্ধি করে সে চোর ধরেছিলো তা তো আমরা দেখেছি। এতে অবশ্য এটাও বোঝানো হয়েছে যে শিক্ষা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। শুধু কি তাই, মিনা তার বাবাকে ঠকে যাবার হাত থেকেও বাঁচিয়েছিলো। এজন্যই মিনা কার্টুন সারা পৃথিবী জুড়েই ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়। এজন্য বছরের একটি দিনতো মিনার জন্মদিন হিসেবেই পালন করা হয়ে থাকে। সবাই তো জানোই, তারপরও বলছি প্রতি বছর ২৪ সেপ্টেম্বর মিনার জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়।
বাংলাদেশে প্রথম ১৯৯৫ সালে বিটিভিতে মিনা কার্টুন দেখানো শুরু হয়েছিলো। তারপর থেকে বাংলাদেশের ছেলেবুড়ো প্রত্যেকের কাছেই মিনা দারুণ জনপ্রিয়।
টম ও জেরি
কার্টুন দেখতে বসে টম এবং জেরির দুষ্টুমি না দেখে কেউ ওঠে? সারাক্ষণ কেবল এ ওর পিছনে লেগেই আছে। আর ওদের এই দুষ্টুমি দেখতে সবারই দারুণ মজা লাগে। কখনও টমের হাতে জেরি নাস্তানাবুদ হচ্ছে আবার কখনও বা জেরির কাছে টমের জেরবার অবস্থা। সারাক্ষন কেবল ছুটোছুটি আর মারামারি। বলো তো টম ও জেরি কে লিখেছেন? জানি অনেকেই বলতে পারবে। এই জনপ্রিয় কার্টুনটির এর লেখক কিন্তু দুইজন, উইলিয়াম হান্না এবং জোসেফ বারবারা। টম এন্ড জেরি সর্বপ্রথম ১৯৬০ সালে কার্টুন নেটওয়ার্ক চ্যানেলে প্রচারিত হয়। আর প্রথম থেকেই সবার পছন্দের শীর্ষে জায়গা করে নেয় এই কার্টুনটি। টম আর জেরি ছাড়াও এই কার্টুনে আর কিছু চরিত্র আছে। ওই যে হোতকা মোটা কুকুরটা, স্পাইক আর তার ছোট্ট বাচ্চাটা যার নাম আবার টাইক। এরাও কিন্তু টম এন্ড জেরি কার্টুনের বেশ মজার চরিত্র। বিশেষ করে জেরি, স্পাইক এর সঙ্গে তার বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে টমকে যারপরনাই ভাবে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ে। এই সারাক্ষণ দুষ্টুমি দেখতে কার না ভালো লাগে বলো?
পাপাই দ্যা সেইলর
নাবিক পাপাই আর তার অসীম সাহসিকতার সেই গল্প কি ভোলা যায়! পাপাই, তার বান্ধবী অলিভ এবং তাদের শত্রæ ব্লুটো। এই তিন জনকে নিয়েই বিভিন্ন কাহিনী প্রত্যেকেরই ভালো লাগে। বিশেষ করে প্রথমে পাপাই ব্লুটোর হাতে মার খেয়ে পরে যখন স্পিনাচ খায়, তখন আর তাকে পায় কে। মুহূর্তের মধ্যে ব্লুটোকে তুলোধুনো করে ছেড়ে দেয় পাপাই। তবে পাপাই এর মুখে সবসময়ের জন্যই তার পাইপটি থাকে। কখনোই পরে যায় না। এবং প্রত্যেকবার ব্লুটোর সঙ্গে জেতার পরে পাইপে ফুঁ দিয়ে সে বাঁশি বাজায়। এই দৃশ্য তো তোমাদের সবারই খুবই পরিচিত। এই আকর্ষনীয় কার্টুনটি বানিয়েছেন, এলজি ক্রিসলার সিজার। শুরুর দিকে এই কার্টুনটি পত্রিকায় প্রকাশিত হতো। পরে এর জনপ্রিয়তার জন্য কার্টুন সিরিয়াল বানানো হয়।
ডোনাল্ড ডাক
ডোনাল্ড ডাক কার্টুনটি দেখতেও আমাদের দারুণ ভালো লাগে। ওই যে উঁচু গলাওয়ালা একটি হাঁস, তার দুটি হাত ও পা হলুদ- আর পোষাক পুরো নাবিকের মত। গলায় লাল টাই। সবার সঙ্গেই ডোনাল্ডের খুব ভাল সম্পর্ক থাকলেও সে নিজেকে নিয়ে সুখী নয়। তার জন্ম দিন ১৩ মার্চ, আর এই জিনিসটিই সে মেনে নিতে পারতো না। সে মনে করতো এটি তার দূর্ভাগ্য। তার মনে হতো সে যা করবে তাই খারাপ হবে। এই দুঃখে সে কোনো কাজই করতে যেত না। এই কার্টুনটির নাম প্রথম দিকে ছিল দ্যা ওয়াইজ আইটেম (the wise item.) পরে একে ডোনাল্ড ডাক নামকরন করা হয়। এই কার্টুন সবচেয়ে জনপ্রিয় জার্মানিতে। এটি প্রথমে বের হয়েছিল ওয়াল্ট ডিজনী কোম্পানী থেকে।
মিকি মাউস
আমাদের প্রিয় আরেকটি কার্টুন হলো মিকি মাউস। মিকি মাউস দেখতে সবারই ভালো লাগে। বেশ একটা আদুরে ব্যাপার আছে মিকি মাউসের মধ্যে। আসলে মিকির পুরো নাম হচ্ছে, মাইকেল মাউস। একে সংক্ষেপে সবাই মিকি মাউস বলতে বলতে এর নাম হয়ে গেছে মিকি মাউস। কার্টুন দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্রটি হলো এই পুচকে মিকি মাউস। আর এর লেখক হচ্ছেন খোদ ওয়াল্ট ডিজনী। ওয়াল্ট ডিজনী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯২৮ সালে প্রথম মিকি মাউস প্রচারিত হয়। মিকির বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ আমাদের মনে সবসময়ের জন্য ভালো লাগা তৈরি করে। সেই যে প্রথম গলফ খেলতে গিয়ে কি বিপদেই না সে পরেছিল! আবার নিজের এলাকাকে বাঁচানোর জন্য সে যুদ্ধও করেছিলো। সবসময়ের জন্যই সবার প্রিয় এই কার্টুন চরিত্রটি।
No comments:
Post a Comment