আদুড় বাদুড় চালতা বাদুড়
কলা বাদুড়ের বে
টোপর মাথায় দে'
ছোটবেলায় ছড়াটি পড়েনি, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া ভার। কিন্তু তখন হয়তো বুঝতে পারোনি বাদুড়ের সঙ্গে চালতা বা কলার সম্পর্কটা কোথায়? সম্পর্ক আছে। বাদুড়কে আবার পাখি ভেবে বসোনি তো? বাদুড় কিন্তু পাখি নয়। যদিও উড়তে পারে। আসলে বাদুড় হলো উড়তে সক্ষম এক ধরনের ডানাওয়ালা প্রাণী। এদের চিরোপটেরা বর্গের মেগাচিরোপটেরা ও মাইক্রোচিরোপটেরা দলে ভাগ করা হয়। মাইক্রোচিরোপটেরা প্রজাতি মূলত ফলভোজী। এ জন্য এদের আরেক নাম ফ্রুটব্যাট। আর আমরা বলি বাদুড় বা কলা বাদুড়। এই মাইক্রোচিরোপটেরাদের কেউ কেউ আবার পতঙ্গও খায়। কোন কোন পতঙ্গ খায় জানো? মথ, ঘাসফড়িং, মশা, গুবরে পোকা_এসব। একটা ছোট বাদামি রঙের বাদুড় নাকি ঘণ্টায় ৬০০টিরও বেশি মশা খেতে পারে। তো তোমার ঘরে মশার অনেক উৎপাত থাকলে বাদুড় পালতে পারো। এই পতঙ্গখেকো বাদুড়রা হচ্ছে ইনসেক্ট ব্যাট, বাংলায় চামচিকা। দুনিয়ায় বাদুড় আছে প্রায় ৮০০ প্রজাতির। কোনো কিছুর ফাটল, গাছের খোঁড়ল, দেয়াল, পাথরের ফোকর, গর্ত, পোড়ো দালান, পুলের তল, সড়কের কনভার্ট, বড় বড় গাছ, পুরনো কুয়ায় এরা আস্তানা গাড়ে। আমাদের দেশের বাদুড়রা থাকে বট, আম, ছাতিম, রেইনট্রি, গগনশিরীষ, নারিকেল, তাল, সুপারি, খেজুর গাছে এবং বাঁশঝাড়ে। দল বেঁধে থাকে বাদুড়। একেক দলে এক ডজন থেকে এক হাজার বাদুড় থাকে। আম, লিচু, পেয়ারা, কলা, সফেদা এমনকি খেজুরের রসও খায় বাদুড়।
বাদুড়ের চলাচল বেশ অদ্ভুত। আমরা যেমন আলোর ওপর নির্ভর করে পথ চলি, বাদুড় চলে শব্দের প্রতিধ্বনির ওপর নির্ভর করে। চলার সময় শব্দ করে ওড়ে বাদুড়, যাতে সামনে কোনো বাধা থাকলে তা কতখানি দূরত্বে আছে, কোন দিকে যেতে হবে_এসব বোঝা যায়।
বাদুড় বেশ উপকারী প্রাণী। বুনো গাছপালার বৃদ্ধি ও কীটপতঙ্গ কমাতে বাদুড়ের জুড়ি নেই। তবে বাদুড় থেকে নানা রোগও ছড়ায়। নিপা ভাইরাসের কথা তো শুনেছ। এই নিপা ভাইরাস বাদুড়ের কাছ থেকেই ছড়ায়। গত দশ বছরে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে ১০৯ জন মারা গেছে। একটু সতর্ক হলেই কিন্তু এ ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকা যায়। সূত্র : কালেরকন্ঠ
কলা বাদুড়ের বে
টোপর মাথায় দে'
ছোটবেলায় ছড়াটি পড়েনি, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া ভার। কিন্তু তখন হয়তো বুঝতে পারোনি বাদুড়ের সঙ্গে চালতা বা কলার সম্পর্কটা কোথায়? সম্পর্ক আছে। বাদুড়কে আবার পাখি ভেবে বসোনি তো? বাদুড় কিন্তু পাখি নয়। যদিও উড়তে পারে। আসলে বাদুড় হলো উড়তে সক্ষম এক ধরনের ডানাওয়ালা প্রাণী। এদের চিরোপটেরা বর্গের মেগাচিরোপটেরা ও মাইক্রোচিরোপটেরা দলে ভাগ করা হয়। মাইক্রোচিরোপটেরা প্রজাতি মূলত ফলভোজী। এ জন্য এদের আরেক নাম ফ্রুটব্যাট। আর আমরা বলি বাদুড় বা কলা বাদুড়। এই মাইক্রোচিরোপটেরাদের কেউ কেউ আবার পতঙ্গও খায়। কোন কোন পতঙ্গ খায় জানো? মথ, ঘাসফড়িং, মশা, গুবরে পোকা_এসব। একটা ছোট বাদামি রঙের বাদুড় নাকি ঘণ্টায় ৬০০টিরও বেশি মশা খেতে পারে। তো তোমার ঘরে মশার অনেক উৎপাত থাকলে বাদুড় পালতে পারো। এই পতঙ্গখেকো বাদুড়রা হচ্ছে ইনসেক্ট ব্যাট, বাংলায় চামচিকা। দুনিয়ায় বাদুড় আছে প্রায় ৮০০ প্রজাতির। কোনো কিছুর ফাটল, গাছের খোঁড়ল, দেয়াল, পাথরের ফোকর, গর্ত, পোড়ো দালান, পুলের তল, সড়কের কনভার্ট, বড় বড় গাছ, পুরনো কুয়ায় এরা আস্তানা গাড়ে। আমাদের দেশের বাদুড়রা থাকে বট, আম, ছাতিম, রেইনট্রি, গগনশিরীষ, নারিকেল, তাল, সুপারি, খেজুর গাছে এবং বাঁশঝাড়ে। দল বেঁধে থাকে বাদুড়। একেক দলে এক ডজন থেকে এক হাজার বাদুড় থাকে। আম, লিচু, পেয়ারা, কলা, সফেদা এমনকি খেজুরের রসও খায় বাদুড়।
বাদুড়ের চলাচল বেশ অদ্ভুত। আমরা যেমন আলোর ওপর নির্ভর করে পথ চলি, বাদুড় চলে শব্দের প্রতিধ্বনির ওপর নির্ভর করে। চলার সময় শব্দ করে ওড়ে বাদুড়, যাতে সামনে কোনো বাধা থাকলে তা কতখানি দূরত্বে আছে, কোন দিকে যেতে হবে_এসব বোঝা যায়।
বাদুড় বেশ উপকারী প্রাণী। বুনো গাছপালার বৃদ্ধি ও কীটপতঙ্গ কমাতে বাদুড়ের জুড়ি নেই। তবে বাদুড় থেকে নানা রোগও ছড়ায়। নিপা ভাইরাসের কথা তো শুনেছ। এই নিপা ভাইরাস বাদুড়ের কাছ থেকেই ছড়ায়। গত দশ বছরে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে ১০৯ জন মারা গেছে। একটু সতর্ক হলেই কিন্তু এ ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকা যায়। সূত্র : কালেরকন্ঠ
No comments:
Post a Comment