বাড়ির আঙ্গিনায় বা সামান্য পরিমাণ আবাদি জমিতে বর্ষাকালে ডাঁটা, পটোল, কাঁকরোল, বরবটি, ঝিঙে, চিচিংগা, শসা, খিরা, ওলকচু, সজনে ডাঁটা, কচুরলতি ইত্যাদি চাষ করতে পারেন। শাকের মধ্যে এ সময় লাল শাকও চাষ করা যাবে। বর্ষায় চারদিক পানিতে ভরে ওঠে। অবিরাম বর্ষণে পথঘাটও ডুবে যায়। বর্ষাকালে বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। বর্ষায় সর্বত্র আবহাওয়া ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে থাকে। এ ধরনের পরিবেশে পশুপাখি রোগাক্রান্ত হতে পারে। বর্ষাকালে এমনিতেই খাদ্যের অভাব হয়ে থাকে। অপরদিকে খাদ্য যদি যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করা যায় তাহলে এসবের গুণগত মান নষ্ট হতে পারে। বর্ষার পানিতে অনেকক্ষণ ভিজলেও গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বর্ষাকালে গোয়ালঘর অস্বাস্থ্যকর হতে পারে। এজন্য গোয়ালঘর বানানোর সময় যেন তা উঁচু স্থানে স্থাপিত হয়—এ দিকটি বিশেষভাবে খেয়াল রেখে উঁচু স্থানে গোয়ালঘর বানিয়ে নেবেন। আরেকটা বিষয় মনে রাখবেন, গবাদিপশু কাদা ও স্যাঁতসেঁতে স্থানে রাখবেন না। অস্থাস্থ্যকর পরিবেশে গবাদিপশুর শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এ কারণে যে কোনো সময় গবাদিপশু সংক্রামক বা অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই বর্ষাকালে গবাদিপশু ও পাখি সংরক্ষণে বিশেষ যত্নবান হবেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment