নীলফামারীতে সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের আশায় প্রভাবশালীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে এক অসহায় কিশোরী মা। ন্যায়বিচারের আশায় আদালতে মামলা করলেও তদন্তে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। মামলা প্রত্যাহারসহ নানা হুমকির কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে অসহায় পরিবারটি।
এলাকাবাসী ও মামলার বিবরণে জানা যায়, জেলার ডোমার উপজেলার উত্তর গোমনাতী গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে রুবিনা বেগম (১৩) প্রভাবশালীর বখাটে পুত্র কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়ে আজ কিশোরী মাতা। ওই এলাকার আমিনুর রহমানের দু’মেয়ে ও এক পুত্রসন্তানের মধ্যে বড় রুবিনা। অন্যের জমিতে তাদের ঘর। আমিনুর শারীরিক অসুস্থতার কারণে কাজকর্ম করতে পারেন না। ফলে তার স্ত্রী ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। অভাবের সংসারে রুবিনা প্রতিবেশী প্রভাবশালী মোজাহার হোসেনের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ নেয়। প্রায় দেড় বছর ধরে ওই বাড়িতে সে কাজ করতে থাকে। এ দীর্ঘ সময় রুবিনার ওপর লোলুপদৃষ্টি পড়ে মোজাহারের বখাটে পুত্র মনি হোসেনের (২৩)। সে নানা সময়ে বাড়িতে একা পেয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রুবিনাকে দৈহিক সম্পর্কে গড়ে তোলে এবং বিষয়টি প্রকাশ না করতে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। একপর্যায়ে রুবিনা গর্ভবতী হয়ে পড়লে মনিকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ অবস্থায় মনির পিতা রুবিনাকে গর্ভবতীর ঘটনা চেপে যেতে জীবননাশের হুমকি দেয়। মনিরের পিতা তড়িঘড়ি করে রুবিনাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। ভেঙে যায় সংসার। রুবিনা ফিরে আসে বাবার বাড়িতে।
এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় সালিস বসে। সালিসে মনি তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। তিন মাস আগে একটি মেয়েসন্তান প্রসব করে রুবিনা। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই অপুষ্টিতে ভুগছেন। নিরূপায় রুবিনা তার সন্তানের পিতৃত্বের দাবিতে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা দায়ের করে।
এলাকাবাসী ও মামলার বিবরণে জানা যায়, জেলার ডোমার উপজেলার উত্তর গোমনাতী গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে রুবিনা বেগম (১৩) প্রভাবশালীর বখাটে পুত্র কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়ে আজ কিশোরী মাতা। ওই এলাকার আমিনুর রহমানের দু’মেয়ে ও এক পুত্রসন্তানের মধ্যে বড় রুবিনা। অন্যের জমিতে তাদের ঘর। আমিনুর শারীরিক অসুস্থতার কারণে কাজকর্ম করতে পারেন না। ফলে তার স্ত্রী ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। অভাবের সংসারে রুবিনা প্রতিবেশী প্রভাবশালী মোজাহার হোসেনের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ নেয়। প্রায় দেড় বছর ধরে ওই বাড়িতে সে কাজ করতে থাকে। এ দীর্ঘ সময় রুবিনার ওপর লোলুপদৃষ্টি পড়ে মোজাহারের বখাটে পুত্র মনি হোসেনের (২৩)। সে নানা সময়ে বাড়িতে একা পেয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রুবিনাকে দৈহিক সম্পর্কে গড়ে তোলে এবং বিষয়টি প্রকাশ না করতে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। একপর্যায়ে রুবিনা গর্ভবতী হয়ে পড়লে মনিকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ অবস্থায় মনির পিতা রুবিনাকে গর্ভবতীর ঘটনা চেপে যেতে জীবননাশের হুমকি দেয়। মনিরের পিতা তড়িঘড়ি করে রুবিনাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। ভেঙে যায় সংসার। রুবিনা ফিরে আসে বাবার বাড়িতে।
এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় সালিস বসে। সালিসে মনি তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। তিন মাস আগে একটি মেয়েসন্তান প্রসব করে রুবিনা। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই অপুষ্টিতে ভুগছেন। নিরূপায় রুবিনা তার সন্তানের পিতৃত্বের দাবিতে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা দায়ের করে।
আমরা চাই মামলাটি দ্রুত নিষ্পতি হবে। মা ফিরে পাবে তার স্বামীকে আর সন্তান ফিরে পাবে তার পিতাকে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
No comments:
Post a Comment